আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সাতক্ষীরার চারটি আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। বড় দুই দল ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থিতা নিয়ে জামায়াতের কোন্দল না থাকায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে; গত ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর দুটি আসনে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরদিন থেকে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরায় আসন ছিল পাঁচটি। এর মধ্যে চারটি আসনেই জামায়াত জয়লাভ করে। অপরটি পায় আওয়ামী লীগ। ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ চিত্র পাল্টে যায়। শুধু সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াত ছাড়া আর বাকি আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচিত হয়। ২০০১ সালে জামায়াত আবারও তিনটি আসনে জয়লাভ করে। জেলার মধ্যে সেবারই প্রথম বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আসন কমিয়ে সাতক্ষীরায় সংসদীয় আসন হয় চারটি। এ নির্বাচনে জামায়াত ও বিএনপি একটি আসনও পায়নি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) দুটি করে আসনে জয়লাভ করে।
সাতক্ষীরা সীমান্তঘেঁষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখানকার মুসলিম ভোটারদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ভারত থেকে আসা। সে কারণে সাতক্ষীরায় জামায়াতের একটি ভালো প্রভাব রয়েছে। বরাবরের মতো জামায়াত এবারও চারটি আসনে জিততে চায়। অভ্যন্তরীণ কোন্দল না থাকায় মাস দুয়েক আগে থেকে চারটি আসনে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর-দেবহাটা) আসনে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ ও আশাশুনি) থেকে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার ও সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে গাজী নজরুল ইসলাম। অপর দিকে সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীন ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে ড. মনিরুজ্জামান মনির।
সাতক্ষীরা-১ আসনে ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ছাত্রদল ও ডাকসুর সাবেক নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। এরপর থেকে বিএনপির জনসমর্থন বাড়তে থাকে। এ আসনে জামায়াতেরও শক্ত অবস্থান রয়েছে। এবার হাবিব ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ইজ্জতুল্লাহর মধ্যে লড়াইটা বেশ জমজমাট হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিব বলেন, ‘তালা-কলারোয়ার এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আমার প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমি নির্বাচিত হলে পাটকেলঘাটাকে উপজেলায় উন্নীত করার পদক্ষেপ নেব। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্যবস্থা নেব।’
সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। রউফকে মনোনয়ন দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে মনোনয়নবঞ্চিতসহ সাধারণ জনগণ। মনোনয়ন ঘোষণার দিন রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতায় টায়ার জ্বালিয়ে ব্লকেড তৈরি করে বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল আলিমের সমর্থকেরা। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৩৩ জন দায়িত্বশীল নেতা বিএনপি মহাসচিবের কাছে আবেদন করেছেন।
এ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী তাজকিন আহমেদ চিশতি। বর্তমানে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চিশতি সাতক্ষীরা পৌরসভার দুবারের নির্বাচিত মেয়র। তারপক্ষে পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতারাও মহাসচিব বরাবর আবেদন করেছেন।
বিএনপির দ্বন্দ্বের কারণে এ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। তবে এ আসনে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ১১ দিন বিক্ষোভ সমাবেশ করে কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উত্তাল রেখেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও মনোনয়নপ্রত্যাশী ডা. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা।
শহিদুলের সমর্থক জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নূরুজ্জামান বলেন, ‘গরিবের ডাক্তার বলে খ্যাত ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। যে মানুষটি তাঁর সবকিছু ব্যয় করেছেন জনকল্যাণে, তাঁকে মনোনয়ন দিতে হবে।’
এ আসনে কাজী আলাউদ্দীনও গণসংযোগ শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আশাশুনির বালির মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
মনোনয়নের বিষয়ে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, ‘আমি সকল সময়ে জনগণের পাশে ছিলাম। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলাম। তবুও জনগণ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যায়নি।’ বিভেদ ভুলে দল যাকে মনোনীত করবে, তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করার অনুরোধ আলাউদ্দীনের।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনটি একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। বিগত নির্বাচনগুলোতে এ আসনে বিএনপি তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে পারেনি। তবে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ লন্ডনপ্রবাসী ড. মনিরুজ্জামান মনির। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর দিকে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম সাবেক দুবারের সংসদ সদস্য হওয়ায় এ আসনে তাঁর নিজস্ব একটি ভোটব্যাংক রয়েছে।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে আমি হয়তো নতুন মুখ। তবে পাঁচ বছর ধরে আমি শ্যামনগরের আপামর জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘২০০১ সালে সাতক্ষীরা থেকে চারটি আসন পেয়েছিল জামায়াত। আমরা এবারও সবকটি আসনে বিজয়ী হওয়ার আশা করছি।’

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সাতক্ষীরার চারটি আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। বড় দুই দল ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থিতা নিয়ে জামায়াতের কোন্দল না থাকায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে; গত ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর দুটি আসনে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরদিন থেকে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরায় আসন ছিল পাঁচটি। এর মধ্যে চারটি আসনেই জামায়াত জয়লাভ করে। অপরটি পায় আওয়ামী লীগ। ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ চিত্র পাল্টে যায়। শুধু সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াত ছাড়া আর বাকি আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচিত হয়। ২০০১ সালে জামায়াত আবারও তিনটি আসনে জয়লাভ করে। জেলার মধ্যে সেবারই প্রথম বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আসন কমিয়ে সাতক্ষীরায় সংসদীয় আসন হয় চারটি। এ নির্বাচনে জামায়াত ও বিএনপি একটি আসনও পায়নি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) দুটি করে আসনে জয়লাভ করে।
সাতক্ষীরা সীমান্তঘেঁষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখানকার মুসলিম ভোটারদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ভারত থেকে আসা। সে কারণে সাতক্ষীরায় জামায়াতের একটি ভালো প্রভাব রয়েছে। বরাবরের মতো জামায়াত এবারও চারটি আসনে জিততে চায়। অভ্যন্তরীণ কোন্দল না থাকায় মাস দুয়েক আগে থেকে চারটি আসনে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর-দেবহাটা) আসনে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ ও আশাশুনি) থেকে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার ও সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে গাজী নজরুল ইসলাম। অপর দিকে সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীন ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে ড. মনিরুজ্জামান মনির।
সাতক্ষীরা-১ আসনে ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ছাত্রদল ও ডাকসুর সাবেক নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। এরপর থেকে বিএনপির জনসমর্থন বাড়তে থাকে। এ আসনে জামায়াতেরও শক্ত অবস্থান রয়েছে। এবার হাবিব ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ইজ্জতুল্লাহর মধ্যে লড়াইটা বেশ জমজমাট হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিব বলেন, ‘তালা-কলারোয়ার এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আমার প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমি নির্বাচিত হলে পাটকেলঘাটাকে উপজেলায় উন্নীত করার পদক্ষেপ নেব। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্যবস্থা নেব।’
সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। রউফকে মনোনয়ন দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে মনোনয়নবঞ্চিতসহ সাধারণ জনগণ। মনোনয়ন ঘোষণার দিন রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতায় টায়ার জ্বালিয়ে ব্লকেড তৈরি করে বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল আলিমের সমর্থকেরা। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৩৩ জন দায়িত্বশীল নেতা বিএনপি মহাসচিবের কাছে আবেদন করেছেন।
এ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী তাজকিন আহমেদ চিশতি। বর্তমানে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চিশতি সাতক্ষীরা পৌরসভার দুবারের নির্বাচিত মেয়র। তারপক্ষে পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতারাও মহাসচিব বরাবর আবেদন করেছেন।
বিএনপির দ্বন্দ্বের কারণে এ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। তবে এ আসনে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ১১ দিন বিক্ষোভ সমাবেশ করে কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উত্তাল রেখেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও মনোনয়নপ্রত্যাশী ডা. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা।
শহিদুলের সমর্থক জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নূরুজ্জামান বলেন, ‘গরিবের ডাক্তার বলে খ্যাত ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। যে মানুষটি তাঁর সবকিছু ব্যয় করেছেন জনকল্যাণে, তাঁকে মনোনয়ন দিতে হবে।’
এ আসনে কাজী আলাউদ্দীনও গণসংযোগ শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আশাশুনির বালির মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
মনোনয়নের বিষয়ে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, ‘আমি সকল সময়ে জনগণের পাশে ছিলাম। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলাম। তবুও জনগণ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যায়নি।’ বিভেদ ভুলে দল যাকে মনোনীত করবে, তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করার অনুরোধ আলাউদ্দীনের।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনটি একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। বিগত নির্বাচনগুলোতে এ আসনে বিএনপি তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে পারেনি। তবে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ লন্ডনপ্রবাসী ড. মনিরুজ্জামান মনির। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর দিকে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম সাবেক দুবারের সংসদ সদস্য হওয়ায় এ আসনে তাঁর নিজস্ব একটি ভোটব্যাংক রয়েছে।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে আমি হয়তো নতুন মুখ। তবে পাঁচ বছর ধরে আমি শ্যামনগরের আপামর জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘২০০১ সালে সাতক্ষীরা থেকে চারটি আসন পেয়েছিল জামায়াত। আমরা এবারও সবকটি আসনে বিজয়ী হওয়ার আশা করছি।’
আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সাতক্ষীরার চারটি আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। বড় দুই দল ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থিতা নিয়ে জামায়াতের কোন্দল না থাকায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে; গত ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর দুটি আসনে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরদিন থেকে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরায় আসন ছিল পাঁচটি। এর মধ্যে চারটি আসনেই জামায়াত জয়লাভ করে। অপরটি পায় আওয়ামী লীগ। ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ চিত্র পাল্টে যায়। শুধু সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াত ছাড়া আর বাকি আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচিত হয়। ২০০১ সালে জামায়াত আবারও তিনটি আসনে জয়লাভ করে। জেলার মধ্যে সেবারই প্রথম বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আসন কমিয়ে সাতক্ষীরায় সংসদীয় আসন হয় চারটি। এ নির্বাচনে জামায়াত ও বিএনপি একটি আসনও পায়নি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) দুটি করে আসনে জয়লাভ করে।
সাতক্ষীরা সীমান্তঘেঁষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখানকার মুসলিম ভোটারদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ভারত থেকে আসা। সে কারণে সাতক্ষীরায় জামায়াতের একটি ভালো প্রভাব রয়েছে। বরাবরের মতো জামায়াত এবারও চারটি আসনে জিততে চায়। অভ্যন্তরীণ কোন্দল না থাকায় মাস দুয়েক আগে থেকে চারটি আসনে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর-দেবহাটা) আসনে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ ও আশাশুনি) থেকে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার ও সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে গাজী নজরুল ইসলাম। অপর দিকে সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীন ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে ড. মনিরুজ্জামান মনির।
সাতক্ষীরা-১ আসনে ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ছাত্রদল ও ডাকসুর সাবেক নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। এরপর থেকে বিএনপির জনসমর্থন বাড়তে থাকে। এ আসনে জামায়াতেরও শক্ত অবস্থান রয়েছে। এবার হাবিব ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ইজ্জতুল্লাহর মধ্যে লড়াইটা বেশ জমজমাট হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিব বলেন, ‘তালা-কলারোয়ার এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আমার প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমি নির্বাচিত হলে পাটকেলঘাটাকে উপজেলায় উন্নীত করার পদক্ষেপ নেব। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্যবস্থা নেব।’
সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। রউফকে মনোনয়ন দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে মনোনয়নবঞ্চিতসহ সাধারণ জনগণ। মনোনয়ন ঘোষণার দিন রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতায় টায়ার জ্বালিয়ে ব্লকেড তৈরি করে বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল আলিমের সমর্থকেরা। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৩৩ জন দায়িত্বশীল নেতা বিএনপি মহাসচিবের কাছে আবেদন করেছেন।
এ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী তাজকিন আহমেদ চিশতি। বর্তমানে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চিশতি সাতক্ষীরা পৌরসভার দুবারের নির্বাচিত মেয়র। তারপক্ষে পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতারাও মহাসচিব বরাবর আবেদন করেছেন।
বিএনপির দ্বন্দ্বের কারণে এ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। তবে এ আসনে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ১১ দিন বিক্ষোভ সমাবেশ করে কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উত্তাল রেখেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও মনোনয়নপ্রত্যাশী ডা. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা।
শহিদুলের সমর্থক জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নূরুজ্জামান বলেন, ‘গরিবের ডাক্তার বলে খ্যাত ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। যে মানুষটি তাঁর সবকিছু ব্যয় করেছেন জনকল্যাণে, তাঁকে মনোনয়ন দিতে হবে।’
এ আসনে কাজী আলাউদ্দীনও গণসংযোগ শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আশাশুনির বালির মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
মনোনয়নের বিষয়ে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, ‘আমি সকল সময়ে জনগণের পাশে ছিলাম। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলাম। তবুও জনগণ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যায়নি।’ বিভেদ ভুলে দল যাকে মনোনীত করবে, তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করার অনুরোধ আলাউদ্দীনের।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনটি একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। বিগত নির্বাচনগুলোতে এ আসনে বিএনপি তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে পারেনি। তবে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ লন্ডনপ্রবাসী ড. মনিরুজ্জামান মনির। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর দিকে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম সাবেক দুবারের সংসদ সদস্য হওয়ায় এ আসনে তাঁর নিজস্ব একটি ভোটব্যাংক রয়েছে।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে আমি হয়তো নতুন মুখ। তবে পাঁচ বছর ধরে আমি শ্যামনগরের আপামর জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘২০০১ সালে সাতক্ষীরা থেকে চারটি আসন পেয়েছিল জামায়াত। আমরা এবারও সবকটি আসনে বিজয়ী হওয়ার আশা করছি।’

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সাতক্ষীরার চারটি আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। বড় দুই দল ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থিতা নিয়ে জামায়াতের কোন্দল না থাকায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে; গত ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর দুটি আসনে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরদিন থেকে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরায় আসন ছিল পাঁচটি। এর মধ্যে চারটি আসনেই জামায়াত জয়লাভ করে। অপরটি পায় আওয়ামী লীগ। ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ চিত্র পাল্টে যায়। শুধু সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াত ছাড়া আর বাকি আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচিত হয়। ২০০১ সালে জামায়াত আবারও তিনটি আসনে জয়লাভ করে। জেলার মধ্যে সেবারই প্রথম বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আসন কমিয়ে সাতক্ষীরায় সংসদীয় আসন হয় চারটি। এ নির্বাচনে জামায়াত ও বিএনপি একটি আসনও পায়নি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) দুটি করে আসনে জয়লাভ করে।
সাতক্ষীরা সীমান্তঘেঁষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখানকার মুসলিম ভোটারদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ভারত থেকে আসা। সে কারণে সাতক্ষীরায় জামায়াতের একটি ভালো প্রভাব রয়েছে। বরাবরের মতো জামায়াত এবারও চারটি আসনে জিততে চায়। অভ্যন্তরীণ কোন্দল না থাকায় মাস দুয়েক আগে থেকে চারটি আসনে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর-দেবহাটা) আসনে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ ও আশাশুনি) থেকে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার ও সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে গাজী নজরুল ইসলাম। অপর দিকে সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীন ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে ড. মনিরুজ্জামান মনির।
সাতক্ষীরা-১ আসনে ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ছাত্রদল ও ডাকসুর সাবেক নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। এরপর থেকে বিএনপির জনসমর্থন বাড়তে থাকে। এ আসনে জামায়াতেরও শক্ত অবস্থান রয়েছে। এবার হাবিব ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ইজ্জতুল্লাহর মধ্যে লড়াইটা বেশ জমজমাট হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিব বলেন, ‘তালা-কলারোয়ার এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আমার প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমি নির্বাচিত হলে পাটকেলঘাটাকে উপজেলায় উন্নীত করার পদক্ষেপ নেব। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্যবস্থা নেব।’
সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। রউফকে মনোনয়ন দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে মনোনয়নবঞ্চিতসহ সাধারণ জনগণ। মনোনয়ন ঘোষণার দিন রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতায় টায়ার জ্বালিয়ে ব্লকেড তৈরি করে বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল আলিমের সমর্থকেরা। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৩৩ জন দায়িত্বশীল নেতা বিএনপি মহাসচিবের কাছে আবেদন করেছেন।
এ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী তাজকিন আহমেদ চিশতি। বর্তমানে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চিশতি সাতক্ষীরা পৌরসভার দুবারের নির্বাচিত মেয়র। তারপক্ষে পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতারাও মহাসচিব বরাবর আবেদন করেছেন।
বিএনপির দ্বন্দ্বের কারণে এ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। তবে এ আসনে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ১১ দিন বিক্ষোভ সমাবেশ করে কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উত্তাল রেখেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও মনোনয়নপ্রত্যাশী ডা. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা।
শহিদুলের সমর্থক জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নূরুজ্জামান বলেন, ‘গরিবের ডাক্তার বলে খ্যাত ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। যে মানুষটি তাঁর সবকিছু ব্যয় করেছেন জনকল্যাণে, তাঁকে মনোনয়ন দিতে হবে।’
এ আসনে কাজী আলাউদ্দীনও গণসংযোগ শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আশাশুনির বালির মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
মনোনয়নের বিষয়ে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, ‘আমি সকল সময়ে জনগণের পাশে ছিলাম। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলাম। তবুও জনগণ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যায়নি।’ বিভেদ ভুলে দল যাকে মনোনীত করবে, তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করার অনুরোধ আলাউদ্দীনের।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনটি একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। বিগত নির্বাচনগুলোতে এ আসনে বিএনপি তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে পারেনি। তবে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ লন্ডনপ্রবাসী ড. মনিরুজ্জামান মনির। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর দিকে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম সাবেক দুবারের সংসদ সদস্য হওয়ায় এ আসনে তাঁর নিজস্ব একটি ভোটব্যাংক রয়েছে।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে আমি হয়তো নতুন মুখ। তবে পাঁচ বছর ধরে আমি শ্যামনগরের আপামর জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘২০০১ সালে সাতক্ষীরা থেকে চারটি আসন পেয়েছিল জামায়াত। আমরা এবারও সবকটি আসনে বিজয়ী হওয়ার আশা করছি।’

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সাতক্ষীরার চারটি আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। বড় দুই দল ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থিতা নিয়ে জামায়াতের কোন্দল না থাকায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে; গত ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর দুটি আসনে অসন্তোষ...
১৬ নভেম্বর ২০২৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সাতক্ষীরার চারটি আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। বড় দুই দল ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থিতা নিয়ে জামায়াতের কোন্দল না থাকায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে; গত ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর দুটি আসনে অসন্তোষ...
১৬ নভেম্বর ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সাতক্ষীরার চারটি আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। বড় দুই দল ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থিতা নিয়ে জামায়াতের কোন্দল না থাকায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে; গত ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর দুটি আসনে অসন্তোষ...
১৬ নভেম্বর ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সাতক্ষীরার চারটি আসনে জমজমাট প্রচার চলছে। বড় দুই দল ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থিতা নিয়ে জামায়াতের কোন্দল না থাকায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে; গত ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর দুটি আসনে অসন্তোষ...
১৬ নভেম্বর ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে