Ajker Patrika

রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদ, দ্রুত আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদ, দ্রুত আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নিজ বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যার চার দিন পার হলেও পুলিশ এখনো কোনো আসামি শনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে দ্রুত আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলা চত্বরের পাশের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা, তাঁদের পরিবারের সদস্য, যুবসমাজ, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে নিয়ে তাঁরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর জেলার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান প্রামাণিক লেবু, সদস্যসচিব ফজলার রহমান, আলী হোসেন ও রেজাউল ইসলাম বাবুল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী বলেন, ‘বিজয়ের মাসে একজন মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে বাড়ির ভেতর হত্যা করা দেশের জন্য চরম লজ্জার। হত্যাকাণ্ডের চার দিন পার হলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। তারা কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি। এ ঘটনায় যারা জড়িত, দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

তারাগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় দেশ স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখেছিলেন। অথচ শেষ বয়সে এমন নৃশংস পরিণতি—এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে বিলম্ব হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেব।’

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি। শিগগিরই খুনের রহস্য উন্মোচন হবে। খুনি যে-ই হোক, পার পাবে না।’

এর আগে গত শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাঁদের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

র‍্যাব সদস্যের স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা

সরিষাবাড়ী ও জামালপুর প্রতিনিধি
লিপি আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
লিপি আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ঘর থেকে লিপি আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে পৌরসভার গণময়দান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বামী মহর উদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুরে র‍্যাবের এএসআই পদে কর্মরত

বৃহস্পতিবার সকালে লিপি আক্তারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার গণময়দান এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের বাসায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন লিপি। গভীর রাতে ওই বাসায় এক চোর ঢোকে। বিষয়টি টের পেয়ে যান লিপি। ধারণা করা হচ্ছে, চোরকে চিনে ফেলায় ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় লিপি আক্তারের মেয়ে মিথিলা (৯) ঘুম থেকে জেগে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।

নিহতের ভাই সোলায়মান হোসেন জানান, তাঁর বোন ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। বুধবার রাতে ওই ঘরে চোর ঢুকে পড়ে। চোরকে চিনে ফেলায় চোর তাঁর বোনের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মিয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, চুরি করতে এসে লিপি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: গলার পোড়া দাগেই শনাক্ত হন গৃহকর্মী আয়েশা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৯
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আয়েশা আক্তার । ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আয়েশা আক্তার । ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যার পর গৃহকর্মী আয়েশাকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ভাষায়, আয়েশার চুরির অভ্যাস নতুন নয়, গত জুলাইয়েও কাছের আরেকটি বাসায় আট হাজার টাকা চুরি করায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছিল। সেই পুরোনো অভিযোগই শেষ পর্যন্ত হত্যার রহস্য উন্মোচনের সূত্র হয়ে দাঁড়ায়।

মোহাম্মদপুরের বাবর রোড এলাকায় নতুন একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেছিলেন আয়েশা। মাত্র চার দিন পরই সেখানে নৃশংসভাবে খুন হন গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) এবং তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)।

শুরু থেকেই আয়েশাকে সন্দেহ করা হলেও তাঁর পরিচয় ও ঠিকানা নিয়ে পুলিশ ছিল অন্ধকারে। কাজে যাতায়াতের সময় মুখ ঢেকে রাখায় সিসিটিভিতেও দেখা যায়নি তাঁর স্পষ্ট চেহারা; কেবল গলার এক পাশে পোড়া দাগ—এই সামান্য সূত্রেই এগোয় তদন্ত।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানায় অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

মো. নজরুল ইসলাম জানান, আগের একটি জিডির নথি ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে, জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় এমন এক গৃহকর্মী থাকেন, যার গলায় পোড়া দাগ রয়েছে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় একটি পুরোনো মোবাইল নম্বর, যার সূত্রে সামনে আসে জামাল সিকদার রাব্বি নামের একজন যুবক। ফোনের মাধ্যমে রাব্বির দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা যায়—তাঁর স্ত্রীই আয়েশা, যিনি গৃহকর্মীর কাজ করেন এবং জেনেভা ক্যাম্পে ভাড়া বাসায় থাকেন। এই সূত্র ধরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিশ্চিত হয় পুলিশের সন্দেহ।

পুলিশ জানায়, আয়েশা ও তাঁর স্বামী রাব্বির সম্ভাব্য অবস্থান ধরে হেমায়েতপুর, দুমকি হয়ে শেষ পর্যন্ত ঝালকাঠির নলছিটিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় খোয়া যাওয়া ল্যাপটপও।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।

পুলিশের ভাষ্য, বাসায় কাজ শুরুর দ্বিতীয় দিন তিনি দুই হাজার টাকা চুরি করেন। এ নিয়ে গৃহকর্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তর্ক-বিতর্ক হয়; পুলিশের কাছে দেওয়ার হুমকিও পান আয়েশা। চতুর্থ দিন কাজে যাওয়ার সময় তিনি সঙ্গে করে নেন একটি সুইচগিয়ার চাকু। আবারও ঝগড়া বাধতেই ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লায়লা আফরোজকে ছুরিকাঘাত করেন আয়েশা; মেয়ে নাফিসা এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করা হয়।

ঘটনার পর নিজের রক্তাক্ত পোশাক বদলে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান আয়েশা। পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে সাভারের দিকে পালিয়ে যান। পথে সিঙ্গাইর ব্রিজ থেকে ফেলে দেন রক্তমাখা কাপড় ও চুরি করা মোবাইল ফোন সেট।

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, ঘটনার সময় নাফিসা ঘুমাচ্ছিল। ধস্তাধস্তির শব্দে জেগে গিয়ে সিকিউরিটিকে জানাতে ইন্টারকম ধরতেই তাকে আগে আক্রমণ করেন আয়েশা।

পুলিশের ধারণা, কেবল দুই হাজার টাকার বিষয় নয়; আগে থেকেই আয়েশার ছিল চুরির পরিকল্পনা, আর ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই ঘটিয়ে ফেলেন জোড়া খুন।

পুলিশ বলছে, আয়েশার স্বামী রাব্বিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে। গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র, ছবি এবং বিশ্বাসযোগ্য দু-একজনের যোগাযোগ নম্বর সংরক্ষণে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সেচের জন্য গভীর নলকূপ বসাতে খনন করা হয়েছিল এসব গভীর গর্ত। ছবি: আজকের পত্রিকা
সেচের জন্য গভীর নলকূপ বসাতে খনন করা হয়েছিল এসব গভীর গর্ত। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কছির উদ্দিন সেচের জন্য গভীর নলকূপ বসাতে পরপর তিনটি স্থান খনন করেছিলেন। কিন্তু কোথাও পানি না পেয়ে নলকূপ বসাতে পারেননি। পরিত্যক্ত অবস্থায় গর্তগুলো ফেলে রেখেছিলেন। এর একটিতে পড়ে গেছে ২ বছরের শিশু সাজিদ। ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিস তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।

কছিরের জমির পাশেই সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলামের বাড়ি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, সাজিদের মা রুনা খাতুনকে নিয়ে বসে আছেন তাঁর মা শেফালী বেগম। শেফালী বেগম সাজিদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বললেন, ‘সবাই আমাদের ছোট বাচ্চাটার জন্য দোয়া করেন, যাতে তাকে আমরা ফেরত পাই।’

সাজিদের মা রুনা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘৩ জায়গা খুঁড়েছিল। ২ বছর ধরে বন্ধ না করে গর্তগুলো এভাবে ফেলে রেখেছিল। কেন ফেলে রেখেছিল? আমি কছিরের শাস্তি চাই, তার বিচার চাই।’ রুনা জানান, ঘটনার পর কছির একবার দেখতে এসেছিলেন। তারপর আর আসেননি। তিনি পালিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কছিরের দেখা হয়নি। আমরা তাকে পাইনি।’ তাঁকে আটক করা হবে কি না, জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। আমরা এটা দেখছি।’

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার দুপুর থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪২ ফুট পর্যন্ত খনন করেও সাজিদের সন্ধান পাননি। বরেন্দ্র এলাকায় সাধারণত ১০০ থেকে ১৮০ ফুট পর্যন্ত এমন বোরিং করা হয় পানির সন্ধানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কে পড়ে ছিল যুবকের মাথা থেঁতলানো লাশ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউটার্ন-সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মামুন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর কৃষ্ণপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি সড়কটি দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের দক্ষিণমুখী লেনে মোটরসাইকেলটি স্বাভাবিক গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি দ্রুতগতির গাড়ি পেছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে বাইকচালক রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা মরদেহটি রাস্তায় পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে পথচারীরা ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করি। মোটরসাইকেলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত গাড়িটি বাইকচালকের মাথার ওপর দিয়ে উঠেই যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি নিহত বাইকচালক রাস্তার ওপর পড়ে আছে। তাঁর মাথার ওপর দিয়ে অজ্ঞাত গাড়ি উঠে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে। তাঁর কাছে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত