Ajker Patrika

দলিল থেকেও আশ্রয়হীন ২০ পরিবার, নেতার ছত্রছায়ায় আশ্রয়ণে অন্যরা

মুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১৭: ৩০
দলিল থেকেও আশ্রয়হীন ২০ পরিবার, নেতার ছত্রছায়ায় আশ্রয়ণে অন্যরা

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের দলিল পেয়েও ঘরে উঠতে পারছে না ২০টি পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে তারা দলিল নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেও কোনো সুরাহা পাচ্ছে না। এদিকে দলিল না থাকা সত্ত্বেও যাঁরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো দখল করে রয়েছেন, তাঁরা ঘর ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা ঘরে উঠেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারের ভদ্রা নদীর পাশে ৬৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত ২৫ এপ্রিল ৬০টি ঘরের দলিল গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দলিল থাকা সত্ত্বেও কামরুল গাজী, শিরিনা বেগম, হাফিজুর গাজী, প্রদীপ কুমার, বাবলু সরদার, সিরাজুল ইসলাম, কুলসুম বিবি, খতেজান বিবি, উত্তম কুমার, হোসনেয়ারা বেগম, জেসমিন বেগম, মুক্তা খাতুন, জোহরা বেগমসহ প্রায় ২০টি পরিবার তাদের জন্য বরাদ্দ ঘরে উঠতে পারছে না।

ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম ও শিরিনা বেগম জানান, এ দলিল নিয়ে উপজেলা কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের ঘরে ওঠার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় বিকাশ রায়, সুমি খাতুন, প্রভাত বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম, দুখী বেগম, রোজিনা বেগম, মিনহাজুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, লিটন সরদার, নুরজাহান বেগম, হাজিরা বেগম, লাকী বেগম, রহিমা বেগম, ইয়াসিন হোসেন, মদন সরকার, রাম প্রসাদ ও খোকন সরকার দলিল না থাকা সত্ত্বেও ঘরগুলো দখল করে রেখেছেন।

অন্যদিকে ঘর দখলকারী রোজিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প করার আগে এখানে সরকারি জায়গায় আমাদের ঘর ছিল। আশ্রয়ণের ঘর করার সময় আমাদের বলা হয়েছিল, যাঁদের ঘর ভাঙা পড়ছে তাঁদের নামে আগে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের নামে কোনো ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এখন আমরা স্বামী-স্ত্রী, দুই বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাব? তাই একটা ঘরেই বসবাস করছি।

বিকাশ রায় নামে অপর একজন ঘর দখলকারী আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার শরিফুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘সে আমাকে ঘরে উঠতে বলেছে, সে না বললে আমি ঘর থেকে নামব না।’

এ বিষয়ে স্থানীয় আ.লীগ নেতা সরদার শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, দলিল ছাড়া কাউকে ঘরে তোলার ব্যাপারে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি বলে জানান।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা ঘরগুলো জবর দখল করে বসে আছে, তাদের বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তারা ঘর থেকে নামছে না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আসিফ রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি অল্প দিনের মধ্যে যাঁদের দলিল আছে তাঁদেরকে ঘরে তোলার ব্যবস্থা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ নিহত ৩

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরাকান আর্মিদের জন্য নেওয়া হচ্ছিল ১৫০০ মশারি, আটক ৫

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
মশারিসহ জব্দ করা মালপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
মশারিসহ জব্দ করা মালপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।

জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নলছিটি লঞ্চঘাট ওসমান হাদির নামে নামকরণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
নলছিটি লঞ্চঘাট ।  ছবি: আজকের পত্রিকা
নলছিটি লঞ্চঘাট । ছবি: আজকের পত্রিকা

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।

আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।

নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।

ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’

ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’

ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারীকে গলা কেটে হত্যা, সাবেক স্বামী আটক

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
রবিন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
রবিন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুর উপজেলায় তাম্মি আক্তার (২২) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর সাবেক স্বামী রবিন হোসেনকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের শোভ দিদারপাড়া এলাকায় রেললাইনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তাম্মি আক্তার নাবীরপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে এবং আব্দুলপুর সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

অভিযুক্ত রবিন হোসেন উপজেলার চণ্ডীগাছা গ্রামের কসিম উদ্দিনের ছেলে।

নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে রবিন হোসেন ও তাম্মির বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ছয় মাস আগে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর সম্প্রতি আবার রবিন ও তাম্মির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিন তাঁর সাবেক স্ত্রী তাম্মিকে শোভ দিদারপাড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে সেখানে তিনি গলা কেটে হত্যা করেন। ঘটনার পর আশপাশের লোকজন রবিনকে আটকে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে লালপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রবিনকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযুক্ত রবিনকে পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি রেললাইন এলাকায় সংঘটিত হয়েছে, তাই আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাঁকে রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘নিহত নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত