Ajker Patrika

মেলান্দহে বৈশাখী মেলার নামে শতাধিক গাঁজার দোকান, বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
মেলান্দহে বৈশাখী মেলার নামে শতাধিক গাঁজার দোকান, বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

জামালপুরের মেলান্দহে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলার নামে মাদক বেচাকেনা ও সেবনের আখড়া বসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে চলছে জুয়ার আসর ও অশ্লীল নৃত্য। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে মেলার নামে মাদকের এই আখড়া বন্ধে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মেলান্দহ পৌর শহরে ইত্তেফাকুল উলামার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। উপজেলার দুরমুট বাজারে হজরত শাহ কামাল ইয়েমেনি মাজারকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, গান-বাজনা ও মাদক সেবন বন্ধের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য দেন ইত্তেফাকুল উলামা জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শামছুদ্দীন, মেলান্দহ উপজেলার সহসভাপতি মাওলানা শামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক মুফতি সোলাইমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুর মোহাম্মদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আবদুল ওয়াহাব, প্রচার সম্পাদক মাওলানা ইসরাফিল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা হচ্ছে বৈশাখী মেলার নামে পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই জানলেও নীরব কেউ এসব অপকর্ম বন্ধ করে না। মেলায় প্রায় ৫০০ গাঁজা বিক্রির দোকান রয়েছে। প্রতিদিন রাতে ওই মেলায় চলে অশ্লীল নৃত্য, মাদক বেচাকেনা, জোয়ারা আসর। এসব অপকর্মের যুব সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘উপজেলার দুরমুট এলাকায় পীর ও সাধক হজরত শাহ কামাল ইয়েমেনির মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বৈশাখ মাসজুড়ে মেলা হয়ে থাকে। এ মেলাকে কেন্দ্র করে মাজারে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে বিভিন্ন দোকানপাট। এবার মেলায় প্রকাশ্যে কয়েক শ গাঁজা বিক্রির দোকান বসানো হয়েছে। গাঁজা বিক্রির দোকানের সংখ্যা হবে প্রায় পাঁচ শ।

এলাকাবাসী জানায়, দুরমুট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সোহেল নামের একজনের নেতৃত্বে মাদকের এই ব্যবসা চলছে। তিনি প্রতি রাতে মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন।

বৈশাখী মেলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এক কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে চলছে মেলার নানা কার্যক্রম। বিভিন্ন জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। মাজার এলাকায় আশেকান-ভক্তের উপচে পড়া ভিড়। মাজারটির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পুকুরের পাড়ে, পুকুরসংলগ্ন বাগানে গাঁজা-সেবন ও বিক্রির জমজমাট আসর চলছে। সেখানে প্রকাশ্যে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। গাঁজা বিক্রির আস্তানায় চলছে গানের আড্ডা ও গাঁজা সেবন। অনেক আস্তানায় কিশোর ও শিক্ষার্থীদের গাঁজা সেবন করতে দেখা গেছে।

মেলায় আসা আব্দুল গফুর নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘বহু বছর ধরে এই মেলা চলে আসছে। তবে আগে মেলায় পাগলাদের সমাগম হইতো না। এখন মেলার শুরু না হতে বিভিন্ন জায়গায় থেকে পাগলারা এসে এই জায়গায় আস্তানা গাড়ে। এই জায়গায় প্রতি রাতে প্রায় পাঁচ শ আসর বসে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রকৃত পাগল নাই। দূরদূরান্ত থেকে যেগুলো এসেছে, সেগুলা গাঁজার ব্যবসা-বাণিজ্য করতেই এসেছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভক্ত বলেন, ‘আমি এখানে প্রায় ১৭ দিন ধরে এসেছি। এই জায়গায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে সোহেল নামের একজন। তার কথায়ই সবকিছুই হয়। রাত ৯টার পর থেকে আসরের লোকজন বেশি আসতে শুরু করে। দিনের বেলায় তেমন লোকজন থাকে না। গাঁজা ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে নিয়ে সেবন করে।’

মেলান্দহে মেলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকাকলাবাধা এলাকার কৃষক শামসুল ইসলাম বলেন, ‘এই মেলার জন্য এই ইউনিয়নের সব মানুষ অতিষ্ঠ। এলাকার কিছু প্রভাবশালী মানুষ মেলার নামে গাঁজার জমজমাট ব্যবসা করছে। এক মাসে কমপক্ষে কোটি টাকা ব্যবসা-বাণিজ্য হয়। এটা তো শুধু দোকান ভাড়া থেকে নিচ্ছে মেলা কমিটি। মেলায় গাঁজার আসর না থাকলে মেলা জমে না। তাই প্রতিবারেই গাঁজা আসর হয়।’

এ বিষয়ে জানতে মেলা কমিটির সভাপতি ও দুরমুট ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরীকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি।

জামালপুর সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘বৈশাখী মেলার বিভিন্ন আস্তানায় প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন চলছে। এসব বন্ধ না হলে যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়বে। মেলায় গাঁজা সেবন ও বেচাকেনার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাই জানলেও তেমন কোনো অভিযোগ পরিচালনা হয় না।

জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘মেলার অনুমতি না থাকলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিষয়টি আমরা দেখছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শফিউর রহমান বলেন, ‘ওই জায়গায় প্রতি বছর ওরস চলে, ওই রকমই বলা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে মেলার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত