আসাদুজ্জামান রিপন, নরসিংদী

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে শুরুর দিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এখন প্রতিদিন ১৫-২০ জন উপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য পাশের শাহ ইরানি কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এখানে ভর্তি দেখানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে আসলে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থী এনে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। তবে শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষার্থী আছে দেড় শতাধিক।
গত রোববার গিয়ে দেখা গেছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে অফিস কক্ষের বারান্দায় বসে গল্প করছেন শিক্ষকেরা। এ সময় তৃতীয় শ্রেণিতে তিন; চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণিতে দুজন করে; সপ্তম শ্রেণিতে ছয় এবং নবম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়। অর্থাৎ পুরো মাদ্রাসায় মোট ১৮ জন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া ২০ শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৭ জন শিক্ষক।
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে তাড়াহুড়ো করে পাঠদানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গল্প করতে থাকা শিক্ষকেরা। অভিযোগ রয়েছে, পাঠদানে শিক্ষকদের গাফিলতিসহ মাঝেমধ্যেই বেলা ২টা-৩টায় ছুটি দেওয়া হয় মাদ্রাসাটি। যদিও বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকার কথা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পাশে বাড়ি থাকা এক শিক্ষার্থী জানায়, এই মাদ্রাসায় নিয়মিত ক্লাস হয় না। শিক্ষকেরা ক্লাস না করে বাইরে বসে থাকেন এবং বিকেল ৪টার আগেই ছুটি দেওয়া হয়। এ জন্য স্থানীয় অনেকে দূরের প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে।
মাদ্রাসার প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে জানান, মাদ্রাসার বর্তমান সুপার দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মরত থাকায় তাঁর ইশারাতেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সুপারসহ অন্য শিক্ষকেরা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ছুটিতে থাকেন। যাঁর কারণে পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
সুটরিয়া গ্রামের রাজু মিয়া বলেন, মাদ্রাসায় আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে খুবই কম। মাঝেমধ্যে দুপুরের পরপর ছুটি দেওয়া হয়।
তবে শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা প্রতিদিন উপস্থিত থাকেন। এখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দেড় শতাধিক।
মাদ্রাসাটিতে ১৫ বছর যাবৎ সুপার পদে দায়িত্বে রয়েছেন মো. সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলতে তিনি বাধ্য নন। প্রতিষ্ঠানের এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। একপর্যায়ে তিনি নিজেও একজন সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।
এ সময় সুপারের কক্ষে থাকা অন্য শিক্ষকেরা বলেন, সুপারের সঙ্গে সচিবালয়, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সখ্য রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘আমি পূর্বেও এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এখানে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এখানে যোগদান করেছি। তাই মাদ্রাসাটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত অবগত নই। শিগগিরই সরেজমিন মাদ্রাসা পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে শুরুর দিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এখন প্রতিদিন ১৫-২০ জন উপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য পাশের শাহ ইরানি কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এখানে ভর্তি দেখানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে আসলে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থী এনে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। তবে শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষার্থী আছে দেড় শতাধিক।
গত রোববার গিয়ে দেখা গেছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে অফিস কক্ষের বারান্দায় বসে গল্প করছেন শিক্ষকেরা। এ সময় তৃতীয় শ্রেণিতে তিন; চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণিতে দুজন করে; সপ্তম শ্রেণিতে ছয় এবং নবম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়। অর্থাৎ পুরো মাদ্রাসায় মোট ১৮ জন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া ২০ শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৭ জন শিক্ষক।
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে তাড়াহুড়ো করে পাঠদানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গল্প করতে থাকা শিক্ষকেরা। অভিযোগ রয়েছে, পাঠদানে শিক্ষকদের গাফিলতিসহ মাঝেমধ্যেই বেলা ২টা-৩টায় ছুটি দেওয়া হয় মাদ্রাসাটি। যদিও বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকার কথা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পাশে বাড়ি থাকা এক শিক্ষার্থী জানায়, এই মাদ্রাসায় নিয়মিত ক্লাস হয় না। শিক্ষকেরা ক্লাস না করে বাইরে বসে থাকেন এবং বিকেল ৪টার আগেই ছুটি দেওয়া হয়। এ জন্য স্থানীয় অনেকে দূরের প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে।
মাদ্রাসার প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে জানান, মাদ্রাসার বর্তমান সুপার দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মরত থাকায় তাঁর ইশারাতেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সুপারসহ অন্য শিক্ষকেরা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ছুটিতে থাকেন। যাঁর কারণে পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
সুটরিয়া গ্রামের রাজু মিয়া বলেন, মাদ্রাসায় আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে খুবই কম। মাঝেমধ্যে দুপুরের পরপর ছুটি দেওয়া হয়।
তবে শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা প্রতিদিন উপস্থিত থাকেন। এখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দেড় শতাধিক।
মাদ্রাসাটিতে ১৫ বছর যাবৎ সুপার পদে দায়িত্বে রয়েছেন মো. সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলতে তিনি বাধ্য নন। প্রতিষ্ঠানের এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। একপর্যায়ে তিনি নিজেও একজন সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।
এ সময় সুপারের কক্ষে থাকা অন্য শিক্ষকেরা বলেন, সুপারের সঙ্গে সচিবালয়, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সখ্য রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘আমি পূর্বেও এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এখানে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এখানে যোগদান করেছি। তাই মাদ্রাসাটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত অবগত নই। শিগগিরই সরেজমিন মাদ্রাসা পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আসাদুজ্জামান রিপন, নরসিংদী

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে শুরুর দিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এখন প্রতিদিন ১৫-২০ জন উপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য পাশের শাহ ইরানি কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এখানে ভর্তি দেখানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে আসলে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থী এনে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। তবে শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষার্থী আছে দেড় শতাধিক।
গত রোববার গিয়ে দেখা গেছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে অফিস কক্ষের বারান্দায় বসে গল্প করছেন শিক্ষকেরা। এ সময় তৃতীয় শ্রেণিতে তিন; চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণিতে দুজন করে; সপ্তম শ্রেণিতে ছয় এবং নবম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়। অর্থাৎ পুরো মাদ্রাসায় মোট ১৮ জন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া ২০ শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৭ জন শিক্ষক।
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে তাড়াহুড়ো করে পাঠদানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গল্প করতে থাকা শিক্ষকেরা। অভিযোগ রয়েছে, পাঠদানে শিক্ষকদের গাফিলতিসহ মাঝেমধ্যেই বেলা ২টা-৩টায় ছুটি দেওয়া হয় মাদ্রাসাটি। যদিও বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকার কথা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পাশে বাড়ি থাকা এক শিক্ষার্থী জানায়, এই মাদ্রাসায় নিয়মিত ক্লাস হয় না। শিক্ষকেরা ক্লাস না করে বাইরে বসে থাকেন এবং বিকেল ৪টার আগেই ছুটি দেওয়া হয়। এ জন্য স্থানীয় অনেকে দূরের প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে।
মাদ্রাসার প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে জানান, মাদ্রাসার বর্তমান সুপার দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মরত থাকায় তাঁর ইশারাতেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সুপারসহ অন্য শিক্ষকেরা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ছুটিতে থাকেন। যাঁর কারণে পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
সুটরিয়া গ্রামের রাজু মিয়া বলেন, মাদ্রাসায় আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে খুবই কম। মাঝেমধ্যে দুপুরের পরপর ছুটি দেওয়া হয়।
তবে শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা প্রতিদিন উপস্থিত থাকেন। এখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দেড় শতাধিক।
মাদ্রাসাটিতে ১৫ বছর যাবৎ সুপার পদে দায়িত্বে রয়েছেন মো. সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলতে তিনি বাধ্য নন। প্রতিষ্ঠানের এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। একপর্যায়ে তিনি নিজেও একজন সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।
এ সময় সুপারের কক্ষে থাকা অন্য শিক্ষকেরা বলেন, সুপারের সঙ্গে সচিবালয়, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সখ্য রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘আমি পূর্বেও এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এখানে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এখানে যোগদান করেছি। তাই মাদ্রাসাটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত অবগত নই। শিগগিরই সরেজমিন মাদ্রাসা পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে শুরুর দিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এখন প্রতিদিন ১৫-২০ জন উপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য পাশের শাহ ইরানি কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এখানে ভর্তি দেখানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে আসলে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থী এনে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। তবে শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষার্থী আছে দেড় শতাধিক।
গত রোববার গিয়ে দেখা গেছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে অফিস কক্ষের বারান্দায় বসে গল্প করছেন শিক্ষকেরা। এ সময় তৃতীয় শ্রেণিতে তিন; চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণিতে দুজন করে; সপ্তম শ্রেণিতে ছয় এবং নবম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়। অর্থাৎ পুরো মাদ্রাসায় মোট ১৮ জন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া ২০ শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৭ জন শিক্ষক।
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে তাড়াহুড়ো করে পাঠদানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গল্প করতে থাকা শিক্ষকেরা। অভিযোগ রয়েছে, পাঠদানে শিক্ষকদের গাফিলতিসহ মাঝেমধ্যেই বেলা ২টা-৩টায় ছুটি দেওয়া হয় মাদ্রাসাটি। যদিও বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকার কথা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পাশে বাড়ি থাকা এক শিক্ষার্থী জানায়, এই মাদ্রাসায় নিয়মিত ক্লাস হয় না। শিক্ষকেরা ক্লাস না করে বাইরে বসে থাকেন এবং বিকেল ৪টার আগেই ছুটি দেওয়া হয়। এ জন্য স্থানীয় অনেকে দূরের প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে।
মাদ্রাসার প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে জানান, মাদ্রাসার বর্তমান সুপার দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মরত থাকায় তাঁর ইশারাতেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সুপারসহ অন্য শিক্ষকেরা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ছুটিতে থাকেন। যাঁর কারণে পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
সুটরিয়া গ্রামের রাজু মিয়া বলেন, মাদ্রাসায় আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে খুবই কম। মাঝেমধ্যে দুপুরের পরপর ছুটি দেওয়া হয়।
তবে শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা প্রতিদিন উপস্থিত থাকেন। এখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দেড় শতাধিক।
মাদ্রাসাটিতে ১৫ বছর যাবৎ সুপার পদে দায়িত্বে রয়েছেন মো. সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলতে তিনি বাধ্য নন। প্রতিষ্ঠানের এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। একপর্যায়ে তিনি নিজেও একজন সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।
এ সময় সুপারের কক্ষে থাকা অন্য শিক্ষকেরা বলেন, সুপারের সঙ্গে সচিবালয়, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সখ্য রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘আমি পূর্বেও এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এখানে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এখানে যোগদান করেছি। তাই মাদ্রাসাটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত অবগত নই। শিগগিরই সরেজমিন মাদ্রাসা পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৯ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১৬ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
২২ মিনিট আগেজাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংগঠনটির শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শুধু একটি দলেরই নয়, বরং তিনি গোটা দেশের অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন। তিনি যেভাবে আপসহীন নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন, সেটা তাঁকে এই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় করে রাখবে।
কর্মসূচি চলাকালে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, ‘আমাদের জাতির অভিভাবক হিসেবে তিনি ছিলেন মৃদুভাষী, সহনশীল ও মানবিক একজন মানুষ। গত ১৬ বছরে তাঁর ওপর বহু নির্যাতন ও অবিচার হলেও তিনি কখনো কারও প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেননি।’
শামছুল আলম আরও বলেন, ‘তিনি তাঁর প্রিয় বাসা থেকে উৎখাত হয়েও দেশ ছাড়ার কথা ভাবেননি; দেশকেই তিনি ভালোবেসেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।’
এ সময় সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
ড. মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘দুঃসংবাদ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করেছে এবং কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে শোক পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তারসহ আরও অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংগঠনটির শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শুধু একটি দলেরই নয়, বরং তিনি গোটা দেশের অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন। তিনি যেভাবে আপসহীন নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন, সেটা তাঁকে এই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় করে রাখবে।
কর্মসূচি চলাকালে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, ‘আমাদের জাতির অভিভাবক হিসেবে তিনি ছিলেন মৃদুভাষী, সহনশীল ও মানবিক একজন মানুষ। গত ১৬ বছরে তাঁর ওপর বহু নির্যাতন ও অবিচার হলেও তিনি কখনো কারও প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেননি।’
শামছুল আলম আরও বলেন, ‘তিনি তাঁর প্রিয় বাসা থেকে উৎখাত হয়েও দেশ ছাড়ার কথা ভাবেননি; দেশকেই তিনি ভালোবেসেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।’
এ সময় সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
ড. মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘দুঃসংবাদ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করেছে এবং কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে শোক পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তারসহ আরও অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে
২২ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৯ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১৬ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
২২ মিনিট আগেচন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।
গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’
শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।
গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’
শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে
২২ মে ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১৬ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
২২ মিনিট আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে
২২ মে ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৯ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
২২ মিনিট আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়। এই বালুবাড়ি এলাকায় তৈয়বা ভিলা বাড়িতেই কেটেছে খালেদা জিয়ার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। আজ সকাল থেকে তৈয়বা ভিলার সামনে জড়ো হয়েছেন শোকার্ত স্থানীয় মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে।
আজ সকালে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছুটে যান ।
দলীয় কার্যালয় ও বালুবাড়ির পৈতৃক নিবাসে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার আপন খালাতো ভাই আবু তাহের আবু বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ছিলেন আমাদের অভিভাবক। নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। ১৯৯১ সালের তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনাজপুরে এলেন, এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিরে পটল কেমন আছিস? তিনি আদর করে আমাকে পটল বলে ডাকতেন। তিনি বাসায় এলে সবার কথা শুনতেন। সবশেষ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একবার দিনাজপুর গোরে শহীদ ময়দানে এক জনসভায় এসেছিলেন তিনি। তারও আগে ২০০৮ সালে মায়ের মৃত্যুর সময় একবার দিনাজপুরে এসেছিলেন।’
পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুর মিশন স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। এরপর ১৯৬০ সালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে।
সেখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীকালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে (পূর্বের নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ)।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা ইয়াসমিনবলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুরের গর্ব, দেশের গর্ব। আমরা গর্ব করে বলি, তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। প্রথম নারী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ আজকে একজন অভিভাবক হারাল।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নিজের জন্মস্থানে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। দিনাজপুর-৩ আসনে দলের
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের কথা শুনে সব বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়েছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রিয় নেত্রীর পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রীকে হারিয়ে দেশ আজ একজন
অভিভাবককে হারাল। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সবশেষ তিনি অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিন আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দিনাজপুরের মানুষ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দিনাজপুরের উন্নয়নে
স্বাক্ষর রেখে গেলেন। জাতির বড় প্রয়োজনের সময় আমরা তাঁকে হারালাম। এই দেশ জাতির ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তী।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিভাবককে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সবাই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। জেলার সকল এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা তাঁর জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রাজধানীর পথে রওনা দিতে শুরু করেছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়। এই বালুবাড়ি এলাকায় তৈয়বা ভিলা বাড়িতেই কেটেছে খালেদা জিয়ার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। আজ সকাল থেকে তৈয়বা ভিলার সামনে জড়ো হয়েছেন শোকার্ত স্থানীয় মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে।
আজ সকালে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছুটে যান ।
দলীয় কার্যালয় ও বালুবাড়ির পৈতৃক নিবাসে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার আপন খালাতো ভাই আবু তাহের আবু বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ছিলেন আমাদের অভিভাবক। নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। ১৯৯১ সালের তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনাজপুরে এলেন, এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিরে পটল কেমন আছিস? তিনি আদর করে আমাকে পটল বলে ডাকতেন। তিনি বাসায় এলে সবার কথা শুনতেন। সবশেষ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একবার দিনাজপুর গোরে শহীদ ময়দানে এক জনসভায় এসেছিলেন তিনি। তারও আগে ২০০৮ সালে মায়ের মৃত্যুর সময় একবার দিনাজপুরে এসেছিলেন।’
পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুর মিশন স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। এরপর ১৯৬০ সালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে।
সেখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীকালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে (পূর্বের নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ)।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা ইয়াসমিনবলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুরের গর্ব, দেশের গর্ব। আমরা গর্ব করে বলি, তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। প্রথম নারী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ আজকে একজন অভিভাবক হারাল।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নিজের জন্মস্থানে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। দিনাজপুর-৩ আসনে দলের
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের কথা শুনে সব বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়েছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রিয় নেত্রীর পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রীকে হারিয়ে দেশ আজ একজন
অভিভাবককে হারাল। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সবশেষ তিনি অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিন আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দিনাজপুরের মানুষ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দিনাজপুরের উন্নয়নে
স্বাক্ষর রেখে গেলেন। জাতির বড় প্রয়োজনের সময় আমরা তাঁকে হারালাম। এই দেশ জাতির ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তী।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিভাবককে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সবাই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। জেলার সকল এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা তাঁর জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রাজধানীর পথে রওনা দিতে শুরু করেছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে
২২ মে ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৯ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১৬ মিনিট আগে