যশোর ও ঝিকরগাছা প্রতিনিধি

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের একটি দ্বিতল ভবন দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন নাসির পাঁচ বছর ধরে ভবনটি সংসদ সদস্যের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি এটি তাঁর অনুসারীদের রাজনীতিক দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবেক এই সংসদ সদস্যের ভায়রা এই ভবনটি পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নিলেও মূলত ব্যবহার করতেন নাসির উদ্দিন। ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে চুক্তিনামা লঙ্ঘন করে পুরো পাঁচ বছরের একটি টাকাও পরিশোধ করেননি তাঁরা। ভবনটি উদ্ধারে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও ভবনটি বুঝে পায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ভবনটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভবনটি বেদখল থাকাতে সেটি করতে পারছে না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নাসির উদ্দিন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে যশোরের ঝিকরগাছা পৌর শহরের মিতালি হল সড়কসংলগ্ন ভবনটিতে দেখা যায় এটির মেইন গেট তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ভেতরে বড় ব্যানারে লেখা ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঝিকরগাছা উপজেলা শাখা, অস্থায়ী কার্যালয়’। পাশাপাশি আরেকটি সাইনবোর্ডে লেখা ‘কমিউনিটি পুলিশিং বুথ (কার্যালয়) ঝিকরগাছা থানা, যশোর’। ভবনটির দোতলায় খসে পড়ছে পলেস্তারা। ঝাপসাভাবে লেখা শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের বিজ্ঞান ভবন। ভবনের দেয়ালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা–কর্মীদের ছবি–সংবলিত বিভিন্ন দিবসের ব্যানার। প্রতিটি ব্যানারেই সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিনের ছবিও রয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, এ ভবনের নিচতলায় তিনটি রুম রয়েছে। একটি ব্যবহার করেন সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন, অন্যটি ব্যবহার করেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। অন্য আরেকটি রুমের সামনে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাইনবোর্ড থাকলেও সেটি সর্বদা বন্ধ পাওয়া যায়। ভবন ছাড়াও এখানে অনেক বড় খোলা জায়গা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময়ে সভা–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি কলেজের ভবন দখল করে নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্যের রাজনীতিক দলীয় কার্যালয় বানানোতে ক্ষুব্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মী, স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষা অনুরাগীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবন উদ্ধারে এত দিন কোনো পদক্ষেপ না নিলেও বর্তমানে সরব হয়েছে। চলতি বছরে তারা কয়েক দফা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় থানাতে লিখিত অভিযোগও দিয়েছে।
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা মিতালি হল রোডের এই দ্বিতল ভবনটি ১৯৬৮ সালে নির্মাণ হয়। সেখানে ভবনসহ ক্যাম্পাস রয়েছে। সেটি একসময় বিজ্ঞান ভবন ও ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীকালে শহরের অন্য প্রান্তে সরকারি এম এল মডেল হাইস্কুলের পাশে নতুন ভবন নির্মাণ হলে এই ভবনটি অকেজো হয়ে পড়ে। তবে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতারা এটি তাঁদের দখলে রাখেন। পরে সেটি উদ্ধার হলেও পাঁচ বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভায়রা ব্যবসায়ী নুরুল আমিন দুদু পাঁচ বছরের জন্য মাসিক পাঁচ হাজার টাকার ভাড়ার চুক্তি করেন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
ভবনটি ব্যবহার–সংক্রান্ত একটি চুক্তিনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে অন্য কাউকে ঘর হস্তান্তর করতে পারবে না বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ নিয়ম না মেনেই সাবেক সংসদ সদস্য ভবনটি দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।
চুক্তিনামাতে উল্লেখ করা হয়, ভাড়াটিয়া পরপর ছয় মাসের ভাড়া দিতে ব্যর্থ হলে ভাড়া প্রদান করেই তাঁকে ভবনটি ছেড়ে দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী মোট ভাড়া তিন লাঁখ টাকা হলেও এখন পর্যন্ত এমপি নাসির কোনো ভাড়া পরিশোধ করেননি।
ঝিকরগাছা সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল আমিন দুদুর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। তবে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করে তাঁর ভায়রার কাছে ব্যবহার করতে দেন। তিনি ভবনটি রাজনীতিক কার্যালয় করেছে। ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কোনো ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেনি। দখলকারীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। ভবনটিতে আমরা আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার করতে চাই। কিন্তু করতে পারছি না ভবন বুঝে না পাওয়ার কারণে। ভবনটিতে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয়। উদ্ধারে স্থানীয় ইউএনও ও থানাতে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ পায়নি।’
ভবনটির ভাড়া নেওয়া নুরুল আমিন দুদু বলেন, ‘ভবনটি আমি ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছ থেকে আমরা ভায়রা সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু তিনি এবার নমিনেশন না পাওয়াতে বেশির ভাগ সময় ঢাকাতে থাকে। তার অফিস এখন তার অনুসারী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা দখলে রেখেছে। তারা ব্যবহার করেছে, ফলে তারাই ভাড়া দেবে; কিন্তু দেয়নি। সর্বশেষ চলতি মাসে কলেজ পক্ষকে জানিয়েছি ওই ভবন ব্যবহার করব না। কিন্তু সেলিম রেজা জোর করে দখলে রেখেছে। উদ্ধারের জন্য আমি স্থানীয় থানা ও ইউএনওকেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি কলেজের পরিত্যক্ত সম্পদ ছিল। মাদকের আখড়া ছিল। আমরা পরিষ্কার ও ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ব্যবহার উপযোগী করেছি।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমরা ভাড়া নিয়েছি। ভাড়া না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। যেহেতু ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। ভাড়া থেকে সেই টাকা কাটবে, এটাই চুক্তিতেই লেখা। তারা যদি না লেখে আমাদের তো কিছু করার নেই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন একটি পক্ষের হয়ে। কলেজের অনেক সম্পত্তি বেদখল রয়েছে। সেগুলো আগে উদ্ধার করতে বলেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘ভবনটি উদ্ধারে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও মূল ভাড়াটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা এসি ল্যান্ডকে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের একটি দ্বিতল ভবন দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন নাসির পাঁচ বছর ধরে ভবনটি সংসদ সদস্যের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি এটি তাঁর অনুসারীদের রাজনীতিক দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবেক এই সংসদ সদস্যের ভায়রা এই ভবনটি পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নিলেও মূলত ব্যবহার করতেন নাসির উদ্দিন। ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে চুক্তিনামা লঙ্ঘন করে পুরো পাঁচ বছরের একটি টাকাও পরিশোধ করেননি তাঁরা। ভবনটি উদ্ধারে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও ভবনটি বুঝে পায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ভবনটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভবনটি বেদখল থাকাতে সেটি করতে পারছে না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নাসির উদ্দিন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে যশোরের ঝিকরগাছা পৌর শহরের মিতালি হল সড়কসংলগ্ন ভবনটিতে দেখা যায় এটির মেইন গেট তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ভেতরে বড় ব্যানারে লেখা ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঝিকরগাছা উপজেলা শাখা, অস্থায়ী কার্যালয়’। পাশাপাশি আরেকটি সাইনবোর্ডে লেখা ‘কমিউনিটি পুলিশিং বুথ (কার্যালয়) ঝিকরগাছা থানা, যশোর’। ভবনটির দোতলায় খসে পড়ছে পলেস্তারা। ঝাপসাভাবে লেখা শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের বিজ্ঞান ভবন। ভবনের দেয়ালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা–কর্মীদের ছবি–সংবলিত বিভিন্ন দিবসের ব্যানার। প্রতিটি ব্যানারেই সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিনের ছবিও রয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, এ ভবনের নিচতলায় তিনটি রুম রয়েছে। একটি ব্যবহার করেন সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন, অন্যটি ব্যবহার করেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। অন্য আরেকটি রুমের সামনে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাইনবোর্ড থাকলেও সেটি সর্বদা বন্ধ পাওয়া যায়। ভবন ছাড়াও এখানে অনেক বড় খোলা জায়গা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময়ে সভা–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি কলেজের ভবন দখল করে নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্যের রাজনীতিক দলীয় কার্যালয় বানানোতে ক্ষুব্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মী, স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষা অনুরাগীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবন উদ্ধারে এত দিন কোনো পদক্ষেপ না নিলেও বর্তমানে সরব হয়েছে। চলতি বছরে তারা কয়েক দফা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় থানাতে লিখিত অভিযোগও দিয়েছে।
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা মিতালি হল রোডের এই দ্বিতল ভবনটি ১৯৬৮ সালে নির্মাণ হয়। সেখানে ভবনসহ ক্যাম্পাস রয়েছে। সেটি একসময় বিজ্ঞান ভবন ও ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীকালে শহরের অন্য প্রান্তে সরকারি এম এল মডেল হাইস্কুলের পাশে নতুন ভবন নির্মাণ হলে এই ভবনটি অকেজো হয়ে পড়ে। তবে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতারা এটি তাঁদের দখলে রাখেন। পরে সেটি উদ্ধার হলেও পাঁচ বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভায়রা ব্যবসায়ী নুরুল আমিন দুদু পাঁচ বছরের জন্য মাসিক পাঁচ হাজার টাকার ভাড়ার চুক্তি করেন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
ভবনটি ব্যবহার–সংক্রান্ত একটি চুক্তিনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে অন্য কাউকে ঘর হস্তান্তর করতে পারবে না বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ নিয়ম না মেনেই সাবেক সংসদ সদস্য ভবনটি দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।
চুক্তিনামাতে উল্লেখ করা হয়, ভাড়াটিয়া পরপর ছয় মাসের ভাড়া দিতে ব্যর্থ হলে ভাড়া প্রদান করেই তাঁকে ভবনটি ছেড়ে দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী মোট ভাড়া তিন লাঁখ টাকা হলেও এখন পর্যন্ত এমপি নাসির কোনো ভাড়া পরিশোধ করেননি।
ঝিকরগাছা সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল আমিন দুদুর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। তবে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করে তাঁর ভায়রার কাছে ব্যবহার করতে দেন। তিনি ভবনটি রাজনীতিক কার্যালয় করেছে। ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কোনো ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেনি। দখলকারীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। ভবনটিতে আমরা আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার করতে চাই। কিন্তু করতে পারছি না ভবন বুঝে না পাওয়ার কারণে। ভবনটিতে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয়। উদ্ধারে স্থানীয় ইউএনও ও থানাতে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ পায়নি।’
ভবনটির ভাড়া নেওয়া নুরুল আমিন দুদু বলেন, ‘ভবনটি আমি ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছ থেকে আমরা ভায়রা সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু তিনি এবার নমিনেশন না পাওয়াতে বেশির ভাগ সময় ঢাকাতে থাকে। তার অফিস এখন তার অনুসারী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা দখলে রেখেছে। তারা ব্যবহার করেছে, ফলে তারাই ভাড়া দেবে; কিন্তু দেয়নি। সর্বশেষ চলতি মাসে কলেজ পক্ষকে জানিয়েছি ওই ভবন ব্যবহার করব না। কিন্তু সেলিম রেজা জোর করে দখলে রেখেছে। উদ্ধারের জন্য আমি স্থানীয় থানা ও ইউএনওকেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি কলেজের পরিত্যক্ত সম্পদ ছিল। মাদকের আখড়া ছিল। আমরা পরিষ্কার ও ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ব্যবহার উপযোগী করেছি।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমরা ভাড়া নিয়েছি। ভাড়া না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। যেহেতু ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। ভাড়া থেকে সেই টাকা কাটবে, এটাই চুক্তিতেই লেখা। তারা যদি না লেখে আমাদের তো কিছু করার নেই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন একটি পক্ষের হয়ে। কলেজের অনেক সম্পত্তি বেদখল রয়েছে। সেগুলো আগে উদ্ধার করতে বলেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘ভবনটি উদ্ধারে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও মূল ভাড়াটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা এসি ল্যান্ডকে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
যশোর ও ঝিকরগাছা প্রতিনিধি

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের একটি দ্বিতল ভবন দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন নাসির পাঁচ বছর ধরে ভবনটি সংসদ সদস্যের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি এটি তাঁর অনুসারীদের রাজনীতিক দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবেক এই সংসদ সদস্যের ভায়রা এই ভবনটি পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নিলেও মূলত ব্যবহার করতেন নাসির উদ্দিন। ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে চুক্তিনামা লঙ্ঘন করে পুরো পাঁচ বছরের একটি টাকাও পরিশোধ করেননি তাঁরা। ভবনটি উদ্ধারে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও ভবনটি বুঝে পায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ভবনটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভবনটি বেদখল থাকাতে সেটি করতে পারছে না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নাসির উদ্দিন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে যশোরের ঝিকরগাছা পৌর শহরের মিতালি হল সড়কসংলগ্ন ভবনটিতে দেখা যায় এটির মেইন গেট তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ভেতরে বড় ব্যানারে লেখা ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঝিকরগাছা উপজেলা শাখা, অস্থায়ী কার্যালয়’। পাশাপাশি আরেকটি সাইনবোর্ডে লেখা ‘কমিউনিটি পুলিশিং বুথ (কার্যালয়) ঝিকরগাছা থানা, যশোর’। ভবনটির দোতলায় খসে পড়ছে পলেস্তারা। ঝাপসাভাবে লেখা শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের বিজ্ঞান ভবন। ভবনের দেয়ালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা–কর্মীদের ছবি–সংবলিত বিভিন্ন দিবসের ব্যানার। প্রতিটি ব্যানারেই সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিনের ছবিও রয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, এ ভবনের নিচতলায় তিনটি রুম রয়েছে। একটি ব্যবহার করেন সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন, অন্যটি ব্যবহার করেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। অন্য আরেকটি রুমের সামনে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাইনবোর্ড থাকলেও সেটি সর্বদা বন্ধ পাওয়া যায়। ভবন ছাড়াও এখানে অনেক বড় খোলা জায়গা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময়ে সভা–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি কলেজের ভবন দখল করে নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্যের রাজনীতিক দলীয় কার্যালয় বানানোতে ক্ষুব্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মী, স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষা অনুরাগীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবন উদ্ধারে এত দিন কোনো পদক্ষেপ না নিলেও বর্তমানে সরব হয়েছে। চলতি বছরে তারা কয়েক দফা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় থানাতে লিখিত অভিযোগও দিয়েছে।
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা মিতালি হল রোডের এই দ্বিতল ভবনটি ১৯৬৮ সালে নির্মাণ হয়। সেখানে ভবনসহ ক্যাম্পাস রয়েছে। সেটি একসময় বিজ্ঞান ভবন ও ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীকালে শহরের অন্য প্রান্তে সরকারি এম এল মডেল হাইস্কুলের পাশে নতুন ভবন নির্মাণ হলে এই ভবনটি অকেজো হয়ে পড়ে। তবে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতারা এটি তাঁদের দখলে রাখেন। পরে সেটি উদ্ধার হলেও পাঁচ বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভায়রা ব্যবসায়ী নুরুল আমিন দুদু পাঁচ বছরের জন্য মাসিক পাঁচ হাজার টাকার ভাড়ার চুক্তি করেন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
ভবনটি ব্যবহার–সংক্রান্ত একটি চুক্তিনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে অন্য কাউকে ঘর হস্তান্তর করতে পারবে না বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ নিয়ম না মেনেই সাবেক সংসদ সদস্য ভবনটি দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।
চুক্তিনামাতে উল্লেখ করা হয়, ভাড়াটিয়া পরপর ছয় মাসের ভাড়া দিতে ব্যর্থ হলে ভাড়া প্রদান করেই তাঁকে ভবনটি ছেড়ে দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী মোট ভাড়া তিন লাঁখ টাকা হলেও এখন পর্যন্ত এমপি নাসির কোনো ভাড়া পরিশোধ করেননি।
ঝিকরগাছা সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল আমিন দুদুর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। তবে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করে তাঁর ভায়রার কাছে ব্যবহার করতে দেন। তিনি ভবনটি রাজনীতিক কার্যালয় করেছে। ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কোনো ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেনি। দখলকারীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। ভবনটিতে আমরা আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার করতে চাই। কিন্তু করতে পারছি না ভবন বুঝে না পাওয়ার কারণে। ভবনটিতে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয়। উদ্ধারে স্থানীয় ইউএনও ও থানাতে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ পায়নি।’
ভবনটির ভাড়া নেওয়া নুরুল আমিন দুদু বলেন, ‘ভবনটি আমি ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছ থেকে আমরা ভায়রা সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু তিনি এবার নমিনেশন না পাওয়াতে বেশির ভাগ সময় ঢাকাতে থাকে। তার অফিস এখন তার অনুসারী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা দখলে রেখেছে। তারা ব্যবহার করেছে, ফলে তারাই ভাড়া দেবে; কিন্তু দেয়নি। সর্বশেষ চলতি মাসে কলেজ পক্ষকে জানিয়েছি ওই ভবন ব্যবহার করব না। কিন্তু সেলিম রেজা জোর করে দখলে রেখেছে। উদ্ধারের জন্য আমি স্থানীয় থানা ও ইউএনওকেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি কলেজের পরিত্যক্ত সম্পদ ছিল। মাদকের আখড়া ছিল। আমরা পরিষ্কার ও ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ব্যবহার উপযোগী করেছি।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমরা ভাড়া নিয়েছি। ভাড়া না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। যেহেতু ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। ভাড়া থেকে সেই টাকা কাটবে, এটাই চুক্তিতেই লেখা। তারা যদি না লেখে আমাদের তো কিছু করার নেই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন একটি পক্ষের হয়ে। কলেজের অনেক সম্পত্তি বেদখল রয়েছে। সেগুলো আগে উদ্ধার করতে বলেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘ভবনটি উদ্ধারে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও মূল ভাড়াটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা এসি ল্যান্ডকে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের একটি দ্বিতল ভবন দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন নাসির পাঁচ বছর ধরে ভবনটি সংসদ সদস্যের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি এটি তাঁর অনুসারীদের রাজনীতিক দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবেক এই সংসদ সদস্যের ভায়রা এই ভবনটি পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নিলেও মূলত ব্যবহার করতেন নাসির উদ্দিন। ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে চুক্তিনামা লঙ্ঘন করে পুরো পাঁচ বছরের একটি টাকাও পরিশোধ করেননি তাঁরা। ভবনটি উদ্ধারে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও ভবনটি বুঝে পায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ভবনটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভবনটি বেদখল থাকাতে সেটি করতে পারছে না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নাসির উদ্দিন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে যশোরের ঝিকরগাছা পৌর শহরের মিতালি হল সড়কসংলগ্ন ভবনটিতে দেখা যায় এটির মেইন গেট তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ভেতরে বড় ব্যানারে লেখা ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঝিকরগাছা উপজেলা শাখা, অস্থায়ী কার্যালয়’। পাশাপাশি আরেকটি সাইনবোর্ডে লেখা ‘কমিউনিটি পুলিশিং বুথ (কার্যালয়) ঝিকরগাছা থানা, যশোর’। ভবনটির দোতলায় খসে পড়ছে পলেস্তারা। ঝাপসাভাবে লেখা শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের বিজ্ঞান ভবন। ভবনের দেয়ালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা–কর্মীদের ছবি–সংবলিত বিভিন্ন দিবসের ব্যানার। প্রতিটি ব্যানারেই সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিনের ছবিও রয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, এ ভবনের নিচতলায় তিনটি রুম রয়েছে। একটি ব্যবহার করেন সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন, অন্যটি ব্যবহার করেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। অন্য আরেকটি রুমের সামনে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাইনবোর্ড থাকলেও সেটি সর্বদা বন্ধ পাওয়া যায়। ভবন ছাড়াও এখানে অনেক বড় খোলা জায়গা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময়ে সভা–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি কলেজের ভবন দখল করে নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্যের রাজনীতিক দলীয় কার্যালয় বানানোতে ক্ষুব্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মী, স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষা অনুরাগীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবন উদ্ধারে এত দিন কোনো পদক্ষেপ না নিলেও বর্তমানে সরব হয়েছে। চলতি বছরে তারা কয়েক দফা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় থানাতে লিখিত অভিযোগও দিয়েছে।
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা মিতালি হল রোডের এই দ্বিতল ভবনটি ১৯৬৮ সালে নির্মাণ হয়। সেখানে ভবনসহ ক্যাম্পাস রয়েছে। সেটি একসময় বিজ্ঞান ভবন ও ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীকালে শহরের অন্য প্রান্তে সরকারি এম এল মডেল হাইস্কুলের পাশে নতুন ভবন নির্মাণ হলে এই ভবনটি অকেজো হয়ে পড়ে। তবে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতারা এটি তাঁদের দখলে রাখেন। পরে সেটি উদ্ধার হলেও পাঁচ বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভায়রা ব্যবসায়ী নুরুল আমিন দুদু পাঁচ বছরের জন্য মাসিক পাঁচ হাজার টাকার ভাড়ার চুক্তি করেন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
ভবনটি ব্যবহার–সংক্রান্ত একটি চুক্তিনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে অন্য কাউকে ঘর হস্তান্তর করতে পারবে না বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ নিয়ম না মেনেই সাবেক সংসদ সদস্য ভবনটি দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।
চুক্তিনামাতে উল্লেখ করা হয়, ভাড়াটিয়া পরপর ছয় মাসের ভাড়া দিতে ব্যর্থ হলে ভাড়া প্রদান করেই তাঁকে ভবনটি ছেড়ে দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী মোট ভাড়া তিন লাঁখ টাকা হলেও এখন পর্যন্ত এমপি নাসির কোনো ভাড়া পরিশোধ করেননি।
ঝিকরগাছা সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আলতাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল আমিন দুদুর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। তবে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করে তাঁর ভায়রার কাছে ব্যবহার করতে দেন। তিনি ভবনটি রাজনীতিক কার্যালয় করেছে। ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কোনো ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেনি। দখলকারীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। ভবনটিতে আমরা আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার করতে চাই। কিন্তু করতে পারছি না ভবন বুঝে না পাওয়ার কারণে। ভবনটিতে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয়। উদ্ধারে স্থানীয় ইউএনও ও থানাতে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ পায়নি।’
ভবনটির ভাড়া নেওয়া নুরুল আমিন দুদু বলেন, ‘ভবনটি আমি ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছ থেকে আমরা ভায়রা সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু তিনি এবার নমিনেশন না পাওয়াতে বেশির ভাগ সময় ঢাকাতে থাকে। তার অফিস এখন তার অনুসারী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা দখলে রেখেছে। তারা ব্যবহার করেছে, ফলে তারাই ভাড়া দেবে; কিন্তু দেয়নি। সর্বশেষ চলতি মাসে কলেজ পক্ষকে জানিয়েছি ওই ভবন ব্যবহার করব না। কিন্তু সেলিম রেজা জোর করে দখলে রেখেছে। উদ্ধারের জন্য আমি স্থানীয় থানা ও ইউএনওকেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি কলেজের পরিত্যক্ত সম্পদ ছিল। মাদকের আখড়া ছিল। আমরা পরিষ্কার ও ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ব্যবহার উপযোগী করেছি।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমরা ভাড়া নিয়েছি। ভাড়া না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। যেহেতু ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। ভাড়া থেকে সেই টাকা কাটবে, এটাই চুক্তিতেই লেখা। তারা যদি না লেখে আমাদের তো কিছু করার নেই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন একটি পক্ষের হয়ে। কলেজের অনেক সম্পত্তি বেদখল রয়েছে। সেগুলো আগে উদ্ধার করতে বলেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘ভবনটি উদ্ধারে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও মূল ভাড়াটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা এসি ল্যান্ডকে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও
৫ মিনিট আগে
জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকা
১৮ মিনিট আগে
বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
২০ মিনিট আগে
একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
২৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁরা কেউ সরাসরি হামলাকারী নন।
গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, মানব পাচারে জড়িত চক্রের দুই সহযোগী, সন্দেহভাজন শুটার ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।
হাদির হত্যাচেষ্টাকে কেন্দ্র করে অভিযানে সর্বশেষ গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ঘন ঘন ফোনে যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ফয়সাল করিম মাসুদ যে হাদির ওপর হামলা চালানো ‘শুটার’ আর আলমগীর শেখ মোটরসাইকেলচালক, তা শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ‘ডিজিটাল ডিভাইস’ ব্যবহার করে অবস্থান লুকিয়ে রেখেছিলেন। হামলার পর এই দুজন ঢাকা থেকে বেরিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পার হয়ে ভারতের মেঘালয় অঞ্চলে চলে যান। তদন্তকারীরা বলছেন, মূল সন্দেহভাজনেরা সীমান্ত পার হওয়ার আগে ধাপে ধাপে ঢাকা থেকে হালুয়াঘাট পর্যন্ত গেছেন।
গত শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে হাদিকে অনুসরণ করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়।
গতকাল বিকেলে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি অবশ্য জানান, সন্দেহভাজনদের কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না—এমন কোনো তথ্য ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে পাওয়া যায়নি। ফয়সালের সর্বশেষ দেশের বাইরে যাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, তিনি জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর বৈধভাবে দেশত্যাগের কোনো রেকর্ড নেই।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সন্দেহভাজনদের বিষয়ে অভিযান চালিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে মানব পাচার চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিককে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। সীমান্ত থেকে আটক করা দুই ব্যক্তি হলেন সিবিয়ন দিও ও সঞ্চয় চিসম।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আটক করা দুই ব্যক্তি মূল হামলাকারীদের সীমান্ত পার করতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের মাধ্যমে মূল সন্দেহভাজনদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও সফল হওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় অংশ নেওয়া দুজনের মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঢাকার অদূরের একটি উপজেলা থেকে তাঁদের দুই সহযোগী মো. মিলন ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার দিন এই দুজনের সঙ্গে হামলাকারীদের শতাধিকবার ফোনে যোগাযোগ হয়। আর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানকে র্যাব-২ গ্রেপ্তার করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে।
পল্টন থানা-পুলিশ হান্নানকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আবদুল হান্নান আদালতকে বলেন, মোটরসাইকেলটি তিনি একটি শোরুমে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। মালিকানা পরিবর্তনের জন্য দুই মাস আগে কল দেওয়া হলেও অসুস্থ থাকায় তিনি যেতে পারেননি।
ভারতের প্রতি আহ্বান
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে ঢুকে পড়লে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর বিপরীতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে ভারতের ভূখণ্ড কখনোই ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আশা করি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁরা কেউ সরাসরি হামলাকারী নন।
গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, মানব পাচারে জড়িত চক্রের দুই সহযোগী, সন্দেহভাজন শুটার ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।
হাদির হত্যাচেষ্টাকে কেন্দ্র করে অভিযানে সর্বশেষ গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ঘন ঘন ফোনে যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ফয়সাল করিম মাসুদ যে হাদির ওপর হামলা চালানো ‘শুটার’ আর আলমগীর শেখ মোটরসাইকেলচালক, তা শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ‘ডিজিটাল ডিভাইস’ ব্যবহার করে অবস্থান লুকিয়ে রেখেছিলেন। হামলার পর এই দুজন ঢাকা থেকে বেরিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পার হয়ে ভারতের মেঘালয় অঞ্চলে চলে যান। তদন্তকারীরা বলছেন, মূল সন্দেহভাজনেরা সীমান্ত পার হওয়ার আগে ধাপে ধাপে ঢাকা থেকে হালুয়াঘাট পর্যন্ত গেছেন।
গত শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে হাদিকে অনুসরণ করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়।
গতকাল বিকেলে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি অবশ্য জানান, সন্দেহভাজনদের কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না—এমন কোনো তথ্য ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে পাওয়া যায়নি। ফয়সালের সর্বশেষ দেশের বাইরে যাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, তিনি জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর বৈধভাবে দেশত্যাগের কোনো রেকর্ড নেই।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সন্দেহভাজনদের বিষয়ে অভিযান চালিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে মানব পাচার চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিককে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। সীমান্ত থেকে আটক করা দুই ব্যক্তি হলেন সিবিয়ন দিও ও সঞ্চয় চিসম।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আটক করা দুই ব্যক্তি মূল হামলাকারীদের সীমান্ত পার করতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের মাধ্যমে মূল সন্দেহভাজনদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও সফল হওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় অংশ নেওয়া দুজনের মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঢাকার অদূরের একটি উপজেলা থেকে তাঁদের দুই সহযোগী মো. মিলন ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার দিন এই দুজনের সঙ্গে হামলাকারীদের শতাধিকবার ফোনে যোগাযোগ হয়। আর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানকে র্যাব-২ গ্রেপ্তার করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে।
পল্টন থানা-পুলিশ হান্নানকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আবদুল হান্নান আদালতকে বলেন, মোটরসাইকেলটি তিনি একটি শোরুমে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। মালিকানা পরিবর্তনের জন্য দুই মাস আগে কল দেওয়া হলেও অসুস্থ থাকায় তিনি যেতে পারেননি।
ভারতের প্রতি আহ্বান
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে ঢুকে পড়লে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর বিপরীতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে ভারতের ভূখণ্ড কখনোই ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আশা করি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের একটি দ্বিতল ভবন দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন নাসির পাঁচ বছর ধরে ভবনটি সংসদ সদস্যের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি এটি তাঁর অনু
১৫ জুলাই ২০২৪
জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকা
১৮ মিনিট আগে
বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
২০ মিনিট আগে
একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
২৪ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকায় আশপাশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়ায় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়েছে, যা স্থানীয়ভাবে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হওয়া সত্ত্বেও আয়কর বা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সরকারের কোষাগারে সঠিকভাবে জমা না দেওয়ায় রাষ্ট্র বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নে কৃষি খামার, মডার্ন অ্যাগ্রো ফার্ম, চুয়াডাঙ্গা অ্যাগ্রো কম্পোস্ট, চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্ট ও মা অ্যাগ্রো নামের পাঁচটি অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানে সার উৎপাদন করা হচ্ছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব কারখানায় খোলামেলা পরিবেশে বিপুল কাঁচা গোবর ও জৈব পদার্থ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে চুয়াডাঙ্গা অ্যাগ্রো কম্পোস্ট ও চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্টের স্বত্বাধিকারী এরফান বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, আবেদন করেছি। তবে এখনো লাইসেন্স নেই।’ কৃষি খামার নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল বলেন, ‘এত নিয়ম আইন জানি না। এখন সরকার বন্ধ করতে বললে বন্ধ করে দেব।’
সরেজমিনে দেখা যায়, অননুমোদিত কারখানাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড অনুসরণ করছে না। ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রধান উপাদান হলো গোবর এবং অন্যান্য জৈব বর্জ্য। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করলে এই কাঁচামাল এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ-পরবর্তী অব্যবস্থাপিত বর্জ্য সরাসরি পরিবেশে মিশে যাচ্ছে। কারখানার অপরিশোধিত তরল বর্জ্য সরাসরি নিকটস্থ পুকুর, খাল বা কৃষিজমিতে ফেলার কারণে ভূপৃষ্ঠের জল এবং মাটির মারাত্মক দূষণ ঘটছে। এই বর্জ্যের কারণে জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা গোবর ও জৈব পদার্থ খোলা জায়গায় দীর্ঘ সময় স্তূপ করে রাখলে বা সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা পচনের সময় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে বায়ুর গুণমান নষ্ট এবং আশপাশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধ ও পরিবেশদূষণের কারণে কারখানা পরিচালনাকারীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায়ই বিরোধ তৈরি হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘অনুমোদনহীন কারখানা চালু রাখা যাবে না। আমরা বিষয়টির খোঁজ নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আলুকদিয়ায় কয়েকটি অবৈধ সার কারখানার বিষয়ে শুনেছি। আমরা দ্রুতই সেখানে অভিযান চালাব। ওই এলাকায় কেউ ছাড়পত্র নেননি।’

জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকায় আশপাশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়ায় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়েছে, যা স্থানীয়ভাবে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হওয়া সত্ত্বেও আয়কর বা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সরকারের কোষাগারে সঠিকভাবে জমা না দেওয়ায় রাষ্ট্র বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নে কৃষি খামার, মডার্ন অ্যাগ্রো ফার্ম, চুয়াডাঙ্গা অ্যাগ্রো কম্পোস্ট, চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্ট ও মা অ্যাগ্রো নামের পাঁচটি অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানে সার উৎপাদন করা হচ্ছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব কারখানায় খোলামেলা পরিবেশে বিপুল কাঁচা গোবর ও জৈব পদার্থ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে চুয়াডাঙ্গা অ্যাগ্রো কম্পোস্ট ও চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্টের স্বত্বাধিকারী এরফান বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, আবেদন করেছি। তবে এখনো লাইসেন্স নেই।’ কৃষি খামার নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল বলেন, ‘এত নিয়ম আইন জানি না। এখন সরকার বন্ধ করতে বললে বন্ধ করে দেব।’
সরেজমিনে দেখা যায়, অননুমোদিত কারখানাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড অনুসরণ করছে না। ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রধান উপাদান হলো গোবর এবং অন্যান্য জৈব বর্জ্য। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করলে এই কাঁচামাল এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ-পরবর্তী অব্যবস্থাপিত বর্জ্য সরাসরি পরিবেশে মিশে যাচ্ছে। কারখানার অপরিশোধিত তরল বর্জ্য সরাসরি নিকটস্থ পুকুর, খাল বা কৃষিজমিতে ফেলার কারণে ভূপৃষ্ঠের জল এবং মাটির মারাত্মক দূষণ ঘটছে। এই বর্জ্যের কারণে জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা গোবর ও জৈব পদার্থ খোলা জায়গায় দীর্ঘ সময় স্তূপ করে রাখলে বা সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা পচনের সময় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে বায়ুর গুণমান নষ্ট এবং আশপাশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধ ও পরিবেশদূষণের কারণে কারখানা পরিচালনাকারীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায়ই বিরোধ তৈরি হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘অনুমোদনহীন কারখানা চালু রাখা যাবে না। আমরা বিষয়টির খোঁজ নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আলুকদিয়ায় কয়েকটি অবৈধ সার কারখানার বিষয়ে শুনেছি। আমরা দ্রুতই সেখানে অভিযান চালাব। ওই এলাকায় কেউ ছাড়পত্র নেননি।’

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের একটি দ্বিতল ভবন দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন নাসির পাঁচ বছর ধরে ভবনটি সংসদ সদস্যের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি এটি তাঁর অনু
১৫ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও
৫ মিনিট আগে
বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
২০ মিনিট আগে
একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
২৪ মিনিট আগেগনেশ দাস, বগুড়া

বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
জানা গেছে, বগুড়া পৌরসভা থেকে তিনমাথা রেলগেট বাজার ইজারা নিয়েছেন সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। কিন্তু বাজার ছাড়াও মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা নেন তিনি।
জানতে চাইলে ফ্লাইওভারের নিচে বসানো দোকানদার রাসেল, জালাল ও ইদ্রিস জানান, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী দোকান বসানোর অনুমতি পেতে এবং ব্যবসা চালাতে প্রতিদিন ৩০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হচ্ছে। ইজারাদারের নিয়োজিত লোকজন পৌরসভার রশিদ দিয়ে চাঁদা নিলেও সেখানে টাকার অঙ্ক লেখা থাকে না। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দোকান সরিয়ে দেওয়ার হুমকি, এমনকি হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে দোকান করতে চাই। কিন্তু প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হয় না।’
বগুড়া পৌরসভার বাজার পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, শহরের মধ্যে কিছু অস্থায়ী বাজার রয়েছে, যা পৌরসভা থেকে পেরিফেরি করা হয়নি। যেখানে বাজার বসে, সেই স্থানকে বাজার হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তিনমাথা রেলগেট বাজার বাংলা ১৪২৩ সনের জন্য ৫ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ইজারাদার ও বিএনপি নেতা সায়েদুল ইসলাম সায়েদ বলেন, ‘৫ লাখ টাকায় বাজার ইজারা নেওয়া হলেও পৌরসভা থেকে বাজারের অবস্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়নি। আয়কর ভ্যাট এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে আমার ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ। বাজারের স্থান নির্ধারণ করা না থাকায় এবং বিনিয়োগ করা টাকা তুলতে ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে বসা দোকান থেকে ইজারার টাকা তুলতে হয়।’

এ বিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর বলেন, ‘ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বসানো আইনবিরোধী। সাসেক প্রকল্প থেকে এখনো মহাসড়ক আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তারপরও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়কের পাশের ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বাসানোর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। হাইওয়ে পুলিশ এর আগেও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে। শিগগির আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।’

বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
জানা গেছে, বগুড়া পৌরসভা থেকে তিনমাথা রেলগেট বাজার ইজারা নিয়েছেন সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। কিন্তু বাজার ছাড়াও মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা নেন তিনি।
জানতে চাইলে ফ্লাইওভারের নিচে বসানো দোকানদার রাসেল, জালাল ও ইদ্রিস জানান, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী দোকান বসানোর অনুমতি পেতে এবং ব্যবসা চালাতে প্রতিদিন ৩০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হচ্ছে। ইজারাদারের নিয়োজিত লোকজন পৌরসভার রশিদ দিয়ে চাঁদা নিলেও সেখানে টাকার অঙ্ক লেখা থাকে না। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দোকান সরিয়ে দেওয়ার হুমকি, এমনকি হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে দোকান করতে চাই। কিন্তু প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হয় না।’
বগুড়া পৌরসভার বাজার পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, শহরের মধ্যে কিছু অস্থায়ী বাজার রয়েছে, যা পৌরসভা থেকে পেরিফেরি করা হয়নি। যেখানে বাজার বসে, সেই স্থানকে বাজার হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তিনমাথা রেলগেট বাজার বাংলা ১৪২৩ সনের জন্য ৫ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ইজারাদার ও বিএনপি নেতা সায়েদুল ইসলাম সায়েদ বলেন, ‘৫ লাখ টাকায় বাজার ইজারা নেওয়া হলেও পৌরসভা থেকে বাজারের অবস্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়নি। আয়কর ভ্যাট এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে আমার ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ। বাজারের স্থান নির্ধারণ করা না থাকায় এবং বিনিয়োগ করা টাকা তুলতে ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে বসা দোকান থেকে ইজারার টাকা তুলতে হয়।’

এ বিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর বলেন, ‘ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বসানো আইনবিরোধী। সাসেক প্রকল্প থেকে এখনো মহাসড়ক আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তারপরও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়কের পাশের ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বাসানোর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। হাইওয়ে পুলিশ এর আগেও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে। শিগগির আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।’

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের একটি দ্বিতল ভবন দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন নাসির পাঁচ বছর ধরে ভবনটি সংসদ সদস্যের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি এটি তাঁর অনু
১৫ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও
৫ মিনিট আগে
জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকা
১৮ মিনিট আগে
একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
২৪ মিনিট আগেমেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা

একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। দুই আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনটি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। ২০০৮ সালের পর থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের হাতে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন জহুরুল ইসলাম। এনসিপি থেকে আলোচনায় আছেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা ফারুক এহসান। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তৌহিদ হোসেন। ২০ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন অফিস ঘোষিত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, এখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৭১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৩ জন।
মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গা শহরে বাইপাস সড়ক, আলমডাঙ্গায় বড় হাসপাতাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করব। শিল্পকারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা এই অঞ্চলের অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্তদের জন্য একটি গ্যারান্টি হবে। ধানের শীষ বিজয়ী হলে আধুনিক ও জনবান্ধব মডেল শহর গড়ে তুলব।’
অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর মানুষ সন্ত্রাসমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, জনগণের এই তিন প্রত্যাশায় ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াতের টিকিটে নির্বাচিত হন হাবিবুর রহমান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন হাজী মো. মোজাম্মেল হক। ২০০৮ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে আলোচনায় আছেন শেখ সেলিম। আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩১ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩ জন।
মাহমুদ হাসান খান বাবু ব্যবসায়ী নেতা হওয়ায় এলাকায় তাঁর যাতায়াত অপেক্ষাকৃত কম। তবে ভোটকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের রুহুল আমিন আগে থেকেই এলাকায় সক্রিয়। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এখানে বিএনপি ও জামায়াত দুই দলের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে।
মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘জেলার উন্নয়নে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা, প্রতি উপজেলায় ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলোকে ২০০ শয্যা করার বিষয়ে আমরা কাজ করব। বেকারত্ব দূরীকরণে দলীয় কর্মসূচির আলোকে কাজ করব।’
জামায়াতের রুহুল আমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করেছি। নির্বাচনের জন্য আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। আমাদের প্রত্যাশা, এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন হবে।’

একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। দুই আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনটি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। ২০০৮ সালের পর থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের হাতে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন জহুরুল ইসলাম। এনসিপি থেকে আলোচনায় আছেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা ফারুক এহসান। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তৌহিদ হোসেন। ২০ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন অফিস ঘোষিত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, এখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৭১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৩ জন।
মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গা শহরে বাইপাস সড়ক, আলমডাঙ্গায় বড় হাসপাতাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করব। শিল্পকারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা এই অঞ্চলের অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্তদের জন্য একটি গ্যারান্টি হবে। ধানের শীষ বিজয়ী হলে আধুনিক ও জনবান্ধব মডেল শহর গড়ে তুলব।’
অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর মানুষ সন্ত্রাসমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, জনগণের এই তিন প্রত্যাশায় ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াতের টিকিটে নির্বাচিত হন হাবিবুর রহমান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন হাজী মো. মোজাম্মেল হক। ২০০৮ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে আলোচনায় আছেন শেখ সেলিম। আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩১ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩ জন।
মাহমুদ হাসান খান বাবু ব্যবসায়ী নেতা হওয়ায় এলাকায় তাঁর যাতায়াত অপেক্ষাকৃত কম। তবে ভোটকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের রুহুল আমিন আগে থেকেই এলাকায় সক্রিয়। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এখানে বিএনপি ও জামায়াত দুই দলের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে।
মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘জেলার উন্নয়নে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা, প্রতি উপজেলায় ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলোকে ২০০ শয্যা করার বিষয়ে আমরা কাজ করব। বেকারত্ব দূরীকরণে দলীয় কর্মসূচির আলোকে কাজ করব।’
জামায়াতের রুহুল আমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করেছি। নির্বাচনের জন্য আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। আমাদের প্রত্যাশা, এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন হবে।’

যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজের একটি দ্বিতল ভবন দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালীন নাসির পাঁচ বছর ধরে ভবনটি সংসদ সদস্যের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি এটি তাঁর অনু
১৫ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও
৫ মিনিট আগে
জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকা
১৮ মিনিট আগে
বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
২০ মিনিট আগে