Ajker Patrika

দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা যশোরে, গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮: ২৭
দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা যশোরে, গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ

যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। প্রচণ্ড রোদের তাপে গলে যাচ্ছে পিচের রাস্তা। 

এক সপ্তাহ ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। 

প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। তিন দিন আগে ১৮ এপ্রিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ১৯ এপ্রিল যশোরে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আজ যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে প্রচণ্ড গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। প্রচণ্ড গরমে গলে গেছে শহরের বেশ কয়েকটি পিচঢালা সড়ক। 

এরই মধ্যে প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই যাত্রী বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রিকশাচালকেরা। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস লাগছে চোখে-মুখে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকে।

স্বস্তি পেতে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হাতে-মুখে পানি দিয়ে ঠান্ডা হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর শিশু-কিশোরেরা গরম থেকে রেহাই পেতে মাতছে জলকেলিতে।

গরমে রিকশা পাশে রেখে পানি দিয়ে হাত-মুখ ভিজিয়ে নিচ্ছেন এক রিকশা চালক। ছবি: আজকের পত্রিকারিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন শওকত আলী। তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে মাথার মধ্যে ঘুরিয়ে উঠছে। কিন্তু ভাড়া না মারলে তো সংসার চলবে না।’

যশোর শহরের রিকশাচালক মফিজুর রহমান বলছেন, ‘মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। যারা বাইরে আসছে, গরমের সঙ্গে তাদেরও মেজাজ গরম থাকছে। মানুষের সঙ্গে ভালো করে কথা বলা যাচ্ছে না।’ এদিকে গরমে পরিবহনে চলাচল করা যাত্রীরাও নিদারুণ কষ্টে যাতায়াত করছেন।

শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসার ছাদের পানির রিজার্ভ ট্যাংকের পানি অনেক গরম হয়ে যাচ্ছে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত পানিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না।’  

রোদে গলে যাচ্ছে পিচের রাস্তা।শহরে শরবত বিক্রেতা কালাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরম বাড়ায় তাঁদের শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এ দাবদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি বাড়বে।

এদিকে প্রচণ্ডে তাপপ্রবাহের মধ্যে পানির সংকটে পড়েছে শহরের বাসিন্দা। তাঁরা বলছেন, যে টিউবওয়েলে সহসা পানি আসত, সেই টিউবওয়েলে অকেজ হয়ে পড়ে আছে।

শহরের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, ‘টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পুকুরে যেতে হচ্ছে। যা উঠছে পানির সঙ্গে আয়রণ উঠতে। পান করা যাচ্ছে না পানি।’

যশোরে গলে যাওয়া পিচের রাস্তায় বালি দেওয়া হচ্ছে।গ্রিন ওয়ার্ল্ড এনভাইরনমেন্ট ফাউন্ডেশন যশোরের নির্বাহী পরিচালক আশিক মাহমুদ সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়েছে যশোরে। পুকুর জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপনের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই দ্রুত জলাধার সংরক্ষণ আইন পাস না করলে ভবিষ্যতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে।’

যশোর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশল জাহিদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে ওয়াটার টেবিলের লেয়ার নিম্নমুখী। ওয়াটার লেভেল নেমে যাওয়ার কারণে সুপেয় পানির যাতে সংকট না হয়, সে জন্য উপজেলা পর্যায়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সাবমারসিবলের পানি সরবরাহ নিশ্চিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু

সিলেট প্রতিনিধি
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জড়ো হতে দেখা গেছে ৮ দলের নেতা-কর্মীদের। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে তাঁরা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আসছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দাবি ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয় নিশ্চিতে সিলেটে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়ে আসরের আগে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ৮ দলের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সমাবেশে ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে নোবিপ্রবিতে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ‘রান ফর ইউনিটি’ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। শারীরিক সুস্থতা ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নেন নোবিপ্রবির প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে এই দৌড় শুরু হয়। বাংলা বাজার প্রদক্ষিণ করে ম্যারাথনটি শেষ হয় প্রধান ফটকেই। নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পুরো ক্যাম্পাসে এক উৎসবের আমেজ তৈরি করে।

আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সম্মাননা এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সুস্থ ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি শিবির শাখা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রের পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্ব পাশে পুরোনো শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরোনো জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে।

ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। অথচ একসময় জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা এবং আশপাশের হোটেলগুলোয় এই পুকুরের স্বচ্ছ পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন পর হলেও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা শুকুর আলী বলেন, ‘পুকুরটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এই পুকুর থেকেই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, ‘সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। ধারণা করছি, বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে শহরের সকল জলাশয়ের পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’ সেই সঙ্গে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে এক বাসায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।

দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।

সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত