মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

একই গ্রামের হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নেননি গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা। সালিস বসিয়ে সাজা দেওয়া হয় মেয়েকে, সঙ্গে বিয়েতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী চারজনকে করা হয় একঘরে। এরই মধ্যে ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেছে, তবুও কাটেনি রেশ। একঘরে রয়েছে ওই চার পরিবার। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে ওই ছেলে ও মেয়ের পরিবারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি মাতবরেরা।
ঘটনাটি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামের। সমাজপতিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই চার পরিবার সমাজের কারও সঙ্গে কথা বললে গুনতে হবে এক হাজার টাকা। এমনকি কারও বাড়ির দাওয়াতে যেতে পারবেন না তাঁরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিথ্যা অপবাদে দীর্ঘ ১২ বছর একঘরে রাখায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন সামাজিকভাবে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ১২ বছর আগের পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েরা এখন বড় হয়েছে। একঘরে হয়ে থাকায় তাঁদের বিয়ে হচ্ছে না। এ বিষয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাফর আলী নামের এক ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে নওগাঁও গ্রামের হিন্দুধর্মের এক ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের গ্রামে ধরে এনে সালিস বসানো হয়। আব্দুর রাজ্জাক, আবু হোসেন, বাবু, শফিক মন্ডল, সাঈদ আলীসহ গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা সালিস বসান।
সালিসে মেয়েকে জুতা মারা হয়। তাঁদের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে ওই মেয়ের প্রতিবেশী কৃষক জাফর আলী, তাঁর ভাই সাদেক আলী ও আলম হোসেন এবং সাদেকের চাচা জিলাল উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এমনকি সমাজের কারও সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে এক হাজার টাকা জরিমানা, একঘরে থাকা চার পরিবারের বাড়িতে কেউ যেতে পারবেন না এবং তাঁরাও সমাজের কারও বাড়িতে যেতে পারবেন না—সালিসে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাহে কোনো অনুদান দিতে পারবেন না বলেও নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়।
এদিকে সালিস ডাকলে ওই হিন্দু ছেলে পালিয়ে যান। এরপর তাঁদের বিয়েও ভেঙে যায়।
একঘরে থাকা জাফর আলীর পঞ্চাশোর্ধ্ব স্ত্রী লিপি বেগম প্রায়ই ঘরের দরজার পাশে ভেজা চোখে বসে থাকেন। লিপি বেগমের পাশের ঘরে থাকা সাদেক আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগমেরও একই অবস্থা। জাহানারা বেগম ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে দেখেন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানুষদের।
এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল তাঁদের একঘরে করে রাখায় প্রতিবেশী কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না তাঁরা। মন চাইলেও যেতে পারেন না প্রতিবেশী কারও বাড়িতে। এ অবস্থায় পরিবারের কারও মৃত্যু হলে কবর কোথায় হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সত্তোরর্ধ্ব নূরজাহানসহ একঘরে থাকা চার পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি নওগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের পশ্চিমে দিকে একটি কাঁচা রাস্তার উত্তর পাশে পাশাপাশি জাফর ও তাঁর দুই ভাইয়ের বাড়ি। সেখান থেকে প্রায় ২০০ গজ পশ্চিমে জাফর আলীর কাকা জিলাল আলীর বাড়ি। বাড়ির নারী সদস্যদের একজন বাড়ির দরজার সামনে বসে আছেন, আরেকজন ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন; আর জিলাল আলীর স্ত্রী বাড়ির সামনে মুদিদোকান করছেন। পুরুষদের কেউ জমিতে কাজ করতে গেছেন। কেউ আছেন এলাকার বাইরে।
এ বিষয়ে একঘরে হয়ে থাকা জিলাল উদ্দিন বলেন, ‘এক যুগ ধরে আমার তিন ভাতিজার পরিবারসহ আমার পরিবারকে একঘরে করা হয়েছে। প্রভাবশালী মোড়লদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ১২ বছর আগের ছোট মেয়েরা এখন বড় হলেও এলাকায় রেখে তাদের বিয়ে দিতে না পারা ও নানা সামাজিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
জিলাল উদ্দিন আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘বড় মেয়েকে গ্রামে রেখে বিয়ে দিতে না পারায় মানিকগঞ্জে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে বিয়ে দিয়েছি। আমি গরিব মানুষ অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখন ছোট মেয়েটা বড় হয়েছে, সে এখন অনার্সে পড়ছে। তাকে কীভাবে বিয়ে দেব চিন্তায় আছি। আমার ছেলেটা কারও বাড়িতে যেতে পারেন না, কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না। আমি স্বাধীন দেশে বসবাস করে স্বাধীনভাবে চলতে পারছি না। স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমি সরকারের হস্তক্ষেপ চাই।’
‘গ্রামের সালিস বিচারে মেয়েটিকে দোররা মারার ঘটনা আমি প্রতিবাদ করি। তাই আমাদের একঘরে করে রাখছে গ্রামের মাতবরেরা। গ্রামের কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে আমরা যেতে পারি না। মসজিদ, মাদ্রাসায় আমরা কিছু (অনুদান) দিতে পারি না। এটা আমাদের জন্য শুধু কষ্টের না, লজ্জারও।’ বলেন, একঘরে থাকা জাফর আলী।
জাফর আলীর স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, ‘কোরবানির ঈদে মাদ্রাসার মাঠে কোরবানির গোশত আনতে গেলে আমাগো পোলাপানরে গোশত দ্যায় না। পোলাপান খালি হাতে ফিরে আসে, এগুলো দেখে আমাগো কষ্ট লাগে।’
‘আমাগো একঘরে রাখায় ইচ্ছে থাকলেও প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলতে পারি না। মন ছুটলে যেতে পারি না নিজের প্রতিবেশীর বাড়িতে। এই অবস্থায় পরিবারের কারও মৃত্যু হলে কবর কোথায় হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’ বলেন, সত্তোরর্ধ্ব নূরজাহান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘জাফর ও তাঁর ভাইয়েরা খেটে খাওয়া মানুষ। গ্রামের কেউ তাঁদের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে মাতবরেরা হুঁশিয়ার করে দেন। গ্রামের অনেকেই তাঁদের বাড়িতে যান না, তাঁরাও কারও বাড়িতে আসেন না।’
চার পরিবারেকে একঘরে রাখার কথা স্বীকার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর হান্নান হানিফ বলেন, ‘বিষয়টি বেশ কয়েকবার মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ভুক্তভোগী ওই পরিবারের লোকজনদের মাতবরদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ যাননি।’
তবে ওই পরিবারগুলোকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাতবরেরা। এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য ও প্রধান অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চার পরিবারকে একঘরে রাখার কথা সত্য নয়। সমাজের লোকজনের সঙ্গে ওই পরিবারের সদস্য মেলামেশায় কোনো বিধিনিষেধ নেই।’ তবে তাদের ‘আচরণের কারণে’ সমাজের কিছু বিষয়ে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
একঘরে করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ইউএনও শান্তা রহমান। তিনি বলেন, ‘আগামী গণশুনানিতে ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। অভিযোগের বিষয়টি সত্য হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

একই গ্রামের হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নেননি গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা। সালিস বসিয়ে সাজা দেওয়া হয় মেয়েকে, সঙ্গে বিয়েতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী চারজনকে করা হয় একঘরে। এরই মধ্যে ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেছে, তবুও কাটেনি রেশ। একঘরে রয়েছে ওই চার পরিবার। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে ওই ছেলে ও মেয়ের পরিবারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি মাতবরেরা।
ঘটনাটি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামের। সমাজপতিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই চার পরিবার সমাজের কারও সঙ্গে কথা বললে গুনতে হবে এক হাজার টাকা। এমনকি কারও বাড়ির দাওয়াতে যেতে পারবেন না তাঁরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিথ্যা অপবাদে দীর্ঘ ১২ বছর একঘরে রাখায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন সামাজিকভাবে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ১২ বছর আগের পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েরা এখন বড় হয়েছে। একঘরে হয়ে থাকায় তাঁদের বিয়ে হচ্ছে না। এ বিষয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাফর আলী নামের এক ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে নওগাঁও গ্রামের হিন্দুধর্মের এক ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের গ্রামে ধরে এনে সালিস বসানো হয়। আব্দুর রাজ্জাক, আবু হোসেন, বাবু, শফিক মন্ডল, সাঈদ আলীসহ গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা সালিস বসান।
সালিসে মেয়েকে জুতা মারা হয়। তাঁদের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে ওই মেয়ের প্রতিবেশী কৃষক জাফর আলী, তাঁর ভাই সাদেক আলী ও আলম হোসেন এবং সাদেকের চাচা জিলাল উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এমনকি সমাজের কারও সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে এক হাজার টাকা জরিমানা, একঘরে থাকা চার পরিবারের বাড়িতে কেউ যেতে পারবেন না এবং তাঁরাও সমাজের কারও বাড়িতে যেতে পারবেন না—সালিসে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাহে কোনো অনুদান দিতে পারবেন না বলেও নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়।
এদিকে সালিস ডাকলে ওই হিন্দু ছেলে পালিয়ে যান। এরপর তাঁদের বিয়েও ভেঙে যায়।
একঘরে থাকা জাফর আলীর পঞ্চাশোর্ধ্ব স্ত্রী লিপি বেগম প্রায়ই ঘরের দরজার পাশে ভেজা চোখে বসে থাকেন। লিপি বেগমের পাশের ঘরে থাকা সাদেক আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগমেরও একই অবস্থা। জাহানারা বেগম ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে দেখেন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানুষদের।
এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল তাঁদের একঘরে করে রাখায় প্রতিবেশী কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না তাঁরা। মন চাইলেও যেতে পারেন না প্রতিবেশী কারও বাড়িতে। এ অবস্থায় পরিবারের কারও মৃত্যু হলে কবর কোথায় হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সত্তোরর্ধ্ব নূরজাহানসহ একঘরে থাকা চার পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি নওগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের পশ্চিমে দিকে একটি কাঁচা রাস্তার উত্তর পাশে পাশাপাশি জাফর ও তাঁর দুই ভাইয়ের বাড়ি। সেখান থেকে প্রায় ২০০ গজ পশ্চিমে জাফর আলীর কাকা জিলাল আলীর বাড়ি। বাড়ির নারী সদস্যদের একজন বাড়ির দরজার সামনে বসে আছেন, আরেকজন ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন; আর জিলাল আলীর স্ত্রী বাড়ির সামনে মুদিদোকান করছেন। পুরুষদের কেউ জমিতে কাজ করতে গেছেন। কেউ আছেন এলাকার বাইরে।
এ বিষয়ে একঘরে হয়ে থাকা জিলাল উদ্দিন বলেন, ‘এক যুগ ধরে আমার তিন ভাতিজার পরিবারসহ আমার পরিবারকে একঘরে করা হয়েছে। প্রভাবশালী মোড়লদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ১২ বছর আগের ছোট মেয়েরা এখন বড় হলেও এলাকায় রেখে তাদের বিয়ে দিতে না পারা ও নানা সামাজিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
জিলাল উদ্দিন আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘বড় মেয়েকে গ্রামে রেখে বিয়ে দিতে না পারায় মানিকগঞ্জে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে বিয়ে দিয়েছি। আমি গরিব মানুষ অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখন ছোট মেয়েটা বড় হয়েছে, সে এখন অনার্সে পড়ছে। তাকে কীভাবে বিয়ে দেব চিন্তায় আছি। আমার ছেলেটা কারও বাড়িতে যেতে পারেন না, কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না। আমি স্বাধীন দেশে বসবাস করে স্বাধীনভাবে চলতে পারছি না। স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমি সরকারের হস্তক্ষেপ চাই।’
‘গ্রামের সালিস বিচারে মেয়েটিকে দোররা মারার ঘটনা আমি প্রতিবাদ করি। তাই আমাদের একঘরে করে রাখছে গ্রামের মাতবরেরা। গ্রামের কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে আমরা যেতে পারি না। মসজিদ, মাদ্রাসায় আমরা কিছু (অনুদান) দিতে পারি না। এটা আমাদের জন্য শুধু কষ্টের না, লজ্জারও।’ বলেন, একঘরে থাকা জাফর আলী।
জাফর আলীর স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, ‘কোরবানির ঈদে মাদ্রাসার মাঠে কোরবানির গোশত আনতে গেলে আমাগো পোলাপানরে গোশত দ্যায় না। পোলাপান খালি হাতে ফিরে আসে, এগুলো দেখে আমাগো কষ্ট লাগে।’
‘আমাগো একঘরে রাখায় ইচ্ছে থাকলেও প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলতে পারি না। মন ছুটলে যেতে পারি না নিজের প্রতিবেশীর বাড়িতে। এই অবস্থায় পরিবারের কারও মৃত্যু হলে কবর কোথায় হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’ বলেন, সত্তোরর্ধ্ব নূরজাহান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘জাফর ও তাঁর ভাইয়েরা খেটে খাওয়া মানুষ। গ্রামের কেউ তাঁদের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে মাতবরেরা হুঁশিয়ার করে দেন। গ্রামের অনেকেই তাঁদের বাড়িতে যান না, তাঁরাও কারও বাড়িতে আসেন না।’
চার পরিবারেকে একঘরে রাখার কথা স্বীকার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর হান্নান হানিফ বলেন, ‘বিষয়টি বেশ কয়েকবার মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ভুক্তভোগী ওই পরিবারের লোকজনদের মাতবরদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ যাননি।’
তবে ওই পরিবারগুলোকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাতবরেরা। এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য ও প্রধান অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চার পরিবারকে একঘরে রাখার কথা সত্য নয়। সমাজের লোকজনের সঙ্গে ওই পরিবারের সদস্য মেলামেশায় কোনো বিধিনিষেধ নেই।’ তবে তাদের ‘আচরণের কারণে’ সমাজের কিছু বিষয়ে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
একঘরে করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ইউএনও শান্তা রহমান। তিনি বলেন, ‘আগামী গণশুনানিতে ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। অভিযোগের বিষয়টি সত্য হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

একই গ্রামের হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নেননি গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা। সালিস বসিয়ে সাজা দেওয়া হয় মেয়েকে, সঙ্গে বিয়েতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী চারজনকে করা হয় একঘরে। এরই মধ্যে ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেছে, তবুও কাটেনি রেশ। একঘরে রয়েছে ওই চার পরিবার। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে ওই ছেলে ও মেয়ের পরিবারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি মাতবরেরা।
ঘটনাটি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামের। সমাজপতিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই চার পরিবার সমাজের কারও সঙ্গে কথা বললে গুনতে হবে এক হাজার টাকা। এমনকি কারও বাড়ির দাওয়াতে যেতে পারবেন না তাঁরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিথ্যা অপবাদে দীর্ঘ ১২ বছর একঘরে রাখায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন সামাজিকভাবে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ১২ বছর আগের পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েরা এখন বড় হয়েছে। একঘরে হয়ে থাকায় তাঁদের বিয়ে হচ্ছে না। এ বিষয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাফর আলী নামের এক ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে নওগাঁও গ্রামের হিন্দুধর্মের এক ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের গ্রামে ধরে এনে সালিস বসানো হয়। আব্দুর রাজ্জাক, আবু হোসেন, বাবু, শফিক মন্ডল, সাঈদ আলীসহ গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা সালিস বসান।
সালিসে মেয়েকে জুতা মারা হয়। তাঁদের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে ওই মেয়ের প্রতিবেশী কৃষক জাফর আলী, তাঁর ভাই সাদেক আলী ও আলম হোসেন এবং সাদেকের চাচা জিলাল উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এমনকি সমাজের কারও সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে এক হাজার টাকা জরিমানা, একঘরে থাকা চার পরিবারের বাড়িতে কেউ যেতে পারবেন না এবং তাঁরাও সমাজের কারও বাড়িতে যেতে পারবেন না—সালিসে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাহে কোনো অনুদান দিতে পারবেন না বলেও নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়।
এদিকে সালিস ডাকলে ওই হিন্দু ছেলে পালিয়ে যান। এরপর তাঁদের বিয়েও ভেঙে যায়।
একঘরে থাকা জাফর আলীর পঞ্চাশোর্ধ্ব স্ত্রী লিপি বেগম প্রায়ই ঘরের দরজার পাশে ভেজা চোখে বসে থাকেন। লিপি বেগমের পাশের ঘরে থাকা সাদেক আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগমেরও একই অবস্থা। জাহানারা বেগম ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে দেখেন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানুষদের।
এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল তাঁদের একঘরে করে রাখায় প্রতিবেশী কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না তাঁরা। মন চাইলেও যেতে পারেন না প্রতিবেশী কারও বাড়িতে। এ অবস্থায় পরিবারের কারও মৃত্যু হলে কবর কোথায় হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সত্তোরর্ধ্ব নূরজাহানসহ একঘরে থাকা চার পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি নওগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের পশ্চিমে দিকে একটি কাঁচা রাস্তার উত্তর পাশে পাশাপাশি জাফর ও তাঁর দুই ভাইয়ের বাড়ি। সেখান থেকে প্রায় ২০০ গজ পশ্চিমে জাফর আলীর কাকা জিলাল আলীর বাড়ি। বাড়ির নারী সদস্যদের একজন বাড়ির দরজার সামনে বসে আছেন, আরেকজন ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন; আর জিলাল আলীর স্ত্রী বাড়ির সামনে মুদিদোকান করছেন। পুরুষদের কেউ জমিতে কাজ করতে গেছেন। কেউ আছেন এলাকার বাইরে।
এ বিষয়ে একঘরে হয়ে থাকা জিলাল উদ্দিন বলেন, ‘এক যুগ ধরে আমার তিন ভাতিজার পরিবারসহ আমার পরিবারকে একঘরে করা হয়েছে। প্রভাবশালী মোড়লদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ১২ বছর আগের ছোট মেয়েরা এখন বড় হলেও এলাকায় রেখে তাদের বিয়ে দিতে না পারা ও নানা সামাজিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
জিলাল উদ্দিন আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘বড় মেয়েকে গ্রামে রেখে বিয়ে দিতে না পারায় মানিকগঞ্জে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে বিয়ে দিয়েছি। আমি গরিব মানুষ অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখন ছোট মেয়েটা বড় হয়েছে, সে এখন অনার্সে পড়ছে। তাকে কীভাবে বিয়ে দেব চিন্তায় আছি। আমার ছেলেটা কারও বাড়িতে যেতে পারেন না, কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না। আমি স্বাধীন দেশে বসবাস করে স্বাধীনভাবে চলতে পারছি না। স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমি সরকারের হস্তক্ষেপ চাই।’
‘গ্রামের সালিস বিচারে মেয়েটিকে দোররা মারার ঘটনা আমি প্রতিবাদ করি। তাই আমাদের একঘরে করে রাখছে গ্রামের মাতবরেরা। গ্রামের কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে আমরা যেতে পারি না। মসজিদ, মাদ্রাসায় আমরা কিছু (অনুদান) দিতে পারি না। এটা আমাদের জন্য শুধু কষ্টের না, লজ্জারও।’ বলেন, একঘরে থাকা জাফর আলী।
জাফর আলীর স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, ‘কোরবানির ঈদে মাদ্রাসার মাঠে কোরবানির গোশত আনতে গেলে আমাগো পোলাপানরে গোশত দ্যায় না। পোলাপান খালি হাতে ফিরে আসে, এগুলো দেখে আমাগো কষ্ট লাগে।’
‘আমাগো একঘরে রাখায় ইচ্ছে থাকলেও প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলতে পারি না। মন ছুটলে যেতে পারি না নিজের প্রতিবেশীর বাড়িতে। এই অবস্থায় পরিবারের কারও মৃত্যু হলে কবর কোথায় হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’ বলেন, সত্তোরর্ধ্ব নূরজাহান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘জাফর ও তাঁর ভাইয়েরা খেটে খাওয়া মানুষ। গ্রামের কেউ তাঁদের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে মাতবরেরা হুঁশিয়ার করে দেন। গ্রামের অনেকেই তাঁদের বাড়িতে যান না, তাঁরাও কারও বাড়িতে আসেন না।’
চার পরিবারেকে একঘরে রাখার কথা স্বীকার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর হান্নান হানিফ বলেন, ‘বিষয়টি বেশ কয়েকবার মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ভুক্তভোগী ওই পরিবারের লোকজনদের মাতবরদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ যাননি।’
তবে ওই পরিবারগুলোকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাতবরেরা। এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য ও প্রধান অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চার পরিবারকে একঘরে রাখার কথা সত্য নয়। সমাজের লোকজনের সঙ্গে ওই পরিবারের সদস্য মেলামেশায় কোনো বিধিনিষেধ নেই।’ তবে তাদের ‘আচরণের কারণে’ সমাজের কিছু বিষয়ে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
একঘরে করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ইউএনও শান্তা রহমান। তিনি বলেন, ‘আগামী গণশুনানিতে ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। অভিযোগের বিষয়টি সত্য হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

একই গ্রামের হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নেননি গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা। সালিস বসিয়ে সাজা দেওয়া হয় মেয়েকে, সঙ্গে বিয়েতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী চারজনকে করা হয় একঘরে। এরই মধ্যে ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেছে, তবুও কাটেনি রেশ। একঘরে রয়েছে ওই চার পরিবার। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে ওই ছেলে ও মেয়ের পরিবারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি মাতবরেরা।
ঘটনাটি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামের। সমাজপতিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই চার পরিবার সমাজের কারও সঙ্গে কথা বললে গুনতে হবে এক হাজার টাকা। এমনকি কারও বাড়ির দাওয়াতে যেতে পারবেন না তাঁরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিথ্যা অপবাদে দীর্ঘ ১২ বছর একঘরে রাখায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন সামাজিকভাবে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ১২ বছর আগের পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েরা এখন বড় হয়েছে। একঘরে হয়ে থাকায় তাঁদের বিয়ে হচ্ছে না। এ বিষয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাফর আলী নামের এক ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে নওগাঁও গ্রামের হিন্দুধর্মের এক ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের গ্রামে ধরে এনে সালিস বসানো হয়। আব্দুর রাজ্জাক, আবু হোসেন, বাবু, শফিক মন্ডল, সাঈদ আলীসহ গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা সালিস বসান।
সালিসে মেয়েকে জুতা মারা হয়। তাঁদের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে ওই মেয়ের প্রতিবেশী কৃষক জাফর আলী, তাঁর ভাই সাদেক আলী ও আলম হোসেন এবং সাদেকের চাচা জিলাল উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এমনকি সমাজের কারও সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে এক হাজার টাকা জরিমানা, একঘরে থাকা চার পরিবারের বাড়িতে কেউ যেতে পারবেন না এবং তাঁরাও সমাজের কারও বাড়িতে যেতে পারবেন না—সালিসে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাহে কোনো অনুদান দিতে পারবেন না বলেও নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়।
এদিকে সালিস ডাকলে ওই হিন্দু ছেলে পালিয়ে যান। এরপর তাঁদের বিয়েও ভেঙে যায়।
একঘরে থাকা জাফর আলীর পঞ্চাশোর্ধ্ব স্ত্রী লিপি বেগম প্রায়ই ঘরের দরজার পাশে ভেজা চোখে বসে থাকেন। লিপি বেগমের পাশের ঘরে থাকা সাদেক আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগমেরও একই অবস্থা। জাহানারা বেগম ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে দেখেন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানুষদের।
এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল তাঁদের একঘরে করে রাখায় প্রতিবেশী কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না তাঁরা। মন চাইলেও যেতে পারেন না প্রতিবেশী কারও বাড়িতে। এ অবস্থায় পরিবারের কারও মৃত্যু হলে কবর কোথায় হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সত্তোরর্ধ্ব নূরজাহানসহ একঘরে থাকা চার পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি নওগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের পশ্চিমে দিকে একটি কাঁচা রাস্তার উত্তর পাশে পাশাপাশি জাফর ও তাঁর দুই ভাইয়ের বাড়ি। সেখান থেকে প্রায় ২০০ গজ পশ্চিমে জাফর আলীর কাকা জিলাল আলীর বাড়ি। বাড়ির নারী সদস্যদের একজন বাড়ির দরজার সামনে বসে আছেন, আরেকজন ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন; আর জিলাল আলীর স্ত্রী বাড়ির সামনে মুদিদোকান করছেন। পুরুষদের কেউ জমিতে কাজ করতে গেছেন। কেউ আছেন এলাকার বাইরে।
এ বিষয়ে একঘরে হয়ে থাকা জিলাল উদ্দিন বলেন, ‘এক যুগ ধরে আমার তিন ভাতিজার পরিবারসহ আমার পরিবারকে একঘরে করা হয়েছে। প্রভাবশালী মোড়লদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ১২ বছর আগের ছোট মেয়েরা এখন বড় হলেও এলাকায় রেখে তাদের বিয়ে দিতে না পারা ও নানা সামাজিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
জিলাল উদ্দিন আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘বড় মেয়েকে গ্রামে রেখে বিয়ে দিতে না পারায় মানিকগঞ্জে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে বিয়ে দিয়েছি। আমি গরিব মানুষ অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখন ছোট মেয়েটা বড় হয়েছে, সে এখন অনার্সে পড়ছে। তাকে কীভাবে বিয়ে দেব চিন্তায় আছি। আমার ছেলেটা কারও বাড়িতে যেতে পারেন না, কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না। আমি স্বাধীন দেশে বসবাস করে স্বাধীনভাবে চলতে পারছি না। স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমি সরকারের হস্তক্ষেপ চাই।’
‘গ্রামের সালিস বিচারে মেয়েটিকে দোররা মারার ঘটনা আমি প্রতিবাদ করি। তাই আমাদের একঘরে করে রাখছে গ্রামের মাতবরেরা। গ্রামের কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে আমরা যেতে পারি না। মসজিদ, মাদ্রাসায় আমরা কিছু (অনুদান) দিতে পারি না। এটা আমাদের জন্য শুধু কষ্টের না, লজ্জারও।’ বলেন, একঘরে থাকা জাফর আলী।
জাফর আলীর স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, ‘কোরবানির ঈদে মাদ্রাসার মাঠে কোরবানির গোশত আনতে গেলে আমাগো পোলাপানরে গোশত দ্যায় না। পোলাপান খালি হাতে ফিরে আসে, এগুলো দেখে আমাগো কষ্ট লাগে।’
‘আমাগো একঘরে রাখায় ইচ্ছে থাকলেও প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলতে পারি না। মন ছুটলে যেতে পারি না নিজের প্রতিবেশীর বাড়িতে। এই অবস্থায় পরিবারের কারও মৃত্যু হলে কবর কোথায় হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’ বলেন, সত্তোরর্ধ্ব নূরজাহান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘জাফর ও তাঁর ভাইয়েরা খেটে খাওয়া মানুষ। গ্রামের কেউ তাঁদের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে মাতবরেরা হুঁশিয়ার করে দেন। গ্রামের অনেকেই তাঁদের বাড়িতে যান না, তাঁরাও কারও বাড়িতে আসেন না।’
চার পরিবারেকে একঘরে রাখার কথা স্বীকার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর হান্নান হানিফ বলেন, ‘বিষয়টি বেশ কয়েকবার মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ভুক্তভোগী ওই পরিবারের লোকজনদের মাতবরদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ যাননি।’
তবে ওই পরিবারগুলোকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাতবরেরা। এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য ও প্রধান অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চার পরিবারকে একঘরে রাখার কথা সত্য নয়। সমাজের লোকজনের সঙ্গে ওই পরিবারের সদস্য মেলামেশায় কোনো বিধিনিষেধ নেই।’ তবে তাদের ‘আচরণের কারণে’ সমাজের কিছু বিষয়ে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
একঘরে করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ইউএনও শান্তা রহমান। তিনি বলেন, ‘আগামী গণশুনানিতে ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। অভিযোগের বিষয়টি সত্য হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১০ মিনিট আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৭ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের এই তথ্য জানান।
ফয়সাল কাদের জানান, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন কারণে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ মোল্যা, আবুল হাসান সিদ্দিক ও আরিফুর রহমান মিঠু। তবে তাঁরা চাইলে বিধি অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
এই আসনে যাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আউয়াল, বিএনপির রকিবুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর মাহফুজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ খান লিটন ও মইন মোহাম্মদ মায়াজ, বাসদের জনার্দন দত্ত, খেলাফত মজলিসের এফ এম হারুন অর রশিদ, এনডিএমের শেখ আরমান হোসেন এবং জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের এই তথ্য জানান।
ফয়সাল কাদের জানান, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন কারণে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ মোল্যা, আবুল হাসান সিদ্দিক ও আরিফুর রহমান মিঠু। তবে তাঁরা চাইলে বিধি অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
এই আসনে যাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আউয়াল, বিএনপির রকিবুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর মাহফুজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ খান লিটন ও মইন মোহাম্মদ মায়াজ, বাসদের জনার্দন দত্ত, খেলাফত মজলিসের এফ এম হারুন অর রশিদ, এনডিএমের শেখ আরমান হোসেন এবং জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন।

একই গ্রামের হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নেননি গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা। সালিস বসিয়ে সাজা দেওয়া হয় মেয়েকে, সঙ্গে বিয়েতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী চারজনকে করা হয় একঘরে। এরই মধ্যে ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেছ
১৫ মার্চ ২০২৪
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৭ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেমাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা কক্সবাজারে এসেছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের আবহ বিরাজ করায় অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, নাশকতা কিংবা সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একই সময়ে উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ থাকবে।
অলক বিশ্বাস জানান, বিধিনিষেধ কার্যকরের পাশাপাশি শহরের প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নজরদারি জোরদার করা হবে।
পর্যটকের উপস্থিতি
বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুরুতে কক্সবাজারে সাধারণত পর্যটকের ঢল নামে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সৈকতে ভিড় জমান। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮-৯ বছর ধরে সৈকতে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উন্মুক্ত কোনো আয়োজন হচ্ছে না। শহরের কয়েকটি মানসম্মত হোটেল ও রিসোর্টে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান হলেও এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সেসব আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেলের মালিকেরা।
হোটেল ও রিসোর্টের মালিকেরা বলেন, ‘শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে অনেক পর্যটক বুধবারের কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন। আবার যাঁরা মঙ্গল বা বুধবার কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের বড় অংশই সফর স্থগিত করেছেন।’
কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা কক্সবাজারে এসেছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের আবহ বিরাজ করায় অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, নাশকতা কিংবা সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একই সময়ে উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ থাকবে।
অলক বিশ্বাস জানান, বিধিনিষেধ কার্যকরের পাশাপাশি শহরের প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নজরদারি জোরদার করা হবে।
পর্যটকের উপস্থিতি
বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুরুতে কক্সবাজারে সাধারণত পর্যটকের ঢল নামে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সৈকতে ভিড় জমান। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮-৯ বছর ধরে সৈকতে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উন্মুক্ত কোনো আয়োজন হচ্ছে না। শহরের কয়েকটি মানসম্মত হোটেল ও রিসোর্টে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান হলেও এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সেসব আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেলের মালিকেরা।
হোটেল ও রিসোর্টের মালিকেরা বলেন, ‘শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে অনেক পর্যটক বুধবারের কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন। আবার যাঁরা মঙ্গল বা বুধবার কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের বড় অংশই সফর স্থগিত করেছেন।’
কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

একই গ্রামের হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নেননি গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা। সালিস বসিয়ে সাজা দেওয়া হয় মেয়েকে, সঙ্গে বিয়েতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী চারজনকে করা হয় একঘরে। এরই মধ্যে ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেছ
১৫ মার্চ ২০২৪
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ভ্যানযোগে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাছেত সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশটির পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় উদ্ঘাটনে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ভ্যানযোগে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাছেত সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশটির পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় উদ্ঘাটনে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

একই গ্রামের হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নেননি গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা। সালিস বসিয়ে সাজা দেওয়া হয় মেয়েকে, সঙ্গে বিয়েতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী চারজনকে করা হয় একঘরে। এরই মধ্যে ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেছ
১৫ মার্চ ২০২৪
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১০ মিনিট আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত রিংকি শাজাহানপুর উপজেলার নন্দকুল উত্তর পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে নুনগোলা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশীরা রিংকিকে বাড়ির উঠানে স্বাভাবিকভাবে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখেন। যদিও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে পারিবারিক কলহের কথা শোনা যেত। রাতের দিকে হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত রিংকির বোন আশা খাতুন জানান, বিকেলে রিংকির মোবাইল থেকে তাঁর ফোনে একটি মিসকল আসে। পরে একাধিকবার ফোন করলেও রিংকি ফোন ধরেননি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতে নুরুন্নবী ফোন করে জানায়, রিংকির ওপর জিনের আছর পড়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।
রিংকির মামি আয়না খাতুন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রিংকিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আলামত নষ্ট করতে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। আমরা এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী নুরুন্নবী ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বলেন, ‘এর আগে তাঁদের মধ্যে কোনো ঝগড়াবিবাদের কথা আমার জানা ছিল না। হঠাৎ রাতে মৃত্যুর খবর পাই। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার কোনো সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত রিংকি শাজাহানপুর উপজেলার নন্দকুল উত্তর পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে নুনগোলা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশীরা রিংকিকে বাড়ির উঠানে স্বাভাবিকভাবে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখেন। যদিও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে পারিবারিক কলহের কথা শোনা যেত। রাতের দিকে হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত রিংকির বোন আশা খাতুন জানান, বিকেলে রিংকির মোবাইল থেকে তাঁর ফোনে একটি মিসকল আসে। পরে একাধিকবার ফোন করলেও রিংকি ফোন ধরেননি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতে নুরুন্নবী ফোন করে জানায়, রিংকির ওপর জিনের আছর পড়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।
রিংকির মামি আয়না খাতুন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রিংকিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আলামত নষ্ট করতে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। আমরা এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী নুরুন্নবী ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বলেন, ‘এর আগে তাঁদের মধ্যে কোনো ঝগড়াবিবাদের কথা আমার জানা ছিল না। হঠাৎ রাতে মৃত্যুর খবর পাই। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার কোনো সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

একই গ্রামের হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে বিয়ে মেনে নেননি গ্রামের প্রভাবশালী মাতবরেরা। সালিস বসিয়ে সাজা দেওয়া হয় মেয়েকে, সঙ্গে বিয়েতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী চারজনকে করা হয় একঘরে। এরই মধ্যে ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেছ
১৫ মার্চ ২০২৪
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১০ মিনিট আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৭ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে