Ajker Patrika

গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ

কলেজ করতে ‘দাঁত ভাঙছে’

  • চারবার মেয়াদ বৃদ্ধি ও দু্ইবার ডিপিপি সংশোধন
  • ৮৯ কোটির প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে আরও ৫১ কোটি টাকা
  • কাজ শেষ না হওয়ায় অনুমোদন পেয়েও শুরু করা সম্ভব হয়নি কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম
  • করোনা ও জমি অধিগ্রহণ জটিলতার অজুহাত
জাবেরুল ইসলাম বাঁধন, গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জে নির্মাণাধীন ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল ভবন। সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
গোপালগঞ্জে নির্মাণাধীন ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল ভবন। সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর দন্তসংশ্লিষ্ট চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসক তৈরির জন্য নেই বিশেষায়িত কোনো সরকারি কলেজ ও হাসপাতাল। এই অভাব দূর করার জন্য সরকার ২০১৪ সালে গোপালগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প নেয়; কিন্তু এখনো সেই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ ও নির্মাণ ব্যয়।

কাজ শেষ না হওয়ায় অনুমোদন পেয়েও শুরু করা সম্ভব হয়নি কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম। আর হাসপাতাল চালু না হওয়ায় দাঁতের সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় জনগণ। এই অবস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণের জটিলতাকে দুষছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও গণপূর্ত বিভাগ।

গণপূর্ত বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে সাড়ে ৭ একর জমিতে গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের অনুমোদন দেয় সরকার। ব্যয় ধরা হয় ৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। পরে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দুবার সংশোধন করে নতুন ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১৩৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বাড়ানো হয় ৫১ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। পরে চার ধাপে তা বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতেও কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় নতুন মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে জিকেবিপিএল অ্যান্ড ডিসিএল নামে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালে ১৪টি ভবন থাকছে। যার মধ্যে রয়েছে আটতলা ফাউন্ডেশনসহ চারতলা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল বা একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষের বাসভবন, পুরুষ শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, নারী শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, পুরুষ ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ডরমিটরি, নারী ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ডরমিটরি, দুটি শিক্ষক ডরমিটরি, দুটি কর্মচারী বাসভবন ও নার্সদের ডরমিটরি। এ ছাড়া সাবস্টেশন, পাম্প, গ্যারেজ ও জেনারেটর রুম রয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ডিসিএল) জ্যেষ্ঠ প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে নির্মাণকাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। ইতিমধ্যে ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি, মেয়াদ বৃদ্ধি সাপেক্ষে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা যাবে।’

এ বিষয়ে কথা হলে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মণ্ডল বলেন, ‘ডেন্টাল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের পেছনের দিকে চারটি ভবনের জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয় ২০২২ সালের শেষের দিকে। মূলত জমি অধিগ্রহণে সময় বেশি লাগার কারণে প্রকল্প সাইটের মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণ ও ভবন চারটির নির্মাণকাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় সময়মতো শেষ করা সম্ভব হয়নি। আশা করি, চলতি বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’

যোগাযোগ করা হলে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ডেন্টাল কলেজ স্থাপন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা ছিল। জমি অধিগ্রহণেই সময় লেগেছে প্রায় ৫ বছর। এ ছাড়া কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়াতে কিছু সময় অতিবাহিত

হয়েছে। এর মধ্যে করোনা মহামারি ছিল। সে সময় প্রকল্পের কাজ

পুরোপুরি বন্ধ ছিল। প্রকল্পের অবশিষ্ট কার্যক্রম শেষ করতে মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু না হওয়ার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ডেন্টাল কলেজের একাডেমিক অনুমোদন পাওয়া গেলেও অবকাঠামো নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি না বসানো পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়। নির্মাণকাজ শেষ হলে আগামী বছর থেকেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র নাফিউল হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে, ধরছে না পুলিশ: অভিযোগ বাবা-মায়ের

পাবনা প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনে ছেলের ছবি হাতে রেজাউল করিম ও নাসিমা আক্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে ছেলের ছবি হাতে রেজাউল করিম ও নাসিমা আক্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। এ ঘটনায় মামলা করার পাঁচ মাস হয়ে গেলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো নাফিউলের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন নাফিউলের বাবা-মা।

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানান নাফিউলের বাবা রেজাউল করিম ও মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিমা আক্তার।

নাফিউল করিম সোহান পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম-নাসিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির সামনে জমি কেনার পর থেকে তাঁদের বিরোধ দেখা দেয় নাফিউলের চাচা ইব্রাহিম হোসেন-নজরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাইদের সঙ্গে। এর জেরে গত ২৪ এপ্রিল ওই জমির মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া বাধান তাঁরা। সেদিন তাঁরা প্রকাশ্যে সবার সামনে নাফিউলকে হত্যার হুমকি দেন। গত ৫ জুন ছুটিতে বাড়িতে যান নাফিউল। ৮ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন ৯ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের মরদেহ দেখতে পান তাঁর বাবা-মা।

নাফিউলের বাবা-মায়ের দাবি, আগের বিরোধের জেরে ৮ ‍জুন রাতের কোনো এক সময় নাফিউলকে তাঁর চাচা ও চাচাতা ভাইয়েরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।

নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, নাফিউলকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁরা লাশ ঢাকার গণ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা নিজেরাই পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ গোসল করান এবং তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। তাঁরা নাফিউলের পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কারও কোনো কথা শোনেননি।

হুমকি আর চাপ উপেক্ষা করে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। নাফিউলের মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পর ৪ আগস্ট নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাফিউলের দুই চাচা ইব্রাহিম হোসেন, নজরুল ইসলাম, চাচাতো ভাইসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

নাফিউলের বাবা-মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলার পরও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও দেখছে না তারা। উল্টো নানাভাবে নাফিউলের বাবা-মাকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে অবিলম্বে ছেলে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার দাবি করেন নাফিউলের বাবা-মা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আযম বলেন, ‘প্রথমে নাফিউলের স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তাঁরা দাফন করেছিলেন। ওই সময় থানায় কোনো জিডি বা মামলা করেননি তাঁরা। সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলার পঞ্চম আদেশে থানায় মামলা করে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। আমরা ৫ ডিসেম্বর মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।’

ওসি আরও বলেন, পুলিশ আসামি ধরছে না—এ কথা ঠিক নয়। কারণ, থানায় তো তাঁরা মামলা করেননি। তদন্তের জন্য লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে নাফিউলের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তার বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন নিজেরাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে ঘুরে এলে এলাকার মানুষজনই দাফন-কাফন করেছে। এখন হঠাৎ করে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। ছেলেটা কীভাবে মারা গেছে, আমরা নিজেরাও জানি না। এর আগে পুলিশ এসে একবার সব জেনেশুনে গেছে। আদালতে মামলা করেছে বলে শুনেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে আগুন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজবাড়ীর পাংশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে সীমানা বেড়ায় রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফজরে মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে এলে গোরস্তানে আগুন দেখতে পান। পড়ে মসজিদের মাইকে আগুন লাগার ঘটনা বলতে থাকলে স্থানীয়রা এসে নেভান। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে আগুন দিয়েছে।

তারাপুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ওই কবরস্থানের কেয়ারটেকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ফজরের আজান দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম, তখন কবরস্থানে আগুন দেখতে পাই। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে স্থানীয় লোকজন ও হেফজখানার ছাত্ররা এসে আগুন নিভিয়েছে। এটা কেউ ধরিয়ে দিয়েছে। এখানে কারেন্ট নেই বা পথের পাশে না যে ভুলবশত হবে। এটা পরিকল্পিত ও নাশকতামূলক।’

বাহাদুরপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব.) শিক্ষক মো. সমশের আলী বলেন, ‘এটা স্বাধীনতাবিরোধীদের কাজ। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে এটা তাঁরা করেছে। আমরা এমন ঘটনার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।’

তারাপুর ঈদগাহ ও গোরস্তানের সেক্রেটারি নুরুল আলম বলেন, ‘এটা সত্যিই ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা কমিটির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় জিডি করব। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গণি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানের সীমানা বেড়ায় আগুন দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।’

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাতুল হক বলেন, পুড়ে যাওয়া সীমানা বেড়া দ্রুত সংস্কার করা হবে। সেই সঙ্গে যারা আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরএমপির ১২ থানায় ওসিদের রদবদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আরএমপির ১২ থানায় ওসিদের রদবদল

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ১২টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়।

আদেশে আবুল কালাম আজাদকে বোয়ালিয়া মডেল থানা থেকে মতিহার থানায়, দামকুড়া থানার রবিউল ইসলামকে বোয়ালিয়া মডেল থানায়, চন্দ্রিমা থানার মো. আরজুনকে বেলপুকুর থানায়, মতিহার থানার আব্দুল মালেককে রাজপাড়া থানায়, কাটাখালী থানার আব্দুল মতিনকে পবা থানায়, বেলপুকুর থানার সুমন কাদেরীকে কাটাখালী থানায়, শাহ মখদুম থানার মাসুমা মুস্তারিকে এয়ারপোর্ট থানায়, এয়ারপোর্ট থানার ফারুক হোসেনকে শাহ মখদুম থানায়, পবা থানার ফরহাদ আলীকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায়, কাশিয়াডাঙ্গা থানার আজিজুল বারী ইবনে জলিলকে দামকুড়া থানায়, কর্ণহার থানার মনিরুল ইসলামকে চন্দ্রিমা থানায় ও রাজপাড়া থানার হাবিবুর রহমানকে কর্ণহার থানায় বদলি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, পদায়ন ও রদবদলের এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার অংশ হিসেবে এ রদবদল করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খোঁপার ভাঁজে লুকানো ২ হাজার ইয়াবা, ভৈরবে নারী আটক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৮
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় আজ রোববার এক নারীর খোঁপা থেকে ইয়াবা জব্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় আজ রোববার এক নারীর খোঁপা থেকে ইয়াবা জব্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চুলের খোঁপায় লুকিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচারের সময় শরীফা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর খোঁপার মধ্যে দুই হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আজ রোববার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।

জানা গেছে, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তে পশ্চিম পাশে একটি লেগুনা থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শরীফা বেগমের খোঁপার ভেতরের থেকে দুই হাজার ইয়াবা উদ্ধার এবং তাঁকে আটক করা হয়। ওই নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভৈরব সার্কেলের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, শরীফা নামের এক নারীর চুলের খোঁপায় ইয়াবা গুঁজে আশুগঞ্জ থেকে লেগুনা দিয়ে ভৈরবে আসছেন। পরে আমরা সেতুর ভৈরব প্রান্তে লেগুনা থেকে ওই নারীকে নামিয়ে তল্লাশি করে তাঁর খোঁপার মধ্যে লুকানো দুই হাজার ইয়াবা উদ্ধার করি। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত