জুবাইদুল ইসলাম

শেরপুর: যাত্রা শুরু করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অ্যাথলেট! শেরপুরের অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান ৪০০ মিটার দৌড়ে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির রায়হানের গল্পটা এমনই। এবার তিনি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জহির অলিম্পিকে দৌড়াবে জেনে আনন্দে আত্মহারা তার পরিবারসহ শেরপুর জেলার সর্বস্তরের মানুষ। তাদের প্রত্যাশা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পুরস্কার পাওয়া জহির এবার টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবে।
জহিরের পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের দীঘলদি গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ও শিখা বেগম দম্পতির চার পুত্র সন্তানের মধ্যে জহির রায়হান দ্বিতীয়। বড় ছেলে শাহরিয়ার আহমেদ রাসেল এবং জহিরের ছোট জামিল ও যিদনী। রাসেল ও জহির যখন ছোট, তখন তাদের পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরের বাড়ইপাড়া মহল্লায় বসবাস শুরু করেন আব্দুর রাজ্জাক। এরপর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করান রাসেল ও জহিরকে।
রাসেল নিয়মিত স্কুল করলেও ৩য় শ্রেণিতে ওঠার পর খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন জহির। এ জন্য স্কুলেও সে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তা নিয়ে প্রথমে বাবা-মা বকাবকি করলেও বাবা আব্দুর রাজ্জাক শরীরচর্চার শিক্ষক হওয়ায় তারও খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক ছিল। শেষ পর্যন্ত জহিরকে তিনি ফুটবল অনুশীলন করার জন্য শেরপুরের স্থানীয় ক্লাব ‘ফর ফুটবল শেরপুর’ এর কোচ সাধন বসাকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে সে ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়। ফুটবল খেলার সময় তার দৌড়ের ক্ষিপ্রতা দেখে অবাক হয়েছিলেন কোচ সাধন বসাক।
পরবর্তীতে শেরপুরে বিকেএসপির প্রতিভা অন্বেষণ টিম আসে খেলোয়াড় বাছাই করার জন্য। প্রথমবার সেখানে অংশ নিয়ে জায়গা না করতে পারলেও পরেরবার ২০১২ সালে অ্যাথলেটিক খেলোয়াড় হিসেবে বিকেএসপিতে জায়গা করে নেন জহির। সেখানে প্রথমে এক মাস প্রশিক্ষণ করে বাছাইয়ে টিকে যান এবং আবারও পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পান জহির। এরপর থেকেই শুরু হয় তার সামনে এগিয়ে চলা।
জহির রায়হান দেশের বড় বড় আসরে অনেক পুরস্কার জিতেছেন। ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে ৪৬.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে দেশীয় আসরে ৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ, নাইরোবি, কেনিয়া ও এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ থাইল্যান্ডে ৪০০ মিটার ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে হিটে উত্তীর্ণ হয়ে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় সাউথ এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৯ সালে কাতারে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস, ২৩ তম এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ এবং নেপালে ১৩ তম সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন জহির।
জহিরের সাফল্য দেখে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে তাকে পেটি অফিসার হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন একজন অ্যাথলেট মনোনয়নের জন্য অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে চিঠি দেয়। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সিলেকশন কমিটি মনোনয়নের জন্য তিনজনের নাম প্রস্তাব করলে সেখান থেকে জহির রায়হানের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো পারফরমেন্সের ভিত্তিতে টোকিও অলিম্পিকের জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এদিকে জহিরের অলিম্পিকে অংশগ্রহণের খবর শোনার পর থেকেই তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন শেরপুরের ক্রীড়ামোদীসহ সর্বস্তরের মানুষ। তার এ কৃতিত্বের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী, জেলা প্রশাসনসহ হুইপ আতিউর রহমান আতিক তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দিয়েছেন। সেই সাথে তাকে উৎসাহ দিতে হুইপ আতিক এক লাখ টাকা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
ছেলের সাফল্যে বেজায় খুশি বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ছোট থেকেই জহিরের খেলার প্রতি টান ছিলো বেশি। তাই আমার বড় ছেলের পরামর্শে আমি তাকে খেলাধুলার চর্চা করাতে আগ্রহী হয়ে ওঠি। আমার ছেলে শেরপুরের সুনাম দেশে ছড়িয়েছে। আমি চাই এবার যাতে সে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান বয়ে আনতে পারে। মা শিখা বেগমও ছেলের সাফল্যের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।
অ্যাথলেট জহির রায়হান জানান, আমি ছোট থেকেই খেলা পাগল ছিলাম। প্রথমে ফুটবল দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে আমার বাবার ইচ্ছেতেই আমি অ্যাথলেটিকসে বিকেএসপিতে ভর্তি হতে সক্ষম হই। আজ আমি আমার বাবা-মার আশা পূরণ করতে পেরেছি। এ জন্য আমার বর্তমান ও সাবেক কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর আমার সংস্থা নৌ-বাহিনী আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছে। সেই সাথে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনও আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। আমি দেশবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চাই। আমি যেন টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারি।
জহির রায়হানের প্রথম কোচ সাধন বসাক জানান, জহির প্রথমে আমার কাছে ফুটবল অনুশীলন করেছে। তার অনুশীলন ও তার গতি দেখে প্রথম থেকেই আমি ভেবেছি, সে একদিন বড় কিছু করতে পারবে। আজ সেটাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।'
জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত জানান, টোকিও অলিম্পিকে জহির ভালো করবে বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আশাবাদী। মাশরাফিকে দিয়ে যেমন দেশবাসী নড়াইলকে আলাদা করে চেনে, ঠিক তেমনি শেরপুর জেলাকেও জহিরকে নিয়ে ভিন্নভাবে চিনবে বলে আশা করছি।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, জহির শেরপুর জেলার অহংকার। সে শুধু শেরপুর নয় সারা দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছে।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক বলেন, জহিরের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ অবশ্যই শেরপুরবাসীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমি আশা করব, শেরপুরের কৃতি সন্তান জহির টোকিও অলিম্পিকেও সফল হবে এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।

শেরপুর: যাত্রা শুরু করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অ্যাথলেট! শেরপুরের অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান ৪০০ মিটার দৌড়ে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির রায়হানের গল্পটা এমনই। এবার তিনি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জহির অলিম্পিকে দৌড়াবে জেনে আনন্দে আত্মহারা তার পরিবারসহ শেরপুর জেলার সর্বস্তরের মানুষ। তাদের প্রত্যাশা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পুরস্কার পাওয়া জহির এবার টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবে।
জহিরের পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের দীঘলদি গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ও শিখা বেগম দম্পতির চার পুত্র সন্তানের মধ্যে জহির রায়হান দ্বিতীয়। বড় ছেলে শাহরিয়ার আহমেদ রাসেল এবং জহিরের ছোট জামিল ও যিদনী। রাসেল ও জহির যখন ছোট, তখন তাদের পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরের বাড়ইপাড়া মহল্লায় বসবাস শুরু করেন আব্দুর রাজ্জাক। এরপর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করান রাসেল ও জহিরকে।
রাসেল নিয়মিত স্কুল করলেও ৩য় শ্রেণিতে ওঠার পর খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন জহির। এ জন্য স্কুলেও সে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তা নিয়ে প্রথমে বাবা-মা বকাবকি করলেও বাবা আব্দুর রাজ্জাক শরীরচর্চার শিক্ষক হওয়ায় তারও খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক ছিল। শেষ পর্যন্ত জহিরকে তিনি ফুটবল অনুশীলন করার জন্য শেরপুরের স্থানীয় ক্লাব ‘ফর ফুটবল শেরপুর’ এর কোচ সাধন বসাকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে সে ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়। ফুটবল খেলার সময় তার দৌড়ের ক্ষিপ্রতা দেখে অবাক হয়েছিলেন কোচ সাধন বসাক।
পরবর্তীতে শেরপুরে বিকেএসপির প্রতিভা অন্বেষণ টিম আসে খেলোয়াড় বাছাই করার জন্য। প্রথমবার সেখানে অংশ নিয়ে জায়গা না করতে পারলেও পরেরবার ২০১২ সালে অ্যাথলেটিক খেলোয়াড় হিসেবে বিকেএসপিতে জায়গা করে নেন জহির। সেখানে প্রথমে এক মাস প্রশিক্ষণ করে বাছাইয়ে টিকে যান এবং আবারও পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পান জহির। এরপর থেকেই শুরু হয় তার সামনে এগিয়ে চলা।
জহির রায়হান দেশের বড় বড় আসরে অনেক পুরস্কার জিতেছেন। ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে ৪৬.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে দেশীয় আসরে ৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ, নাইরোবি, কেনিয়া ও এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ থাইল্যান্ডে ৪০০ মিটার ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে হিটে উত্তীর্ণ হয়ে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় সাউথ এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৯ সালে কাতারে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস, ২৩ তম এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ এবং নেপালে ১৩ তম সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন জহির।
জহিরের সাফল্য দেখে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে তাকে পেটি অফিসার হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন একজন অ্যাথলেট মনোনয়নের জন্য অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে চিঠি দেয়। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সিলেকশন কমিটি মনোনয়নের জন্য তিনজনের নাম প্রস্তাব করলে সেখান থেকে জহির রায়হানের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো পারফরমেন্সের ভিত্তিতে টোকিও অলিম্পিকের জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এদিকে জহিরের অলিম্পিকে অংশগ্রহণের খবর শোনার পর থেকেই তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন শেরপুরের ক্রীড়ামোদীসহ সর্বস্তরের মানুষ। তার এ কৃতিত্বের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী, জেলা প্রশাসনসহ হুইপ আতিউর রহমান আতিক তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দিয়েছেন। সেই সাথে তাকে উৎসাহ দিতে হুইপ আতিক এক লাখ টাকা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
ছেলের সাফল্যে বেজায় খুশি বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ছোট থেকেই জহিরের খেলার প্রতি টান ছিলো বেশি। তাই আমার বড় ছেলের পরামর্শে আমি তাকে খেলাধুলার চর্চা করাতে আগ্রহী হয়ে ওঠি। আমার ছেলে শেরপুরের সুনাম দেশে ছড়িয়েছে। আমি চাই এবার যাতে সে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান বয়ে আনতে পারে। মা শিখা বেগমও ছেলের সাফল্যের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।
অ্যাথলেট জহির রায়হান জানান, আমি ছোট থেকেই খেলা পাগল ছিলাম। প্রথমে ফুটবল দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে আমার বাবার ইচ্ছেতেই আমি অ্যাথলেটিকসে বিকেএসপিতে ভর্তি হতে সক্ষম হই। আজ আমি আমার বাবা-মার আশা পূরণ করতে পেরেছি। এ জন্য আমার বর্তমান ও সাবেক কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর আমার সংস্থা নৌ-বাহিনী আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছে। সেই সাথে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনও আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। আমি দেশবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চাই। আমি যেন টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারি।
জহির রায়হানের প্রথম কোচ সাধন বসাক জানান, জহির প্রথমে আমার কাছে ফুটবল অনুশীলন করেছে। তার অনুশীলন ও তার গতি দেখে প্রথম থেকেই আমি ভেবেছি, সে একদিন বড় কিছু করতে পারবে। আজ সেটাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।'
জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত জানান, টোকিও অলিম্পিকে জহির ভালো করবে বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আশাবাদী। মাশরাফিকে দিয়ে যেমন দেশবাসী নড়াইলকে আলাদা করে চেনে, ঠিক তেমনি শেরপুর জেলাকেও জহিরকে নিয়ে ভিন্নভাবে চিনবে বলে আশা করছি।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, জহির শেরপুর জেলার অহংকার। সে শুধু শেরপুর নয় সারা দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছে।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক বলেন, জহিরের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ অবশ্যই শেরপুরবাসীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমি আশা করব, শেরপুরের কৃতি সন্তান জহির টোকিও অলিম্পিকেও সফল হবে এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

যাত্রা শুরু করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অ্যাথলেট! শেরপুরের অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান ৪০০ মিটার দৌড়ে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির রায়হানের গল্পটা এমনই। এবার তিনি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জহির অলিম্পিকে দৌড়াবে জেনে আনন্দে আত্মহারা তা
০২ জুন ২০২১
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

যাত্রা শুরু করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অ্যাথলেট! শেরপুরের অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান ৪০০ মিটার দৌড়ে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির রায়হানের গল্পটা এমনই। এবার তিনি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জহির অলিম্পিকে দৌড়াবে জেনে আনন্দে আত্মহারা তা
০২ জুন ২০২১
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

যাত্রা শুরু করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অ্যাথলেট! শেরপুরের অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান ৪০০ মিটার দৌড়ে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির রায়হানের গল্পটা এমনই। এবার তিনি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জহির অলিম্পিকে দৌড়াবে জেনে আনন্দে আত্মহারা তা
০২ জুন ২০২১
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

যাত্রা শুরু করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অ্যাথলেট! শেরপুরের অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান ৪০০ মিটার দৌড়ে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির রায়হানের গল্পটা এমনই। এবার তিনি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জহির অলিম্পিকে দৌড়াবে জেনে আনন্দে আত্মহারা তা
০২ জুন ২০২১
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে