সাতক্ষীরা সদর
আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা সদরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেতনা নদীর সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ওলামা লীগের এক নেতা নদী দখল করে মাছের ঘের করায় কামারডাঙ্গায় আটকে যায় ২৭০ মিটার অংশের খননকাজ। এর জেরে গত বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির পানি নদী দিয়ে সরতে না পারায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়েন চার উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ। স্রোতের তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে মাছের ঘের ও সবজিখেত ডুবে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় এলাকার চাষিদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জেলা ওলামা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাউফুজ্জামান ওরফে লাদেন কামারডাঙ্গা গ্রামের ছাগলাগেট এলাকায় নদী দখল করে মাছের ঘের করেছিলেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সেখানে তিনি নদী খননকাজ করতে দেননি। তবে গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঘের ও বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান রাউফুজ্জামান। কিন্তু ওই ঘেরের জায়গায় এখনো খননের উদ্যোগ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।
কামারডাঙ্গা গ্রামের মজিবর রহমান বলেন, ‘ঘেরপার্টিরা সব আওয়ামী লীগের লোক ছিল। তারা খুব হিংস্র ছিল। তাই তো তখন কেউ নদী কাটার সাহস পায়নি। সরকারি লোকদের সে বন্দুক উঁচিয়ে তাড়িয়ে দিত।’
ঘের নির্মাণ ও নদী খননে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে জানতে রাউফুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার বড় নদীগুলোর একটি বেতনা। সদর, তালা, কলারোয়া ও আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ এলাকার পানি প্রবাহিত হয় এ নদী দিয়ে। ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভৈরব নদ থেকে এর উৎপত্তি। পরে ভারতে গিয়ে আবার যশোরের শার্শা হয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদে মিশে গেছে বেতনা। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ১৯১ কিলোমিটার।
নদীপাড়ের বাসিন্দা আলিমুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের এ নদী-খাল কিছু প্রভাবশালী লোক দখল করে রেখেছিলেন। আমি এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে লাদেন নামের এক ব্যক্তি দখল করে রেখেছিলেন। আমরা ৬ মাস পানিতে ডুবে ছিলাম। ৫ আগস্টের পর এ এলাকা দখলমুক্ত হয়েছে। কিন্তু পাঁচ মাস পার হয়ে গেল, এখনো নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ বছরের মধ্যে যদি নদী খনন না হয়, তবে আগামী বর্ষা মৌসুমে আমরা আবারও ডুবে যাব।’
আরেক বাসিন্দা আনিসুজ্জামান বলেন, ‘পানি সরতে পারেনি, তাই বিনেরপোতায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাওয়ায় আমরা ঘেরচাষিরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ঘের ভেসে গিয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড তাড়াতাড়ি নদী খনন করুক, না হলে আগামী বর্ষায় আবারও আমাদের ডুবতে হবে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে বেতনা নদীর সবটুকু কাজ শিডিউল অনুযায়ী শেষ করব। লাদেন নামের এক ব্যক্তি ২৭০ মিটার খনন করতে দেননি। ঘের করে দখল করে রেখেছিলেন। আমরা দখল করা জায়গা অপসারণ করেছি। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করব।’
সাতক্ষীরা সদরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেতনা নদীর সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ওলামা লীগের এক নেতা নদী দখল করে মাছের ঘের করায় কামারডাঙ্গায় আটকে যায় ২৭০ মিটার অংশের খননকাজ। এর জেরে গত বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির পানি নদী দিয়ে সরতে না পারায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়েন চার উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ। স্রোতের তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে মাছের ঘের ও সবজিখেত ডুবে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় এলাকার চাষিদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জেলা ওলামা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাউফুজ্জামান ওরফে লাদেন কামারডাঙ্গা গ্রামের ছাগলাগেট এলাকায় নদী দখল করে মাছের ঘের করেছিলেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সেখানে তিনি নদী খননকাজ করতে দেননি। তবে গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঘের ও বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান রাউফুজ্জামান। কিন্তু ওই ঘেরের জায়গায় এখনো খননের উদ্যোগ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।
কামারডাঙ্গা গ্রামের মজিবর রহমান বলেন, ‘ঘেরপার্টিরা সব আওয়ামী লীগের লোক ছিল। তারা খুব হিংস্র ছিল। তাই তো তখন কেউ নদী কাটার সাহস পায়নি। সরকারি লোকদের সে বন্দুক উঁচিয়ে তাড়িয়ে দিত।’
ঘের নির্মাণ ও নদী খননে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে জানতে রাউফুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার বড় নদীগুলোর একটি বেতনা। সদর, তালা, কলারোয়া ও আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ এলাকার পানি প্রবাহিত হয় এ নদী দিয়ে। ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভৈরব নদ থেকে এর উৎপত্তি। পরে ভারতে গিয়ে আবার যশোরের শার্শা হয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদে মিশে গেছে বেতনা। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ১৯১ কিলোমিটার।
নদীপাড়ের বাসিন্দা আলিমুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের এ নদী-খাল কিছু প্রভাবশালী লোক দখল করে রেখেছিলেন। আমি এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে লাদেন নামের এক ব্যক্তি দখল করে রেখেছিলেন। আমরা ৬ মাস পানিতে ডুবে ছিলাম। ৫ আগস্টের পর এ এলাকা দখলমুক্ত হয়েছে। কিন্তু পাঁচ মাস পার হয়ে গেল, এখনো নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ বছরের মধ্যে যদি নদী খনন না হয়, তবে আগামী বর্ষা মৌসুমে আমরা আবারও ডুবে যাব।’
আরেক বাসিন্দা আনিসুজ্জামান বলেন, ‘পানি সরতে পারেনি, তাই বিনেরপোতায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাওয়ায় আমরা ঘেরচাষিরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ঘের ভেসে গিয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড তাড়াতাড়ি নদী খনন করুক, না হলে আগামী বর্ষায় আবারও আমাদের ডুবতে হবে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে বেতনা নদীর সবটুকু কাজ শিডিউল অনুযায়ী শেষ করব। লাদেন নামের এক ব্যক্তি ২৭০ মিটার খনন করতে দেননি। ঘের করে দখল করে রেখেছিলেন। আমরা দখল করা জায়গা অপসারণ করেছি। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করব।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৩৪ মিনিট আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৩৭ মিনিট আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৪৪ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
১ ঘণ্টা আগে