Ajker Patrika

ভাঙা কার্যালয়ের জমির মালিকানা দাবি ব্যক্তির

  • কার্যালয়টির স্থানে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
  • গতকাল ওই জমিতে সাইনবোর্ড টানানো হয়।
বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১: ১১
বগুড়ার সাতমাথায় জাসদ কার্যালয়ের জমির মালিকানা দাবি করে গতকাল সাইনবোর্ড টানানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ার সাতমাথায় জাসদ কার্যালয়ের জমির মালিকানা দাবি করে গতকাল সাইনবোর্ড টানানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় গুঁড়িয়ে দেওয়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) জেলা কার্যালয়ের জমি ব্যক্তিমালিকানাধীন বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে কার্যালয়টির স্থানে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।

গতকাল শনিবার দুপুরে কয়েক ব্যক্তি ভেঙে ফেলা জাসদ কার্যালয়ের জায়গাটিকে নিজেদের দাবি করে তার ধ্বংসাবশেষের ওপর একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। একই দিন সন্ধ্যার আগে সেখানে ‘জুলাই ২০২৪ স্মৃতিকরণ মসজিদের জন্য নির্ধারিত স্থান, বাস্তবায়নে: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা’ লেখা দুটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ডা. আব্দুল্লাহ সানি নামের একজন সেখানে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদের নামে ‘শহীদ আবু সাঈদ জামে মসজিদ’ এখানে স্থাপন করা হবে। এ সময় একই সংগঠনের অন্য কয়েকজন পাশে ভেঙে ফেলা আওয়ামী লীগের অফিসকে টয়লেট হিসেবে ব্যবহারের কথাও জানান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল যুবক শহরের সাতমাথায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, পাশের আওয়ামী লীগের এক নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়, টাউন ক্লাব এবং জেলা জাসদ কার্যালয় ভেঙে ফেলে। একই সময় তারা শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে জাতীয় পার্টির অফিসও ভেঙে ফেলে।

মালিকানা দাবি করা ব্যানারে উজ্জল নামের একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উজ্জলের বড় ভাই মিজানুর রহমান এবং মোখলেছুর রহমান দাবি করেন, তাঁদের দাদা কোরবান আলী ১৯৫২ সালে এই সম্পত্তি কিনেছিলেন। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগপর্যন্ত তাঁর দখলেই ছিল। দেশ স্বাধীনের পর জায়গাটি বেদখল হয় এবং পরবর্তী সময়ে জাসদের দলীয় কার্যালয় হিসেবে সেটি ব্যবহার করা হয়। তাঁরা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের কারণে এত দিন আমরা জায়গাটির দখল পাচ্ছিলাম না। এখন ভেঙে ফেলায় দখল নিতে এসেছি।’

বগুড়া জেলা জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওই সম্পত্তি ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তির নামে। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার সময় তাঁরা ভারতে চলে যান। পরে সরকার জায়গাটির কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। তবে ১৯৭৩ সাল থেকে আমরা সেখানে আছি এবং লিজের জন্য আবেদন করি। আবেদন করার পর মালিকানা দাবি করে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপ মামলা করলে আবেদনটি ঝুলে থাকে।’

বগুড়া জেলা জাসদের সদস্য অ্যাডভেকেট আব্দুল লতিফ পশারী ববি বলেন, যাঁরা মালিকানা দাবি করছেন তাঁদের মামলা ১৯৯৪ সালে সিভিল কোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন। এরপর মোটর মালিক গ্রুপের মামলাও খারিজ হয়ে যায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২০০৯ সালে এই জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

জাসদ কার্যালয়ে মসজিদ স্থাপনের বিষয়ে ডা. আব্দুল্লাহ সানি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের সর্বাধিনায়ক শহীদ আবু সাঈদের বাবা বলেছিলেন, তোমরা আমার সন্তানের জন্য কোনো মূর্তি বানাবে না। তোমরা পারলে আমার ছেলের নামে মসজিদ করবে। সে জন্য আমরা এখানে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।’

বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘থানা-পুলিশের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি। সেখানে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়েছিল। নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএমএমইউতে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে যা বললেন প্রাণ গোপালের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা

বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব: গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী

একই মাঠে সকালে শ্রীলঙ্কাকে, বিকেলে পাকিস্তানকে হারাল নিউজিল্যান্ড

স্বাধীনতা দিবসে এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না

থমথমে খামারবাড়ি: সড়ক অবরোধ করে চলছে অবস্থান কর্মসূচি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত