রিমন রহমান ও রিপন চন্দ্র রায়, রাজশাহী

‘হলে উঠতে বিভাগের ছাত্রলীগের এক সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করি। তিনি বলেন এখন টাকা ছাড়া তো হলে ওঠা যায় না। আমি যদি সাত-আট হাজার টাকা দিতে পারি, তাহলে তিনি আমাকে হলে তুলে দিতে পারবেন। তাঁর কথামতো আমি তাঁকে সাত হাজার টাকা দিই। পরে তিনি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে আমাকে চার সিটের একটি কক্ষে তোলেন।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী হলে ওঠার গল্পটা শোনালেন এভাবেই। সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে উঠেছেন ছাত্রলীগের মাধ্যমে। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে হলে ছাত্রলীগই ভরসা। ছাত্রলীগ ছাড়া হলে ওঠা যায় না। ছাত্রদের সব হলের দখলদারি নিয়ে এভাবেই রাজার মতো শাসন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তাদের কাছে অসহায় সাধারণ শিক্ষার্থী, এমনকি হল প্রশাসনও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসন নিরুপায়। হল প্রশাসনের মাধ্যমে কাউকে বৈধ সিটে তুলে দিলে দেখা যায়, পরে তাকে হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মারধরও করা হয়। হল প্রশাসন এ নিয়ে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন সময় শিক্ষকেরা লাঞ্ছনার শিকার হন। ফলে যে অল্পসংখ্যক সিট রয়েছে, সেগুলোও সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানাচ্ছে, আবাসিক হলের সব বিষয়ের হর্তাকর্তা হলেন প্রাধ্যক্ষ। তবে রাবির হলগুলোতে ছাত্রলীগের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন হল প্রাধ্যক্ষরা। হলে সিট খালি হওয়ার আগেই তা হাতিয়ে নিচ্ছে ছাত্রলীগ। পরে এসব সিটে টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে জোর করে আবাসিকতা নেওয়া হচ্ছে। ফলে আবাসিকতার গণবিজ্ঞপ্তি দিলেও সিট অনুযায়ী শিক্ষার্থী তুলতে পারে না হল প্রশাসন।
রাবির ১১টি ছাত্র হল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের শুরুতে শহীদ জিয়াউর রহমান হলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৯২ জনের আবাসিকতা দেওয়া হয়। প্রাধ্যক্ষের দাবি, তিনিই সবাইকে হলে তুলেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হল প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীকেও হলে তুলতে পারেনি প্রশাসন। শাহ মখদুম হলে গত বছরের নভেম্বরে সর্বশেষ আবাসিকতার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে কতজনকে হলে ওঠানো হয়েছে, তা জানায়নি প্রশাসন। নবাব আব্দুল লতিফ হলেও গত বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে ১২১ জনকে হলের আবাসিকতা দেওয়া হয়। মাদার বখ্শ হলে গত বছরের আগস্টে সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন ১৭০টি ফাঁকা আসনের মধ্যে ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে হলে তুলেছেন প্রাধ্যক্ষ।
সৈয়দ আমীর আলী হলে সর্বশেষ গত বছরের মার্চে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাত্র ৮৫ জন শিক্ষার্থীকে হলে তোলা হয়েছে। শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ৫০-৬০টি সিট খালি থাকা সাপেক্ষে গত মে মাসে আবাসিকতার গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এখনো সে প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। শহীদ হবিবুর রহমান হলে সর্বশেষ কবে আবাসিকতার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তা জানাতে পারেনি হল প্রশাসন।
মতিহার হলে সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ১ জানুয়ারি। তবে এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কতজনকে আবাসিকতা দেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানাতে পারেনি হল প্রশাসন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় পাঁচ মাস আগে। কিন্তু ছাত্রলীগের প্রভাবের কারণে এখনো কাউকে সিটে তোলা সম্ভব হয়নি। শেরেবাংলা হলে সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বর মাসে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে হলে তুলতে সক্ষম হন হল প্রাধ্যক্ষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কোনো বিজ্ঞপ্তিই দেওয়া হয় না। এই হলে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীরা। সভাপতি-সম্পাদকের এখন ছাত্রত্বই নেই। তাঁরা নিজেরাই আছেন অবৈধভাবে। তাঁদের সঙ্গে অবৈধভাবে আছেন ছাত্রলীগের আরও অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল গালিব থাকেন মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। এখানে ড্রপ আউট হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করেছেন। এরপর রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারেন না। গালিবের নামে আবাসিকতা না থাকলেও তিনি হলে থাকেন। যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগের এই নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু আমি না, অনেকেই হলে অবৈধভাবে থাকেন। সবার বিষয়ে খোঁজ নেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১১টি হলের কোনোটিই শতভাগ আবাসিক নয়। অনেক শিক্ষার্থীই রাজনৈতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবাসিকতা ছাড়াই সিট দখল করে হলে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া এক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হয়ে অন্য হলে অবস্থান করার প্রবণতাও দেখা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১১টি হলে মোট আসন রয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩টি। এর মধ্যে মাদার বখ্শ হলে ৫৮৪টি সিটের মধ্যে ৮৪টি অনাবাসিক, নবাব আব্দুল লতিফ হলে ৩২৩ সিটের ৪৩টি অনাবাসিক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ৬০০ আসনের ১৩৭টি অনাবাসিক, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ৪০৬টি আসনের বিপরীতে ৪১টি অনাবাসিক। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, ৩৬৪ সিটের বিপরীতে আবাসিক রয়েছে ৩৫০ জন। তবে এখানেই সবচেয়ে বেশি অনাবাসিক শিক্ষার্থী থাকেন বলে জানা গেছে। হলগুলোতে পাঁচ শতাধিক সিট বেদখল রয়েছে। তাতে মাসে ১০০ টাকা হিসাবে বছরে প্রায় ৬ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিটও পাচ্ছেন না।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার হলে বর্তমানে ১৩৭টি আসনে আবাসিক ছাত্র নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি আবাসিকতার গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিলাম। কিন্তু এসব আসনের অধিকাংশই দখল করে আছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ফলে প্রায় পাঁচ মাস আগে ছাত্রদের ভাইভা নিলেও তাদের সিট দিতে পারিনি। এমনকি প্রতিবন্ধী ছাত্রদের সংরক্ষিত আসনও অবৈধভাবে দখলে রাখা হয়েছে। ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের কাছে আমরা হল প্রশাসন যেন জিম্মি হয়ে রয়েছি।’
বিভিন্ন হলে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায়ই হলের প্রতিটি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর হলে অবস্থানরত মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের বিছানার নিচে একটি করে ভর্তি বস্তা রেখে আসা হয়। মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হলেই ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী হল ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর সিটটি চলে যায় ছাত্রলীগের দখলে। যেখানে তারা নিজেদের কর্মী কিংবা টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের তোলেন। কিছুদিন পর ওই শিক্ষার্থীর আবাসিকতার জন্য হল প্রাধ্যক্ষের কাছে সুপারিশ করে ছাত্রলীগ। তখন এসব শিক্ষার্থীকে আবাসিকতা দিতে বাধ্য হন হলের প্রাধ্যক্ষরা।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আজহার ছুটির পর আবাসিক হলগুলোতে ৩০ থেকে ৫০টি সিট ফাঁকা হয়েছে। সিটগুলোর অধিকাংশ দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগ। ইতিমধ্যে সিটগুলো মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিটপ্রতি আগের চেয়ে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ছাত্রলীগ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘ছাত্রলীগের দখলদারির কারণে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি হল প্রশাসনও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হল প্রাধ্যক্ষরা কোনো সুবিধা না পেলে কেন ছাত্রলীগের সঙ্গে সমঝোতা করেন? এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বেদখল সিটগুলো উদ্ধার করতে হবে।’
