দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মণ্ডপগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আয়োজকেরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২২টি বেড়ে মোট ২৫০টিতে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপন মনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়োজকেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ।
প্রতিমাশিল্পী কুমারেশ দাস জানান, শেষ সময়ে প্রতিমাশিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাহিদা বেশি।
মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, ‘আশা করছি প্রতিবছরের মতো এ বছরও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ধর্মকে সম্মান জানানো প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এলাকার সবাই আমাদের পাশে থাকেন। আশা করি এবারও তার ব্যতয় হবে না।’
কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভুজার আগমণ হবে হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায়।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় ২৫০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি ও দৌলতপুরে ১২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার ২২টি মণ্ডপে পূজা বেড়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২টি পূজা বেশি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি পূজামন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে পূজা মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যার যার ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করা তাদের অধিকার। কোনো প্রোপাগান্ডা ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকার মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মব সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মণ্ডপগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আয়োজকেরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২২টি বেড়ে মোট ২৫০টিতে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপন মনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়োজকেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ।
প্রতিমাশিল্পী কুমারেশ দাস জানান, শেষ সময়ে প্রতিমাশিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাহিদা বেশি।
মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, ‘আশা করছি প্রতিবছরের মতো এ বছরও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ধর্মকে সম্মান জানানো প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এলাকার সবাই আমাদের পাশে থাকেন। আশা করি এবারও তার ব্যতয় হবে না।’
কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভুজার আগমণ হবে হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায়।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় ২৫০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি ও দৌলতপুরে ১২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার ২২টি মণ্ডপে পূজা বেড়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২টি পূজা বেশি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি পূজামন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে পূজা মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যার যার ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করা তাদের অধিকার। কোনো প্রোপাগান্ডা ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকার মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মব সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মণ্ডপগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আয়োজকেরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২২টি বেড়ে মোট ২৫০টিতে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপন মনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়োজকেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ।
প্রতিমাশিল্পী কুমারেশ দাস জানান, শেষ সময়ে প্রতিমাশিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাহিদা বেশি।
মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, ‘আশা করছি প্রতিবছরের মতো এ বছরও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ধর্মকে সম্মান জানানো প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এলাকার সবাই আমাদের পাশে থাকেন। আশা করি এবারও তার ব্যতয় হবে না।’
কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভুজার আগমণ হবে হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায়।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় ২৫০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি ও দৌলতপুরে ১২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার ২২টি মণ্ডপে পূজা বেড়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২টি পূজা বেশি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি পূজামন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে পূজা মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যার যার ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করা তাদের অধিকার। কোনো প্রোপাগান্ডা ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকার মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মব সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মণ্ডপগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আয়োজকেরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২২টি বেড়ে মোট ২৫০টিতে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপন মনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়োজকেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ।
প্রতিমাশিল্পী কুমারেশ দাস জানান, শেষ সময়ে প্রতিমাশিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাহিদা বেশি।
মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, ‘আশা করছি প্রতিবছরের মতো এ বছরও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ধর্মকে সম্মান জানানো প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এলাকার সবাই আমাদের পাশে থাকেন। আশা করি এবারও তার ব্যতয় হবে না।’
কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভুজার আগমণ হবে হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায়।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় ২৫০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি ও দৌলতপুরে ১২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার ২২টি মণ্ডপে পূজা বেড়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২টি পূজা বেশি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি পূজামন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে পূজা মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যার যার ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করা তাদের অধিকার। কোনো প্রোপাগান্ডা ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকার মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মব সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কাজ ও বসার জায়গা ছাড়া সাড়ে ৫ মাস ধরে বাইরের বেঞ্চে বসে অফিস সময় পার করতে হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৮ কর্মচারীকে। বিসিসি প্রশাসকের দপ্তরের সামনের খোলা জায়গায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেঞ্চে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অলস সময় কাটান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
একসময় ‘ঝাউবাগান’ নামে বেশ পরিচিত ছিল। ঝাউগাছের ঘন ছায়ায় বসে দেখা যেত জাহাজ চলাচল, লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ আর সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। এমন সৌন্দর্যের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবকাঠামো আছে, সরঞ্জামও আছে। তবু উদ্বোধনের চার বছর পরও সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি দিনাজপুরের খানসামায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। অযত্নে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এদিকে হাসপাতালটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ নানা জিন
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। জেলার ছয়টি আসনেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর সারা দেশে ২৩৭টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

কাজ ও বসার জায়গা ছাড়া সাড়ে ৫ মাস ধরে বাইরের বেঞ্চে বসে অফিস সময় পার করতে হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৮ কর্মচারীকে। বিসিসি প্রশাসকের দপ্তরের সামনের খোলা জায়গায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেঞ্চে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অলস সময় কাটান তাঁরা।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত ওএসডির অফিস আদেশে ৯ কর্মচারীকে প্রশাসকের দপ্তরে ওএসডি করা হয়।
ওএসডি হওয়া কর্মচারীরা হলেন অ্যাসেসর মোস্তা গাউসুল হক খুসবু ও মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যক্তিগত সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হেলাল উদ্দিন ও ইমরান সাকিল, হিসাব সহকারী সোহেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাসেসর মেহেদী হাসান, হাটবাজার সহকারী রাহাত হোসেন, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম ও পানি শাখার সহকারী তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন পান্না। অবশ্য পান্না ওএসডি হওয়ার পরদিনই স্বেচ্ছায় অবসরে যান।
ওএসডির পর থেকে ৮ কর্মচারীর বসার কোনো জায়গা নেই, নেই কোনো কাজ। কিন্তু প্রতিদিনই তাঁদের সকাল ৯টায় অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা দিতে হয়। সে সঙ্গে বাইরের বেঞ্চে বসে থাকতে হয় শেষ অফিস সময় পর্যন্ত।
গত বৃহস্পতিবার নগর ভবনের বিসিসির প্রশাসক মো. রায়হান কাওছারের দপ্তরের সামনে এক বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা গেছে ৮ কর্মচারীকে। কয়েকজন দর্শনার্থীও পাশের বেঞ্চে বসেছিলেন। তবে গত মঙ্গলবারের পর নগর ভবনে ঢোকেননি প্রশাসক রায়হান কাওছার।
প্রশাসক কার্যালয়ে থাকুন কিংবা নাই থাকুন, ওই কর্মচারীদের দিনভর এভাবেই বসে থাকতে হয়।
ব্যক্তিগত সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হেলাল উদ্দিন বলেন, ওএসডি কী কারণে করেছে জানেন না। তিনি বলেন, বিগত সময়ে ওএসডি হওয়া কর্মচারীরা এনএক্স ভবনে বসতেন; কিন্তু তাঁদের বসার কোনো জায়গা নেই।
জানতে চাইলে বিসিসির প্রশাসনিক শাখার দায়িত্বে থাকা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, করপোরেশনের স্বার্থে ৯ জনকে ওএসডি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন অবসর নিয়েছেন। তাঁরা প্রশাসকের দপ্তরে নিয়োজিত। স্যারের দপ্তরের সামনে হাজিরা দিয়ে বসে থাকেন।
এ বিষয়ে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হাফিজ আহমেদ বাবলু বলেন, ওএসডি করতে হলে সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। অফিস আদেশে তা উল্লেখ না থাকলে আইনের ব্যত্যয় হবে।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চীন সফরে যাওয়ায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রশাসক মো. রায়হান কাওছারও ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে বরিশাল সিটির সচিব রুম্পা সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওএসডিরত কর্মচারীরা যে বেঞ্চে বসে থাকেন, তা আমার জানা ছিল না। তাঁদের বসার কোনো একটা ব্যবস্থা করা যায় কি না দেখব।’

কাজ ও বসার জায়গা ছাড়া সাড়ে ৫ মাস ধরে বাইরের বেঞ্চে বসে অফিস সময় পার করতে হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৮ কর্মচারীকে। বিসিসি প্রশাসকের দপ্তরের সামনের খোলা জায়গায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেঞ্চে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অলস সময় কাটান তাঁরা।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত ওএসডির অফিস আদেশে ৯ কর্মচারীকে প্রশাসকের দপ্তরে ওএসডি করা হয়।
ওএসডি হওয়া কর্মচারীরা হলেন অ্যাসেসর মোস্তা গাউসুল হক খুসবু ও মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যক্তিগত সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হেলাল উদ্দিন ও ইমরান সাকিল, হিসাব সহকারী সোহেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাসেসর মেহেদী হাসান, হাটবাজার সহকারী রাহাত হোসেন, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম ও পানি শাখার সহকারী তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন পান্না। অবশ্য পান্না ওএসডি হওয়ার পরদিনই স্বেচ্ছায় অবসরে যান।
ওএসডির পর থেকে ৮ কর্মচারীর বসার কোনো জায়গা নেই, নেই কোনো কাজ। কিন্তু প্রতিদিনই তাঁদের সকাল ৯টায় অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা দিতে হয়। সে সঙ্গে বাইরের বেঞ্চে বসে থাকতে হয় শেষ অফিস সময় পর্যন্ত।
গত বৃহস্পতিবার নগর ভবনের বিসিসির প্রশাসক মো. রায়হান কাওছারের দপ্তরের সামনে এক বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা গেছে ৮ কর্মচারীকে। কয়েকজন দর্শনার্থীও পাশের বেঞ্চে বসেছিলেন। তবে গত মঙ্গলবারের পর নগর ভবনে ঢোকেননি প্রশাসক রায়হান কাওছার।
প্রশাসক কার্যালয়ে থাকুন কিংবা নাই থাকুন, ওই কর্মচারীদের দিনভর এভাবেই বসে থাকতে হয়।
ব্যক্তিগত সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হেলাল উদ্দিন বলেন, ওএসডি কী কারণে করেছে জানেন না। তিনি বলেন, বিগত সময়ে ওএসডি হওয়া কর্মচারীরা এনএক্স ভবনে বসতেন; কিন্তু তাঁদের বসার কোনো জায়গা নেই।
জানতে চাইলে বিসিসির প্রশাসনিক শাখার দায়িত্বে থাকা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, করপোরেশনের স্বার্থে ৯ জনকে ওএসডি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন অবসর নিয়েছেন। তাঁরা প্রশাসকের দপ্তরে নিয়োজিত। স্যারের দপ্তরের সামনে হাজিরা দিয়ে বসে থাকেন।
এ বিষয়ে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হাফিজ আহমেদ বাবলু বলেন, ওএসডি করতে হলে সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। অফিস আদেশে তা উল্লেখ না থাকলে আইনের ব্যত্যয় হবে।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চীন সফরে যাওয়ায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রশাসক মো. রায়হান কাওছারও ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে বরিশাল সিটির সচিব রুম্পা সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওএসডিরত কর্মচারীরা যে বেঞ্চে বসে থাকেন, তা আমার জানা ছিল না। তাঁদের বসার কোনো একটা ব্যবস্থা করা যায় কি না দেখব।’

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মন্ডবে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি ও দৌলতপুরে ১২টি মন্ডবে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ গত বছরের তুলনায় এবার ২২টি মন্ডবে পূজা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
একসময় ‘ঝাউবাগান’ নামে বেশ পরিচিত ছিল। ঝাউগাছের ঘন ছায়ায় বসে দেখা যেত জাহাজ চলাচল, লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ আর সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। এমন সৌন্দর্যের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবকাঠামো আছে, সরঞ্জামও আছে। তবু উদ্বোধনের চার বছর পরও সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি দিনাজপুরের খানসামায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। অযত্নে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এদিকে হাসপাতালটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ নানা জিন
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। জেলার ছয়টি আসনেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর সারা দেশে ২৩৭টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা
মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)

একসময় ‘ঝাউবাগান’ নামে বেশ পরিচিত ছিল। ঝাউগাছের ঘন ছায়ায় বসে দেখা যেত জাহাজ চলাচল, লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ আর সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। এমন সৌন্দর্যের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম শহর থেকে কম সময়ে ও কম খরচে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ থাকায় দ্রুত জনপ্রিয় হয় পর্যটনকেন্দ্রটি। কিন্তু অযত্নে পড়ে থাকা এবং ঝাউবনের অধিকাংশ গাছ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় পারকির সেই সৌন্দর্য ম্লান হয়ে গেছে। পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও সৈকতে দর্শনার্থীদের তেমন পদচারণ নেই।
গত শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতে বিভিন্ন স্থানে ঝাউগাছ উপড়ে পড়ে আছে। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য সারি সারি ছাতা ও বেঞ্চ থাকলেও হাতে গোনা পর্যটক রয়েছেন। লাল কাঁকড়ারও বিচরণ আগের মতো দেখা যায়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যায় সৈকতের আশপাশে নামে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সৈকত এলাকায় পর্যটকদের যানবাহন রাখার ওপর টোল আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনাও ঘটছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কোনো ট্যুরিস্ট পুলিশও দেখা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত দুই বছর নানা অব্যবস্থাপনা, অযত্নের কারণে পারকির সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর পর্যটকেরা এখানে অবস্থান করতে ভয় পান। ভালো আলোর ব্যবস্থাও নেই।
সৈকতের আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সৈকতটিতে গত তিন বছরে তিন শতাধিক ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। এখন আর আগের মতো দর্শনার্থী সৈকতে আসে না। বছর দুই আগেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবার ছাড়াও অন্য দিনে অন্তত ৫ হাজার দর্শনার্থী পারকি ঘুরতে আসতেন। কিন্তু এসবের বিপরীতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো, পর্যটকদের নিরাপত্তা, আলোর ব্যবস্থা না থাকায় দিন দিন কমেছে পর্যটক। দুটি গণশৌচাগার থাকলেও তা দেখাশোনার অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় পড়ে আছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত ঘুরে পারকি দেখতে আসা পর্যটক মো. শাহেদুল আলম বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার কারণে নানান হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।’
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপকূলকে রক্ষার জন্য পারকি সৈকতের বালিয়াড়িতে ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে ১২ হেক্টর জায়গায় আর্কিটেকচারাল পদ্ধতিতে ঝাউগাছ লাগানো হয়। এরপর ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ২ হেক্টর, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ৫ হেক্টর এবং ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৫ হেক্টর জায়গায় ঝাউবাগান করা হয়। এই সবুজ বেষ্টনী পারকি সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকেও রক্ষা করত। তবে প্রতিবছর দুর্যোগে সৈকতের ঝাউগাছ কমেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পারকি সৈকতসংলগ্ন এলাকায় ১৩ দশমিক ৩৩ একর জায়গায় ৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দে একটি উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
স্থানীয় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী কাজী জাফর আহমেদ বলেন, ‘সৈকতে বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকায় সন্ধ্যার পরপরই পর্যটকেরা আর সৈকতে থাকছেন না। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।’
পারকি সৈকতের ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘পারকি সৈকতের মূল আকর্ষণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এটি এখন আর নেই। গত তিন বছর অযত্ন, অবহেলা ছাড়া পারকি কিছুই পায়নি। এ ছাড়া সৈকতের প্রবেশপথে টোল আদায় করা নিয়ে পর্যটকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে ফিরেও যাচ্ছেন।’
আনোয়ারার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘পারকি সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

একসময় ‘ঝাউবাগান’ নামে বেশ পরিচিত ছিল। ঝাউগাছের ঘন ছায়ায় বসে দেখা যেত জাহাজ চলাচল, লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ আর সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। এমন সৌন্দর্যের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম শহর থেকে কম সময়ে ও কম খরচে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ থাকায় দ্রুত জনপ্রিয় হয় পর্যটনকেন্দ্রটি। কিন্তু অযত্নে পড়ে থাকা এবং ঝাউবনের অধিকাংশ গাছ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় পারকির সেই সৌন্দর্য ম্লান হয়ে গেছে। পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও সৈকতে দর্শনার্থীদের তেমন পদচারণ নেই।
গত শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতে বিভিন্ন স্থানে ঝাউগাছ উপড়ে পড়ে আছে। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য সারি সারি ছাতা ও বেঞ্চ থাকলেও হাতে গোনা পর্যটক রয়েছেন। লাল কাঁকড়ারও বিচরণ আগের মতো দেখা যায়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যায় সৈকতের আশপাশে নামে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সৈকত এলাকায় পর্যটকদের যানবাহন রাখার ওপর টোল আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনাও ঘটছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কোনো ট্যুরিস্ট পুলিশও দেখা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত দুই বছর নানা অব্যবস্থাপনা, অযত্নের কারণে পারকির সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর পর্যটকেরা এখানে অবস্থান করতে ভয় পান। ভালো আলোর ব্যবস্থাও নেই।
সৈকতের আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সৈকতটিতে গত তিন বছরে তিন শতাধিক ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। এখন আর আগের মতো দর্শনার্থী সৈকতে আসে না। বছর দুই আগেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবার ছাড়াও অন্য দিনে অন্তত ৫ হাজার দর্শনার্থী পারকি ঘুরতে আসতেন। কিন্তু এসবের বিপরীতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো, পর্যটকদের নিরাপত্তা, আলোর ব্যবস্থা না থাকায় দিন দিন কমেছে পর্যটক। দুটি গণশৌচাগার থাকলেও তা দেখাশোনার অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় পড়ে আছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত ঘুরে পারকি দেখতে আসা পর্যটক মো. শাহেদুল আলম বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার কারণে নানান হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।’
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপকূলকে রক্ষার জন্য পারকি সৈকতের বালিয়াড়িতে ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে ১২ হেক্টর জায়গায় আর্কিটেকচারাল পদ্ধতিতে ঝাউগাছ লাগানো হয়। এরপর ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ২ হেক্টর, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ৫ হেক্টর এবং ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৫ হেক্টর জায়গায় ঝাউবাগান করা হয়। এই সবুজ বেষ্টনী পারকি সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকেও রক্ষা করত। তবে প্রতিবছর দুর্যোগে সৈকতের ঝাউগাছ কমেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পারকি সৈকতসংলগ্ন এলাকায় ১৩ দশমিক ৩৩ একর জায়গায় ৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দে একটি উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
স্থানীয় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী কাজী জাফর আহমেদ বলেন, ‘সৈকতে বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকায় সন্ধ্যার পরপরই পর্যটকেরা আর সৈকতে থাকছেন না। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।’
পারকি সৈকতের ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘পারকি সৈকতের মূল আকর্ষণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এটি এখন আর নেই। গত তিন বছর অযত্ন, অবহেলা ছাড়া পারকি কিছুই পায়নি। এ ছাড়া সৈকতের প্রবেশপথে টোল আদায় করা নিয়ে পর্যটকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে ফিরেও যাচ্ছেন।’
আনোয়ারার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘পারকি সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মন্ডবে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি ও দৌলতপুরে ১২টি মন্ডবে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ গত বছরের তুলনায় এবার ২২টি মন্ডবে পূজা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কাজ ও বসার জায়গা ছাড়া সাড়ে ৫ মাস ধরে বাইরের বেঞ্চে বসে অফিস সময় পার করতে হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৮ কর্মচারীকে। বিসিসি প্রশাসকের দপ্তরের সামনের খোলা জায়গায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেঞ্চে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অলস সময় কাটান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
অবকাঠামো আছে, সরঞ্জামও আছে। তবু উদ্বোধনের চার বছর পরও সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি দিনাজপুরের খানসামায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। অযত্নে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এদিকে হাসপাতালটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ নানা জিন
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। জেলার ছয়টি আসনেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর সারা দেশে ২৩৭টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেএস. এম. রকি, খানসামা (দিনাজপুর)

অবকাঠামো আছে, সরঞ্জামও আছে। তবু উদ্বোধনের চার বছর পরও সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি দিনাজপুরের খানসামায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। অযত্নে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এদিকে হাসপাতালটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ নানা জিনিস রয়েছে চুরির ঝুঁকিতে।
২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতাল। তবে জানা গেছে, জনবল নিয়োগ ও অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় হাসপাতালটি অচল পড়ে রয়েছে। এতে কোটি টাকার চিকিৎসা যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ-সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান ফটকে (মূল গেট) ঝুলছে তালা। উপজেলার আত্রাই নদের তীরে জিয়া সেতু মোড়ে নির্মিত দোতলা এই হাসাপাতাল ভবনটি এখন কার্যত পরিত্যক্ত। ভবনের পাশে রয়েছে তিনটি আবাসিক কোয়ার্টার, রান্নাঘর, গ্যারেজ ও বিদ্যুৎ স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা। তবে নেই কোনো জনবল। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকায় ভবনের বেশির ভাগ জায়গায় ধুলা, মাকড়সার জাল ও আগাছায় ভরে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হাসপাতালের ভেতর থেকে বিদ্যুতের তার ও ভারী যন্ত্রপাতিসহ ৪-৫ লাখ টাকার মূল্যবান সরঞ্জাম চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নির্মিত এই হাসপাতালটি প্রথমে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে এনে সীমিত বহির্বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট থাকায় তাও বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হাসপাতালটি চালু হলে খানসামার গোবিন্দপুর, টংগুয়া, বেলপুকুর, সহজপুর, হোসেনপুর, জাহাঙ্গীরপুর, বাশুলী, শুশুলী, ফরিদাবাদ, জয়গঞ্জ ও তুলসীপুরসহ আশপাশের একাধিক ইউনিয়নের মানুষ উপকৃত হতেন। পাশাপাশি পাশের বীরগঞ্জ, দেবীগঞ্জ ও নীলফামারী সদর উপজেলার বাসিন্দারাও সেবা পেতেন। কিন্তু নিরুপায় হয়ে এসব এলাকার রোগীদের এখনো নিয়মিত জেলা সদর বা অন্য উপজেলায় ছুটতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা সাজিদ ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এত টাকা খরচ করে হাসপাতাল করছে; কিন্তু চিকিৎসাসেবা তো চালু হলো না। এখন পুরো ভবনটা মরুভূমির মতো পড়ে আছে। বারবার বলেও কোনো সমাধান পাইনি।’
খানসামা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম এ এস এম রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খানসামা ২০ শয্যা হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। দ্রুত বিল পরিশোধ করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিত চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটির অবকাঠামো অত্যন্ত ভালো। কিন্তু জনবল ও আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় এখনো সেবা চালু করা যায়নি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি কয়েকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। সম্প্রতি ওই হাসপাতালের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে, তা পাঠানো হয়েছে। নিয়মিত সেবা চালুর বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, হাসপাতালটি চালু করা হলে তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটবে। তিনি বলেন, ২০ শয্যা হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।

অবকাঠামো আছে, সরঞ্জামও আছে। তবু উদ্বোধনের চার বছর পরও সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি দিনাজপুরের খানসামায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। অযত্নে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এদিকে হাসপাতালটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ নানা জিনিস রয়েছে চুরির ঝুঁকিতে।
২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতাল। তবে জানা গেছে, জনবল নিয়োগ ও অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় হাসপাতালটি অচল পড়ে রয়েছে। এতে কোটি টাকার চিকিৎসা যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ-সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান ফটকে (মূল গেট) ঝুলছে তালা। উপজেলার আত্রাই নদের তীরে জিয়া সেতু মোড়ে নির্মিত দোতলা এই হাসাপাতাল ভবনটি এখন কার্যত পরিত্যক্ত। ভবনের পাশে রয়েছে তিনটি আবাসিক কোয়ার্টার, রান্নাঘর, গ্যারেজ ও বিদ্যুৎ স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা। তবে নেই কোনো জনবল। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকায় ভবনের বেশির ভাগ জায়গায় ধুলা, মাকড়সার জাল ও আগাছায় ভরে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হাসপাতালের ভেতর থেকে বিদ্যুতের তার ও ভারী যন্ত্রপাতিসহ ৪-৫ লাখ টাকার মূল্যবান সরঞ্জাম চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নির্মিত এই হাসপাতালটি প্রথমে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে এনে সীমিত বহির্বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট থাকায় তাও বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হাসপাতালটি চালু হলে খানসামার গোবিন্দপুর, টংগুয়া, বেলপুকুর, সহজপুর, হোসেনপুর, জাহাঙ্গীরপুর, বাশুলী, শুশুলী, ফরিদাবাদ, জয়গঞ্জ ও তুলসীপুরসহ আশপাশের একাধিক ইউনিয়নের মানুষ উপকৃত হতেন। পাশাপাশি পাশের বীরগঞ্জ, দেবীগঞ্জ ও নীলফামারী সদর উপজেলার বাসিন্দারাও সেবা পেতেন। কিন্তু নিরুপায় হয়ে এসব এলাকার রোগীদের এখনো নিয়মিত জেলা সদর বা অন্য উপজেলায় ছুটতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা সাজিদ ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এত টাকা খরচ করে হাসপাতাল করছে; কিন্তু চিকিৎসাসেবা তো চালু হলো না। এখন পুরো ভবনটা মরুভূমির মতো পড়ে আছে। বারবার বলেও কোনো সমাধান পাইনি।’
খানসামা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম এ এস এম রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খানসামা ২০ শয্যা হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। দ্রুত বিল পরিশোধ করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিত চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটির অবকাঠামো অত্যন্ত ভালো। কিন্তু জনবল ও আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় এখনো সেবা চালু করা যায়নি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি কয়েকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। সম্প্রতি ওই হাসপাতালের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে, তা পাঠানো হয়েছে। নিয়মিত সেবা চালুর বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, হাসপাতালটি চালু করা হলে তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটবে। তিনি বলেন, ২০ শয্যা হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মন্ডবে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি ও দৌলতপুরে ১২টি মন্ডবে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ গত বছরের তুলনায় এবার ২২টি মন্ডবে পূজা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কাজ ও বসার জায়গা ছাড়া সাড়ে ৫ মাস ধরে বাইরের বেঞ্চে বসে অফিস সময় পার করতে হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৮ কর্মচারীকে। বিসিসি প্রশাসকের দপ্তরের সামনের খোলা জায়গায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেঞ্চে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অলস সময় কাটান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
একসময় ‘ঝাউবাগান’ নামে বেশ পরিচিত ছিল। ঝাউগাছের ঘন ছায়ায় বসে দেখা যেত জাহাজ চলাচল, লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ আর সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। এমন সৌন্দর্যের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। জেলার ছয়টি আসনেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর সারা দেশে ২৩৭টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেশেখ আবু হাসান, খুলনা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। জেলার ছয়টি আসনেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর সারা দেশে ২৩৭টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে খুলনা-১ আসনটি ফাঁকা রেখে জেলার বাকি পাঁচটি আসনে নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকে তাঁরাও ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনটি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সময় এটি দলটির দখলে ছিল। এবার এখানে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল ও সাবেক ছাত্রনেতা পার্থ দেব মণ্ডল। নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে সরব জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির শেখ আবু ইউসুফ। ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন পেতে পারেন মাওলানা আবু সাঈদ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন দাকোপ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়।
নগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, হরিণটানা ও লবণচরা থানা নিয়ে গঠিত খুলনা-২ আসন। এটিকে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নগর বিএনপির সাবেক এ সভাপতি ২০০৮ সালেও আসনটি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আমান উল্লাহ। গণসংহতি আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল।
সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং যোগীপোল ও আড়ংঘাটা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত খুলনা-৩ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। দীর্ঘদিন থেকে তিনি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগর আমির মাহফুজুর রহমানও নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল।
রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া নিয়ে খুলনা-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা নায়েবে আমির কবিরুল ইসলাম। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ। তিনজনই নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসন। ২০০১ সালে এখানে চারদলীয় জোট থেকে বিজয়ী হন জামায়াতের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এবারও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি। তিনিও এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে জিততে আসনটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ফলে বিএনপি, জামায়াতের দুই দলই তাদের ভোট টানতে মরিয়া।
খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ইসলামী আন্দোলন থেকে আলোচনায় আছেন জেলা সেক্রেটারি আসাদুল্লাহ আল গালিব।
জেলায় এনসিপির নির্বাচনী কার্যক্রম এখনো দৃশ্যমান নয়। তবে দলটির নেতারা বলছেন, শিগগির খুলনার ছয়টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। জেলার ছয়টি আসনেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর সারা দেশে ২৩৭টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে খুলনা-১ আসনটি ফাঁকা রেখে জেলার বাকি পাঁচটি আসনে নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকে তাঁরাও ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনটি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সময় এটি দলটির দখলে ছিল। এবার এখানে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল ও সাবেক ছাত্রনেতা পার্থ দেব মণ্ডল। নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে সরব জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির শেখ আবু ইউসুফ। ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন পেতে পারেন মাওলানা আবু সাঈদ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন দাকোপ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়।
নগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, হরিণটানা ও লবণচরা থানা নিয়ে গঠিত খুলনা-২ আসন। এটিকে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নগর বিএনপির সাবেক এ সভাপতি ২০০৮ সালেও আসনটি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আমান উল্লাহ। গণসংহতি আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল।
সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং যোগীপোল ও আড়ংঘাটা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত খুলনা-৩ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। দীর্ঘদিন থেকে তিনি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগর আমির মাহফুজুর রহমানও নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল।
রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া নিয়ে খুলনা-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা নায়েবে আমির কবিরুল ইসলাম। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ। তিনজনই নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসন। ২০০১ সালে এখানে চারদলীয় জোট থেকে বিজয়ী হন জামায়াতের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এবারও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি। তিনিও এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে জিততে আসনটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ফলে বিএনপি, জামায়াতের দুই দলই তাদের ভোট টানতে মরিয়া।
খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ইসলামী আন্দোলন থেকে আলোচনায় আছেন জেলা সেক্রেটারি আসাদুল্লাহ আল গালিব।
জেলায় এনসিপির নির্বাচনী কার্যক্রম এখনো দৃশ্যমান নয়। তবে দলটির নেতারা বলছেন, শিগগির খুলনার ছয়টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মন্ডবে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি ও দৌলতপুরে ১২টি মন্ডবে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ গত বছরের তুলনায় এবার ২২টি মন্ডবে পূজা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কাজ ও বসার জায়গা ছাড়া সাড়ে ৫ মাস ধরে বাইরের বেঞ্চে বসে অফিস সময় পার করতে হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৮ কর্মচারীকে। বিসিসি প্রশাসকের দপ্তরের সামনের খোলা জায়গায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেঞ্চে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অলস সময় কাটান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
একসময় ‘ঝাউবাগান’ নামে বেশ পরিচিত ছিল। ঝাউগাছের ঘন ছায়ায় বসে দেখা যেত জাহাজ চলাচল, লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ আর সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। এমন সৌন্দর্যের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবকাঠামো আছে, সরঞ্জামও আছে। তবু উদ্বোধনের চার বছর পরও সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি দিনাজপুরের খানসামায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। অযত্নে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এদিকে হাসপাতালটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ নানা জিন
৫ ঘণ্টা আগে