গাজীপুর প্রতিনিধি

‘সিটি নির্বাচনে আমি নৌকার পক্ষে এবং টেবিল ঘড়ির বিপক্ষে কাজ করায় গত পরশু দিন ১০-১২ জন ঘড়ির সমর্থক আমার বাড়িতে হামলা করেছে। এই ঘটনায় থানায় জিডি করেছি। আমি নৌকার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু বাড়িতে আমার স্ত্রী ও আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। আমি তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।’
শত শত নেতা-কর্মীর সামনে মাইকে কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক উপপ্রকাশনা সম্পাদক রাজু মিয়া। আজ শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গাজীপুর সিটি নির্বাচন-পরবর্তী মূল্যায়ন সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাজু মিয়া বলেন, ‘আমার বাড়িতে হামলার ঘটনার পর আমার সন্তান জানতে চায়, “বাবা আমাদের বাড়িতে কারা, কেন হামলা করেছে?”’ ছেলেকে বলেছি, ‘আমি নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। তাই তারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে।’ ছেলে জানতে চায়, ‘নৌকা তো ভালো বিষয়, তাহলে তারা হামলা করল কেন?’ জবাবে ছেলেকে বলেছি, ‘আমি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের এমন এক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছি, যে গ্রামে এক পীরের (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম) আবির্ভাব ঘটেছে। সেই পীরের এলাকায় নৌকা থাকতে পারবে না। ওই পীর নৌকা সহ্য করতে পারেন না। তিনি নৌকা ধ্বংস করতে চান। সবাইকে সেই পীরের মুরিদ হতে হবে।’
রাজু মিয়া আরও বলেন, ‘ওই পীর যখন আমাদের সঙ্গে ছিল, তখন আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে তাঁর জন্য কাজ করেছি। এখন তাঁর পক্ষে কাজ না করার কারণে আমাদের শেষ করে দিতে চায়। আমি আজ নেতৃবৃন্দকে বলে যেতে চাই, যদি আমার মৃত্যু হয়, আপনারা মনে রাখবেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ছিল যে নৌকার জন্য জীবন দিয়েছে।’
রাজু মিয়া যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুদ্দিন বুদ্দিন, আব্দুল হাদীস শামীম, আনোয়ার সাদাত প্রমুখ।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পর গত ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে গণভবনে ডেকে কথা বলেন। তিনি সবকিছু শুনে নির্বাচনের পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান ও দলের বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করে দল পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন। তার পর থেকে সিটি নির্বাচন মূল্যায়ন সভা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মহানগরীর কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও বাসন থানা আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভা হয়েছে।
রাজু মিয়া বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে যেসব কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে, সেখানে জনবিচ্ছিন্ন ও কম গুরুত্বপূর্ণ লোকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কোনো কাজ করেননি। কেন্দ্রে কোনো পোস্টার লাগানো হয়নি, কেন্দ্র কমিটির নেতাদের অনেকবার অনুরোধ করা হলেও কোথাও কোনো নৌকার পোস্টার লাগানো হয়নি। কেউ নৌকার ব্যাজ পায়নি। পরে দেখা গেছে, চিহ্নিত বিএনপি-জামায়াতপন্থী লোকজনকে নৌকার ব্যাজ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি ব্যাজও পায়নি।
আওয়ামী লীগ নেতা রাজু সাহা বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা মন্দির, মসজিদসহ প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রচারণা চালিয়েছি। কিন্তু আমাদের ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের অসহযোগিতার কারণে আমরা আমাদের কেন্দ্রে সফল হতে পারিনি। আমাদের কেন্দ্রে কখনো নৌকা পরাজিত হয়নি। কিন্তু এবার বিশ্বাসঘাতকদের কারণে আমরা পরাজিত হয়েছি। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের নামে সুবিধা দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে আর আজ নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে।’
রাজু সাহা আরও বলেন, কেন্দ্র কমিটিগুলো মানুষের কাছে নৌকার পক্ষে কোনো ভোট চায়নি। তারা আঞ্চলিকতা দেখিয়ে বলেছে, নৌকায় ভোট দিলে সিটি করপোরেশন টঙ্গী চলে যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার এলাকায় প্রচুর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তাদের ডাকা হয়নি। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী তাদের সঙ্গে বসেনি।’
মহানগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁঠালগাছ লাগিয়ে আপনারা তেঁতুল খেতে পারেন না। ঘড়ির কোনো এজেন্ট ছিল না, প্রচার ছিল না। আমাদের দলের লোকজন আমাদের ঘাড়ে বসে ঘড়ির নির্বাচন করেছে। তারা নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। ওয়ার্ডের নেতারা রাতের আঁধারে জাহাঙ্গীরের বাসায় গিয়ে টাকা এনেছে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নেতা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে টাকা এনে সরকারি একটি সংস্থার কাছে ধরা পড়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?’
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান আলী বলেন, ‘বর্তমানে যেসব ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে, এর সবই জাহাঙ্গীরের সময় করা হয়েছে। ফলে এসব কমিটির অনেক নেতা আওয়ামী লীগের নাম দিয়ে ঘড়ির পক্ষে নির্বাচন করেছেন। অনেক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। কাউন্সিলররা কত ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, আর ওই সব কেন্দ্রে নৌকার ভোট কত পড়েছে? বাকি ভোট কোথায় গেল? আমরা কে কোথায় বিক্রি হয়েছি। এসব বিষয় খুঁজে বের করা দরকার। সামনে জাতীয় নির্বাচন, তাই এসব ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে দিয়ে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে আবার কমিটি গঠন করুন।’
মূল্যায়ন সভায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে এমন নানা অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। তাঁদের অনেকেই রাতের আঁধারে বিকাশের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে টাকা আনার, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ করেন। তাঁরা মোবাইল ও বিকাশ নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ এসব যাচাই করার দাবি জানান।
এ সময় আজমত উল্লা খান বলেন, ‘নেত্রী আমাকে নৌকার পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে থানা পর্যায়ে আপনাদের সঙ্গে এই মূল্যায়ন সভা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে আলোচনা করে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে। যেসব মোনাফিক ও মীরজাফরের কারণে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। না হলে আগামী জাতীয় সংসদে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।’
আজমত আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মহানগর আওয়ামী লীগকে সাচ্চা আওয়ামী লীগ দিয়ে পুনর্গঠন করা হবে। এখানে অনেকে বক্তব্য রেখেছেন। আমি আপনাদের ব্যাপারে সবকিছু জানি। বিভিন্ন সংস্থার কাছে তাদের তথ্য রয়েছে। আপনাদের অনেকের বিকাশ নম্বর আমার ও অন্য নেতৃবৃন্দের কাছে আছে। আপনারা আমাকে কষ্ট দিয়েছেন, আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছেন, আমার কোনো অভিযোগ নাই। কিন্তু দয়া করে আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কষ্ট দেবেন না, তাঁর সঙ্গে বেইমানি করবেন না।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমরা কতিপয় মোনাফিক ও বেইমানের কারণে হেরে গেছি। মোনাফিক হলো তারা যারা মুখে বলে একটা আর অন্তরে করে আরেকটা। এরা সবার জন্য ক্ষতিকর। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, যারা নৌকার সঙ্গে বেইমানি করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘সিটি নির্বাচনে আমি নৌকার পক্ষে এবং টেবিল ঘড়ির বিপক্ষে কাজ করায় গত পরশু দিন ১০-১২ জন ঘড়ির সমর্থক আমার বাড়িতে হামলা করেছে। এই ঘটনায় থানায় জিডি করেছি। আমি নৌকার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু বাড়িতে আমার স্ত্রী ও আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। আমি তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।’
শত শত নেতা-কর্মীর সামনে মাইকে কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক উপপ্রকাশনা সম্পাদক রাজু মিয়া। আজ শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গাজীপুর সিটি নির্বাচন-পরবর্তী মূল্যায়ন সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাজু মিয়া বলেন, ‘আমার বাড়িতে হামলার ঘটনার পর আমার সন্তান জানতে চায়, “বাবা আমাদের বাড়িতে কারা, কেন হামলা করেছে?”’ ছেলেকে বলেছি, ‘আমি নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। তাই তারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে।’ ছেলে জানতে চায়, ‘নৌকা তো ভালো বিষয়, তাহলে তারা হামলা করল কেন?’ জবাবে ছেলেকে বলেছি, ‘আমি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের এমন এক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছি, যে গ্রামে এক পীরের (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম) আবির্ভাব ঘটেছে। সেই পীরের এলাকায় নৌকা থাকতে পারবে না। ওই পীর নৌকা সহ্য করতে পারেন না। তিনি নৌকা ধ্বংস করতে চান। সবাইকে সেই পীরের মুরিদ হতে হবে।’
রাজু মিয়া আরও বলেন, ‘ওই পীর যখন আমাদের সঙ্গে ছিল, তখন আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে তাঁর জন্য কাজ করেছি। এখন তাঁর পক্ষে কাজ না করার কারণে আমাদের শেষ করে দিতে চায়। আমি আজ নেতৃবৃন্দকে বলে যেতে চাই, যদি আমার মৃত্যু হয়, আপনারা মনে রাখবেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ছিল যে নৌকার জন্য জীবন দিয়েছে।’
রাজু মিয়া যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুদ্দিন বুদ্দিন, আব্দুল হাদীস শামীম, আনোয়ার সাদাত প্রমুখ।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পর গত ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে গণভবনে ডেকে কথা বলেন। তিনি সবকিছু শুনে নির্বাচনের পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান ও দলের বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করে দল পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন। তার পর থেকে সিটি নির্বাচন মূল্যায়ন সভা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মহানগরীর কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও বাসন থানা আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভা হয়েছে।
রাজু মিয়া বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে যেসব কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে, সেখানে জনবিচ্ছিন্ন ও কম গুরুত্বপূর্ণ লোকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কোনো কাজ করেননি। কেন্দ্রে কোনো পোস্টার লাগানো হয়নি, কেন্দ্র কমিটির নেতাদের অনেকবার অনুরোধ করা হলেও কোথাও কোনো নৌকার পোস্টার লাগানো হয়নি। কেউ নৌকার ব্যাজ পায়নি। পরে দেখা গেছে, চিহ্নিত বিএনপি-জামায়াতপন্থী লোকজনকে নৌকার ব্যাজ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি ব্যাজও পায়নি।
আওয়ামী লীগ নেতা রাজু সাহা বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা মন্দির, মসজিদসহ প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রচারণা চালিয়েছি। কিন্তু আমাদের ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের অসহযোগিতার কারণে আমরা আমাদের কেন্দ্রে সফল হতে পারিনি। আমাদের কেন্দ্রে কখনো নৌকা পরাজিত হয়নি। কিন্তু এবার বিশ্বাসঘাতকদের কারণে আমরা পরাজিত হয়েছি। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের নামে সুবিধা দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে আর আজ নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে।’
রাজু সাহা আরও বলেন, কেন্দ্র কমিটিগুলো মানুষের কাছে নৌকার পক্ষে কোনো ভোট চায়নি। তারা আঞ্চলিকতা দেখিয়ে বলেছে, নৌকায় ভোট দিলে সিটি করপোরেশন টঙ্গী চলে যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার এলাকায় প্রচুর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তাদের ডাকা হয়নি। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী তাদের সঙ্গে বসেনি।’
মহানগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁঠালগাছ লাগিয়ে আপনারা তেঁতুল খেতে পারেন না। ঘড়ির কোনো এজেন্ট ছিল না, প্রচার ছিল না। আমাদের দলের লোকজন আমাদের ঘাড়ে বসে ঘড়ির নির্বাচন করেছে। তারা নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। ওয়ার্ডের নেতারা রাতের আঁধারে জাহাঙ্গীরের বাসায় গিয়ে টাকা এনেছে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নেতা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে টাকা এনে সরকারি একটি সংস্থার কাছে ধরা পড়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?’
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান আলী বলেন, ‘বর্তমানে যেসব ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে, এর সবই জাহাঙ্গীরের সময় করা হয়েছে। ফলে এসব কমিটির অনেক নেতা আওয়ামী লীগের নাম দিয়ে ঘড়ির পক্ষে নির্বাচন করেছেন। অনেক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। কাউন্সিলররা কত ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, আর ওই সব কেন্দ্রে নৌকার ভোট কত পড়েছে? বাকি ভোট কোথায় গেল? আমরা কে কোথায় বিক্রি হয়েছি। এসব বিষয় খুঁজে বের করা দরকার। সামনে জাতীয় নির্বাচন, তাই এসব ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে দিয়ে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে আবার কমিটি গঠন করুন।’
মূল্যায়ন সভায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে এমন নানা অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। তাঁদের অনেকেই রাতের আঁধারে বিকাশের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে টাকা আনার, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ করেন। তাঁরা মোবাইল ও বিকাশ নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ এসব যাচাই করার দাবি জানান।
এ সময় আজমত উল্লা খান বলেন, ‘নেত্রী আমাকে নৌকার পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে থানা পর্যায়ে আপনাদের সঙ্গে এই মূল্যায়ন সভা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে আলোচনা করে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে। যেসব মোনাফিক ও মীরজাফরের কারণে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। না হলে আগামী জাতীয় সংসদে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।’
আজমত আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মহানগর আওয়ামী লীগকে সাচ্চা আওয়ামী লীগ দিয়ে পুনর্গঠন করা হবে। এখানে অনেকে বক্তব্য রেখেছেন। আমি আপনাদের ব্যাপারে সবকিছু জানি। বিভিন্ন সংস্থার কাছে তাদের তথ্য রয়েছে। আপনাদের অনেকের বিকাশ নম্বর আমার ও অন্য নেতৃবৃন্দের কাছে আছে। আপনারা আমাকে কষ্ট দিয়েছেন, আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছেন, আমার কোনো অভিযোগ নাই। কিন্তু দয়া করে আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কষ্ট দেবেন না, তাঁর সঙ্গে বেইমানি করবেন না।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমরা কতিপয় মোনাফিক ও বেইমানের কারণে হেরে গেছি। মোনাফিক হলো তারা যারা মুখে বলে একটা আর অন্তরে করে আরেকটা। এরা সবার জন্য ক্ষতিকর। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, যারা নৌকার সঙ্গে বেইমানি করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
২ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
২ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৫ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

‘ওই পীর যখন আমাদের সঙ্গে ছিল, তখন আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে তাঁর জন্য কাজ করেছি। এখন তাঁর পক্ষে কাজ না করায় আমাদের শেষ করে দিতে চায়। আমি আজ বলে যেতে চাই, যদি আমার মৃত্যু হয়, আপনারা মনে রাখবেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ছিল যে নৌকার জন্য জীবন দিয়েছে।’
০৩ জুন ২০২৩
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
২ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৫ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

‘ওই পীর যখন আমাদের সঙ্গে ছিল, তখন আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে তাঁর জন্য কাজ করেছি। এখন তাঁর পক্ষে কাজ না করায় আমাদের শেষ করে দিতে চায়। আমি আজ বলে যেতে চাই, যদি আমার মৃত্যু হয়, আপনারা মনে রাখবেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ছিল যে নৌকার জন্য জীবন দিয়েছে।’
০৩ জুন ২০২৩
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
২ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

‘ওই পীর যখন আমাদের সঙ্গে ছিল, তখন আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে তাঁর জন্য কাজ করেছি। এখন তাঁর পক্ষে কাজ না করায় আমাদের শেষ করে দিতে চায়। আমি আজ বলে যেতে চাই, যদি আমার মৃত্যু হয়, আপনারা মনে রাখবেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ছিল যে নৌকার জন্য জীবন দিয়েছে।’
০৩ জুন ২০২৩
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
২ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৫ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

‘ওই পীর যখন আমাদের সঙ্গে ছিল, তখন আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে তাঁর জন্য কাজ করেছি। এখন তাঁর পক্ষে কাজ না করায় আমাদের শেষ করে দিতে চায়। আমি আজ বলে যেতে চাই, যদি আমার মৃত্যু হয়, আপনারা মনে রাখবেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ছিল যে নৌকার জন্য জীবন দিয়েছে।’
০৩ জুন ২০২৩
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
২ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
২ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে