Ajker Patrika

কৌশলে গ্রেপ্তারের জন্য আমাকে দুদকে ডাকা হয়েছে: জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ মে ২০২৩, ১৭: ০৬
কৌশলে গ্রেপ্তারের জন্য আমাকে দুদকে ডাকা হয়েছে: জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আলোচিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমাকে কৌশলে অ্যারেস্টের জন্য দুদকে ডাকা হয়েছে।’

আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। এ সময় তাঁর মা জায়েদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘এটি করা হয়েছে যেন আমি মানুষের কাছে ভোট চাইতে না পারি। আমাদের লোকজন এখানে ভোট চাইতে না পারে। তারা কৌশলে আমাকে অ্যারেস্ট করার জন্য এবং আমার সময় নষ্ট করার জন্য কাজটি করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমাকে গত ১৫ তারিখ দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি যেন ২১ ও ২২ তারিখে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকি, গাজীপুর থেকে গিয়ে বসে থাকি। দুদক একটি সম্মানিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান যেন ধ্বংস না হয়। আমার মায়ের নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে বলতে চাই, আমাকে যেন দুদক আমার নির্বাচনের আগে হয়রানি না করে।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শুধু দুদক নয়, আপনারা যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রতিষ্ঠানে যেকোনো সময় আমাকে ডাকবেন, আমি জবাবদিহির জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু আইনের নাম বলে বেআইনি কাজ যেন না করে। এটা আমি সবার কাছে চাই। সারা দেশের মানুষ জানে, নির্বাচন কমিশন জানে, আমি আমার মায়ের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী। তাহলে আমাকে কেন ২১ এবং ২২ তারিখ ডাকা হলো? ২৩ তারিখে প্রচার বন্ধ। এটি করা হয়েছে—আমি যেন মানুষের কাছে ভোট চাইতে না পারি। আমাদের লোকজন এখানে ভোট চাইতে না পারে।’ 

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘আমাদের মৃত্যু হোক সমস্যা নেই। আমরা আমাদের এলাকাবাসীকে, আমাদের গাজীপুরের প্রত্যেক মানুষকে, আমার গাজীপুরের প্রত্যেক নারীকে, প্রত্যেক মাকে অনুরোধ করব যারা মায়ের মায়ের ওপর হাত তুলেছে, যারা মা জাতিকে কলঙ্ক লেপন করতে পারে, সেই ব্যক্তিকে এবং সেই প্রার্থীকে দয়া করে আপনারা ভোট দেবেন না। আমাদের সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনে দেখার দরকার আছে। আমরা আবারও বলছি, নির্বাচন কমিশনার এবং সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।’ 

জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমি আমার ভোটারদের নিরাপত্তা চাই। তাঁরা যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সেটা চাই। আমাকে আমার ছেলেকে মারার জন্য আজমত উল্লা খান লোক সেট করছে। আমার জনগণ ২৫ তারিখে প্রমাণ করে দেবে, আমি ও আমার ছেলে কি রকম। আমার ছেলের ওপর হামলা ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপপ্রচার হয়েছে, তাঁরা জবাব দেবে। ২৫ তারিখে জনগণ প্রমাণ করবে জাহাঙ্গীরের মা সত্য, জাহাঙ্গীর সত্য।’ 

এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাঁরা আমার ছেলেকে মারতে চায় কেন? মিথ্যার প্রতিবাদ করার জন্য আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমার আল্লাহ আছেন। আল্লাহ ছাড়া আমার আর কেউ নাই।’ 

আজমত উল্লা খান দাবি করেছেন, জাহাঙ্গীর আলমের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় তিনি মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন—এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখানে হাজার হাজার মানুষ দেখেছে, আমার মায়ের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। তাঁরা রাতে ও দিনে প্রশাসনের লোকজন দিয়ে আমার লোকজনকে হয়রানি করেছে।’ 

এ সময় জাহাঙ্গীর আরও অভিযোগ করেন, টঙ্গীতে কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ আছে। আর নির্ধারিত কিছু ক্যাডার বাহিনী দিয়ে, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা করানো হয়েছে।

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের লালনশাহ সেতুর পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন পরিদর্শক মোজাহারুল ইসলাম (৪৫) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কয়েস উদ্দিন (৪০)। তাঁরা পুলিশের পাবনা জেলা বিশেষ শাখায় (ডিএসবি) কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, মোজাহারুল ইসলাম রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে এবং কয়েস উদ্দিন রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া রাতৈল এলাকার কাছিম উদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে মোজাহারুল ইসলাম ও কয়েস উদ্দিন মোটরসাইকেলে করে ভেড়ামারার লালনশাহ সেতু পার হয়ে কুষ্টিয়া শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান তাঁদের চাপা দেয়। এতে দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার পরপরই কাভার্ড ভ্যানটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই পুলিশ কর্মকর্তা কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ ও চালককে আটক করা যায়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিঙ্গাপুরে হাদির অবস্থার অবনতির পর স্থিতিশীল: ইনকিলাব মঞ্চ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার হালনাগাদ জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর হাদির অবস্থার কিছুটা অবনতি হলেও এখন স্থিতিশীল রয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ওসমান হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার আপডেট— আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় সিঙ্গাপুর থেকে তাঁর ভাইয়ের তরফ থেকে জানা যায়, শরিফ ওসমান হাদির প্রাইমারি টেস্টের পর অবস্থার কিছুটা অবনতি দেখা গেলেও বর্তমানে তা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। আরেকটি অপারেশনের প্রয়োজন তবে সেটি করার মতো শারীরিক পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।’

ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।

এই ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে পল্টন থানায় করা মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির মতিঝিল বিভাগ।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাকসু ভিপির দিকে তেড়ে গেলেন ছাত্রদল সভাপতি

চবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৮
বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় প্রশাসনের আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় হট্টগোল বাধে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় প্রশাসনের আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় হট্টগোল বাধে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁর দিকে তেড়ে যান শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন ও সংগঠনটির কয়েকজন নেতা-কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় প্রশাসনের আয়োজিত আলোচনা সভায় এই ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, ‘যাদের ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিয়ে আসার সংস্কৃতি আছে, তারা হট্টগোল করবেই। তবে আমরা সকল ছাত্রসংগঠনের নেতাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিনকে একাধিকবার ফোন করলেও সাড়া মেলেনি।

এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্য ঘিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সোমবার প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে আটকা পড়েন উপাচার্য (ভিসি), উপ-উপাচার্যসহ (প্রোভিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে দেখা যায়। দীর্ঘ প্রায় ৮ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেওয়া হয়।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটা রীতিমতো অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক শামীম খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল। সে সময় তারা জীবিত থাকবে না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবস পালন করতে হচ্ছে একাত্তরের ঘাতকদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অঙ্গীকার করে: প্রিন্স

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
রুহিন হোসেন প্রিন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা
রুহিন হোসেন প্রিন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘আমি ক্ষোভের সাথে লক্ষ করছি, পঁচিশের বিজয় দিবসের আগেই আমাদের একাত্তরের ঘাতক চক্র, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম, তাদের অপতৎপরতা সূচনা করেছে। সেই কারণে আমাদের এবারের বিজয় উৎসব পালন করতে হচ্ছে এই ঘাতকদের বিরুদ্ধে আমাদের অবিরাম সংগ্রামের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে।’

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিপিবি নেতা এসব কথা বলেন।

এ সময় রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা এই দেশটাকে গড়তে পারে নাই বলেই আজকে একাত্তরের ঘাতকসহ অন্যরা এখন সুযোগ পাচ্ছে। আমরা তাই মনে করি, এই ঘাতকদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অবিরাম চলবে। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই ধরনের জাতীয় দিবসে এসে আমরা সাধারণভাবে বলি, আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলেই সব কাজ করা যাবে। আমার বিবেচনায় এই কথাটা যথাযথ না। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের শ্রেণিবিভক্ত সমাজে আমরা যখন একসাথে হই, আমাদের যার যার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকে। প্রকৃতপক্ষে জনস্বার্থের উদ্দেশ্য যাদের আছে তারা এক না হয়ে, যারা জনবিরোধী শক্তি আছে তারাই ঐক্যবদ্ধ হয়। তখন কিন্তু জনস্বার্থবিরোধী অবস্থানই তারা ঘোষণা করতে পারে। সুতরাং আজকে সময় এসেছে জনস্বার্থের পক্ষের রাজনৈতিক দল, ব্যক্তিবর্গকে এক হওয়া। সেই কাজটি আমরা বামপন্থীরা প্রচেষ্টা নিয়ে চলেছি। সেই লক্ষ্য নিয়েই এবারে আমরা বিজয় দিবস পালন করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত