আশরাফ-উল-আলম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক প্রাণহানি হয়েছেন। মালিকপক্ষ এটিকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করছে। আর এ ধরনের দুর্ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যু’, এই অভিযোগে মামলা হয়ে থাকে। কিন্তু বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও স্থানীয়দের বর্ণনায় এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, রীতিমতো হত্যা। আইনজীবীরাও মনে করছেন, অভিযোগ সত্য হলে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের মালিক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নরহত্যা বা খুনের মামলা হওয়া উচিত।
বিভিন্ন ধরনের খাদ্য, জুস ও পানীয় উৎপাদনকারী এই কারখানায় ছিল প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক। এ ধরনের কারখানায় হঠাৎ আগুন লাগতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিক ব্যবস্থা থাকাটা বাধ্যতামূলক। থাকতে হয় শ্রমিকদের যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় শ্রমিক-কর্মচারীরা যাতে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারেন সেই ধরনের ব্যবস্থাও থাকতে হয়। হাশেম ফুডের সেই কারখানায় সে ধরনের ব্যবস্থা ছিল কি–না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আগুন থেকে রেহাই পাওয়া শ্রমিকেরা গণমাধ্যমে বলেছেন, আগুন লাগার পর কারখানা থেকে অনেকেই বের হতে পারেননি। ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অথচ কারখানা আইন, ১৯৬৫ এর ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ৬২ ধারায় একটি কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। এই ধারার (১) উপধারায় বলা হয়েছে, কারখানা ভবনের প্রতিটার সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী অন্তত একটি বিকল্প সিঁড়িসহ বহির্গমন ব্যবস্থা থাকতে হবে। উপধারা (৩)–এ বলা হয়েছে, বহির্গমনের পথ তালাবদ্ধ বা আটকে রাখা যাবে না। বহির্গমনের পথ বাধাগ্রস্ত কিংবা পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না। উপধারা (৪)–এ বলা হয়েছে প্রত্যেক দরজা জানালা খোলা রাখতে হবে। বহির্গমনের পথ লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। উপধারা (৬)–এ বলা হয়েছে শ্রমিকেরা যাতে সহজে বহির্গমনের পথে পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। উপধারা (৭) ও (৮)–এ বলা হয়েছে, শ্রমিকেরা অগ্নিকাণ্ডের সময় যাতে সহজে কারখানা ত্যাগ করতে পারে সেই প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং প্রতি ছয় মাসে একবার করে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া দিতে হবে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের সিটিজেন চার্টার কারখানা কীভাবে পরিচালিত হবে তার দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এই চার্টারেও বলা হয়েছে, কোনো কারখানায় কাজ চলাকালীন কারখানার বহির্গমন পথসহ সব দরজা জানালা খোলা রাখতে হবে। কারখানার সব সিঁড়িপথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও চলাচলে বাধামুক্ত রাখতে হবে। চার্টারে আরও বলা হয়েছে, বহুতল ভবনে স্থাপিত কারখানায় বিভিন্ন দুর্ঘটনা বিশেষ করে অগ্নিজনিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বিকল্প বহির্গমন দরজার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতি কক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ করতে হবে।
বিভিন্ন আইন ও বিধি অনুযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা যথেষ্ট ব্যবস্থা হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের এই কারখানায় ছিল কি–না তা তদন্তের বিষয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের পর ওই কারখানার বহির্গমনের যে পথ ছিল তা বন্ধ ছিল বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানি থেকে জানা যায়। বহির্গমনের পথ বন্ধ করা আইনের চোখে অপরাধ।
এ ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ব্যাপারে আইনি যেসব ধারা রয়েছে তা দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪ (ক) ধারায় বর্ণিত অপরাধ। ৩০৪ এর (ক) ধারা হচ্ছে অবহেলা জনিত মৃত্যু অর্থাৎ যদি কোনো ব্যক্তি নরহত্যা বলে গণ্য নয়–এমন কোনো বেপরোয়া বা তাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজ করে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায়, সে ব্যক্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। কারখানায় আগুন লেগে সাধারণভাবে যদি কেউ মারা যায় এবং এই আগুন লাগার পেছনে যদি অবহেলা থাকে তাহলে এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা যায়।
আর ৩০৪ ধারা হচ্ছে অপরাধজনক নরহত্যা। খুন নয় এমন শাস্তিযোগ্য নরহত্যার সাজা হচ্ছে, যে ব্যক্তি খুন নয় এমন শাস্তিযোগ্য নরহত্যা করে, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা দশ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং পাশাপাশি অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের এই দুর্ঘটনার ফলে এত মৃত্যু দায়িত্বে অবহেলার জন্য ঘটেছে। দ্বিতীয়ত অগ্নিকাণ্ডে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে এমনটি জানা সত্ত্বেও যদি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকে, যদি বিকল্প বা বহির্গমন সিঁড়ি না থাকে তবে সেটা নরহত্যা বলেই বিবেচিত হবে। এটা ইচ্ছাকৃত খুন বা হত্যা নয়। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর কারখানার সিঁড়ি বা মূল ফটক তালাবদ্ধ করে দেওয়া–এটি নরহত্যার শামিল। আর ইচ্ছাকৃতভাবে তালা বন্ধ করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হত্যার শামিল। আর এই হত্যাকাণ্ডের দায় কারখানা মালিক বা কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন না। এতগুলো শ্রমিককে আগুনে পুড়তে দেখেও কারখানার মূল গেটের তালা বন্ধ করে রাখা তেমন শাস্তির মুখোমুখি করানো দরকার দায়ী ব্যক্তিদের। এমনটাই বলছেন আইনজীবীরা।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ফৌজদারি আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের সাবেক পিপি এহসানুল হক সমাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ চোখে অগ্নিকাণ্ড একটি দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনার ফলে প্রাণহানি হলে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় দায়িত্বে অবহেলা জনিত মৃত্যুর দায় কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। আর যদি আইন ও বিধান অনুযায়ী কারখানার দরজা-জানালা খোলা না রেখে বরং অগ্নিকাণ্ডের পর মূল ফটক বন্ধ করে দেয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং উদ্ধারকর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রমাণ হয় তাহলে নরহত্যা (কালপ্যাবল হোমিসাইড) বলে বিবেচিত হবে। আইনজীবী সমাজী বলেন, দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা সে ক্ষেত্রে মামলায় যুক্ত হবে। অবশ্য কোন ধারায় বিচারে সোপর্দ করা হবে তা নির্ভর করে তদন্তের ওপর।
সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আগুন লাগার পর কারখানার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া মারাত্মক অপরাধ। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, যারা ফটকে তালা মেরেছেন তাঁরা এটা জানেন যে ভেতরে শ্রমিকেরা কর্মরত। তালা বন্ধ করা মানে ওই সব শ্রমিককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছে এটা অবশ্যই হত্যাকাণ্ড। এই কারখানায় আগুন লাগার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তা হচ্ছে দায়িত্বে অবহেলা, কারখানার ভেতরে অগ্নিকাণ্ডের ফলে মানুষের মৃত্যু হবে জেনেও ফটক তালাবদ্ধ করে রাখা। যেটা নরহত্যা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কারও নির্দেশে তালা বন্ধ করে দেয় তাহলে সেটা হবে হত্যাকাণ্ড।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক প্রাণহানি হয়েছেন। মালিকপক্ষ এটিকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করছে। আর এ ধরনের দুর্ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যু’, এই অভিযোগে মামলা হয়ে থাকে। কিন্তু বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও স্থানীয়দের বর্ণনায় এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, রীতিমতো হত্যা। আইনজীবীরাও মনে করছেন, অভিযোগ সত্য হলে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের মালিক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নরহত্যা বা খুনের মামলা হওয়া উচিত।
বিভিন্ন ধরনের খাদ্য, জুস ও পানীয় উৎপাদনকারী এই কারখানায় ছিল প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক। এ ধরনের কারখানায় হঠাৎ আগুন লাগতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিক ব্যবস্থা থাকাটা বাধ্যতামূলক। থাকতে হয় শ্রমিকদের যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় শ্রমিক-কর্মচারীরা যাতে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারেন সেই ধরনের ব্যবস্থাও থাকতে হয়। হাশেম ফুডের সেই কারখানায় সে ধরনের ব্যবস্থা ছিল কি–না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আগুন থেকে রেহাই পাওয়া শ্রমিকেরা গণমাধ্যমে বলেছেন, আগুন লাগার পর কারখানা থেকে অনেকেই বের হতে পারেননি। ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অথচ কারখানা আইন, ১৯৬৫ এর ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ৬২ ধারায় একটি কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। এই ধারার (১) উপধারায় বলা হয়েছে, কারখানা ভবনের প্রতিটার সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী অন্তত একটি বিকল্প সিঁড়িসহ বহির্গমন ব্যবস্থা থাকতে হবে। উপধারা (৩)–এ বলা হয়েছে, বহির্গমনের পথ তালাবদ্ধ বা আটকে রাখা যাবে না। বহির্গমনের পথ বাধাগ্রস্ত কিংবা পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না। উপধারা (৪)–এ বলা হয়েছে প্রত্যেক দরজা জানালা খোলা রাখতে হবে। বহির্গমনের পথ লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। উপধারা (৬)–এ বলা হয়েছে শ্রমিকেরা যাতে সহজে বহির্গমনের পথে পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। উপধারা (৭) ও (৮)–এ বলা হয়েছে, শ্রমিকেরা অগ্নিকাণ্ডের সময় যাতে সহজে কারখানা ত্যাগ করতে পারে সেই প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং প্রতি ছয় মাসে একবার করে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া দিতে হবে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের সিটিজেন চার্টার কারখানা কীভাবে পরিচালিত হবে তার দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এই চার্টারেও বলা হয়েছে, কোনো কারখানায় কাজ চলাকালীন কারখানার বহির্গমন পথসহ সব দরজা জানালা খোলা রাখতে হবে। কারখানার সব সিঁড়িপথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও চলাচলে বাধামুক্ত রাখতে হবে। চার্টারে আরও বলা হয়েছে, বহুতল ভবনে স্থাপিত কারখানায় বিভিন্ন দুর্ঘটনা বিশেষ করে অগ্নিজনিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বিকল্প বহির্গমন দরজার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতি কক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ করতে হবে।
বিভিন্ন আইন ও বিধি অনুযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা যথেষ্ট ব্যবস্থা হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের এই কারখানায় ছিল কি–না তা তদন্তের বিষয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের পর ওই কারখানার বহির্গমনের যে পথ ছিল তা বন্ধ ছিল বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানি থেকে জানা যায়। বহির্গমনের পথ বন্ধ করা আইনের চোখে অপরাধ।
এ ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ব্যাপারে আইনি যেসব ধারা রয়েছে তা দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪ (ক) ধারায় বর্ণিত অপরাধ। ৩০৪ এর (ক) ধারা হচ্ছে অবহেলা জনিত মৃত্যু অর্থাৎ যদি কোনো ব্যক্তি নরহত্যা বলে গণ্য নয়–এমন কোনো বেপরোয়া বা তাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজ করে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায়, সে ব্যক্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। কারখানায় আগুন লেগে সাধারণভাবে যদি কেউ মারা যায় এবং এই আগুন লাগার পেছনে যদি অবহেলা থাকে তাহলে এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা যায়।
আর ৩০৪ ধারা হচ্ছে অপরাধজনক নরহত্যা। খুন নয় এমন শাস্তিযোগ্য নরহত্যার সাজা হচ্ছে, যে ব্যক্তি খুন নয় এমন শাস্তিযোগ্য নরহত্যা করে, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা দশ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং পাশাপাশি অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের এই দুর্ঘটনার ফলে এত মৃত্যু দায়িত্বে অবহেলার জন্য ঘটেছে। দ্বিতীয়ত অগ্নিকাণ্ডে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে এমনটি জানা সত্ত্বেও যদি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকে, যদি বিকল্প বা বহির্গমন সিঁড়ি না থাকে তবে সেটা নরহত্যা বলেই বিবেচিত হবে। এটা ইচ্ছাকৃত খুন বা হত্যা নয়। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর কারখানার সিঁড়ি বা মূল ফটক তালাবদ্ধ করে দেওয়া–এটি নরহত্যার শামিল। আর ইচ্ছাকৃতভাবে তালা বন্ধ করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হত্যার শামিল। আর এই হত্যাকাণ্ডের দায় কারখানা মালিক বা কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন না। এতগুলো শ্রমিককে আগুনে পুড়তে দেখেও কারখানার মূল গেটের তালা বন্ধ করে রাখা তেমন শাস্তির মুখোমুখি করানো দরকার দায়ী ব্যক্তিদের। এমনটাই বলছেন আইনজীবীরা।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ফৌজদারি আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের সাবেক পিপি এহসানুল হক সমাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ চোখে অগ্নিকাণ্ড একটি দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনার ফলে প্রাণহানি হলে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় দায়িত্বে অবহেলা জনিত মৃত্যুর দায় কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। আর যদি আইন ও বিধান অনুযায়ী কারখানার দরজা-জানালা খোলা না রেখে বরং অগ্নিকাণ্ডের পর মূল ফটক বন্ধ করে দেয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং উদ্ধারকর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রমাণ হয় তাহলে নরহত্যা (কালপ্যাবল হোমিসাইড) বলে বিবেচিত হবে। আইনজীবী সমাজী বলেন, দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা সে ক্ষেত্রে মামলায় যুক্ত হবে। অবশ্য কোন ধারায় বিচারে সোপর্দ করা হবে তা নির্ভর করে তদন্তের ওপর।
সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আগুন লাগার পর কারখানার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া মারাত্মক অপরাধ। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, যারা ফটকে তালা মেরেছেন তাঁরা এটা জানেন যে ভেতরে শ্রমিকেরা কর্মরত। তালা বন্ধ করা মানে ওই সব শ্রমিককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছে এটা অবশ্যই হত্যাকাণ্ড। এই কারখানায় আগুন লাগার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তা হচ্ছে দায়িত্বে অবহেলা, কারখানার ভেতরে অগ্নিকাণ্ডের ফলে মানুষের মৃত্যু হবে জেনেও ফটক তালাবদ্ধ করে রাখা। যেটা নরহত্যা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কারও নির্দেশে তালা বন্ধ করে দেয় তাহলে সেটা হবে হত্যাকাণ্ড।

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৩ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালুমহাল ইজারায় একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ২৪ দশমিক ২১ একর। কিন্তু চিতলমারীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ গ্রামসংলগ্ন মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কামাল শেখ ওরফে কামাল মেম্বার। মূল ইজারাদারের কাছ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে এই কাজ নিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করছি।’ যাঁর নামে সরকারি ইজারা আনা হয়েছে, তাঁর নাম অবশ্য জানাতে পারেননি কামাল মেম্বার। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম তাঁর মনে নেই।
চিতলমারীর শৈলদাহ এলাকার মো. ফরিদ শেখ, বিপুল বৈদ্য, আল-আমিন খান ও তুহিন শেখ জানান, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতী নদীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ এলাকায় ৩-৪টি বলগেট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, গাছপালা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে উপজেলার মানচিত্র। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শ একর জমি ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাটিভাঙ্গা সেতুও এখন ঝুঁকির মুখে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন চিতলমারী উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে ওরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। রাতের আঁধারে এসে চিতলমারীর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করে। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযানে গিয়েছি। কিন্তু অভিযানের খবর শুনে ওরা আগে থেকেই চলে যায়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, ওরা যাতে সীমানায় না আসে সে জন্য কাজ করছি। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করছে।’

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালুমহাল ইজারায় একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ২৪ দশমিক ২১ একর। কিন্তু চিতলমারীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ গ্রামসংলগ্ন মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কামাল শেখ ওরফে কামাল মেম্বার। মূল ইজারাদারের কাছ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে এই কাজ নিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করছি।’ যাঁর নামে সরকারি ইজারা আনা হয়েছে, তাঁর নাম অবশ্য জানাতে পারেননি কামাল মেম্বার। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম তাঁর মনে নেই।
চিতলমারীর শৈলদাহ এলাকার মো. ফরিদ শেখ, বিপুল বৈদ্য, আল-আমিন খান ও তুহিন শেখ জানান, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতী নদীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ এলাকায় ৩-৪টি বলগেট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, গাছপালা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে উপজেলার মানচিত্র। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শ একর জমি ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাটিভাঙ্গা সেতুও এখন ঝুঁকির মুখে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন চিতলমারী উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে ওরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। রাতের আঁধারে এসে চিতলমারীর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করে। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযানে গিয়েছি। কিন্তু অভিযানের খবর শুনে ওরা আগে থেকেই চলে যায়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, ওরা যাতে সীমানায় না আসে সে জন্য কাজ করছি। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করছে।’

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক প্রাণহানি হয়েছেন। মালিকপক্ষ এটিকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করছে। আর এ ধরনের দুর্ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যু’, এই অভিযোগে মামলা হয়ে থাকে। কিন্তু বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও স্থানীয়দের বর্ণনায় এটি কোনো দুর্ঘটনা
১০ জুলাই ২০২১
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৩ ঘণ্টা আগেদুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগীসহ কয়েকটি গ্রাম, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালীসহ উত্তর এলাকা, আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আংগারিয়াসহ পশ্চিম এলাকা, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের দুমকী, শ্রীরামপুর, উত্তর দুমকী এলাকায় দুই বছর ধরে শুকনো মৌসুমে হস্তচালিত গভীর নলকূপে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসব এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানায়, এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখে জানিয়েছেন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর নলকূপে পানি উঠছে না।
এ বিষয়ে কথা হয় শাহজাহান খান নামের এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে। শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনো মৌসুমে এলাকার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পীরতলা জামলা ও আংগারিয়া খালটিতে ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানির প্রবাহ ব্যাহত ও খালের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় লোকজন পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এ অবস্থায় শুকনো মৌসুমে টিউবওয়েলের পানির অভাবে অনেকে ব্যবহার অনুপযোগী পানি পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
জামাল হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, শুকনো মৌসুম এলেই কলেজশিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পানির সমস্যায় ভোগেন। এ সময় উপায় না পেয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়।
পশ্চিম আংগারিয়ার বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, গভীর নলকূপ বসিয়েও পানির সংকটে ভুগতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুম শুরু হলেই পানি পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব এলাকায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
দুমকী উপজেলায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৫৩০টি টিউবওয়েল এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া এলাকাবাসী ব্যক্তিগত খরচে নিজ নিজ বাসায় টিউবওয়েল বসিয়ে মোটর যুক্ত করেও পানি তুলতে পারছে না।
পানিসংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নিপা আক্তার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে হস্তচালিত নলকূপের পরিবর্তে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকাবাসীর স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগীসহ কয়েকটি গ্রাম, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালীসহ উত্তর এলাকা, আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আংগারিয়াসহ পশ্চিম এলাকা, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের দুমকী, শ্রীরামপুর, উত্তর দুমকী এলাকায় দুই বছর ধরে শুকনো মৌসুমে হস্তচালিত গভীর নলকূপে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসব এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানায়, এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখে জানিয়েছেন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর নলকূপে পানি উঠছে না।
এ বিষয়ে কথা হয় শাহজাহান খান নামের এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে। শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনো মৌসুমে এলাকার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পীরতলা জামলা ও আংগারিয়া খালটিতে ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানির প্রবাহ ব্যাহত ও খালের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় লোকজন পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এ অবস্থায় শুকনো মৌসুমে টিউবওয়েলের পানির অভাবে অনেকে ব্যবহার অনুপযোগী পানি পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
জামাল হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, শুকনো মৌসুম এলেই কলেজশিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পানির সমস্যায় ভোগেন। এ সময় উপায় না পেয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়।
পশ্চিম আংগারিয়ার বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, গভীর নলকূপ বসিয়েও পানির সংকটে ভুগতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুম শুরু হলেই পানি পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব এলাকায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
দুমকী উপজেলায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৫৩০টি টিউবওয়েল এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া এলাকাবাসী ব্যক্তিগত খরচে নিজ নিজ বাসায় টিউবওয়েল বসিয়ে মোটর যুক্ত করেও পানি তুলতে পারছে না।
পানিসংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নিপা আক্তার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে হস্তচালিত নলকূপের পরিবর্তে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকাবাসীর স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক প্রাণহানি হয়েছেন। মালিকপক্ষ এটিকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করছে। আর এ ধরনের দুর্ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যু’, এই অভিযোগে মামলা হয়ে থাকে। কিন্তু বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও স্থানীয়দের বর্ণনায় এটি কোনো দুর্ঘটনা
১০ জুলাই ২০২১
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৩ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় মাত্র সাত একর জায়গায় জবি ক্যাম্পাস। আটটি ভবনে চলছে ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী প্রায় ২০ হাজার। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই দশক পরও নানা সংকটে রয়েছে জবি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ ১২৫ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাসেবার বাজেট বাড়ানোর জন্য আমরা ইউজিসির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি, কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে তারা বৃদ্ধি করছে না। তাই একটি বিশেষ ফান্ডের আবেদন করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী বছরে এর ব্যবস্থা হবে।
অব্যবস্থাপনায় মেডিকেল সেন্টার
জবির বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর চিকিৎসাসেবার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল নেই। প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিলেও সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক, তিনজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, একজন নার্স, দুজন অফিস সহকারী ও একজন ক্লিনার। রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যেকোনো অসুখের চিকিৎসায় মেডিকেল সেন্টার থেকে দেওয়া হয় শুধু প্যারাসিটামল। অনেক সময় প্যারাসিটামলও পাওয়া যায় না।
গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, চিকিৎসকেরা রোগীর কথা শুনতে চান না। শুধু নাপা, প্যারাসিটামল বা স্যালাইন দিয়েই দায়িত্ব সারেন।
দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোছা. রাতিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার সমস্যা অনুযায়ী সঠিক ওষুধ দেওয়া হয়নি। শুধু প্যারাসিটামল ও স্যালাইনই মেলে মেডিকেল সেন্টারে।’
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো. কামরুল হাসান বলেন, রক্তস্বল্পতার ইনজেকশন দেওয়ার সময় নার্সের অদক্ষতার কারণে তা মাংসে প্রবেশ করে। ফলে ক্ষত তৈরি হয়, যা পাঁচ মাসেও সারেনি।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘আমরা অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের মেডিকেল সেন্টারে প্রায় ৪০ ধরনের ওষুধ রয়েছে, যা রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী জ্বর, মাথাব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে আসে, তাই সাধারণত প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘চিকিৎসা বাজেট এত কম কেন, এটি আমাদেরও প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। তবে বর্তমান প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বাজেট বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং কিছুটা বৃদ্ধি এরই মধ্যে হয়েছে। ইউজিসির অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা সবই দিতে পারছে না। তবুও আশা করছি, শিগগির এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং দুটি পদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বাজেট অনুমোদন পাওয়া গেছে। আশা রাখছি আগামী অর্থবছরে এ খাতে ভালো বাজেট বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় মাত্র সাত একর জায়গায় জবি ক্যাম্পাস। আটটি ভবনে চলছে ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী প্রায় ২০ হাজার। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই দশক পরও নানা সংকটে রয়েছে জবি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ ১২৫ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাসেবার বাজেট বাড়ানোর জন্য আমরা ইউজিসির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি, কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে তারা বৃদ্ধি করছে না। তাই একটি বিশেষ ফান্ডের আবেদন করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী বছরে এর ব্যবস্থা হবে।
অব্যবস্থাপনায় মেডিকেল সেন্টার
জবির বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর চিকিৎসাসেবার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল নেই। প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিলেও সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক, তিনজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, একজন নার্স, দুজন অফিস সহকারী ও একজন ক্লিনার। রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যেকোনো অসুখের চিকিৎসায় মেডিকেল সেন্টার থেকে দেওয়া হয় শুধু প্যারাসিটামল। অনেক সময় প্যারাসিটামলও পাওয়া যায় না।
গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, চিকিৎসকেরা রোগীর কথা শুনতে চান না। শুধু নাপা, প্যারাসিটামল বা স্যালাইন দিয়েই দায়িত্ব সারেন।
দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোছা. রাতিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার সমস্যা অনুযায়ী সঠিক ওষুধ দেওয়া হয়নি। শুধু প্যারাসিটামল ও স্যালাইনই মেলে মেডিকেল সেন্টারে।’
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো. কামরুল হাসান বলেন, রক্তস্বল্পতার ইনজেকশন দেওয়ার সময় নার্সের অদক্ষতার কারণে তা মাংসে প্রবেশ করে। ফলে ক্ষত তৈরি হয়, যা পাঁচ মাসেও সারেনি।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘আমরা অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের মেডিকেল সেন্টারে প্রায় ৪০ ধরনের ওষুধ রয়েছে, যা রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী জ্বর, মাথাব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে আসে, তাই সাধারণত প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘চিকিৎসা বাজেট এত কম কেন, এটি আমাদেরও প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। তবে বর্তমান প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বাজেট বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং কিছুটা বৃদ্ধি এরই মধ্যে হয়েছে। ইউজিসির অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা সবই দিতে পারছে না। তবুও আশা করছি, শিগগির এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং দুটি পদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বাজেট অনুমোদন পাওয়া গেছে। আশা রাখছি আগামী অর্থবছরে এ খাতে ভালো বাজেট বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক প্রাণহানি হয়েছেন। মালিকপক্ষ এটিকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করছে। আর এ ধরনের দুর্ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যু’, এই অভিযোগে মামলা হয়ে থাকে। কিন্তু বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও স্থানীয়দের বর্ণনায় এটি কোনো দুর্ঘটনা
১০ জুলাই ২০২১
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৩ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক প্রাণহানি হয়েছেন। মালিকপক্ষ এটিকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করছে। আর এ ধরনের দুর্ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যু’, এই অভিযোগে মামলা হয়ে থাকে। কিন্তু বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও স্থানীয়দের বর্ণনায় এটি কোনো দুর্ঘটনা
১০ জুলাই ২০২১
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২ ঘণ্টা আগে