তবে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক হাসনা হেনা বেদখল সিট উদ্ধারে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘যে দলই ক্ষমতাই আসে, তাদের ছাত্র সংগঠন কিছু সিট দখল করে রাখে। আমরা প্রশাসনের সহায়তায় সিটগুলো তাদের দখল থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করি, কিন্তু পারি না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ছাত্রনেতা হিসেবে অনেক দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী হলে ওঠার জন্য আমাদের কাছে আসে। আমরা তাদের হলে তুলতে সহায়তা করি। এ ক্ষেত্রে তাদের আবাসিকতার জন্য আমরা হল প্রাধ্যক্ষকে অনুরোধ করি। আমার জানা মতে, কোনো ছাত্রলীগ নেতা টাকার বিনিময়ে সিট বিক্রি করেন না। এমন অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান-উল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলগুলোতে ছাত্রলীগের আধিপত্যের বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। তবে যেহেতু বিষয়টি বহুদিনের চর্চার ফসল, সেহেতু এটি কমাতেও আমাদের সময়ের প্রয়োজন। এর মানে এই না যে এটি যত দিন ধরে চলে আসছে, ঠিক তত দিন সময় নেব। এরই মধ্যে আমরা হল প্রাধ্যক্ষদের ডেকে কথা বলেছি। তাদের কাজে যারা বাধার সৃষ্টি করে, তাদের চিহ্নিত করতে বলেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আশা করছি, আমরা ধীরে ধীরে এই সমস্যা কমাতে পারব।’

‘হলে উঠতে বিভাগের ছাত্রলীগের এক সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করি। তিনি বলেন এখন টাকা ছাড়া তো হলে ওঠা যায় না। আমি যদি সাত-আট হাজার টাকা দিতে পারি, তাহলে তিনি আমাকে হলে তুলে দিতে পারবেন। তাঁর কথামতো আমি তাঁকে সাত হাজার টাকা দিই। পরে তিনি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে আমাকে চার সিটের একটি কক্ষে তোলেন।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী হলে ওঠার গল্পটা শোনালেন এভাবেই। সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে উঠেছেন ছাত্রলীগের মাধ্যমে। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে হলে ছাত্রলীগই ভরসা। ছাত্রলীগ ছাড়া হলে ওঠা যায় না। ছাত্রদের সব হলের দখলদারি নিয়ে এভাবেই রাজার মতো শাসন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তাদের কাছে অসহায় সাধারণ শিক্ষার্থী, এমনকি হল প্রশাসনও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসন নিরুপায়। হল প্রশাসনের মাধ্যমে কাউকে বৈধ সিটে তুলে দিলে দেখা যায়, পরে তাকে হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মারধরও করা হয়। হল প্রশাসন এ নিয়ে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন সময় শিক্ষকেরা লাঞ্ছনার শিকার হন। ফলে যে অল্পসংখ্যক সিট রয়েছে, সেগুলোও সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানাচ্ছে, আবাসিক হলের সব বিষয়ের হর্তাকর্তা হলেন প্রাধ্যক্ষ। তবে রাবির হলগুলোতে ছাত্রলীগের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন হল প্রাধ্যক্ষরা। হলে সিট খালি হওয়ার আগেই তা হাতিয়ে নিচ্ছে ছাত্রলীগ। পরে এসব সিটে টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে জোর করে আবাসিকতা নেওয়া হচ্ছে। ফলে আবাসিকতার গণবিজ্ঞপ্তি দিলেও সিট অনুযায়ী শিক্ষার্থী তুলতে পারে না হল প্রশাসন।
রাবির ১১টি ছাত্র হল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের শুরুতে শহীদ জিয়াউর রহমান হলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৯২ জনের আবাসিকতা দেওয়া হয়। প্রাধ্যক্ষের দাবি, তিনিই সবাইকে হলে তুলেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হল প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীকেও হলে তুলতে পারেনি প্রশাসন। শাহ মখদুম হলে গত বছরের নভেম্বরে সর্বশেষ আবাসিকতার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে কতজনকে হলে ওঠানো হয়েছে, তা জানায়নি প্রশাসন। নবাব আব্দুল লতিফ হলেও গত বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে ১২১ জনকে হলের আবাসিকতা দেওয়া হয়। মাদার বখ্শ হলে গত বছরের আগস্টে সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন ১৭০টি ফাঁকা আসনের মধ্যে ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে হলে তুলেছেন প্রাধ্যক্ষ।
সৈয়দ আমীর আলী হলে সর্বশেষ গত বছরের মার্চে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাত্র ৮৫ জন শিক্ষার্থীকে হলে তোলা হয়েছে। শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ৫০-৬০টি সিট খালি থাকা সাপেক্ষে গত মে মাসে আবাসিকতার গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এখনো সে প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। শহীদ হবিবুর রহমান হলে সর্বশেষ কবে আবাসিকতার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তা জানাতে পারেনি হল প্রশাসন।
মতিহার হলে সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ১ জানুয়ারি। তবে এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কতজনকে আবাসিকতা দেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানাতে পারেনি হল প্রশাসন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় পাঁচ মাস আগে। কিন্তু ছাত্রলীগের প্রভাবের কারণে এখনো কাউকে সিটে তোলা সম্ভব হয়নি। শেরেবাংলা হলে সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বর মাসে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে হলে তুলতে সক্ষম হন হল প্রাধ্যক্ষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কোনো বিজ্ঞপ্তিই দেওয়া হয় না। এই হলে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীরা। সভাপতি-সম্পাদকের এখন ছাত্রত্বই নেই। তাঁরা নিজেরাই আছেন অবৈধভাবে। তাঁদের সঙ্গে অবৈধভাবে আছেন ছাত্রলীগের আরও অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল গালিব থাকেন মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। এখানে ড্রপ আউট হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করেছেন। এরপর রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারেন না। গালিবের নামে আবাসিকতা না থাকলেও তিনি হলে থাকেন। যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগের এই নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু আমি না, অনেকেই হলে অবৈধভাবে থাকেন। সবার বিষয়ে খোঁজ নেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১১টি হলের কোনোটিই শতভাগ আবাসিক নয়। অনেক শিক্ষার্থীই রাজনৈতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবাসিকতা ছাড়াই সিট দখল করে হলে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া এক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হয়ে অন্য হলে অবস্থান করার প্রবণতাও দেখা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১১টি হলে মোট আসন রয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩টি। এর মধ্যে মাদার বখ্শ হলে ৫৮৪টি সিটের মধ্যে ৮৪টি অনাবাসিক, নবাব আব্দুল লতিফ হলে ৩২৩ সিটের ৪৩টি অনাবাসিক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ৬০০ আসনের ১৩৭টি অনাবাসিক, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ৪০৬টি আসনের বিপরীতে ৪১টি অনাবাসিক। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, ৩৬৪ সিটের বিপরীতে আবাসিক রয়েছে ৩৫০ জন। তবে এখানেই সবচেয়ে বেশি অনাবাসিক শিক্ষার্থী থাকেন বলে জানা গেছে। হলগুলোতে পাঁচ শতাধিক সিট বেদখল রয়েছে। তাতে মাসে ১০০ টাকা হিসাবে বছরে প্রায় ৬ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিটও পাচ্ছেন না।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার হলে বর্তমানে ১৩৭টি আসনে আবাসিক ছাত্র নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি আবাসিকতার গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিলাম। কিন্তু এসব আসনের অধিকাংশই দখল করে আছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ফলে প্রায় পাঁচ মাস আগে ছাত্রদের ভাইভা নিলেও তাদের সিট দিতে পারিনি। এমনকি প্রতিবন্ধী ছাত্রদের সংরক্ষিত আসনও অবৈধভাবে দখলে রাখা হয়েছে। ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের কাছে আমরা হল প্রশাসন যেন জিম্মি হয়ে রয়েছি।’
বিভিন্ন হলে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায়ই হলের প্রতিটি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর হলে অবস্থানরত মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের বিছানার নিচে একটি করে ভর্তি বস্তা রেখে আসা হয়। মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হলেই ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী হল ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর সিটটি চলে যায় ছাত্রলীগের দখলে। যেখানে তারা নিজেদের কর্মী কিংবা টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের তোলেন। কিছুদিন পর ওই শিক্ষার্থীর আবাসিকতার জন্য হল প্রাধ্যক্ষের কাছে সুপারিশ করে ছাত্রলীগ। তখন এসব শিক্ষার্থীকে আবাসিকতা দিতে বাধ্য হন হলের প্রাধ্যক্ষরা।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আজহার ছুটির পর আবাসিক হলগুলোতে ৩০ থেকে ৫০টি সিট ফাঁকা হয়েছে। সিটগুলোর অধিকাংশ দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগ। ইতিমধ্যে সিটগুলো মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিটপ্রতি আগের চেয়ে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ছাত্রলীগ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘ছাত্রলীগের দখলদারির কারণে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি হল প্রশাসনও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হল প্রাধ্যক্ষরা কোনো সুবিধা না পেলে কেন ছাত্রলীগের সঙ্গে সমঝোতা করেন? এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বেদখল সিটগুলো উদ্ধার করতে হবে।’
তবে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক হাসনা হেনা বেদখল সিট উদ্ধারে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘যে দলই ক্ষমতাই আসে, তাদের ছাত্র সংগঠন কিছু সিট দখল করে রাখে। আমরা প্রশাসনের সহায়তায় সিটগুলো তাদের দখল থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করি, কিন্তু পারি না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ছাত্রনেতা হিসেবে অনেক দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী হলে ওঠার জন্য আমাদের কাছে আসে। আমরা তাদের হলে তুলতে সহায়তা করি। এ ক্ষেত্রে তাদের আবাসিকতার জন্য আমরা হল প্রাধ্যক্ষকে অনুরোধ করি। আমার জানা মতে, কোনো ছাত্রলীগ নেতা টাকার বিনিময়ে সিট বিক্রি করেন না। এমন অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান-উল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলগুলোতে ছাত্রলীগের আধিপত্যের বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। তবে যেহেতু বিষয়টি বহুদিনের চর্চার ফসল, সেহেতু এটি কমাতেও আমাদের সময়ের প্রয়োজন। এর মানে এই না যে এটি যত দিন ধরে চলে আসছে, ঠিক তত দিন সময় নেব। এরই মধ্যে আমরা হল প্রাধ্যক্ষদের ডেকে কথা বলেছি। তাদের কাজে যারা বাধার সৃষ্টি করে, তাদের চিহ্নিত করতে বলেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আশা করছি, আমরা ধীরে ধীরে এই সমস্যা কমাতে পারব।’

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে হলে ছাত্রলীগই ভরসা। ছাত্রলীগ ছাড়া হলে ওঠা যায় না। ছাত্রদের সব হলের দখলদারি নিয়ে এভাবেই রাজার মতো শাসন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তাদের কাছে অসহায় সাধারণ শিক্ষার্থী, এমনকি হল প্রশাসনও।
২১ জুলাই ২০২৩
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে হলে ছাত্রলীগই ভরসা। ছাত্রলীগ ছাড়া হলে ওঠা যায় না। ছাত্রদের সব হলের দখলদারি নিয়ে এভাবেই রাজার মতো শাসন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তাদের কাছে অসহায় সাধারণ শিক্ষার্থী, এমনকি হল প্রশাসনও।
২১ জুলাই ২০২৩
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩৮ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে হলে ছাত্রলীগই ভরসা। ছাত্রলীগ ছাড়া হলে ওঠা যায় না। ছাত্রদের সব হলের দখলদারি নিয়ে এভাবেই রাজার মতো শাসন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তাদের কাছে অসহায় সাধারণ শিক্ষার্থী, এমনকি হল প্রশাসনও।
২১ জুলাই ২০২৩
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে হলে ছাত্রলীগই ভরসা। ছাত্রলীগ ছাড়া হলে ওঠা যায় না। ছাত্রদের সব হলের দখলদারি নিয়ে এভাবেই রাজার মতো শাসন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। তাদের কাছে অসহায় সাধারণ শিক্ষার্থী, এমনকি হল প্রশাসনও।
২১ জুলাই ২০২৩
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে