নাজমুল হাসান সাগর, শিবচর(মাদারীপুর) থেকে

পদ্মার দুই পাড়েই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোটসংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁকডাক, কোলাহল আর কর্মচাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্মচাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা বোঝা গেল লঞ্চে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন হকারের ছাড়া হাকে। ভ্রাম্যমাণ এসব ডিম, চানাচুর, ঝালমুড়ি, শরবত কিংবা লঞ্চের ক্যানটিন বয়রা গলা ছেড়ে সুর করে ডাকছে, ‘আইজকাই শ্যাষ, খায়া যান। কাইলকা থাইকা আর পাইবেন না।’
শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর। সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হলে যুগ যুগ ধরে পদ্মার বুকে দাপিয়ে বেড়ানো এসব লঞ্চ আর চলাচল করবে না। বন্ধ হয়ে যাবে লঞ্চকেন্দ্রিক নানা ক্ষুদ্র ব্যবসাও। তাই হকারেরা লঞ্চযাত্রীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ‘আজকেই শেষ দিন’। লঞ্চ ছাড়ার পরেই ক্যানটিন থেকে এসে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে একজন বলে গেল ‘ইলিশ ভাজা, ডাইল ভুনা আর গরম-গরম ভাত। আইজকাই শ্যাষ দিন, খাইতে চাইলে আইসা পড়েন নিচের ক্যানটিনে। এই খাওন আর পাইবেন না।’
জীবনে একবার যারা এই পথে লঞ্চ ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা অবশ্যই জানবেন, পদ্মার বুকে লঞ্চযাত্রার সঙ্গে সব থেকে পরিচিত যে বিষয়টি জড়িত। তা হলো ভাজা ইলিশ, ইলিশভাজা তেল আর ভাজা শুকনো মরিচ দিয়ে গরম-গরম কয়েক থালা ভাত খাওয়া। ক্ষুধার্ত যাত্রী তো বটেই, ইলিশ ভাজার ঘ্রাণে অনেক ভরপেটা মানুষও লোভ সামলাতে না পেরে খেতে বসে যান অনায়াসেই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
লঞ্চের নিচতলার ক্যানটিনে গিয়ে দেখা গেল, হলুদ-লবণ মাখানো ইলিশ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। খেতে আসা যাত্রীরা নিজের পছন্দমতো মাছের টুকরো নির্বাচন করে দিচ্ছেন। সেটি তাৎক্ষণিক ভেজে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাতে। গরম গরম ভাজা মাছ, তেল আর ভাতের সঙ্গে মসুর ডালের ভুনা। পদ্মার বুকে ভাসতে ভাসতে এমন খাওয়ার যে স্বর্গীয় সুখ, তা শনিবার থেকে আর পাওয়া যাবে না। সেতু দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার আনন্দের সঙ্গে যুগের পর যুগ চলে আসা লঞ্চের এই খাবার না খেতে পারার কষ্টটা একধরনের অম্লমধুর অনুভূতির সৃষ্টি করেছে নিয়মিত পদ্মা পাড়ি দেওয়া মানুষগুলোর মনে। এমন একজন ইখলাস মাতবর। তিনি বলেন, ‘কালকের পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে সহজেই পদ্মা পাড়ি দিতে পারব। এটা খুব আনন্দের বিষয়। জন্মের পর থেকে লঞ্চ বা ফেরিতে করে আমরা যেভাবে পদ্মা পাড়ি দিয়েছি, তার অনেক অনুষঙ্গই আমাদের যাপিত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিনের এসব অনুষঙ্গ আমাদের জীবনে একধরনের অভ্যস্ততা তৈরি করেছে। কাল বা পরশু থেকে এসব থাকবে না ভাবতেই কেমন জানি লাগছে। এ এক মিশ্র অনুভূতি, যা বলে বোঝানো সম্ভব না।’
সাত বছর বয়সে ভাইয়ের সঙ্গে বাগেরহাট থেকে ঘুরতে এসে লঞ্চের ক্যানটিনে কাজ শুরু করেন মো. জহিরুল ইসলাম। একপর্যায়ে পুরো ক্যানটিনের দায়িত্ব নেন তিনি। সব মিলিয়ে পেশা হিসেবে লঞ্চের ক্যানটিনে ইলিশ ভাত বিক্রি করছেন ১৭ বছর। শনিবার থেকে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসাও কী বন্ধ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল বলেন, ‘এই ট্রিপের পরেই ব্যবসা বন্ধ। সেতু হওয়ায় অনেক মানুষের উপকার হইছে। যাতায়াতের কষ্ট দূর হইব। আমরাও খুশি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হইলে আমাগো ব্যবসার জায়গাও তো বন্ধ হইব। এইটা নিয়া দুঃখ নাই।’ এমনটা জানিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলেন তিনি।
দুঃখ নেই বলে মুচকি হাসি দেওয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকা কিছু অনিশ্চয়তা ঢাকার চেষ্টা করলেও সেটা আর পারলেন না জহিরুল। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই ব্যবসা বন্ধ হলে কী করবেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘বাগেরহাটে চইলা যামু। আপাতত কী করমু না করমু ভাবি নাই। বিকল্প কোনো কাজও নাই। হয়তো কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে হইব।’
কানে ভেসে এলো যাত্রীদের উদ্দেশে বলা শরবত বিক্রেতার কথা। তিনি বলছেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর লঞ্চে লঞ্চে শরবত বিক্রি করি। কাল থেকে আর এই লঞ্চও থাকবে না, আপনারা শরবতও পাইবেন না। আইজকাই শ্যাষ সুযোগ, চাইলে খায়া দেখতে পারেন। আইজ পর্যন্ত এই শরবত খায়া কেউ দুর্নাম করতে পারে নাই। ভালো না লাগলে টাকা ফেরত।’ শরবত বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন ছিল, কাল থেকে কী করবেন? এক কথায় উত্তর দিলেন, ‘জানি নাহ্।’
লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনেকেই পদ্মা সেতু দেখছিলেন। কেউ কেউ সেতু নিয়ে তাঁদের বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। লঞ্চ কিংবা ফেরিতে আরও একটি জনপ্রিয় খাবার—মিষ্টি পাউরুটি। কয়েকজন যাত্রী আবার হকারের থেকে বেশ কয়েক প্যাকেট পাউরুটি কিনে নির্দিষ্ট দামের থেকে বেশিই টাকা দিচ্ছিলেন। সহাস্যে পাউরুটি বিক্রেতা বললেন, ‘টাকা বেশি দিলেই কী মামা। আমরা তো জীবিকা হারাইলাম। আপনেগো তো সুবিধা হইল।’
এবার কথা হলো লঞ্চের মাস্টার ইমরান মোল্লার সঙ্গে। এই পথে এই লঞ্চে এটাই তার শেষ যাত্রা। এই লঞ্চ ঘাটে ভিড়িয়ে চলে যাবেন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। তাঁর কাছে সেতু নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সেতুটা দরকার। কত মানুষের জীবন যে সহজ, সুন্দর হইব এটা কাইল থাইকা বোঝা যাইব। কর্ম হারানির কষ্ট নাই। কোথাও না কোথাও কাজ কইরা খাইতে পারমু। কিন্তু এত দিন এই ঘাটে, লঞ্চে যাগো সঙ্গে চলাচল, উঠাবসা করছি, তারা কে কই যাইব, কেউ জানে না। একটা পরিবারের মতো ছিলাম আমরা। এই পরিবারের জন্য মায়া লাগতেছে।’
অন্য সবকিছুর মতোই এই লঞ্চেরও আজ শেষ যাত্রা এই ঘাটে। লঞ্চের সঙ্গে শেষ হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ, ক্লান্তি, অসহায়ত্ব আর দীর্ঘদিনের যাতায়াতের লড়াই। এসব শেষ দিয়েই শুরু হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নতুন জীবন-জীবিকা।

পদ্মার দুই পাড়েই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোটসংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁকডাক, কোলাহল আর কর্মচাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্মচাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা বোঝা গেল লঞ্চে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন হকারের ছাড়া হাকে। ভ্রাম্যমাণ এসব ডিম, চানাচুর, ঝালমুড়ি, শরবত কিংবা লঞ্চের ক্যানটিন বয়রা গলা ছেড়ে সুর করে ডাকছে, ‘আইজকাই শ্যাষ, খায়া যান। কাইলকা থাইকা আর পাইবেন না।’
শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর। সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হলে যুগ যুগ ধরে পদ্মার বুকে দাপিয়ে বেড়ানো এসব লঞ্চ আর চলাচল করবে না। বন্ধ হয়ে যাবে লঞ্চকেন্দ্রিক নানা ক্ষুদ্র ব্যবসাও। তাই হকারেরা লঞ্চযাত্রীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ‘আজকেই শেষ দিন’। লঞ্চ ছাড়ার পরেই ক্যানটিন থেকে এসে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে একজন বলে গেল ‘ইলিশ ভাজা, ডাইল ভুনা আর গরম-গরম ভাত। আইজকাই শ্যাষ দিন, খাইতে চাইলে আইসা পড়েন নিচের ক্যানটিনে। এই খাওন আর পাইবেন না।’
জীবনে একবার যারা এই পথে লঞ্চ ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা অবশ্যই জানবেন, পদ্মার বুকে লঞ্চযাত্রার সঙ্গে সব থেকে পরিচিত যে বিষয়টি জড়িত। তা হলো ভাজা ইলিশ, ইলিশভাজা তেল আর ভাজা শুকনো মরিচ দিয়ে গরম-গরম কয়েক থালা ভাত খাওয়া। ক্ষুধার্ত যাত্রী তো বটেই, ইলিশ ভাজার ঘ্রাণে অনেক ভরপেটা মানুষও লোভ সামলাতে না পেরে খেতে বসে যান অনায়াসেই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
লঞ্চের নিচতলার ক্যানটিনে গিয়ে দেখা গেল, হলুদ-লবণ মাখানো ইলিশ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। খেতে আসা যাত্রীরা নিজের পছন্দমতো মাছের টুকরো নির্বাচন করে দিচ্ছেন। সেটি তাৎক্ষণিক ভেজে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাতে। গরম গরম ভাজা মাছ, তেল আর ভাতের সঙ্গে মসুর ডালের ভুনা। পদ্মার বুকে ভাসতে ভাসতে এমন খাওয়ার যে স্বর্গীয় সুখ, তা শনিবার থেকে আর পাওয়া যাবে না। সেতু দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার আনন্দের সঙ্গে যুগের পর যুগ চলে আসা লঞ্চের এই খাবার না খেতে পারার কষ্টটা একধরনের অম্লমধুর অনুভূতির সৃষ্টি করেছে নিয়মিত পদ্মা পাড়ি দেওয়া মানুষগুলোর মনে। এমন একজন ইখলাস মাতবর। তিনি বলেন, ‘কালকের পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে সহজেই পদ্মা পাড়ি দিতে পারব। এটা খুব আনন্দের বিষয়। জন্মের পর থেকে লঞ্চ বা ফেরিতে করে আমরা যেভাবে পদ্মা পাড়ি দিয়েছি, তার অনেক অনুষঙ্গই আমাদের যাপিত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিনের এসব অনুষঙ্গ আমাদের জীবনে একধরনের অভ্যস্ততা তৈরি করেছে। কাল বা পরশু থেকে এসব থাকবে না ভাবতেই কেমন জানি লাগছে। এ এক মিশ্র অনুভূতি, যা বলে বোঝানো সম্ভব না।’
সাত বছর বয়সে ভাইয়ের সঙ্গে বাগেরহাট থেকে ঘুরতে এসে লঞ্চের ক্যানটিনে কাজ শুরু করেন মো. জহিরুল ইসলাম। একপর্যায়ে পুরো ক্যানটিনের দায়িত্ব নেন তিনি। সব মিলিয়ে পেশা হিসেবে লঞ্চের ক্যানটিনে ইলিশ ভাত বিক্রি করছেন ১৭ বছর। শনিবার থেকে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসাও কী বন্ধ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল বলেন, ‘এই ট্রিপের পরেই ব্যবসা বন্ধ। সেতু হওয়ায় অনেক মানুষের উপকার হইছে। যাতায়াতের কষ্ট দূর হইব। আমরাও খুশি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হইলে আমাগো ব্যবসার জায়গাও তো বন্ধ হইব। এইটা নিয়া দুঃখ নাই।’ এমনটা জানিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলেন তিনি।
দুঃখ নেই বলে মুচকি হাসি দেওয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকা কিছু অনিশ্চয়তা ঢাকার চেষ্টা করলেও সেটা আর পারলেন না জহিরুল। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই ব্যবসা বন্ধ হলে কী করবেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘বাগেরহাটে চইলা যামু। আপাতত কী করমু না করমু ভাবি নাই। বিকল্প কোনো কাজও নাই। হয়তো কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে হইব।’
কানে ভেসে এলো যাত্রীদের উদ্দেশে বলা শরবত বিক্রেতার কথা। তিনি বলছেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর লঞ্চে লঞ্চে শরবত বিক্রি করি। কাল থেকে আর এই লঞ্চও থাকবে না, আপনারা শরবতও পাইবেন না। আইজকাই শ্যাষ সুযোগ, চাইলে খায়া দেখতে পারেন। আইজ পর্যন্ত এই শরবত খায়া কেউ দুর্নাম করতে পারে নাই। ভালো না লাগলে টাকা ফেরত।’ শরবত বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন ছিল, কাল থেকে কী করবেন? এক কথায় উত্তর দিলেন, ‘জানি নাহ্।’
লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনেকেই পদ্মা সেতু দেখছিলেন। কেউ কেউ সেতু নিয়ে তাঁদের বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। লঞ্চ কিংবা ফেরিতে আরও একটি জনপ্রিয় খাবার—মিষ্টি পাউরুটি। কয়েকজন যাত্রী আবার হকারের থেকে বেশ কয়েক প্যাকেট পাউরুটি কিনে নির্দিষ্ট দামের থেকে বেশিই টাকা দিচ্ছিলেন। সহাস্যে পাউরুটি বিক্রেতা বললেন, ‘টাকা বেশি দিলেই কী মামা। আমরা তো জীবিকা হারাইলাম। আপনেগো তো সুবিধা হইল।’
এবার কথা হলো লঞ্চের মাস্টার ইমরান মোল্লার সঙ্গে। এই পথে এই লঞ্চে এটাই তার শেষ যাত্রা। এই লঞ্চ ঘাটে ভিড়িয়ে চলে যাবেন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। তাঁর কাছে সেতু নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সেতুটা দরকার। কত মানুষের জীবন যে সহজ, সুন্দর হইব এটা কাইল থাইকা বোঝা যাইব। কর্ম হারানির কষ্ট নাই। কোথাও না কোথাও কাজ কইরা খাইতে পারমু। কিন্তু এত দিন এই ঘাটে, লঞ্চে যাগো সঙ্গে চলাচল, উঠাবসা করছি, তারা কে কই যাইব, কেউ জানে না। একটা পরিবারের মতো ছিলাম আমরা। এই পরিবারের জন্য মায়া লাগতেছে।’
অন্য সবকিছুর মতোই এই লঞ্চেরও আজ শেষ যাত্রা এই ঘাটে। লঞ্চের সঙ্গে শেষ হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ, ক্লান্তি, অসহায়ত্ব আর দীর্ঘদিনের যাতায়াতের লড়াই। এসব শেষ দিয়েই শুরু হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নতুন জীবন-জীবিকা।
নাজমুল হাসান সাগর, শিবচর(মাদারীপুর) থেকে

পদ্মার দুই পাড়েই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোটসংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁকডাক, কোলাহল আর কর্মচাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্মচাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা বোঝা গেল লঞ্চে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন হকারের ছাড়া হাকে। ভ্রাম্যমাণ এসব ডিম, চানাচুর, ঝালমুড়ি, শরবত কিংবা লঞ্চের ক্যানটিন বয়রা গলা ছেড়ে সুর করে ডাকছে, ‘আইজকাই শ্যাষ, খায়া যান। কাইলকা থাইকা আর পাইবেন না।’
শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর। সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হলে যুগ যুগ ধরে পদ্মার বুকে দাপিয়ে বেড়ানো এসব লঞ্চ আর চলাচল করবে না। বন্ধ হয়ে যাবে লঞ্চকেন্দ্রিক নানা ক্ষুদ্র ব্যবসাও। তাই হকারেরা লঞ্চযাত্রীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ‘আজকেই শেষ দিন’। লঞ্চ ছাড়ার পরেই ক্যানটিন থেকে এসে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে একজন বলে গেল ‘ইলিশ ভাজা, ডাইল ভুনা আর গরম-গরম ভাত। আইজকাই শ্যাষ দিন, খাইতে চাইলে আইসা পড়েন নিচের ক্যানটিনে। এই খাওন আর পাইবেন না।’
জীবনে একবার যারা এই পথে লঞ্চ ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা অবশ্যই জানবেন, পদ্মার বুকে লঞ্চযাত্রার সঙ্গে সব থেকে পরিচিত যে বিষয়টি জড়িত। তা হলো ভাজা ইলিশ, ইলিশভাজা তেল আর ভাজা শুকনো মরিচ দিয়ে গরম-গরম কয়েক থালা ভাত খাওয়া। ক্ষুধার্ত যাত্রী তো বটেই, ইলিশ ভাজার ঘ্রাণে অনেক ভরপেটা মানুষও লোভ সামলাতে না পেরে খেতে বসে যান অনায়াসেই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
লঞ্চের নিচতলার ক্যানটিনে গিয়ে দেখা গেল, হলুদ-লবণ মাখানো ইলিশ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। খেতে আসা যাত্রীরা নিজের পছন্দমতো মাছের টুকরো নির্বাচন করে দিচ্ছেন। সেটি তাৎক্ষণিক ভেজে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাতে। গরম গরম ভাজা মাছ, তেল আর ভাতের সঙ্গে মসুর ডালের ভুনা। পদ্মার বুকে ভাসতে ভাসতে এমন খাওয়ার যে স্বর্গীয় সুখ, তা শনিবার থেকে আর পাওয়া যাবে না। সেতু দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার আনন্দের সঙ্গে যুগের পর যুগ চলে আসা লঞ্চের এই খাবার না খেতে পারার কষ্টটা একধরনের অম্লমধুর অনুভূতির সৃষ্টি করেছে নিয়মিত পদ্মা পাড়ি দেওয়া মানুষগুলোর মনে। এমন একজন ইখলাস মাতবর। তিনি বলেন, ‘কালকের পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে সহজেই পদ্মা পাড়ি দিতে পারব। এটা খুব আনন্দের বিষয়। জন্মের পর থেকে লঞ্চ বা ফেরিতে করে আমরা যেভাবে পদ্মা পাড়ি দিয়েছি, তার অনেক অনুষঙ্গই আমাদের যাপিত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিনের এসব অনুষঙ্গ আমাদের জীবনে একধরনের অভ্যস্ততা তৈরি করেছে। কাল বা পরশু থেকে এসব থাকবে না ভাবতেই কেমন জানি লাগছে। এ এক মিশ্র অনুভূতি, যা বলে বোঝানো সম্ভব না।’
সাত বছর বয়সে ভাইয়ের সঙ্গে বাগেরহাট থেকে ঘুরতে এসে লঞ্চের ক্যানটিনে কাজ শুরু করেন মো. জহিরুল ইসলাম। একপর্যায়ে পুরো ক্যানটিনের দায়িত্ব নেন তিনি। সব মিলিয়ে পেশা হিসেবে লঞ্চের ক্যানটিনে ইলিশ ভাত বিক্রি করছেন ১৭ বছর। শনিবার থেকে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসাও কী বন্ধ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল বলেন, ‘এই ট্রিপের পরেই ব্যবসা বন্ধ। সেতু হওয়ায় অনেক মানুষের উপকার হইছে। যাতায়াতের কষ্ট দূর হইব। আমরাও খুশি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হইলে আমাগো ব্যবসার জায়গাও তো বন্ধ হইব। এইটা নিয়া দুঃখ নাই।’ এমনটা জানিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলেন তিনি।
দুঃখ নেই বলে মুচকি হাসি দেওয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকা কিছু অনিশ্চয়তা ঢাকার চেষ্টা করলেও সেটা আর পারলেন না জহিরুল। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই ব্যবসা বন্ধ হলে কী করবেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘বাগেরহাটে চইলা যামু। আপাতত কী করমু না করমু ভাবি নাই। বিকল্প কোনো কাজও নাই। হয়তো কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে হইব।’
কানে ভেসে এলো যাত্রীদের উদ্দেশে বলা শরবত বিক্রেতার কথা। তিনি বলছেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর লঞ্চে লঞ্চে শরবত বিক্রি করি। কাল থেকে আর এই লঞ্চও থাকবে না, আপনারা শরবতও পাইবেন না। আইজকাই শ্যাষ সুযোগ, চাইলে খায়া দেখতে পারেন। আইজ পর্যন্ত এই শরবত খায়া কেউ দুর্নাম করতে পারে নাই। ভালো না লাগলে টাকা ফেরত।’ শরবত বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন ছিল, কাল থেকে কী করবেন? এক কথায় উত্তর দিলেন, ‘জানি নাহ্।’
লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনেকেই পদ্মা সেতু দেখছিলেন। কেউ কেউ সেতু নিয়ে তাঁদের বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। লঞ্চ কিংবা ফেরিতে আরও একটি জনপ্রিয় খাবার—মিষ্টি পাউরুটি। কয়েকজন যাত্রী আবার হকারের থেকে বেশ কয়েক প্যাকেট পাউরুটি কিনে নির্দিষ্ট দামের থেকে বেশিই টাকা দিচ্ছিলেন। সহাস্যে পাউরুটি বিক্রেতা বললেন, ‘টাকা বেশি দিলেই কী মামা। আমরা তো জীবিকা হারাইলাম। আপনেগো তো সুবিধা হইল।’
এবার কথা হলো লঞ্চের মাস্টার ইমরান মোল্লার সঙ্গে। এই পথে এই লঞ্চে এটাই তার শেষ যাত্রা। এই লঞ্চ ঘাটে ভিড়িয়ে চলে যাবেন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। তাঁর কাছে সেতু নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সেতুটা দরকার। কত মানুষের জীবন যে সহজ, সুন্দর হইব এটা কাইল থাইকা বোঝা যাইব। কর্ম হারানির কষ্ট নাই। কোথাও না কোথাও কাজ কইরা খাইতে পারমু। কিন্তু এত দিন এই ঘাটে, লঞ্চে যাগো সঙ্গে চলাচল, উঠাবসা করছি, তারা কে কই যাইব, কেউ জানে না। একটা পরিবারের মতো ছিলাম আমরা। এই পরিবারের জন্য মায়া লাগতেছে।’
অন্য সবকিছুর মতোই এই লঞ্চেরও আজ শেষ যাত্রা এই ঘাটে। লঞ্চের সঙ্গে শেষ হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ, ক্লান্তি, অসহায়ত্ব আর দীর্ঘদিনের যাতায়াতের লড়াই। এসব শেষ দিয়েই শুরু হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নতুন জীবন-জীবিকা।

পদ্মার দুই পাড়েই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোটসংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁকডাক, কোলাহল আর কর্মচাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্মচাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা বোঝা গেল লঞ্চে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন হকারের ছাড়া হাকে। ভ্রাম্যমাণ এসব ডিম, চানাচুর, ঝালমুড়ি, শরবত কিংবা লঞ্চের ক্যানটিন বয়রা গলা ছেড়ে সুর করে ডাকছে, ‘আইজকাই শ্যাষ, খায়া যান। কাইলকা থাইকা আর পাইবেন না।’
শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর। সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হলে যুগ যুগ ধরে পদ্মার বুকে দাপিয়ে বেড়ানো এসব লঞ্চ আর চলাচল করবে না। বন্ধ হয়ে যাবে লঞ্চকেন্দ্রিক নানা ক্ষুদ্র ব্যবসাও। তাই হকারেরা লঞ্চযাত্রীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ‘আজকেই শেষ দিন’। লঞ্চ ছাড়ার পরেই ক্যানটিন থেকে এসে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে একজন বলে গেল ‘ইলিশ ভাজা, ডাইল ভুনা আর গরম-গরম ভাত। আইজকাই শ্যাষ দিন, খাইতে চাইলে আইসা পড়েন নিচের ক্যানটিনে। এই খাওন আর পাইবেন না।’
জীবনে একবার যারা এই পথে লঞ্চ ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা অবশ্যই জানবেন, পদ্মার বুকে লঞ্চযাত্রার সঙ্গে সব থেকে পরিচিত যে বিষয়টি জড়িত। তা হলো ভাজা ইলিশ, ইলিশভাজা তেল আর ভাজা শুকনো মরিচ দিয়ে গরম-গরম কয়েক থালা ভাত খাওয়া। ক্ষুধার্ত যাত্রী তো বটেই, ইলিশ ভাজার ঘ্রাণে অনেক ভরপেটা মানুষও লোভ সামলাতে না পেরে খেতে বসে যান অনায়াসেই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
লঞ্চের নিচতলার ক্যানটিনে গিয়ে দেখা গেল, হলুদ-লবণ মাখানো ইলিশ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। খেতে আসা যাত্রীরা নিজের পছন্দমতো মাছের টুকরো নির্বাচন করে দিচ্ছেন। সেটি তাৎক্ষণিক ভেজে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাতে। গরম গরম ভাজা মাছ, তেল আর ভাতের সঙ্গে মসুর ডালের ভুনা। পদ্মার বুকে ভাসতে ভাসতে এমন খাওয়ার যে স্বর্গীয় সুখ, তা শনিবার থেকে আর পাওয়া যাবে না। সেতু দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার আনন্দের সঙ্গে যুগের পর যুগ চলে আসা লঞ্চের এই খাবার না খেতে পারার কষ্টটা একধরনের অম্লমধুর অনুভূতির সৃষ্টি করেছে নিয়মিত পদ্মা পাড়ি দেওয়া মানুষগুলোর মনে। এমন একজন ইখলাস মাতবর। তিনি বলেন, ‘কালকের পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে সহজেই পদ্মা পাড়ি দিতে পারব। এটা খুব আনন্দের বিষয়। জন্মের পর থেকে লঞ্চ বা ফেরিতে করে আমরা যেভাবে পদ্মা পাড়ি দিয়েছি, তার অনেক অনুষঙ্গই আমাদের যাপিত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিনের এসব অনুষঙ্গ আমাদের জীবনে একধরনের অভ্যস্ততা তৈরি করেছে। কাল বা পরশু থেকে এসব থাকবে না ভাবতেই কেমন জানি লাগছে। এ এক মিশ্র অনুভূতি, যা বলে বোঝানো সম্ভব না।’
সাত বছর বয়সে ভাইয়ের সঙ্গে বাগেরহাট থেকে ঘুরতে এসে লঞ্চের ক্যানটিনে কাজ শুরু করেন মো. জহিরুল ইসলাম। একপর্যায়ে পুরো ক্যানটিনের দায়িত্ব নেন তিনি। সব মিলিয়ে পেশা হিসেবে লঞ্চের ক্যানটিনে ইলিশ ভাত বিক্রি করছেন ১৭ বছর। শনিবার থেকে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসাও কী বন্ধ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল বলেন, ‘এই ট্রিপের পরেই ব্যবসা বন্ধ। সেতু হওয়ায় অনেক মানুষের উপকার হইছে। যাতায়াতের কষ্ট দূর হইব। আমরাও খুশি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হইলে আমাগো ব্যবসার জায়গাও তো বন্ধ হইব। এইটা নিয়া দুঃখ নাই।’ এমনটা জানিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলেন তিনি।
দুঃখ নেই বলে মুচকি হাসি দেওয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকা কিছু অনিশ্চয়তা ঢাকার চেষ্টা করলেও সেটা আর পারলেন না জহিরুল। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই ব্যবসা বন্ধ হলে কী করবেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘বাগেরহাটে চইলা যামু। আপাতত কী করমু না করমু ভাবি নাই। বিকল্প কোনো কাজও নাই। হয়তো কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে হইব।’
কানে ভেসে এলো যাত্রীদের উদ্দেশে বলা শরবত বিক্রেতার কথা। তিনি বলছেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর লঞ্চে লঞ্চে শরবত বিক্রি করি। কাল থেকে আর এই লঞ্চও থাকবে না, আপনারা শরবতও পাইবেন না। আইজকাই শ্যাষ সুযোগ, চাইলে খায়া দেখতে পারেন। আইজ পর্যন্ত এই শরবত খায়া কেউ দুর্নাম করতে পারে নাই। ভালো না লাগলে টাকা ফেরত।’ শরবত বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন ছিল, কাল থেকে কী করবেন? এক কথায় উত্তর দিলেন, ‘জানি নাহ্।’
লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনেকেই পদ্মা সেতু দেখছিলেন। কেউ কেউ সেতু নিয়ে তাঁদের বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। লঞ্চ কিংবা ফেরিতে আরও একটি জনপ্রিয় খাবার—মিষ্টি পাউরুটি। কয়েকজন যাত্রী আবার হকারের থেকে বেশ কয়েক প্যাকেট পাউরুটি কিনে নির্দিষ্ট দামের থেকে বেশিই টাকা দিচ্ছিলেন। সহাস্যে পাউরুটি বিক্রেতা বললেন, ‘টাকা বেশি দিলেই কী মামা। আমরা তো জীবিকা হারাইলাম। আপনেগো তো সুবিধা হইল।’
এবার কথা হলো লঞ্চের মাস্টার ইমরান মোল্লার সঙ্গে। এই পথে এই লঞ্চে এটাই তার শেষ যাত্রা। এই লঞ্চ ঘাটে ভিড়িয়ে চলে যাবেন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। তাঁর কাছে সেতু নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সেতুটা দরকার। কত মানুষের জীবন যে সহজ, সুন্দর হইব এটা কাইল থাইকা বোঝা যাইব। কর্ম হারানির কষ্ট নাই। কোথাও না কোথাও কাজ কইরা খাইতে পারমু। কিন্তু এত দিন এই ঘাটে, লঞ্চে যাগো সঙ্গে চলাচল, উঠাবসা করছি, তারা কে কই যাইব, কেউ জানে না। একটা পরিবারের মতো ছিলাম আমরা। এই পরিবারের জন্য মায়া লাগতেছে।’
অন্য সবকিছুর মতোই এই লঞ্চেরও আজ শেষ যাত্রা এই ঘাটে। লঞ্চের সঙ্গে শেষ হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ, ক্লান্তি, অসহায়ত্ব আর দীর্ঘদিনের যাতায়াতের লড়াই। এসব শেষ দিয়েই শুরু হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নতুন জীবন-জীবিকা।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পদ্মার দুই পারেই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁক-ডাক, কোলাহল আর কর্ম চাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্ম চাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে।
২৪ জুন ২০২২
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

পদ্মার দুই পারেই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁক-ডাক, কোলাহল আর কর্ম চাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্ম চাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে।
২৪ জুন ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

পদ্মার দুই পারেই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁক-ডাক, কোলাহল আর কর্ম চাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্ম চাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে।
২৪ জুন ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

পদ্মার দুই পারেই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁক-ডাক, কোলাহল আর কর্ম চাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্ম চাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে।
২৪ জুন ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে