সনি আজাদ, চারঘাট (রাজশাহী)

সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এই সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাই পথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কড়াকড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ কম। তাতে স্থানীয় মাদকসেবীদের জোগানে পড়েছে ভাটা।
এ অবস্থায় মাদকের অভাবে নেশা বদল করেছে চারঘাটের মাদকসেবীরা। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা হেরোইন নয়—এবার হাতের কাছে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করছে ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যাজনিত ব্যথার ট্যাবলেট। এসব ট্যাবলেট উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে, যা ‘গরিবের ইয়াবা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ট্যাবলেটের কিছু কিছু দেখতে ইয়াবার মতো। কিন্তু ইয়াবা নয়, এগুলো ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যা মেটানোর বিভিন্ন ওষুধ। এসব ওষুধই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ইয়াবা আর হেরোইনের বিকল্প নেশা হিসেবে। গুঁড়ো করে ইয়াবা আর হেরোইনের মতো সেবন করছে মাদকসেবীরা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন কোম্পানির এসব ওষুধ দেদার বিক্রি হচ্ছে দোকানে।
বিভিন্ন নামের এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা হলেও মাদকাসক্তরা ওষুধের দোকান থেকে তা ১১০ থেকে ২০০ টাকায় পর্যন্ত ক্রয় করছে। এসব ওষুধ বিক্রির সময় ফার্মেসির রসিদ রাখার নিয়ম থাকলেও মানছে না কোনো ফার্মেসি।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিনা প্রেসক্রিপশনে এসব ওষুধ বিক্রি না করতে নিষেধ করেন। তার পরও বিক্রি থেমে নেই। উপজেলাজুড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে এসব ট্যাবলেট। অনেক জায়গায় ফোন করলে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে, যার অধিকাংশ ক্রেতা তরুণ ও শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় এসব ওষুধ এখন গরিবের ইয়াবা। ইয়াবার দাম বেশি এবং দুষ্প্রাপ্য হলেও এসব ট্যাবলেট ফার্মেসিতে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু জায়গায় বাইকে করে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে। মাদকের মতো নিষিদ্ধ দ্রব্য না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তেমন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। তাতে তরুণ শ্রেণি ধীরে ধীরে নেশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
নেশা হিসেবে ওষুধ দ্রব্যের আশঙ্কাজনক বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। এসব ট্যাবলেট সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো ওষুধই শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত অতিরিক্ত এসব ট্যাবলেট সেবনকারীর মস্তিষ্ক বিকৃতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায়। আমরা ইদানীং এ ধরনের কিছু রোগীও পেয়েছি, যারা নেশাগ্রস্ত বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মাখনুন তাবাসসুম বলেন, ‘ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যা মেটানোর এ ধরনের ওষুধ এখন মাদকের আওতায় পড়েছে। এ জন্য আমরা বিক্রি বন্ধে ফার্মেসি মালিকদের লিখিত নির্দেশনাও দিয়েছি। তার পরও যদি তারা এগুলো বিক্রি করে, তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী সার্কেল (খ)-এর পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি নেশাজাতীয় কিছু ওষুধের অপব্যবহার মাদকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আইনের নির্দিষ্ট কোনো ধারা না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরও আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপর রয়েছি।’

সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এই সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাই পথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কড়াকড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ কম। তাতে স্থানীয় মাদকসেবীদের জোগানে পড়েছে ভাটা।
এ অবস্থায় মাদকের অভাবে নেশা বদল করেছে চারঘাটের মাদকসেবীরা। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা হেরোইন নয়—এবার হাতের কাছে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করছে ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যাজনিত ব্যথার ট্যাবলেট। এসব ট্যাবলেট উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে, যা ‘গরিবের ইয়াবা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ট্যাবলেটের কিছু কিছু দেখতে ইয়াবার মতো। কিন্তু ইয়াবা নয়, এগুলো ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যা মেটানোর বিভিন্ন ওষুধ। এসব ওষুধই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ইয়াবা আর হেরোইনের বিকল্প নেশা হিসেবে। গুঁড়ো করে ইয়াবা আর হেরোইনের মতো সেবন করছে মাদকসেবীরা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন কোম্পানির এসব ওষুধ দেদার বিক্রি হচ্ছে দোকানে।
বিভিন্ন নামের এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা হলেও মাদকাসক্তরা ওষুধের দোকান থেকে তা ১১০ থেকে ২০০ টাকায় পর্যন্ত ক্রয় করছে। এসব ওষুধ বিক্রির সময় ফার্মেসির রসিদ রাখার নিয়ম থাকলেও মানছে না কোনো ফার্মেসি।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিনা প্রেসক্রিপশনে এসব ওষুধ বিক্রি না করতে নিষেধ করেন। তার পরও বিক্রি থেমে নেই। উপজেলাজুড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে এসব ট্যাবলেট। অনেক জায়গায় ফোন করলে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে, যার অধিকাংশ ক্রেতা তরুণ ও শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় এসব ওষুধ এখন গরিবের ইয়াবা। ইয়াবার দাম বেশি এবং দুষ্প্রাপ্য হলেও এসব ট্যাবলেট ফার্মেসিতে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু জায়গায় বাইকে করে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে। মাদকের মতো নিষিদ্ধ দ্রব্য না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তেমন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। তাতে তরুণ শ্রেণি ধীরে ধীরে নেশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
নেশা হিসেবে ওষুধ দ্রব্যের আশঙ্কাজনক বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। এসব ট্যাবলেট সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো ওষুধই শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত অতিরিক্ত এসব ট্যাবলেট সেবনকারীর মস্তিষ্ক বিকৃতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায়। আমরা ইদানীং এ ধরনের কিছু রোগীও পেয়েছি, যারা নেশাগ্রস্ত বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মাখনুন তাবাসসুম বলেন, ‘ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যা মেটানোর এ ধরনের ওষুধ এখন মাদকের আওতায় পড়েছে। এ জন্য আমরা বিক্রি বন্ধে ফার্মেসি মালিকদের লিখিত নির্দেশনাও দিয়েছি। তার পরও যদি তারা এগুলো বিক্রি করে, তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী সার্কেল (খ)-এর পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি নেশাজাতীয় কিছু ওষুধের অপব্যবহার মাদকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আইনের নির্দিষ্ট কোনো ধারা না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরও আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপর রয়েছি।’
সনি আজাদ, চারঘাট (রাজশাহী)

সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এই সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাই পথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কড়াকড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ কম। তাতে স্থানীয় মাদকসেবীদের জোগানে পড়েছে ভাটা।
এ অবস্থায় মাদকের অভাবে নেশা বদল করেছে চারঘাটের মাদকসেবীরা। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা হেরোইন নয়—এবার হাতের কাছে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করছে ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যাজনিত ব্যথার ট্যাবলেট। এসব ট্যাবলেট উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে, যা ‘গরিবের ইয়াবা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ট্যাবলেটের কিছু কিছু দেখতে ইয়াবার মতো। কিন্তু ইয়াবা নয়, এগুলো ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যা মেটানোর বিভিন্ন ওষুধ। এসব ওষুধই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ইয়াবা আর হেরোইনের বিকল্প নেশা হিসেবে। গুঁড়ো করে ইয়াবা আর হেরোইনের মতো সেবন করছে মাদকসেবীরা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন কোম্পানির এসব ওষুধ দেদার বিক্রি হচ্ছে দোকানে।
বিভিন্ন নামের এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা হলেও মাদকাসক্তরা ওষুধের দোকান থেকে তা ১১০ থেকে ২০০ টাকায় পর্যন্ত ক্রয় করছে। এসব ওষুধ বিক্রির সময় ফার্মেসির রসিদ রাখার নিয়ম থাকলেও মানছে না কোনো ফার্মেসি।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিনা প্রেসক্রিপশনে এসব ওষুধ বিক্রি না করতে নিষেধ করেন। তার পরও বিক্রি থেমে নেই। উপজেলাজুড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে এসব ট্যাবলেট। অনেক জায়গায় ফোন করলে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে, যার অধিকাংশ ক্রেতা তরুণ ও শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় এসব ওষুধ এখন গরিবের ইয়াবা। ইয়াবার দাম বেশি এবং দুষ্প্রাপ্য হলেও এসব ট্যাবলেট ফার্মেসিতে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু জায়গায় বাইকে করে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে। মাদকের মতো নিষিদ্ধ দ্রব্য না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তেমন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। তাতে তরুণ শ্রেণি ধীরে ধীরে নেশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
নেশা হিসেবে ওষুধ দ্রব্যের আশঙ্কাজনক বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। এসব ট্যাবলেট সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো ওষুধই শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত অতিরিক্ত এসব ট্যাবলেট সেবনকারীর মস্তিষ্ক বিকৃতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায়। আমরা ইদানীং এ ধরনের কিছু রোগীও পেয়েছি, যারা নেশাগ্রস্ত বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মাখনুন তাবাসসুম বলেন, ‘ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যা মেটানোর এ ধরনের ওষুধ এখন মাদকের আওতায় পড়েছে। এ জন্য আমরা বিক্রি বন্ধে ফার্মেসি মালিকদের লিখিত নির্দেশনাও দিয়েছি। তার পরও যদি তারা এগুলো বিক্রি করে, তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী সার্কেল (খ)-এর পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি নেশাজাতীয় কিছু ওষুধের অপব্যবহার মাদকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আইনের নির্দিষ্ট কোনো ধারা না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরও আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপর রয়েছি।’

সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এই সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাই পথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কড়াকড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ কম। তাতে স্থানীয় মাদকসেবীদের জোগানে পড়েছে ভাটা।
এ অবস্থায় মাদকের অভাবে নেশা বদল করেছে চারঘাটের মাদকসেবীরা। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা হেরোইন নয়—এবার হাতের কাছে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করছে ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যাজনিত ব্যথার ট্যাবলেট। এসব ট্যাবলেট উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে, যা ‘গরিবের ইয়াবা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ট্যাবলেটের কিছু কিছু দেখতে ইয়াবার মতো। কিন্তু ইয়াবা নয়, এগুলো ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যা মেটানোর বিভিন্ন ওষুধ। এসব ওষুধই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ইয়াবা আর হেরোইনের বিকল্প নেশা হিসেবে। গুঁড়ো করে ইয়াবা আর হেরোইনের মতো সেবন করছে মাদকসেবীরা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন কোম্পানির এসব ওষুধ দেদার বিক্রি হচ্ছে দোকানে।
বিভিন্ন নামের এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা হলেও মাদকাসক্তরা ওষুধের দোকান থেকে তা ১১০ থেকে ২০০ টাকায় পর্যন্ত ক্রয় করছে। এসব ওষুধ বিক্রির সময় ফার্মেসির রসিদ রাখার নিয়ম থাকলেও মানছে না কোনো ফার্মেসি।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিনা প্রেসক্রিপশনে এসব ওষুধ বিক্রি না করতে নিষেধ করেন। তার পরও বিক্রি থেমে নেই। উপজেলাজুড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে এসব ট্যাবলেট। অনেক জায়গায় ফোন করলে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে, যার অধিকাংশ ক্রেতা তরুণ ও শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় এসব ওষুধ এখন গরিবের ইয়াবা। ইয়াবার দাম বেশি এবং দুষ্প্রাপ্য হলেও এসব ট্যাবলেট ফার্মেসিতে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু জায়গায় বাইকে করে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে। মাদকের মতো নিষিদ্ধ দ্রব্য না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তেমন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। তাতে তরুণ শ্রেণি ধীরে ধীরে নেশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
নেশা হিসেবে ওষুধ দ্রব্যের আশঙ্কাজনক বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। এসব ট্যাবলেট সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো ওষুধই শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত অতিরিক্ত এসব ট্যাবলেট সেবনকারীর মস্তিষ্ক বিকৃতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায়। আমরা ইদানীং এ ধরনের কিছু রোগীও পেয়েছি, যারা নেশাগ্রস্ত বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মাখনুন তাবাসসুম বলেন, ‘ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যা মেটানোর এ ধরনের ওষুধ এখন মাদকের আওতায় পড়েছে। এ জন্য আমরা বিক্রি বন্ধে ফার্মেসি মালিকদের লিখিত নির্দেশনাও দিয়েছি। তার পরও যদি তারা এগুলো বিক্রি করে, তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী সার্কেল (খ)-এর পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি নেশাজাতীয় কিছু ওষুধের অপব্যবহার মাদকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আইনের নির্দিষ্ট কোনো ধারা না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরও আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপর রয়েছি।’

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
২৩ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
৩২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।
গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।
গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এ সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাইপথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কাড়াকাড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ
০৫ নভেম্বর ২০২১
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
৩২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।
শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’
বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’
স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।
শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’
বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’
স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এ সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাইপথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কাড়াকাড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ
০৫ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
২৩ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এ সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাইপথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কাড়াকাড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ
০৫ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
২৩ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
৩২ মিনিট আগে
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এ সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাইপথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কাড়াকাড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ
০৫ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
২৩ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
৩২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে