মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাজীপুর

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
শহর থেকে গ্রাম—সবখানে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার আর মিছিলের প্রতিযোগিতা। চলছে প্রচারপত্র বিতরণ, উঠান বৈঠক, সমাবেশ-পথসভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রচারও জমজমাট।
সীমানা পুর্নির্ধারণের পর জেলায় সংসদীয় আসন বেড়ে হয়েছে ছয়টি। আসন বাড়ানোয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদেরও আগ্রহ বেড়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপি চারটি আসনে প্রার্থী ঠিক করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেসব সম্ভাব্য প্রার্থী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে হাতপাখা প্রতীকে প্রচার শুরু করেছে। আর পাঁচ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠে রয়েছেন গণঅধিকারের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
গাজীপুর-১ আসন
কালিয়াকৈর উপজেলা এবং মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড (কোনাবাড়ী থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি শ্রীপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমবার এটিকে শ্রীপুর থেকে আলাদা করে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবার এখান থেকে কোনাবাড়ী থানা কেটে নিয়ে গাজীপুর-২-এ যুক্ত করা হয়েছে।
এই আসনে বিএনপি থেকে চারজন নতুন মুখ মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁদের কেউই আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী।
এখানে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী মানারাত ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সচিব মু. শাহ আলম বকশী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জি এম রুহুল আমিন নিজ প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন।
সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে সংগঠন ধরে রেখেছি। এবার মনোনয়ন পেলে কালিয়াকৈরের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করব।’
শাহ আলম বকশী বলেন, ‘আমি এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি বন্ধ করব এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করব।’
গাজীপুর-২ আসন
এই আসনটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি বর্তমানে মহানগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর এবং ১৩ নম্বর থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড (মহানগরীর সদর মেট্রো থানা, বাসন, গাছা ও কাশিমপুর থানা) ও গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এই আসন শ্রমিক-অধ্যুষিত ও সবচেয়ে আলোচিত। এখানে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই জাতীয় নির্বাচনে নতুন মুখ। তবে ভোটারদের কাছে সুপরিচিত। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, এই আসনের সাবেক এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সন্তান ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ হোসেন আলী। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা এম এ হানিফ সরকার। এখানে গণঅধিকার পরিষদ থেকে লড়বেন দলের জেলা আহ্বায়ক পাঠান আজহার।
এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমি পাড়ায় পাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। দলের ৩১ দফার প্রচার, সভা-সমাবেশ করছি। বিএনপি ও আমার বাবার ভালোবাসায় মানুষ উজ্জীবিত। আশা করি, সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
ডা. মাজহারুল বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলবাজিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
গাজীপুর-৩ আসন
আসনটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি কালিয়াকৈর থেকে আলাদা হওয়ার পর শ্রীপুর থেকে জাতীয় নির্বাচনে কেউ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জেলা আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন। এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলে এবং নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এলাকা গড়বেন।
গাজীপুর-৪ আসন
আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসন এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়ায় এক স্মরণসভায় রিয়াজুল হান্নানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এখানে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা কাজীম উদ্দীন এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান।
রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অনেকবার মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি।’
সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, ‘মানুষ আর দুঃশাসন-অনিয়ম দেখতে চায় না। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। কাপাসিয়ার মানুষ জামায়াতকেই বেছে নেবে বলে আশা করছি।’
গাজীপুর-৫ আসন
আসনটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০, ৪১ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তিনি এর আগেও এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও কালীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি খায়রুল হাসান। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এম এম শোয়াইব।
ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কালীগঞ্জবাসী আমাকে আগেও যেভাবে ভালোবেসেছেন, এবারও তেমন সাড়া দিচ্ছেন।’
গাজীপুর-৬ আসন
আসনটি নতুন। জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় সম্প্রতি এটি বাড়ানো হয়েছে। আসনটি গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর এবং ৪৩ নম্বর থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং পুবাইল থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শ্রমিকনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এখানে বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহাম্মেদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের তুরস্ক শাখার সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান। এখানে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ হানিফ সরকার। এনসিপির একক প্রার্থী হতে পারেন নাবীল ইউসুফ।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গাজীপুর-৬ বিএনপির দুর্গ হবে। ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষাই আমার লক্ষ্য।’
নাবীল ইউসুফ বলেন, ‘গাজীপুর-৬-কে আমি একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই—যেখানে থাকবে আধুনিক অবকাঠামো, মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ শহর।’

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
শহর থেকে গ্রাম—সবখানে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার আর মিছিলের প্রতিযোগিতা। চলছে প্রচারপত্র বিতরণ, উঠান বৈঠক, সমাবেশ-পথসভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রচারও জমজমাট।
সীমানা পুর্নির্ধারণের পর জেলায় সংসদীয় আসন বেড়ে হয়েছে ছয়টি। আসন বাড়ানোয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদেরও আগ্রহ বেড়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপি চারটি আসনে প্রার্থী ঠিক করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেসব সম্ভাব্য প্রার্থী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে হাতপাখা প্রতীকে প্রচার শুরু করেছে। আর পাঁচ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠে রয়েছেন গণঅধিকারের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
গাজীপুর-১ আসন
কালিয়াকৈর উপজেলা এবং মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড (কোনাবাড়ী থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি শ্রীপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমবার এটিকে শ্রীপুর থেকে আলাদা করে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবার এখান থেকে কোনাবাড়ী থানা কেটে নিয়ে গাজীপুর-২-এ যুক্ত করা হয়েছে।
এই আসনে বিএনপি থেকে চারজন নতুন মুখ মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁদের কেউই আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী।
এখানে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী মানারাত ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সচিব মু. শাহ আলম বকশী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জি এম রুহুল আমিন নিজ প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন।
সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে সংগঠন ধরে রেখেছি। এবার মনোনয়ন পেলে কালিয়াকৈরের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করব।’
শাহ আলম বকশী বলেন, ‘আমি এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি বন্ধ করব এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করব।’
গাজীপুর-২ আসন
এই আসনটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি বর্তমানে মহানগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর এবং ১৩ নম্বর থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড (মহানগরীর সদর মেট্রো থানা, বাসন, গাছা ও কাশিমপুর থানা) ও গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এই আসন শ্রমিক-অধ্যুষিত ও সবচেয়ে আলোচিত। এখানে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই জাতীয় নির্বাচনে নতুন মুখ। তবে ভোটারদের কাছে সুপরিচিত। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, এই আসনের সাবেক এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সন্তান ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ হোসেন আলী। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা এম এ হানিফ সরকার। এখানে গণঅধিকার পরিষদ থেকে লড়বেন দলের জেলা আহ্বায়ক পাঠান আজহার।
এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমি পাড়ায় পাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। দলের ৩১ দফার প্রচার, সভা-সমাবেশ করছি। বিএনপি ও আমার বাবার ভালোবাসায় মানুষ উজ্জীবিত। আশা করি, সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
ডা. মাজহারুল বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলবাজিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
গাজীপুর-৩ আসন
আসনটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি কালিয়াকৈর থেকে আলাদা হওয়ার পর শ্রীপুর থেকে জাতীয় নির্বাচনে কেউ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জেলা আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন। এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলে এবং নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এলাকা গড়বেন।
গাজীপুর-৪ আসন
আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসন এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়ায় এক স্মরণসভায় রিয়াজুল হান্নানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এখানে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা কাজীম উদ্দীন এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান।
রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অনেকবার মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি।’
সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, ‘মানুষ আর দুঃশাসন-অনিয়ম দেখতে চায় না। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। কাপাসিয়ার মানুষ জামায়াতকেই বেছে নেবে বলে আশা করছি।’
গাজীপুর-৫ আসন
আসনটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০, ৪১ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তিনি এর আগেও এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও কালীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি খায়রুল হাসান। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এম এম শোয়াইব।
ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কালীগঞ্জবাসী আমাকে আগেও যেভাবে ভালোবেসেছেন, এবারও তেমন সাড়া দিচ্ছেন।’
গাজীপুর-৬ আসন
আসনটি নতুন। জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় সম্প্রতি এটি বাড়ানো হয়েছে। আসনটি গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর এবং ৪৩ নম্বর থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং পুবাইল থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শ্রমিকনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এখানে বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহাম্মেদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের তুরস্ক শাখার সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান। এখানে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ হানিফ সরকার। এনসিপির একক প্রার্থী হতে পারেন নাবীল ইউসুফ।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গাজীপুর-৬ বিএনপির দুর্গ হবে। ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষাই আমার লক্ষ্য।’
নাবীল ইউসুফ বলেন, ‘গাজীপুর-৬-কে আমি একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই—যেখানে থাকবে আধুনিক অবকাঠামো, মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ শহর।’
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাজীপুর

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
শহর থেকে গ্রাম—সবখানে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার আর মিছিলের প্রতিযোগিতা। চলছে প্রচারপত্র বিতরণ, উঠান বৈঠক, সমাবেশ-পথসভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রচারও জমজমাট।
সীমানা পুর্নির্ধারণের পর জেলায় সংসদীয় আসন বেড়ে হয়েছে ছয়টি। আসন বাড়ানোয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদেরও আগ্রহ বেড়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপি চারটি আসনে প্রার্থী ঠিক করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেসব সম্ভাব্য প্রার্থী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে হাতপাখা প্রতীকে প্রচার শুরু করেছে। আর পাঁচ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠে রয়েছেন গণঅধিকারের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
গাজীপুর-১ আসন
কালিয়াকৈর উপজেলা এবং মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড (কোনাবাড়ী থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি শ্রীপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমবার এটিকে শ্রীপুর থেকে আলাদা করে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবার এখান থেকে কোনাবাড়ী থানা কেটে নিয়ে গাজীপুর-২-এ যুক্ত করা হয়েছে।
এই আসনে বিএনপি থেকে চারজন নতুন মুখ মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁদের কেউই আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী।
এখানে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী মানারাত ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সচিব মু. শাহ আলম বকশী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জি এম রুহুল আমিন নিজ প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন।
সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে সংগঠন ধরে রেখেছি। এবার মনোনয়ন পেলে কালিয়াকৈরের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করব।’
শাহ আলম বকশী বলেন, ‘আমি এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি বন্ধ করব এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করব।’
গাজীপুর-২ আসন
এই আসনটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি বর্তমানে মহানগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর এবং ১৩ নম্বর থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড (মহানগরীর সদর মেট্রো থানা, বাসন, গাছা ও কাশিমপুর থানা) ও গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এই আসন শ্রমিক-অধ্যুষিত ও সবচেয়ে আলোচিত। এখানে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই জাতীয় নির্বাচনে নতুন মুখ। তবে ভোটারদের কাছে সুপরিচিত। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, এই আসনের সাবেক এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সন্তান ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ হোসেন আলী। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা এম এ হানিফ সরকার। এখানে গণঅধিকার পরিষদ থেকে লড়বেন দলের জেলা আহ্বায়ক পাঠান আজহার।
এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমি পাড়ায় পাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। দলের ৩১ দফার প্রচার, সভা-সমাবেশ করছি। বিএনপি ও আমার বাবার ভালোবাসায় মানুষ উজ্জীবিত। আশা করি, সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
ডা. মাজহারুল বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলবাজিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
গাজীপুর-৩ আসন
আসনটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি কালিয়াকৈর থেকে আলাদা হওয়ার পর শ্রীপুর থেকে জাতীয় নির্বাচনে কেউ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জেলা আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন। এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলে এবং নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এলাকা গড়বেন।
গাজীপুর-৪ আসন
আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসন এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়ায় এক স্মরণসভায় রিয়াজুল হান্নানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এখানে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা কাজীম উদ্দীন এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান।
রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অনেকবার মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি।’
সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, ‘মানুষ আর দুঃশাসন-অনিয়ম দেখতে চায় না। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। কাপাসিয়ার মানুষ জামায়াতকেই বেছে নেবে বলে আশা করছি।’
গাজীপুর-৫ আসন
আসনটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০, ৪১ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তিনি এর আগেও এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও কালীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি খায়রুল হাসান। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এম এম শোয়াইব।
ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কালীগঞ্জবাসী আমাকে আগেও যেভাবে ভালোবেসেছেন, এবারও তেমন সাড়া দিচ্ছেন।’
গাজীপুর-৬ আসন
আসনটি নতুন। জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় সম্প্রতি এটি বাড়ানো হয়েছে। আসনটি গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর এবং ৪৩ নম্বর থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং পুবাইল থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শ্রমিকনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এখানে বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহাম্মেদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের তুরস্ক শাখার সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান। এখানে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ হানিফ সরকার। এনসিপির একক প্রার্থী হতে পারেন নাবীল ইউসুফ।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গাজীপুর-৬ বিএনপির দুর্গ হবে। ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষাই আমার লক্ষ্য।’
নাবীল ইউসুফ বলেন, ‘গাজীপুর-৬-কে আমি একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই—যেখানে থাকবে আধুনিক অবকাঠামো, মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ শহর।’

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
শহর থেকে গ্রাম—সবখানে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার আর মিছিলের প্রতিযোগিতা। চলছে প্রচারপত্র বিতরণ, উঠান বৈঠক, সমাবেশ-পথসভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রচারও জমজমাট।
সীমানা পুর্নির্ধারণের পর জেলায় সংসদীয় আসন বেড়ে হয়েছে ছয়টি। আসন বাড়ানোয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদেরও আগ্রহ বেড়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপি চারটি আসনে প্রার্থী ঠিক করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেসব সম্ভাব্য প্রার্থী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে হাতপাখা প্রতীকে প্রচার শুরু করেছে। আর পাঁচ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠে রয়েছেন গণঅধিকারের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
গাজীপুর-১ আসন
কালিয়াকৈর উপজেলা এবং মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড (কোনাবাড়ী থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি শ্রীপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমবার এটিকে শ্রীপুর থেকে আলাদা করে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবার এখান থেকে কোনাবাড়ী থানা কেটে নিয়ে গাজীপুর-২-এ যুক্ত করা হয়েছে।
এই আসনে বিএনপি থেকে চারজন নতুন মুখ মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁদের কেউই আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী।
এখানে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী মানারাত ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সচিব মু. শাহ আলম বকশী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জি এম রুহুল আমিন নিজ প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন।
সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে সংগঠন ধরে রেখেছি। এবার মনোনয়ন পেলে কালিয়াকৈরের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করব।’
শাহ আলম বকশী বলেন, ‘আমি এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি বন্ধ করব এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করব।’
গাজীপুর-২ আসন
এই আসনটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি বর্তমানে মহানগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর এবং ১৩ নম্বর থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড (মহানগরীর সদর মেট্রো থানা, বাসন, গাছা ও কাশিমপুর থানা) ও গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এই আসন শ্রমিক-অধ্যুষিত ও সবচেয়ে আলোচিত। এখানে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই জাতীয় নির্বাচনে নতুন মুখ। তবে ভোটারদের কাছে সুপরিচিত। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, এই আসনের সাবেক এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সন্তান ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ হোসেন আলী। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা এম এ হানিফ সরকার। এখানে গণঅধিকার পরিষদ থেকে লড়বেন দলের জেলা আহ্বায়ক পাঠান আজহার।
এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমি পাড়ায় পাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। দলের ৩১ দফার প্রচার, সভা-সমাবেশ করছি। বিএনপি ও আমার বাবার ভালোবাসায় মানুষ উজ্জীবিত। আশা করি, সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
ডা. মাজহারুল বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলবাজিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
গাজীপুর-৩ আসন
আসনটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি কালিয়াকৈর থেকে আলাদা হওয়ার পর শ্রীপুর থেকে জাতীয় নির্বাচনে কেউ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জেলা আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন। এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলে এবং নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এলাকা গড়বেন।
গাজীপুর-৪ আসন
আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসন এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়ায় এক স্মরণসভায় রিয়াজুল হান্নানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এখানে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা কাজীম উদ্দীন এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান।
রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অনেকবার মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি।’
সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, ‘মানুষ আর দুঃশাসন-অনিয়ম দেখতে চায় না। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। কাপাসিয়ার মানুষ জামায়াতকেই বেছে নেবে বলে আশা করছি।’
গাজীপুর-৫ আসন
আসনটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০, ৪১ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তিনি এর আগেও এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও কালীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি খায়রুল হাসান। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এম এম শোয়াইব।
ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কালীগঞ্জবাসী আমাকে আগেও যেভাবে ভালোবেসেছেন, এবারও তেমন সাড়া দিচ্ছেন।’
গাজীপুর-৬ আসন
আসনটি নতুন। জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় সম্প্রতি এটি বাড়ানো হয়েছে। আসনটি গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর এবং ৪৩ নম্বর থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং পুবাইল থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শ্রমিকনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এখানে বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহাম্মেদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের তুরস্ক শাখার সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান। এখানে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ হানিফ সরকার। এনসিপির একক প্রার্থী হতে পারেন নাবীল ইউসুফ।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গাজীপুর-৬ বিএনপির দুর্গ হবে। ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষাই আমার লক্ষ্য।’
নাবীল ইউসুফ বলেন, ‘গাজীপুর-৬-কে আমি একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই—যেখানে থাকবে আধুনিক অবকাঠামো, মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ শহর।’

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
২০ অক্টোবর ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
২০ অক্টোবর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২৬ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
২০ অক্টোবর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
২০ অক্টোবর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে