ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

‘ময়মনসিংহ বিভাগের বন্ধুরা, ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থাকছি—ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে, আল ইসলাম ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।’
জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল উপলক্ষে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এদিকে আজ শনিবার সকাল থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠের গোটা মাহফিল এলাকা। তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বাদ জোহর বয়ান করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
মাহফিলকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অসংখ্য বিশেষ দল মাহফিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া র্যাব, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এত বিশাল জমায়েতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও কাজ করছে।
তাফসির মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারীর পাশাপাশি আরও কয়েকজন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আলোচনা করবেন। মাহফিল কমিটি জানায়, মাওলানা আজহারী দুপুরের আগেই হেলিকপ্টারযোগে ময়মনসিংহে পৌঁছাবেন। আল ইসলাম ট্রাস্টের আয়োজনে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা নুরুল ইসলাম।
আজ শনিবার ভোরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে মাহফিলের ময়দানে আসছেন। ময়মনসিংহ ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মুসল্লিরা এসেছেন। কেউ একা, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে, আবার কেউ পরিচিতজনদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।
নেত্রকোনা থেকে এসেছেন আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার পছন্দের হুজুর মিজানুর রহমান আজহারী। তাঁর অসংখ্য ওয়াজ ইউটিউবে শুনেছি। সকালে এলে মঞ্চের কাছাকাছি জায়গা পাওয়া সম্ভব না। তাই তাঁকে সরাসরি দেখতে গতকাল বিকেলে এখানে চলে এসেছি।’
জামালপুর সদর থেকে এসেছেন মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মধুর কণ্ঠে বয়ান করেন আজহারী হুজুর। তাঁকে সরাসরি দেখে বয়ান কখনো শুনতে পারিনি। খুব ইচ্ছে তাঁকে সরাসরি দেখে বয়ান শোনার। সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জে হুজুর বয়ান করবে জানতে পেরে সেখানে যেতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেখানে যেতে পারিনি। হুজুরকে দেখে বয়ান শোনার ইচ্ছে ময়মনসিংহে আর মিস করতে চাই না। তাই গত রাতেই মাঠে চলে এসেছি।’

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, মাহফিলে ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটতে পারে। ২২টি এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে বয়ান প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য রয়েছে জেনারেটর। পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই, স্যানিটেশন, পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, চার শতাধিক অজুখানার ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সচল রাখার জন্য বাংলালিংক টাওয়ার, রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল, রয়েছে তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প।
এবার মাহফিলে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিতির কারণে এদিন শহরে যানবাহনের চলাচলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের আগেই বড় যানবাহন আটকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নগরীর মাসকান্দা, আকুয়া বাইপাস ও রহমতপুর বাইপাসে আটকে দেওয়া হবে বড় যানবাহন। তবে শহরের অবস্থা অনুযায়ী ইজিবাইক (অটো) চলাচল করবে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হবে ময়মনসিংহে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য শহরে চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। তবে মূল শহরে যানজটের আশঙ্কায় সবাইকে বাইপাস ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান মিলন বলেন, ড. মিজানুর রহমান আজহারী একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তাঁকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পছন্দ করেন। বয়ান শুনতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এরই মধ্যে দেখতে পাচ্ছি মানুষের ঢল নেমেছে। ওয়াজ শুরুর আগপর্যন্ত সময়ে নিশ্চয়ই সমাগম আরও বহুগুণ বাড়বে। আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি শুক্রবার বিকেলেই শেষ হয়েছে।
কামরুল হাসান মিলন আরও বলেন, ‘মিজানুর রহমান আজহারী বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যেহেতু লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন, সেহেতু মানুষের কিছু অসুবিধা হতে পারে। ইসলামের স্বার্থে নগরবাসী এই অসুবিধা মেনে নেবেন বলে আশা করছি।’
আল ইসলাম ট্রাস্টের সদস্য মাহবুব রশিদ ফরাজি বলেন, ‘মাহফিলে যেন মানুষ আসে, সে জন্য যথেষ্ট প্রচার চালানো হয়েছে। এটি ময়মনসিংহের বিভাগীয় মাহফিল। তবে অনেকে বিভাগের বাইরে থেকেও আসছেন।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, ‘মাহফিলে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। তবু অগণিত মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

‘ময়মনসিংহ বিভাগের বন্ধুরা, ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থাকছি—ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে, আল ইসলাম ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।’
জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল উপলক্ষে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এদিকে আজ শনিবার সকাল থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠের গোটা মাহফিল এলাকা। তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বাদ জোহর বয়ান করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
মাহফিলকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অসংখ্য বিশেষ দল মাহফিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া র্যাব, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এত বিশাল জমায়েতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও কাজ করছে।
তাফসির মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারীর পাশাপাশি আরও কয়েকজন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আলোচনা করবেন। মাহফিল কমিটি জানায়, মাওলানা আজহারী দুপুরের আগেই হেলিকপ্টারযোগে ময়মনসিংহে পৌঁছাবেন। আল ইসলাম ট্রাস্টের আয়োজনে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা নুরুল ইসলাম।
আজ শনিবার ভোরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে মাহফিলের ময়দানে আসছেন। ময়মনসিংহ ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মুসল্লিরা এসেছেন। কেউ একা, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে, আবার কেউ পরিচিতজনদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।
নেত্রকোনা থেকে এসেছেন আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার পছন্দের হুজুর মিজানুর রহমান আজহারী। তাঁর অসংখ্য ওয়াজ ইউটিউবে শুনেছি। সকালে এলে মঞ্চের কাছাকাছি জায়গা পাওয়া সম্ভব না। তাই তাঁকে সরাসরি দেখতে গতকাল বিকেলে এখানে চলে এসেছি।’
জামালপুর সদর থেকে এসেছেন মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মধুর কণ্ঠে বয়ান করেন আজহারী হুজুর। তাঁকে সরাসরি দেখে বয়ান কখনো শুনতে পারিনি। খুব ইচ্ছে তাঁকে সরাসরি দেখে বয়ান শোনার। সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জে হুজুর বয়ান করবে জানতে পেরে সেখানে যেতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেখানে যেতে পারিনি। হুজুরকে দেখে বয়ান শোনার ইচ্ছে ময়মনসিংহে আর মিস করতে চাই না। তাই গত রাতেই মাঠে চলে এসেছি।’

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, মাহফিলে ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটতে পারে। ২২টি এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে বয়ান প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য রয়েছে জেনারেটর। পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই, স্যানিটেশন, পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, চার শতাধিক অজুখানার ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সচল রাখার জন্য বাংলালিংক টাওয়ার, রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল, রয়েছে তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প।
এবার মাহফিলে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিতির কারণে এদিন শহরে যানবাহনের চলাচলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের আগেই বড় যানবাহন আটকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নগরীর মাসকান্দা, আকুয়া বাইপাস ও রহমতপুর বাইপাসে আটকে দেওয়া হবে বড় যানবাহন। তবে শহরের অবস্থা অনুযায়ী ইজিবাইক (অটো) চলাচল করবে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হবে ময়মনসিংহে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য শহরে চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। তবে মূল শহরে যানজটের আশঙ্কায় সবাইকে বাইপাস ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান মিলন বলেন, ড. মিজানুর রহমান আজহারী একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তাঁকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পছন্দ করেন। বয়ান শুনতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এরই মধ্যে দেখতে পাচ্ছি মানুষের ঢল নেমেছে। ওয়াজ শুরুর আগপর্যন্ত সময়ে নিশ্চয়ই সমাগম আরও বহুগুণ বাড়বে। আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি শুক্রবার বিকেলেই শেষ হয়েছে।
কামরুল হাসান মিলন আরও বলেন, ‘মিজানুর রহমান আজহারী বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যেহেতু লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন, সেহেতু মানুষের কিছু অসুবিধা হতে পারে। ইসলামের স্বার্থে নগরবাসী এই অসুবিধা মেনে নেবেন বলে আশা করছি।’
আল ইসলাম ট্রাস্টের সদস্য মাহবুব রশিদ ফরাজি বলেন, ‘মাহফিলে যেন মানুষ আসে, সে জন্য যথেষ্ট প্রচার চালানো হয়েছে। এটি ময়মনসিংহের বিভাগীয় মাহফিল। তবে অনেকে বিভাগের বাইরে থেকেও আসছেন।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, ‘মাহফিলে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। তবু অগণিত মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

‘ময়মনসিংহ বিভাগের বন্ধুরা, ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থাকছি—ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে, আল ইসলাম ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।’
জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল উপলক্ষে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এদিকে আজ শনিবার সকাল থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠের গোটা মাহফিল এলাকা। তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বাদ জোহর বয়ান করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
মাহফিলকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অসংখ্য বিশেষ দল মাহফিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া র্যাব, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এত বিশাল জমায়েতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও কাজ করছে।
তাফসির মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারীর পাশাপাশি আরও কয়েকজন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আলোচনা করবেন। মাহফিল কমিটি জানায়, মাওলানা আজহারী দুপুরের আগেই হেলিকপ্টারযোগে ময়মনসিংহে পৌঁছাবেন। আল ইসলাম ট্রাস্টের আয়োজনে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা নুরুল ইসলাম।
আজ শনিবার ভোরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে মাহফিলের ময়দানে আসছেন। ময়মনসিংহ ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মুসল্লিরা এসেছেন। কেউ একা, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে, আবার কেউ পরিচিতজনদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।
নেত্রকোনা থেকে এসেছেন আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার পছন্দের হুজুর মিজানুর রহমান আজহারী। তাঁর অসংখ্য ওয়াজ ইউটিউবে শুনেছি। সকালে এলে মঞ্চের কাছাকাছি জায়গা পাওয়া সম্ভব না। তাই তাঁকে সরাসরি দেখতে গতকাল বিকেলে এখানে চলে এসেছি।’
জামালপুর সদর থেকে এসেছেন মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মধুর কণ্ঠে বয়ান করেন আজহারী হুজুর। তাঁকে সরাসরি দেখে বয়ান কখনো শুনতে পারিনি। খুব ইচ্ছে তাঁকে সরাসরি দেখে বয়ান শোনার। সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জে হুজুর বয়ান করবে জানতে পেরে সেখানে যেতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেখানে যেতে পারিনি। হুজুরকে দেখে বয়ান শোনার ইচ্ছে ময়মনসিংহে আর মিস করতে চাই না। তাই গত রাতেই মাঠে চলে এসেছি।’

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, মাহফিলে ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটতে পারে। ২২টি এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে বয়ান প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য রয়েছে জেনারেটর। পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই, স্যানিটেশন, পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, চার শতাধিক অজুখানার ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সচল রাখার জন্য বাংলালিংক টাওয়ার, রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল, রয়েছে তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প।
এবার মাহফিলে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিতির কারণে এদিন শহরে যানবাহনের চলাচলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের আগেই বড় যানবাহন আটকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নগরীর মাসকান্দা, আকুয়া বাইপাস ও রহমতপুর বাইপাসে আটকে দেওয়া হবে বড় যানবাহন। তবে শহরের অবস্থা অনুযায়ী ইজিবাইক (অটো) চলাচল করবে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হবে ময়মনসিংহে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য শহরে চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। তবে মূল শহরে যানজটের আশঙ্কায় সবাইকে বাইপাস ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান মিলন বলেন, ড. মিজানুর রহমান আজহারী একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তাঁকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পছন্দ করেন। বয়ান শুনতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এরই মধ্যে দেখতে পাচ্ছি মানুষের ঢল নেমেছে। ওয়াজ শুরুর আগপর্যন্ত সময়ে নিশ্চয়ই সমাগম আরও বহুগুণ বাড়বে। আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি শুক্রবার বিকেলেই শেষ হয়েছে।
কামরুল হাসান মিলন আরও বলেন, ‘মিজানুর রহমান আজহারী বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যেহেতু লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন, সেহেতু মানুষের কিছু অসুবিধা হতে পারে। ইসলামের স্বার্থে নগরবাসী এই অসুবিধা মেনে নেবেন বলে আশা করছি।’
আল ইসলাম ট্রাস্টের সদস্য মাহবুব রশিদ ফরাজি বলেন, ‘মাহফিলে যেন মানুষ আসে, সে জন্য যথেষ্ট প্রচার চালানো হয়েছে। এটি ময়মনসিংহের বিভাগীয় মাহফিল। তবে অনেকে বিভাগের বাইরে থেকেও আসছেন।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, ‘মাহফিলে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। তবু অগণিত মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

‘ময়মনসিংহ বিভাগের বন্ধুরা, ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থাকছি—ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে, আল ইসলাম ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।’
জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল উপলক্ষে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এদিকে আজ শনিবার সকাল থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠের গোটা মাহফিল এলাকা। তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বাদ জোহর বয়ান করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
মাহফিলকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অসংখ্য বিশেষ দল মাহফিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া র্যাব, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এত বিশাল জমায়েতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও কাজ করছে।
তাফসির মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারীর পাশাপাশি আরও কয়েকজন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আলোচনা করবেন। মাহফিল কমিটি জানায়, মাওলানা আজহারী দুপুরের আগেই হেলিকপ্টারযোগে ময়মনসিংহে পৌঁছাবেন। আল ইসলাম ট্রাস্টের আয়োজনে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা নুরুল ইসলাম।
আজ শনিবার ভোরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে মাহফিলের ময়দানে আসছেন। ময়মনসিংহ ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মুসল্লিরা এসেছেন। কেউ একা, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে, আবার কেউ পরিচিতজনদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।
নেত্রকোনা থেকে এসেছেন আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার পছন্দের হুজুর মিজানুর রহমান আজহারী। তাঁর অসংখ্য ওয়াজ ইউটিউবে শুনেছি। সকালে এলে মঞ্চের কাছাকাছি জায়গা পাওয়া সম্ভব না। তাই তাঁকে সরাসরি দেখতে গতকাল বিকেলে এখানে চলে এসেছি।’
জামালপুর সদর থেকে এসেছেন মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মধুর কণ্ঠে বয়ান করেন আজহারী হুজুর। তাঁকে সরাসরি দেখে বয়ান কখনো শুনতে পারিনি। খুব ইচ্ছে তাঁকে সরাসরি দেখে বয়ান শোনার। সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জে হুজুর বয়ান করবে জানতে পেরে সেখানে যেতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেখানে যেতে পারিনি। হুজুরকে দেখে বয়ান শোনার ইচ্ছে ময়মনসিংহে আর মিস করতে চাই না। তাই গত রাতেই মাঠে চলে এসেছি।’

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, মাহফিলে ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটতে পারে। ২২টি এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে বয়ান প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য রয়েছে জেনারেটর। পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই, স্যানিটেশন, পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, চার শতাধিক অজুখানার ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সচল রাখার জন্য বাংলালিংক টাওয়ার, রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল, রয়েছে তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প।
এবার মাহফিলে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিতির কারণে এদিন শহরে যানবাহনের চলাচলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের আগেই বড় যানবাহন আটকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নগরীর মাসকান্দা, আকুয়া বাইপাস ও রহমতপুর বাইপাসে আটকে দেওয়া হবে বড় যানবাহন। তবে শহরের অবস্থা অনুযায়ী ইজিবাইক (অটো) চলাচল করবে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হবে ময়মনসিংহে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য শহরে চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। তবে মূল শহরে যানজটের আশঙ্কায় সবাইকে বাইপাস ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান মিলন বলেন, ড. মিজানুর রহমান আজহারী একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তাঁকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পছন্দ করেন। বয়ান শুনতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এরই মধ্যে দেখতে পাচ্ছি মানুষের ঢল নেমেছে। ওয়াজ শুরুর আগপর্যন্ত সময়ে নিশ্চয়ই সমাগম আরও বহুগুণ বাড়বে। আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি শুক্রবার বিকেলেই শেষ হয়েছে।
কামরুল হাসান মিলন আরও বলেন, ‘মিজানুর রহমান আজহারী বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যেহেতু লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন, সেহেতু মানুষের কিছু অসুবিধা হতে পারে। ইসলামের স্বার্থে নগরবাসী এই অসুবিধা মেনে নেবেন বলে আশা করছি।’
আল ইসলাম ট্রাস্টের সদস্য মাহবুব রশিদ ফরাজি বলেন, ‘মাহফিলে যেন মানুষ আসে, সে জন্য যথেষ্ট প্রচার চালানো হয়েছে। এটি ময়মনসিংহের বিভাগীয় মাহফিল। তবে অনেকে বিভাগের বাইরে থেকেও আসছেন।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, ‘মাহফিলে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। তবু অগণিত মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

আজ শনিবার সকাল থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠের গোটা মাহফিল এলাকা। তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বাদ জোহর বয়ান করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

আজ শনিবার সকাল থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠের গোটা মাহফিল এলাকা। তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বাদ জোহর বয়ান করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠের গোটা মাহফিল এলাকা। তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বাদ জোহর বয়ান করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

আজ শনিবার সকাল থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠের গোটা মাহফিল এলাকা। তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বাদ জোহর বয়ান করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে