Ajker Patrika

আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, গোদাগাড়ীর সেই অধ্যক্ষ বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ২৮
সেলীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত
সেলীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরীর মারধরের শিকার হয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসা রাজাবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলীম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন খাত থেকে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সেলীম রেজার বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচটি মামলা চলছে। গত বুধবার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা পারভীন সাময়িক বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। পরদিন থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা পারভীন বলেন, সেলীম রেজা ফৌজদারি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। নিয়ম অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁর সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলার চার্জশিট হলেও ১৮ মাস ধরে বিগত পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তাঁকে বরখাস্ত করেননি। তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনা এবং বিধি অনুযায়ী সেলীম রেজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন।

এর আগে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কলেজে টানা অনুপস্থিত ছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সেলীম রেজা। এ কারণে গত ২১ আগস্ট কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কলেজের রসায়ন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হাসিনা পারভীনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন।

এরপর গত ৫ নভেম্বর কলেজের ৩২ জন শিক্ষক-কর্মচারী হাসিনা পারভীনকে প্রশাসনিক এবং আর্থিক দায়িত্ব প্রদানের জন্য কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে এ দুটি দায়িত্ব প্রদান করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা জেলা প্রশাসকের কাছে সেলীম রেজার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তাতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের তৎকালীন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে সেলীম রোজা লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেন। সেলীম রেজা প্রতি মাসে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ৩ শতাংশ অর্থ জোর করে আদায় করতেন। এভাবে তিনি দুই বছরে ৮ লাখ টাকা আদায় করেছেন। সাতজন কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন আরও প্রায় কোটি টাকা। ২০১৭ সাল থেকে হিসাব না দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।

এ কারণে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিষয়টি তদন্তের জন্য অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব খাত থেকে কয়েক বছরে সেলীম রেজা প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের কাছে শিক্ষক-কর্মচারীদের দেওয়া লিখিত অভিযোগেও অধ্যক্ষ সেলীম রেজার অন্যান্য অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সরকারি অর্থ তছরুপের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (মাউশি) তদন্তেও সেলীম রেজার আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়। এ কারণে চলতি বছরের মার্চে তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয় মাউশি।

এর আগে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মারধরের পর সাময়িক বরখাস্ত করার কারণে অধ্যক্ষ সেলীম রেজার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে মামলা করেন আহাদুজ্জামান নাজিম নামের এক শিক্ষক। সেই মামলায় সেলীম রেজার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। ফরম পূরণের টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন শিক্ষক সেলীম রেজার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আরও তিনটি মামলা করেন। সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচটি মামলা চলছে।

অভিযোগের বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ সেলীম রেজা বলেন, ‘মামলার চার্জশিট দেওয়ার কারণে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ এবং অনিয়ম ও অন্যান্য দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, সেগুলো ভিত্তিহীন। এগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল হায়াত আজকের পত্রিকাকে বলেন, চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় সেলীম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর এ ব্যাপারে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাইয়ে অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় সেলীম রেজা দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। ওই সময় এলাকার সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সেলীম রেজাকে বেধরক পেটান। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হলে সেলীম রেজাকে পাশে বসিয়েই সংবাদ সম্মেলন করেন ফারুক চৌধুরী। সেদিন দুজনই দাবি করেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে সেলীম রেজাকে মারধরের সত্যতা মেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু শামীম (১০) মারা গেছে। উদ্ধারের তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির মামা সাব্বির হোসেন ও সখীপুর থানা-পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও স্থানীয় কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরের আঘাত করা হয়েছে।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহত শামীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুমকীতে অটো-টমটম সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের চেষ্টা: ব্যর্থ হয়ে ১৪ জনকে ফেরত নিল বিএসএফ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত