নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর একটিতে নৌকা ডুবে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচির আঘাতে। গতকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণার পর ভোটের এই ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কোন প্রার্থী জিতলেন, আবার কে কেন জিততে পারলেন না—তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এতে উঠে আসছে নানা কার্য-কারণ।
আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীর পাঁচ আসনেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা জিতেছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। আর রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকাডুবি হয়েছে নৌকার ভোট না পাওয়ার কারণে। নৌকার ভোট না পেয়ে এখানে পরাজিত হয়েছেন শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে লড়াই ভালোই জমিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী। এখানে ওমর ফারুক ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়েছেন। আর রাব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ৯ হাজার ৯টি আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া ২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়েছেন। মাহি ও ডালিয়া যে ভোট পেয়েছেন তা রাব্বানীর কাঁচি প্রতীকে পড়লে তিনি অনায়াসেই জয়ী হয়ে যেতেন।
এই এলাকার লোকজন বলছেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা–কর্মীর অনেক ক্ষোভ আছে। ডালিয়া, রাব্বানী আর মাহি ফারুকবিরোধী ভোটই পেয়েছেন। তাদের তিনজনের ভোট ফারুকের একা পাওয়া ভোটের বেশি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কম থাকলে ফারুক চৌধুরী নির্বাচিত না হয়ে অন্য কেউ হতে পারতেন। গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষ শুধু নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেন বলে ফারুক চৌধুরী এবারও নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে জোটের প্রার্থী হয়েও নৌকা ডুবিয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মনে করছেন, পর পর তিনবার ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীকে এমপি হলেও এ দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি। উল্টো সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক শীর্ষ নেতা আর তাঁর পরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলেছেন। বাদশার এই মুখের কথাই তাঁর ভরাডুবি ঘটিয়েছে। কেননা, বেফাঁস মন্তব্যের কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবার বাদশাকে সমর্থন দেয়নি। তাঁরা ভোট দিয়েছে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে এবং বড় ব্যবধানে তিনিই নির্বাচিত হয়েছেন।
মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু অবশ্য মনে করেন না মুখের কথার কারণে তাঁদের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার ভরাডুবি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওই সব কথাবার্তার পরে তো আমরা এক হয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনে একসঙ্গে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে জিতিয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমরা সিটি করপোরেশনের সাপোর্ট পাইনি। সিটি করপোরেশনের প্রায় সকল কাউন্সিলর এবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। আমাদের পরাজয়ের এটিই কারণ। অন্য কোনো কারণ আপাতত দেখতে পাচ্ছি না।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি ছাড়া এ আসনের অন্য ৫ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এখানে বিএনএমের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি প্রার্থী থাকলেও লড়াইয়ে আসতে পারেননি। মাত্র ৩ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়েছেন তিনি। অথচ মন্টু জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি থেকে এ আসনে নির্বাচন করার তার প্রস্তুতিও ছিল।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদও বড় ব্যবধানে জিতেছেন নৌকার সমর্থকদের ভোটে। এ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন নৌকা নিয়ে পর পর তিনবার এমপি হওয়া এনামুল হক। কিন্তু যারা প্রতীক দেখে ভোট দেন, তাদের ভোট না পাওয়ার কারণে এনামুল কুলিয়ে উঠতে পারেননি। ভোটে তিনি মাত্র ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। এনামুলের পরাজয়ের অবশ্য আরেক কারণ তাঁর নারীঘটিত ব্যক্তিগত বিতর্ক। ভোটের প্রচারণার সময় আবুল কালাম আজাদ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলের ভেতরেই সমর্থন হারাতে শুরু করলেও শুধু তৃণমূলের নৌকা সমর্থকদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। একটি অংশ ছিল নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারার দিকে। অপর অংশ ছিল জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুর রহমানের পক্ষে। নির্বাচনে দারা ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়েছেন। আর ওবায়দুর পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট। মাত্র ৩ হাজার ৫১ ভোটে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী। স্থানীয়রা মনে করছেন, যারা শুধু নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেন, তাদের ভোট না পেলে দারাও পরাজিত হতেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে চতুর্থবারের মতো নৌকা নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোট। এখানে দলেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট। এখানেও ‘নৌকা মার্কা’ দেখে ভোট দেওয়া মানুষের ভোট না পেলে শাহরিয়ার আলমেরও জয় পাওয়া কষ্টকর হতো বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে এ আসনের পরাজিত প্রার্থী রাহেনুল হকের দাবি, শাহরিয়ার আলমের অগাধ টাকার কাছে তিনি হেরে গিয়েছেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সমর্থকদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিএনপি ভোট বর্জন করলেও দলটির সাধারণ সমর্থকেরা এসে নৌকা বাদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীকে যেন ভোট দেন সেই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক ভোটকেন্দ্রেই বিএনপির সমর্থকদের যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের দিন কয়েকটি কেন্দ্রে বিএনপির সমর্থকদের ঢুকতে বাধা দিতেও দেখা গেছে। এর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা কেন্দ্রের সামনে শক্ত অবস্থান রাখতে পারেননি। ফলে তাঁরা নৌকার সমর্থকদের ভোটের কাছে হেরে গিয়েছেন।
তবে ভোট নিয়ে কারচুপিরও অভিযোগ এসেছে সামনে। রাজশাহী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি এনামুল হক বলেছেন, ১২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০ টিতে তার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২০-২১ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোটারই ছিল না। ৪টার পর ঘোষণা দেওয়া হয় ৫০-৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটি অনেক বেশি সন্দেহের। ‘মেকি গেম’ করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়াও অভিযোগ তুলেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র দখলের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী ডালিয়া ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যা দেখেছেন এবং শুনেছেন তা দলের সম্মানার্থে বলবেন না।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেছেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ভোটকেন্দ্রে ‘গোলমাল’ হয়েছে। তা না হলে স্বতন্ত্ররা আরও বেশি ভোট পেতেন। কেউ কেউ জিতেও যেতেন। কিন্তু রাজশাহী-১, রাজশাহী-৪ ও রাজশাহী-৬ আসনে ‘গোলমাল’ হয়েছে। তারপরেও ভোট হয়েছে। যারা নৌকায় ভোট দেন, তাঁরা দিয়েছেন। প্রার্থীরা জিতেছেন।’
তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি রিটার্নিং কর্মকর্তা শামিম আহমেদের। ফল ঘোষণার সময় তিনি বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।’

রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর একটিতে নৌকা ডুবে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচির আঘাতে। গতকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণার পর ভোটের এই ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কোন প্রার্থী জিতলেন, আবার কে কেন জিততে পারলেন না—তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এতে উঠে আসছে নানা কার্য-কারণ।
আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীর পাঁচ আসনেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা জিতেছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। আর রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকাডুবি হয়েছে নৌকার ভোট না পাওয়ার কারণে। নৌকার ভোট না পেয়ে এখানে পরাজিত হয়েছেন শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে লড়াই ভালোই জমিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী। এখানে ওমর ফারুক ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়েছেন। আর রাব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ৯ হাজার ৯টি আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া ২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়েছেন। মাহি ও ডালিয়া যে ভোট পেয়েছেন তা রাব্বানীর কাঁচি প্রতীকে পড়লে তিনি অনায়াসেই জয়ী হয়ে যেতেন।
এই এলাকার লোকজন বলছেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা–কর্মীর অনেক ক্ষোভ আছে। ডালিয়া, রাব্বানী আর মাহি ফারুকবিরোধী ভোটই পেয়েছেন। তাদের তিনজনের ভোট ফারুকের একা পাওয়া ভোটের বেশি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কম থাকলে ফারুক চৌধুরী নির্বাচিত না হয়ে অন্য কেউ হতে পারতেন। গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষ শুধু নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেন বলে ফারুক চৌধুরী এবারও নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে জোটের প্রার্থী হয়েও নৌকা ডুবিয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মনে করছেন, পর পর তিনবার ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীকে এমপি হলেও এ দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি। উল্টো সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক শীর্ষ নেতা আর তাঁর পরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলেছেন। বাদশার এই মুখের কথাই তাঁর ভরাডুবি ঘটিয়েছে। কেননা, বেফাঁস মন্তব্যের কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবার বাদশাকে সমর্থন দেয়নি। তাঁরা ভোট দিয়েছে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে এবং বড় ব্যবধানে তিনিই নির্বাচিত হয়েছেন।
মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু অবশ্য মনে করেন না মুখের কথার কারণে তাঁদের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার ভরাডুবি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওই সব কথাবার্তার পরে তো আমরা এক হয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনে একসঙ্গে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে জিতিয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমরা সিটি করপোরেশনের সাপোর্ট পাইনি। সিটি করপোরেশনের প্রায় সকল কাউন্সিলর এবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। আমাদের পরাজয়ের এটিই কারণ। অন্য কোনো কারণ আপাতত দেখতে পাচ্ছি না।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি ছাড়া এ আসনের অন্য ৫ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এখানে বিএনএমের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি প্রার্থী থাকলেও লড়াইয়ে আসতে পারেননি। মাত্র ৩ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়েছেন তিনি। অথচ মন্টু জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি থেকে এ আসনে নির্বাচন করার তার প্রস্তুতিও ছিল।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদও বড় ব্যবধানে জিতেছেন নৌকার সমর্থকদের ভোটে। এ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন নৌকা নিয়ে পর পর তিনবার এমপি হওয়া এনামুল হক। কিন্তু যারা প্রতীক দেখে ভোট দেন, তাদের ভোট না পাওয়ার কারণে এনামুল কুলিয়ে উঠতে পারেননি। ভোটে তিনি মাত্র ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। এনামুলের পরাজয়ের অবশ্য আরেক কারণ তাঁর নারীঘটিত ব্যক্তিগত বিতর্ক। ভোটের প্রচারণার সময় আবুল কালাম আজাদ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলের ভেতরেই সমর্থন হারাতে শুরু করলেও শুধু তৃণমূলের নৌকা সমর্থকদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। একটি অংশ ছিল নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারার দিকে। অপর অংশ ছিল জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুর রহমানের পক্ষে। নির্বাচনে দারা ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়েছেন। আর ওবায়দুর পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট। মাত্র ৩ হাজার ৫১ ভোটে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী। স্থানীয়রা মনে করছেন, যারা শুধু নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেন, তাদের ভোট না পেলে দারাও পরাজিত হতেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে চতুর্থবারের মতো নৌকা নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোট। এখানে দলেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট। এখানেও ‘নৌকা মার্কা’ দেখে ভোট দেওয়া মানুষের ভোট না পেলে শাহরিয়ার আলমেরও জয় পাওয়া কষ্টকর হতো বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে এ আসনের পরাজিত প্রার্থী রাহেনুল হকের দাবি, শাহরিয়ার আলমের অগাধ টাকার কাছে তিনি হেরে গিয়েছেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সমর্থকদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিএনপি ভোট বর্জন করলেও দলটির সাধারণ সমর্থকেরা এসে নৌকা বাদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীকে যেন ভোট দেন সেই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক ভোটকেন্দ্রেই বিএনপির সমর্থকদের যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের দিন কয়েকটি কেন্দ্রে বিএনপির সমর্থকদের ঢুকতে বাধা দিতেও দেখা গেছে। এর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা কেন্দ্রের সামনে শক্ত অবস্থান রাখতে পারেননি। ফলে তাঁরা নৌকার সমর্থকদের ভোটের কাছে হেরে গিয়েছেন।
তবে ভোট নিয়ে কারচুপিরও অভিযোগ এসেছে সামনে। রাজশাহী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি এনামুল হক বলেছেন, ১২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০ টিতে তার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২০-২১ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোটারই ছিল না। ৪টার পর ঘোষণা দেওয়া হয় ৫০-৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটি অনেক বেশি সন্দেহের। ‘মেকি গেম’ করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়াও অভিযোগ তুলেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র দখলের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী ডালিয়া ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যা দেখেছেন এবং শুনেছেন তা দলের সম্মানার্থে বলবেন না।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেছেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ভোটকেন্দ্রে ‘গোলমাল’ হয়েছে। তা না হলে স্বতন্ত্ররা আরও বেশি ভোট পেতেন। কেউ কেউ জিতেও যেতেন। কিন্তু রাজশাহী-১, রাজশাহী-৪ ও রাজশাহী-৬ আসনে ‘গোলমাল’ হয়েছে। তারপরেও ভোট হয়েছে। যারা নৌকায় ভোট দেন, তাঁরা দিয়েছেন। প্রার্থীরা জিতেছেন।’
তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি রিটার্নিং কর্মকর্তা শামিম আহমেদের। ফল ঘোষণার সময় তিনি বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর একটিতে নৌকা ডুবে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচির আঘাতে। গতকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণার পর ভোটের এই ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কোন প্রার্থী জিতলেন, আবার কে কেন জিততে পারলেন না—তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এতে উঠে আসছে নানা কার্য-কারণ।
আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীর পাঁচ আসনেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা জিতেছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। আর রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকাডুবি হয়েছে নৌকার ভোট না পাওয়ার কারণে। নৌকার ভোট না পেয়ে এখানে পরাজিত হয়েছেন শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে লড়াই ভালোই জমিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী। এখানে ওমর ফারুক ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়েছেন। আর রাব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ৯ হাজার ৯টি আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া ২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়েছেন। মাহি ও ডালিয়া যে ভোট পেয়েছেন তা রাব্বানীর কাঁচি প্রতীকে পড়লে তিনি অনায়াসেই জয়ী হয়ে যেতেন।
এই এলাকার লোকজন বলছেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা–কর্মীর অনেক ক্ষোভ আছে। ডালিয়া, রাব্বানী আর মাহি ফারুকবিরোধী ভোটই পেয়েছেন। তাদের তিনজনের ভোট ফারুকের একা পাওয়া ভোটের বেশি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কম থাকলে ফারুক চৌধুরী নির্বাচিত না হয়ে অন্য কেউ হতে পারতেন। গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষ শুধু নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেন বলে ফারুক চৌধুরী এবারও নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে জোটের প্রার্থী হয়েও নৌকা ডুবিয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মনে করছেন, পর পর তিনবার ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীকে এমপি হলেও এ দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি। উল্টো সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক শীর্ষ নেতা আর তাঁর পরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলেছেন। বাদশার এই মুখের কথাই তাঁর ভরাডুবি ঘটিয়েছে। কেননা, বেফাঁস মন্তব্যের কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবার বাদশাকে সমর্থন দেয়নি। তাঁরা ভোট দিয়েছে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে এবং বড় ব্যবধানে তিনিই নির্বাচিত হয়েছেন।
মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু অবশ্য মনে করেন না মুখের কথার কারণে তাঁদের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার ভরাডুবি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওই সব কথাবার্তার পরে তো আমরা এক হয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনে একসঙ্গে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে জিতিয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমরা সিটি করপোরেশনের সাপোর্ট পাইনি। সিটি করপোরেশনের প্রায় সকল কাউন্সিলর এবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। আমাদের পরাজয়ের এটিই কারণ। অন্য কোনো কারণ আপাতত দেখতে পাচ্ছি না।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি ছাড়া এ আসনের অন্য ৫ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এখানে বিএনএমের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি প্রার্থী থাকলেও লড়াইয়ে আসতে পারেননি। মাত্র ৩ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়েছেন তিনি। অথচ মন্টু জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি থেকে এ আসনে নির্বাচন করার তার প্রস্তুতিও ছিল।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদও বড় ব্যবধানে জিতেছেন নৌকার সমর্থকদের ভোটে। এ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন নৌকা নিয়ে পর পর তিনবার এমপি হওয়া এনামুল হক। কিন্তু যারা প্রতীক দেখে ভোট দেন, তাদের ভোট না পাওয়ার কারণে এনামুল কুলিয়ে উঠতে পারেননি। ভোটে তিনি মাত্র ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। এনামুলের পরাজয়ের অবশ্য আরেক কারণ তাঁর নারীঘটিত ব্যক্তিগত বিতর্ক। ভোটের প্রচারণার সময় আবুল কালাম আজাদ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলের ভেতরেই সমর্থন হারাতে শুরু করলেও শুধু তৃণমূলের নৌকা সমর্থকদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। একটি অংশ ছিল নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারার দিকে। অপর অংশ ছিল জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুর রহমানের পক্ষে। নির্বাচনে দারা ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়েছেন। আর ওবায়দুর পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট। মাত্র ৩ হাজার ৫১ ভোটে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী। স্থানীয়রা মনে করছেন, যারা শুধু নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেন, তাদের ভোট না পেলে দারাও পরাজিত হতেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে চতুর্থবারের মতো নৌকা নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোট। এখানে দলেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট। এখানেও ‘নৌকা মার্কা’ দেখে ভোট দেওয়া মানুষের ভোট না পেলে শাহরিয়ার আলমেরও জয় পাওয়া কষ্টকর হতো বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে এ আসনের পরাজিত প্রার্থী রাহেনুল হকের দাবি, শাহরিয়ার আলমের অগাধ টাকার কাছে তিনি হেরে গিয়েছেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সমর্থকদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিএনপি ভোট বর্জন করলেও দলটির সাধারণ সমর্থকেরা এসে নৌকা বাদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীকে যেন ভোট দেন সেই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক ভোটকেন্দ্রেই বিএনপির সমর্থকদের যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের দিন কয়েকটি কেন্দ্রে বিএনপির সমর্থকদের ঢুকতে বাধা দিতেও দেখা গেছে। এর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা কেন্দ্রের সামনে শক্ত অবস্থান রাখতে পারেননি। ফলে তাঁরা নৌকার সমর্থকদের ভোটের কাছে হেরে গিয়েছেন।
তবে ভোট নিয়ে কারচুপিরও অভিযোগ এসেছে সামনে। রাজশাহী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি এনামুল হক বলেছেন, ১২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০ টিতে তার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২০-২১ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোটারই ছিল না। ৪টার পর ঘোষণা দেওয়া হয় ৫০-৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটি অনেক বেশি সন্দেহের। ‘মেকি গেম’ করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়াও অভিযোগ তুলেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র দখলের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী ডালিয়া ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যা দেখেছেন এবং শুনেছেন তা দলের সম্মানার্থে বলবেন না।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেছেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ভোটকেন্দ্রে ‘গোলমাল’ হয়েছে। তা না হলে স্বতন্ত্ররা আরও বেশি ভোট পেতেন। কেউ কেউ জিতেও যেতেন। কিন্তু রাজশাহী-১, রাজশাহী-৪ ও রাজশাহী-৬ আসনে ‘গোলমাল’ হয়েছে। তারপরেও ভোট হয়েছে। যারা নৌকায় ভোট দেন, তাঁরা দিয়েছেন। প্রার্থীরা জিতেছেন।’
তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি রিটার্নিং কর্মকর্তা শামিম আহমেদের। ফল ঘোষণার সময় তিনি বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।’

রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর একটিতে নৌকা ডুবে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচির আঘাতে। গতকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণার পর ভোটের এই ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কোন প্রার্থী জিতলেন, আবার কে কেন জিততে পারলেন না—তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এতে উঠে আসছে নানা কার্য-কারণ।
আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীর পাঁচ আসনেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা জিতেছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। আর রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকাডুবি হয়েছে নৌকার ভোট না পাওয়ার কারণে। নৌকার ভোট না পেয়ে এখানে পরাজিত হয়েছেন শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে লড়াই ভালোই জমিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী। এখানে ওমর ফারুক ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়েছেন। আর রাব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ৯ হাজার ৯টি আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া ২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়েছেন। মাহি ও ডালিয়া যে ভোট পেয়েছেন তা রাব্বানীর কাঁচি প্রতীকে পড়লে তিনি অনায়াসেই জয়ী হয়ে যেতেন।
এই এলাকার লোকজন বলছেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা–কর্মীর অনেক ক্ষোভ আছে। ডালিয়া, রাব্বানী আর মাহি ফারুকবিরোধী ভোটই পেয়েছেন। তাদের তিনজনের ভোট ফারুকের একা পাওয়া ভোটের বেশি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কম থাকলে ফারুক চৌধুরী নির্বাচিত না হয়ে অন্য কেউ হতে পারতেন। গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষ শুধু নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেন বলে ফারুক চৌধুরী এবারও নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে জোটের প্রার্থী হয়েও নৌকা ডুবিয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মনে করছেন, পর পর তিনবার ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীকে এমপি হলেও এ দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি। উল্টো সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক শীর্ষ নেতা আর তাঁর পরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলেছেন। বাদশার এই মুখের কথাই তাঁর ভরাডুবি ঘটিয়েছে। কেননা, বেফাঁস মন্তব্যের কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবার বাদশাকে সমর্থন দেয়নি। তাঁরা ভোট দিয়েছে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে এবং বড় ব্যবধানে তিনিই নির্বাচিত হয়েছেন।
মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু অবশ্য মনে করেন না মুখের কথার কারণে তাঁদের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার ভরাডুবি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওই সব কথাবার্তার পরে তো আমরা এক হয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনে একসঙ্গে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে জিতিয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমরা সিটি করপোরেশনের সাপোর্ট পাইনি। সিটি করপোরেশনের প্রায় সকল কাউন্সিলর এবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। আমাদের পরাজয়ের এটিই কারণ। অন্য কোনো কারণ আপাতত দেখতে পাচ্ছি না।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি ছাড়া এ আসনের অন্য ৫ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এখানে বিএনএমের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি প্রার্থী থাকলেও লড়াইয়ে আসতে পারেননি। মাত্র ৩ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়েছেন তিনি। অথচ মন্টু জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি থেকে এ আসনে নির্বাচন করার তার প্রস্তুতিও ছিল।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদও বড় ব্যবধানে জিতেছেন নৌকার সমর্থকদের ভোটে। এ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন নৌকা নিয়ে পর পর তিনবার এমপি হওয়া এনামুল হক। কিন্তু যারা প্রতীক দেখে ভোট দেন, তাদের ভোট না পাওয়ার কারণে এনামুল কুলিয়ে উঠতে পারেননি। ভোটে তিনি মাত্র ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। এনামুলের পরাজয়ের অবশ্য আরেক কারণ তাঁর নারীঘটিত ব্যক্তিগত বিতর্ক। ভোটের প্রচারণার সময় আবুল কালাম আজাদ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলের ভেতরেই সমর্থন হারাতে শুরু করলেও শুধু তৃণমূলের নৌকা সমর্থকদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। একটি অংশ ছিল নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারার দিকে। অপর অংশ ছিল জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুর রহমানের পক্ষে। নির্বাচনে দারা ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়েছেন। আর ওবায়দুর পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট। মাত্র ৩ হাজার ৫১ ভোটে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী। স্থানীয়রা মনে করছেন, যারা শুধু নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেন, তাদের ভোট না পেলে দারাও পরাজিত হতেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে চতুর্থবারের মতো নৌকা নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোট। এখানে দলেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট। এখানেও ‘নৌকা মার্কা’ দেখে ভোট দেওয়া মানুষের ভোট না পেলে শাহরিয়ার আলমেরও জয় পাওয়া কষ্টকর হতো বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে এ আসনের পরাজিত প্রার্থী রাহেনুল হকের দাবি, শাহরিয়ার আলমের অগাধ টাকার কাছে তিনি হেরে গিয়েছেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সমর্থকদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিএনপি ভোট বর্জন করলেও দলটির সাধারণ সমর্থকেরা এসে নৌকা বাদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীকে যেন ভোট দেন সেই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক ভোটকেন্দ্রেই বিএনপির সমর্থকদের যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের দিন কয়েকটি কেন্দ্রে বিএনপির সমর্থকদের ঢুকতে বাধা দিতেও দেখা গেছে। এর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা কেন্দ্রের সামনে শক্ত অবস্থান রাখতে পারেননি। ফলে তাঁরা নৌকার সমর্থকদের ভোটের কাছে হেরে গিয়েছেন।
তবে ভোট নিয়ে কারচুপিরও অভিযোগ এসেছে সামনে। রাজশাহী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি এনামুল হক বলেছেন, ১২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০ টিতে তার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২০-২১ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোটারই ছিল না। ৪টার পর ঘোষণা দেওয়া হয় ৫০-৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটি অনেক বেশি সন্দেহের। ‘মেকি গেম’ করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়াও অভিযোগ তুলেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র দখলের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী ডালিয়া ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যা দেখেছেন এবং শুনেছেন তা দলের সম্মানার্থে বলবেন না।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেছেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ভোটকেন্দ্রে ‘গোলমাল’ হয়েছে। তা না হলে স্বতন্ত্ররা আরও বেশি ভোট পেতেন। কেউ কেউ জিতেও যেতেন। কিন্তু রাজশাহী-১, রাজশাহী-৪ ও রাজশাহী-৬ আসনে ‘গোলমাল’ হয়েছে। তারপরেও ভোট হয়েছে। যারা নৌকায় ভোট দেন, তাঁরা দিয়েছেন। প্রার্থীরা জিতেছেন।’
তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি রিটার্নিং কর্মকর্তা শামিম আহমেদের। ফল ঘোষণার সময় তিনি বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৪ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
২৭ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের ৫ টিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর একটিতে নৌকা ডুবে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচির আঘাতে। গতকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণার পর ভোটের এই ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কোন প্রার্থী জিতলেন, আবার কে কেন জিততে পারলেন না—তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এতে উঠে আসছ
০৮ জানুয়ারি ২০২৪
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
২৭ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের ৫ টিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর একটিতে নৌকা ডুবে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচির আঘাতে। গতকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণার পর ভোটের এই ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কোন প্রার্থী জিতলেন, আবার কে কেন জিততে পারলেন না—তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এতে উঠে আসছ
০৮ জানুয়ারি ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৪ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের ৫ টিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর একটিতে নৌকা ডুবে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচির আঘাতে। গতকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণার পর ভোটের এই ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কোন প্রার্থী জিতলেন, আবার কে কেন জিততে পারলেন না—তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এতে উঠে আসছ
০৮ জানুয়ারি ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৪ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
২৭ মিনিট আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের ৫ টিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর একটিতে নৌকা ডুবে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচির আঘাতে। গতকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণার পর ভোটের এই ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কোন প্রার্থী জিতলেন, আবার কে কেন জিততে পারলেন না—তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এতে উঠে আসছ
০৮ জানুয়ারি ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৪ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
২৭ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে