নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

‘আর মাইরেন না স্যার। ভাই, মাফ চাই। মাফ চাই ভাই। ম্যালা মাইর্যাছেন ভাই। আমাকে একটু পানি খেতে দেন। আমি মরে যাব। আমাকে মারার কথা আম্মাকে বইলেন না।’ মারের চোটে বারবার এ কথা বলছিলেন সুমন পারভেজ রিপন (২৮) নামের এক যুবক। এ সময় তাঁর কাছে স্বীকারোক্তি আদায় করা হলো যে রিপন ভুলই করেছেন। মারধরের ঘটনায় কোথাও অভিযোগ করবেন না, এমন স্বীকারোক্তিও নেওয়া হলো তাঁর।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীর ছেলেকে দরজা বন্ধ করে এভাবেই বেধড়ক পিটিয়েছেন একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রিপনের বাড়ি রাজশাহী নগরীর বোসপাড়া মহল্লায়।
রিপনের মা পিয়ারা বেগম (৬০) গত শুক্রবার থেকে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুই দফায় মারধরের সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে রিপন বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কাছে তাঁর মায়ের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে যান। এই রিপোর্ট দেখার সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। পরে রিপন সেখান থেকে চলে গেলে কৌশলে ডেকে এক দফা মারধর করা হয়। এরপর একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক এলে রিপন তাঁকে ঘটনার বিষয়ে জানাতে যান। তখন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের সামনেই দ্বিতীয় দফায় রিপনকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে নিয়ে যান। রিপনের বক্তব্য শোনার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দফায় মারধরের ঘটনার ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুক্তভোগী রিপন বলছেন, তাঁকে ডেকে এনে মারধর করা হয়েছে। তখন একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক রিপনকে শাসিয়ে বলেন, ‘কেন মারল সেই কথা বল।’ এ সময় একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক রিপনের টুপি খোলার নির্দেশ দেন এবং চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। তখন রিপন বলতে থাকেন, ‘ভাই, মাইরেন না আর।’ ‘ও মা’ ‘ও মা’ বলে চিৎকার করতে থাকেন তিনি।
একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘মারতে মারতে তোকে শেষ করে দিব। চিনিস তুই আমাদেরকে? চোখ-কান ফাটাবি তুই?’ রিপন বলতে থাকেন, ‘মাফ চাই ভাই, আর মাইরেন না ভাই।’ তখন একজন ইন্টার্ন বলেন, ‘এই ওর চুলডা খোলেন। ন্যাড়া করে দিই।’ তখন রিপন বলেন, ‘স্যার, আমাকে বাহির করে দেন স্যার।’
তখন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘এই তুই বের হবি কেন? তুই না ডাক্তার দেখবি? দ্যাখ।’ রিপন বলতে থাকেন, ‘আমার আম্মু মইরে যাবে স্যার। এ রকম করিয়েন না।’ ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘তোর মা মরবে কি না, সেটা আমরা দেখব।’
এরপর আবার মারধর শুরু হয়। এ সময় একজন চিকিৎসক ‘থাক-থাক’ বলে থামানোর চেষ্টা করলেও মারধর চলতে থাকে। একজন বলে ওঠেন, ‘এই, তুই হাত দিতে চাইছিলি না? হাত কাইটা রাইখা দিই?’ রিপন বলেন, ‘আমি মারিনি কাউকে।’ তখন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘এই তুই মারার চেয়ে বড় কিছু করেছিস।’
মারের চোটে একপর্যায়ে রিপন বলে ওঠেন, ‘আমি মরে যাব স্যার, একটু পানি দেন পানি।’ এ সময় জ্যেষ্ঠ চিকিৎসককে ডেকে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘স্যার, আপনার পা দেন তো, এই তুই মাফ চা।’
রিপন আবার হাঁপাতে হাঁপাতে বলতে থাকেন, ‘স্যার, একটু পানি দিবেন প্লিজ। ও আমার মাথা ঘুরছে।’ এ সময় একজন নার্স এসে পানি দেন।
তখন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘মুখ ধো, পানি খাবি না।’ তখন আরেকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘আমাকে বলেছে জুম্মায় জুম্মায় আট দিন বয়স হয়েছে। ওর চোখ, কান, মুখ আমি ফাটিয়ে দেব।’ তখন রিপন এ কথার প্রতিবাদ করে বলেন, ‘আমি এই কথা আপনাকে বলিনি স্যার।’
‘তুই আবার কথা বলিস? কাকে বলেছিস বল।’ জানতে চান ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ সময় রিপন বলেন, ‘আমি কাউকে বলব না। আমাকে বের করে দেন স্যার।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক তখন বলেন, ‘আমরা ভয় পাই নাকি তোকে? কাকে বলবি বল।’ রিপন বলেন, ‘আপনারা আমাকে ছেড়ে দেন। আমার আম্মা জানলে অসুস্থ হয়ে যাবে। আমার আম্মাকে বইলেন না প্লিজ। আমার আম্মাকে নিয়ে খুব টেনশনে আছি স্যার। আমাকে যে মেরেছেন, আমার আম্মাকে বইলেন না।’
একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘তোমার আম্মাকে বলব না। কিন্তু তোমার ব্যবস্থা করতে হবে।’ রিপন বলেন, ‘ব্যবস্থা তো করলেন স্যার।’ ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘করলাম তো। এখন ডিরেক্টর স্যারের কাছে নিয়ে যাব।’
রিপন বলেন, ‘নিয়ে চলেন। কিন্তু আম্মাকে বুঝতে দিয়েন না স্যার।’ এ পর্যায়ে রিপনকে ‘পানি খাও’ বলে পানি খেতে দেওয়া হয়।
তখনো মারধর শুরু হলে রিপন আবার বলতে থাকেন, ‘আর মাইরেন না স্যার। হাতজোড় করছি স্যার। অনেক মেরেছেন।’ এ সময় রিপনের নাম-ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। এ সময় রিপনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এটা নিয়ে কখনোই কোনো কথা বলব না। কোনো অভিযোগ করব না।’
পরে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গিয়ে রিপনকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে রিপন তাঁর সারা শরীরে মারধরের দগদগে চিহ্ন দেখান।
এদিকে রিপনকে হাসপাতালে এমন নির্মমভাবে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
রামেক হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে নানা সময় কর্মসূচি পালন করা সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘হাসপাতালে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিছু সামনে আসে, বেশির ভাগই আসে না। হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার প্রতিবাদ করায় তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনাও ঘটেছে। নতুন এই ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন, আমরা অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার চাই। তা না হলে রাজশাহীর মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা মাঠে নামব।’
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে শেখার জন্য পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি করার তাঁদের লাইসেন্সও আছে। এমন ঘটনা তাঁরা ঘটালে লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। যদিও আসলে কী ঘটেছে, তা আমি জানি না।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহমদ বলেন, ‘এই ছেলে ডাক্তারদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিল। ডাক্তাররা তার বিরুদ্ধে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। ছেলেটাকেও আমার কাছে আনা হয়েছিল। মৌখিকভাবে সে জানিয়েছে যে তাকেও ইন্টার্নরা মারধর করেছেন। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। এ পর্যন্ত সেটা পাইনি।’
পরিচালক জানান, রিপন লিখিত অভিযোগ না দিলেও তিনি একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে দেবেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সঙ্গে যে সুপারিশ আসবে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন।
হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রিপন এই মারধরের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। এটা হাসপাতালের ব্যাপার। তারপরেও কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।’

‘আর মাইরেন না স্যার। ভাই, মাফ চাই। মাফ চাই ভাই। ম্যালা মাইর্যাছেন ভাই। আমাকে একটু পানি খেতে দেন। আমি মরে যাব। আমাকে মারার কথা আম্মাকে বইলেন না।’ মারের চোটে বারবার এ কথা বলছিলেন সুমন পারভেজ রিপন (২৮) নামের এক যুবক। এ সময় তাঁর কাছে স্বীকারোক্তি আদায় করা হলো যে রিপন ভুলই করেছেন। মারধরের ঘটনায় কোথাও অভিযোগ করবেন না, এমন স্বীকারোক্তিও নেওয়া হলো তাঁর।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীর ছেলেকে দরজা বন্ধ করে এভাবেই বেধড়ক পিটিয়েছেন একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রিপনের বাড়ি রাজশাহী নগরীর বোসপাড়া মহল্লায়।
রিপনের মা পিয়ারা বেগম (৬০) গত শুক্রবার থেকে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুই দফায় মারধরের সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে রিপন বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কাছে তাঁর মায়ের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে যান। এই রিপোর্ট দেখার সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। পরে রিপন সেখান থেকে চলে গেলে কৌশলে ডেকে এক দফা মারধর করা হয়। এরপর একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক এলে রিপন তাঁকে ঘটনার বিষয়ে জানাতে যান। তখন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের সামনেই দ্বিতীয় দফায় রিপনকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে নিয়ে যান। রিপনের বক্তব্য শোনার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দফায় মারধরের ঘটনার ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুক্তভোগী রিপন বলছেন, তাঁকে ডেকে এনে মারধর করা হয়েছে। তখন একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক রিপনকে শাসিয়ে বলেন, ‘কেন মারল সেই কথা বল।’ এ সময় একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক রিপনের টুপি খোলার নির্দেশ দেন এবং চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। তখন রিপন বলতে থাকেন, ‘ভাই, মাইরেন না আর।’ ‘ও মা’ ‘ও মা’ বলে চিৎকার করতে থাকেন তিনি।
একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘মারতে মারতে তোকে শেষ করে দিব। চিনিস তুই আমাদেরকে? চোখ-কান ফাটাবি তুই?’ রিপন বলতে থাকেন, ‘মাফ চাই ভাই, আর মাইরেন না ভাই।’ তখন একজন ইন্টার্ন বলেন, ‘এই ওর চুলডা খোলেন। ন্যাড়া করে দিই।’ তখন রিপন বলেন, ‘স্যার, আমাকে বাহির করে দেন স্যার।’
তখন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘এই তুই বের হবি কেন? তুই না ডাক্তার দেখবি? দ্যাখ।’ রিপন বলতে থাকেন, ‘আমার আম্মু মইরে যাবে স্যার। এ রকম করিয়েন না।’ ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘তোর মা মরবে কি না, সেটা আমরা দেখব।’
এরপর আবার মারধর শুরু হয়। এ সময় একজন চিকিৎসক ‘থাক-থাক’ বলে থামানোর চেষ্টা করলেও মারধর চলতে থাকে। একজন বলে ওঠেন, ‘এই, তুই হাত দিতে চাইছিলি না? হাত কাইটা রাইখা দিই?’ রিপন বলেন, ‘আমি মারিনি কাউকে।’ তখন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘এই তুই মারার চেয়ে বড় কিছু করেছিস।’
মারের চোটে একপর্যায়ে রিপন বলে ওঠেন, ‘আমি মরে যাব স্যার, একটু পানি দেন পানি।’ এ সময় জ্যেষ্ঠ চিকিৎসককে ডেকে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘স্যার, আপনার পা দেন তো, এই তুই মাফ চা।’
রিপন আবার হাঁপাতে হাঁপাতে বলতে থাকেন, ‘স্যার, একটু পানি দিবেন প্লিজ। ও আমার মাথা ঘুরছে।’ এ সময় একজন নার্স এসে পানি দেন।
তখন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘মুখ ধো, পানি খাবি না।’ তখন আরেকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘আমাকে বলেছে জুম্মায় জুম্মায় আট দিন বয়স হয়েছে। ওর চোখ, কান, মুখ আমি ফাটিয়ে দেব।’ তখন রিপন এ কথার প্রতিবাদ করে বলেন, ‘আমি এই কথা আপনাকে বলিনি স্যার।’
‘তুই আবার কথা বলিস? কাকে বলেছিস বল।’ জানতে চান ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ সময় রিপন বলেন, ‘আমি কাউকে বলব না। আমাকে বের করে দেন স্যার।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক তখন বলেন, ‘আমরা ভয় পাই নাকি তোকে? কাকে বলবি বল।’ রিপন বলেন, ‘আপনারা আমাকে ছেড়ে দেন। আমার আম্মা জানলে অসুস্থ হয়ে যাবে। আমার আম্মাকে বইলেন না প্লিজ। আমার আম্মাকে নিয়ে খুব টেনশনে আছি স্যার। আমাকে যে মেরেছেন, আমার আম্মাকে বইলেন না।’
একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘তোমার আম্মাকে বলব না। কিন্তু তোমার ব্যবস্থা করতে হবে।’ রিপন বলেন, ‘ব্যবস্থা তো করলেন স্যার।’ ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘করলাম তো। এখন ডিরেক্টর স্যারের কাছে নিয়ে যাব।’
রিপন বলেন, ‘নিয়ে চলেন। কিন্তু আম্মাকে বুঝতে দিয়েন না স্যার।’ এ পর্যায়ে রিপনকে ‘পানি খাও’ বলে পানি খেতে দেওয়া হয়।
তখনো মারধর শুরু হলে রিপন আবার বলতে থাকেন, ‘আর মাইরেন না স্যার। হাতজোড় করছি স্যার। অনেক মেরেছেন।’ এ সময় রিপনের নাম-ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। এ সময় রিপনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এটা নিয়ে কখনোই কোনো কথা বলব না। কোনো অভিযোগ করব না।’
পরে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গিয়ে রিপনকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে রিপন তাঁর সারা শরীরে মারধরের দগদগে চিহ্ন দেখান।
এদিকে রিপনকে হাসপাতালে এমন নির্মমভাবে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
রামেক হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে নানা সময় কর্মসূচি পালন করা সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘হাসপাতালে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিছু সামনে আসে, বেশির ভাগই আসে না। হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার প্রতিবাদ করায় তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনাও ঘটেছে। নতুন এই ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন, আমরা অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার চাই। তা না হলে রাজশাহীর মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা মাঠে নামব।’
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে শেখার জন্য পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি করার তাঁদের লাইসেন্সও আছে। এমন ঘটনা তাঁরা ঘটালে লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। যদিও আসলে কী ঘটেছে, তা আমি জানি না।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহমদ বলেন, ‘এই ছেলে ডাক্তারদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিল। ডাক্তাররা তার বিরুদ্ধে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। ছেলেটাকেও আমার কাছে আনা হয়েছিল। মৌখিকভাবে সে জানিয়েছে যে তাকেও ইন্টার্নরা মারধর করেছেন। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। এ পর্যন্ত সেটা পাইনি।’
পরিচালক জানান, রিপন লিখিত অভিযোগ না দিলেও তিনি একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে দেবেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সঙ্গে যে সুপারিশ আসবে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন।
হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রিপন এই মারধরের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। এটা হাসপাতালের ব্যাপার। তারপরেও কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।’

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
২৩ মিনিট আগে
আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ওই তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
নিহত রাশেদার বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। রাশেদা মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। কিছুদিন আগে খালেদা ঢাকায় মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্পে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন এবং মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাঁর দেখাদেখি ছোট বোন রাশেদাও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর চলতি মাসের ৭ তারিখে মিরপুরে একই বাসায় এসে ওঠেন। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
খালেদা আরও জানান, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যাননি। সারা দিন বাসাতেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে নিজ গ্রামের পাশের বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে মিরপুরের ওই বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে বসে দুজন তুমুল ঝগড়াও করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনই সেখান থেকে চলে যান। এরপর আর কোনো খবর মিলছিল না রাশেদার। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে।
রাশেদার দুলাভাই মামুন বলেন, মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকে একজন রাশেদার বড় বোন খালেদাকে ফোন করে জানায়, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে। নয়নের বাড়ির সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাশেদার লাশ ঢাকা মেডিকেল রয়েছে।
এই খবরের ভিত্তিতে বোন ও দুলাভাই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে রাশেদার মরদেহ শনাক্ত করেন।
বোন খালেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নয়ন আমার বোনকে ডিস্টার্ব করত। ওর জন্য আমার বোন পড়তেও পারত না। ওই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মরদেহ মেডিকেলে রেখে পালিয়েছে সে। নয়নের কঠিন বিচার চাই আমরা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে, তাদেরও বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, ওই তরুণীর স্বজনেরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত বলা যাবে।

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ওই তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
নিহত রাশেদার বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। রাশেদা মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। কিছুদিন আগে খালেদা ঢাকায় মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্পে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন এবং মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাঁর দেখাদেখি ছোট বোন রাশেদাও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর চলতি মাসের ৭ তারিখে মিরপুরে একই বাসায় এসে ওঠেন। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
খালেদা আরও জানান, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যাননি। সারা দিন বাসাতেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে নিজ গ্রামের পাশের বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে মিরপুরের ওই বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে বসে দুজন তুমুল ঝগড়াও করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনই সেখান থেকে চলে যান। এরপর আর কোনো খবর মিলছিল না রাশেদার। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে।
রাশেদার দুলাভাই মামুন বলেন, মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকে একজন রাশেদার বড় বোন খালেদাকে ফোন করে জানায়, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে। নয়নের বাড়ির সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাশেদার লাশ ঢাকা মেডিকেল রয়েছে।
এই খবরের ভিত্তিতে বোন ও দুলাভাই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে রাশেদার মরদেহ শনাক্ত করেন।
বোন খালেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নয়ন আমার বোনকে ডিস্টার্ব করত। ওর জন্য আমার বোন পড়তেও পারত না। ওই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মরদেহ মেডিকেলে রেখে পালিয়েছে সে। নয়নের কঠিন বিচার চাই আমরা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে, তাদেরও বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, ওই তরুণীর স্বজনেরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত বলা যাবে।

আর মাইরেন না স্যার, ভাই মাফ চাই। মাফ চাই ভাই। ম্যালা মাইর্যাছেন ভাই। আমাকে একটু পানি খেতে দেন। আমি মরে যাব। আমাকে মারার কথা আম্মাকে বইলেন না।’ মারের চোটে বারবার এ কথা বলছিলেন...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘কোনো ধরনের তালিবালি নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন না।’
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন করায় সাবেক কয়েকজন সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) মবের শিকার হয়েছেন। আমরা চাই না ভবিষ্যতে কোনো সিইসি মবের আওতায় চলে আসুক।’
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, ‘শক্তিশালী দল দাবি করা একটি দলের কর্মীরা বরিশালের নির্বাচনী মাঠে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছে।’
জামায়াতসহ আট দলের সঙ্গে সমঝোতার নির্বাচনে ফয়জুল বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) ও বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বরিশাল-৫ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাপ-দাদার জন্মভূমি। এ আসনটি অন্য কোনো দল দাবি করা ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ। আমরা তো জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের আসনটি গিয়ে দাবি করব না। তাদেরও উচিত না আমাদের আসনটি দাবি করা।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাইস, নির্বাহী সদস্য মো. হালিম, শ্রমিক আন্দোলনের মহানগর সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. সানাউল্লাহ প্রমুখ।

আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘কোনো ধরনের তালিবালি নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন না।’
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন করায় সাবেক কয়েকজন সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) মবের শিকার হয়েছেন। আমরা চাই না ভবিষ্যতে কোনো সিইসি মবের আওতায় চলে আসুক।’
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, ‘শক্তিশালী দল দাবি করা একটি দলের কর্মীরা বরিশালের নির্বাচনী মাঠে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছে।’
জামায়াতসহ আট দলের সঙ্গে সমঝোতার নির্বাচনে ফয়জুল বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) ও বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বরিশাল-৫ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাপ-দাদার জন্মভূমি। এ আসনটি অন্য কোনো দল দাবি করা ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ। আমরা তো জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের আসনটি গিয়ে দাবি করব না। তাদেরও উচিত না আমাদের আসনটি দাবি করা।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাইস, নির্বাহী সদস্য মো. হালিম, শ্রমিক আন্দোলনের মহানগর সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. সানাউল্লাহ প্রমুখ।

আর মাইরেন না স্যার, ভাই মাফ চাই। মাফ চাই ভাই। ম্যালা মাইর্যাছেন ভাই। আমাকে একটু পানি খেতে দেন। আমি মরে যাব। আমাকে মারার কথা আম্মাকে বইলেন না।’ মারের চোটে বারবার এ কথা বলছিলেন...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
২৩ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে দেশের সব কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একযোগে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে ঈশ্বরদীর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শহরের আলহাজ্ব মোড়ে পূর্বঘোষিত অবরোধ ও বিক্ষোভ-মিছিল শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে ঈশ্বরদী-পাবনা ও ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ বাঁশ ও লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, ‘দাবি জানানোর জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় বসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কাউকে আঘাত করিনি। তবে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাউকে আঘাত করা হয়নি।’
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়নি। তবে সড়ক অবরোধের কারণে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে দেশের সব কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একযোগে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে ঈশ্বরদীর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শহরের আলহাজ্ব মোড়ে পূর্বঘোষিত অবরোধ ও বিক্ষোভ-মিছিল শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে ঈশ্বরদী-পাবনা ও ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ বাঁশ ও লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, ‘দাবি জানানোর জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় বসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কাউকে আঘাত করিনি। তবে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাউকে আঘাত করা হয়নি।’
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়নি। তবে সড়ক অবরোধের কারণে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।

আর মাইরেন না স্যার, ভাই মাফ চাই। মাফ চাই ভাই। ম্যালা মাইর্যাছেন ভাই। আমাকে একটু পানি খেতে দেন। আমি মরে যাব। আমাকে মারার কথা আম্মাকে বইলেন না।’ মারের চোটে বারবার এ কথা বলছিলেন...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
২৩ মিনিট আগে
আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সোহাগ খান ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর মহল্লার আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। এলাকায় তিনি ‘ত্রাস সোহাগ’ হিসেবে পরিচিত।
পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, গত ১০ অক্টোবর ঝিকরগাছার কাউরিয়া এলাকায় সোহাগের হাঁসের খামারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে পুলিশ। সোহাগ তখন পালিয়ে যান। ওই খামার থেকে চায়নিজ কুড়াল, খেলনা পিস্তল, লোহার শাবল, ওয়াকিটকি, ওজন মাপার ডিজিটাল যন্ত্র, করাত, জ্যাকেটসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তখন থেকে পুলিশ সোহাগের খোঁজ করতে থাকে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ বিকেলে সোহাগ খানকে প্যারিস রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সোহাগ খান ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর মহল্লার আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। এলাকায় তিনি ‘ত্রাস সোহাগ’ হিসেবে পরিচিত।
পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, গত ১০ অক্টোবর ঝিকরগাছার কাউরিয়া এলাকায় সোহাগের হাঁসের খামারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে পুলিশ। সোহাগ তখন পালিয়ে যান। ওই খামার থেকে চায়নিজ কুড়াল, খেলনা পিস্তল, লোহার শাবল, ওয়াকিটকি, ওজন মাপার ডিজিটাল যন্ত্র, করাত, জ্যাকেটসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তখন থেকে পুলিশ সোহাগের খোঁজ করতে থাকে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ বিকেলে সোহাগ খানকে প্যারিস রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আর মাইরেন না স্যার, ভাই মাফ চাই। মাফ চাই ভাই। ম্যালা মাইর্যাছেন ভাই। আমাকে একটু পানি খেতে দেন। আমি মরে যাব। আমাকে মারার কথা আম্মাকে বইলেন না।’ মারের চোটে বারবার এ কথা বলছিলেন...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
২৩ মিনিট আগে
আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে