Ajker Patrika

ময়মনসিংহে ক্রসফায়ারে রাজন হত্যা: ডিবির সাবেক ওসিসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত রাজনের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত রাজনের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে রাজন হত্যা মামলায় ডিবির সাবেক ওসি আশিকুর রহমান আশিকসহ ১৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পিআইবি। আট বছর আগে ক্রসফায়ারে প্রাণ হারান রাজন মিয়া। নিহত রাজন মিয়ার স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশকে চাহিদা মতো ১০ লাখ টাকা দিতে না পারায় রাজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। বতর্মানে আশিকুর রহমান আশিক পিরোজপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২২ মে গোয়েন্দা পুলিশ ময়মনসিংহ নগরীর পুরোহিতপাড়ার বাসা থেকে রাজন মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। রাজনকে বাঁচাতে তখন পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়। তা দিতে না পারায় আটকের দুদিন পর বাসার পাশে ক্রসফায়ারে তাঁকে হত্যা করা হয়। গত বছরের ২০ অক্টোবর নিহত রাজন মিয়ার বাবা হারুন অর রশিদ ময়মনসিংহের আদালতে আশিকুর রহমান আশিকসহ ১৭ জনের নামে মামলা করেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য গত ২৩ এপ্রিল আদালত পিবিআইকে নির্দেশনা দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমান, এসআই ফারুক আহমেদ, এসআই পরিমল চন্দ্র দাস, এসআই আকরাম হোসেন, এএসআই আব্দুল মজিদ, এএসআই জিন্নাত হাসান মানিক, এএসআই জাকির হোসেন, এএসআই জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল কাউসার হাবীব, গুলজার, সোহরাব আলী, সাইদুল, সেলিম, রাশেদুল, সানোয়ার ও কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম।

২০১৭ সালের ৫ জুলাই ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন আশিকুর রহমান আশিক। তবে বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের কারণে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই তাঁকে বদলি করা হয়। এর মধ্যে তিনি ২২ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যার নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারপর ওসি মোখলেছুর রহমানের সময়ে ১২ জন এবং শাহ কামাল আকন্দের সময়ে চারজনসহ মোট ৩৮ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়।

সম্প্রতি পুরোহিতপাড়া গিয়ে কথা হয় রাজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁর একমাত্র মেয়ে হাবিবা রশিদ নুসাইবা দাদা-দাদির কাছে বড় হচ্ছে। সে এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশনে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। রাজন নিহত হওয়ার পর নুসাইবার মাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন দাদা-দাদি। মাত্র চার বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছে নুসাইবা। প্রশাসনের কাছে সে তার বাবার হত্যার বিচার দাবি করেছে।

এখনো ছেলের স্মৃতি মনে করে অঝোরে কাঁদেন রাজনের মা নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আমার ছেলেকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেদিন ছেলের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর ছিল। তখন ছেলের নামে কোনো মামলাও ছিল না। ডিবি পুলিশ বলে, রাজনের সঙ্গে তাদের কথা রয়েছে। কিন্তু ছেলেকে আটকিয়ে দুদিন পর মারা হবে ভাবতে পারিনি।

বাবা হারুন অর রশিদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী ছিলেন রাজন। ছেলের মৃত্যুর পর থেকে অনেকটাই অসুস্থ তিনি। এই অসুস্থ অবস্থাতেও ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে আদালত ও প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন তিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আদালতে আশিকসহ ১৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিনা কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের চাহিদা মতো ১০ লাখ টাকা না দিতে পারায় আমার ছেলেকে জীবন দিতে হয়েছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। বিচার পেলে বিনা কারণে এমন হত্যাকাণ্ড দেশে আর ঘটবে না। বর্তমান প্রশাসনের প্রতি আস্থা রয়েছে। তাই মামলা করেছি।’

শুধু রাজন নয়, মাদক কারবারের অভিযোগ এনে পুরোহিতপাড়ার মুন্না, পায়েল এবং ইদ্রিসকেও ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছিল। কথা হয় পায়েলের মা পারুল বেগমের সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘যারা আমার বুকটা খালি করেছে, আল্লাহ যেন তাদের বিচার করেন। আমার ছেলের কোনো অপরাধ ছিল না। ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ৫ লাখ টাকা পুলিশ দাবি করেছিল। দিতে পারি নাই, তাই ছেলেকে গুলি করে মেরেছে।’

রাজন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
রাজন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

নাগরিক সমাজ ময়মনসিংহের সদস্যসচিব সামসুদ্দোহা মাসুম বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। পুলিশ তখন কনট্রাক্ট কিলিং করেছে। বর্তমান সরকার যদি এসবের বিচার না করে, তাহলে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বৃদ্ধি পাবে। আমরা চাই, রাজনসহ তৎকালীন ৩৮টি হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক। যারা প্রকৃতপক্ষে অপরাধী, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

অভিযোগের বিষয়ে আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ‘যারা সমাজে অপরাধী ছিলেন, আইন অনুযায়ী তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ বা টাকা-পয়সার জন্য কাউকে ক্রসফায়ার দেওয়া হয়নি। কাউকে যদি অন্যায়ভাবে মারা হতো, আপনারা যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন, তখন তো সংবাদ প্রচার করতেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একটি পক্ষ সুবিধা নিতে এসব করছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। তারা যদি মনে করে আমরা অপরাধী, তাহলে যে বিচার হবে মাথা পেতে নেব।’

পিবিআই পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ‘ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারক শরিফুল হকের নির্দেশে রাজন হত্যা মামলার তদন্তের কাজ ইতিমধ্যে আমরা শুরু করেছি। গত ২৯ এপ্রিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। এটি অনেক আগের মামলা হওয়ায় ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে কিছুটা সময় লাঘবে। তবে আমরা চেষ্টা করব, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে যা পাওয়া যায়, তা আদালতে সাবমিট করতে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত