কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা। মানবিকতায় পূর্ণ চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীদের সেবা আর মনোরম পরিবেশই অর্ধেক সুস্থ করে তোলে তাদের।
মনোমুগ্ধকর পরিপাটি এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের নাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের বর্তমান নাম ডক্টর বেকার’স অর্গানাইজেশন ফর ওয়েল-বিং। মানবতাপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দারিদ্র্যপীড়িত হিন্দু, মুসলিম, গারো-অধ্যুষিত এলাকায় স্থাপন করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা ডা. এড্রিক বেকার। যিনি ডা. বেকার ভাই নামে দেশজুড়ে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয়ভাবে পরিচিত গরিবের ডাক্তার হিসেবে। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রতিষ্ঠানের নামের পরিবর্তন করেন তাঁর ভক্তরা।
জানা যায়, ১৯৪১ সালে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে জন্ম নেওয়া ডাক্তার এড্রিক বেকার ১৯৬৫ সালে অটাগো ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাস করেন। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করে চলে যান যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামে। পরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে আসেন বাংলাদেশে। প্রথমে জলছত্র মিশনে থেকে তিনি বাংলা ভাষা চর্চা করেন। ১৯৮৩ সালে গড়ে তোলেন কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। মাটির দেয়ালে নির্মিত ঘরে মাটির বিছানায় শুইয়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে শুরু করেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেবা দিয়েছেন। এরপরে তাঁর রেখে যাওয়া কর্মীরাই হাসপাতালটির হাল ধরেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যুক্ত হন মানবদরদি আমেরিকান এক চিকিৎসক দম্পতি। বর্তমানে ৮০ জন কর্মী বাহিনী প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলছেন নিতান্ত দরিদ্র মানুষগুলোকে।
শনিবার কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে দেখা যায়, অত্যন্ত পরিপাটি পরিচ্ছন্ন অঙ্গনে রোগীদের ভিড়। কেউ টিকিট নিচ্ছেন, কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন, কেউ ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাচ্ছেন আবার কেউ এসেছেন চোখের চিকিৎসা নিতে। যক্ষ্মা রোগীদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। অনেক জটিল ও কঠিন রোগের প্রাথমিক পরামর্শ দিয়ে রেফার করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে অন্য মাটির ঘরে। আবাসিক-অনাবাসিক মিলিয়ে ত্রিশের অধিক ঘরে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। পুরো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কোথাও নেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নেই ওষুধের গন্ধও।
ওয়েটিং রুমে অপেক্ষমাণদের স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক পরামর্শ দিচ্ছিলেন হেলথ এডুকেটর সালেহা বেগম। ফার্মেসি থেকে ওষুধ বিতরণ করছেন দুই কর্মী। প্রশাসন বিভাগের কর্মীরা দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত। প্রায় ৫০০ গজ দূরে রাস্তার বিপরীতে আবাসিক ব্যবস্থাপনা। সেখানেও মাটির দেয়াল দিয়ে নির্মিত ঘরেই চলে সব কার্যক্রম।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মুন্নি বেগম বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে এখানে এসে চিকিৎসাসেবা নিয়েছি। চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হয়েছি। তাই আমার সন্তানকেও নিয়ে এসেছি এই হাসপাতালে।’
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে এসেছেন আব্দুল মজিদ দুদু। তিনি এই হাসপাতালের সুনাম শুনেই চিকিৎসা নিতে এসেছেন। মোশারফ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছি। আজ আমার বাবাকেও নিয়ে এসেছি। এই হাসপাতালের পরিবেশ ও সেবার মান—সবই ভালো।
শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত বা ইনফেকশন হয়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের রোগী কাকরাইদের খোকন মিয়া বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আপনজনের মতো দুই বেলা আমার খোঁজখবর নেন। ওষুধ দেন। খাবার দাবারের খোঁজখবর নেন। দুই মাসে আমি এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছি। হাঁটতে পারি।’
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মায়িশা মমতাজ বলেন, ‘আমি ইন্টার্ন করতে এসেছিলাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের সেবাপদ্ধতি তখনই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। পরে ২০২১ সালে যখন আমার এই হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাক পড়ল, লোভ সামলাতে পারিনি। এখানে রোগীকে সেবা দেওয়া হয় রোগীর ইতিহাস ও রোগের লক্ষণের ওপর নির্ভর করে। এখানে প্রত্যেক রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তারপর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এতে উপকৃত হয়ে যখন পুনরায় এসে আনন্দের হাসি হাসে, তখন আমি আপ্লুত হই। এই আনন্দ হয়তো সারা জীবন আমাকে আটকে রাখবে।’
কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পিজন নংমিন বলেন, ‘আমরা হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে চারজন মেডিকেল অফিসারসহ ৮০ জন সেবায় নিয়োজিত। আমাদের এখানে সবই প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে আসা রোগীদের শতভাগই দরিদ্র। তাদের অনেকটা বিনা মূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে সেবা দেওয়া হয়। গেল বছর এই সেবাকেন্দ্র থেকে ৫৫ হাজার ৩৩৬ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা। তবেই আমাদের সেবার মান, ব্যবস্থাপনার মান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা যুক্ত করাসহ সবই আরও উন্নততর করা সম্ভব হবে।’

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা। মানবিকতায় পূর্ণ চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীদের সেবা আর মনোরম পরিবেশই অর্ধেক সুস্থ করে তোলে তাদের।
মনোমুগ্ধকর পরিপাটি এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের নাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের বর্তমান নাম ডক্টর বেকার’স অর্গানাইজেশন ফর ওয়েল-বিং। মানবতাপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দারিদ্র্যপীড়িত হিন্দু, মুসলিম, গারো-অধ্যুষিত এলাকায় স্থাপন করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা ডা. এড্রিক বেকার। যিনি ডা. বেকার ভাই নামে দেশজুড়ে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয়ভাবে পরিচিত গরিবের ডাক্তার হিসেবে। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রতিষ্ঠানের নামের পরিবর্তন করেন তাঁর ভক্তরা।
জানা যায়, ১৯৪১ সালে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে জন্ম নেওয়া ডাক্তার এড্রিক বেকার ১৯৬৫ সালে অটাগো ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাস করেন। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করে চলে যান যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামে। পরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে আসেন বাংলাদেশে। প্রথমে জলছত্র মিশনে থেকে তিনি বাংলা ভাষা চর্চা করেন। ১৯৮৩ সালে গড়ে তোলেন কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। মাটির দেয়ালে নির্মিত ঘরে মাটির বিছানায় শুইয়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে শুরু করেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেবা দিয়েছেন। এরপরে তাঁর রেখে যাওয়া কর্মীরাই হাসপাতালটির হাল ধরেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যুক্ত হন মানবদরদি আমেরিকান এক চিকিৎসক দম্পতি। বর্তমানে ৮০ জন কর্মী বাহিনী প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলছেন নিতান্ত দরিদ্র মানুষগুলোকে।
শনিবার কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে দেখা যায়, অত্যন্ত পরিপাটি পরিচ্ছন্ন অঙ্গনে রোগীদের ভিড়। কেউ টিকিট নিচ্ছেন, কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন, কেউ ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাচ্ছেন আবার কেউ এসেছেন চোখের চিকিৎসা নিতে। যক্ষ্মা রোগীদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। অনেক জটিল ও কঠিন রোগের প্রাথমিক পরামর্শ দিয়ে রেফার করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে অন্য মাটির ঘরে। আবাসিক-অনাবাসিক মিলিয়ে ত্রিশের অধিক ঘরে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। পুরো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কোথাও নেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নেই ওষুধের গন্ধও।
ওয়েটিং রুমে অপেক্ষমাণদের স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক পরামর্শ দিচ্ছিলেন হেলথ এডুকেটর সালেহা বেগম। ফার্মেসি থেকে ওষুধ বিতরণ করছেন দুই কর্মী। প্রশাসন বিভাগের কর্মীরা দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত। প্রায় ৫০০ গজ দূরে রাস্তার বিপরীতে আবাসিক ব্যবস্থাপনা। সেখানেও মাটির দেয়াল দিয়ে নির্মিত ঘরেই চলে সব কার্যক্রম।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মুন্নি বেগম বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে এখানে এসে চিকিৎসাসেবা নিয়েছি। চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হয়েছি। তাই আমার সন্তানকেও নিয়ে এসেছি এই হাসপাতালে।’
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে এসেছেন আব্দুল মজিদ দুদু। তিনি এই হাসপাতালের সুনাম শুনেই চিকিৎসা নিতে এসেছেন। মোশারফ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছি। আজ আমার বাবাকেও নিয়ে এসেছি। এই হাসপাতালের পরিবেশ ও সেবার মান—সবই ভালো।
শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত বা ইনফেকশন হয়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের রোগী কাকরাইদের খোকন মিয়া বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আপনজনের মতো দুই বেলা আমার খোঁজখবর নেন। ওষুধ দেন। খাবার দাবারের খোঁজখবর নেন। দুই মাসে আমি এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছি। হাঁটতে পারি।’
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মায়িশা মমতাজ বলেন, ‘আমি ইন্টার্ন করতে এসেছিলাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের সেবাপদ্ধতি তখনই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। পরে ২০২১ সালে যখন আমার এই হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাক পড়ল, লোভ সামলাতে পারিনি। এখানে রোগীকে সেবা দেওয়া হয় রোগীর ইতিহাস ও রোগের লক্ষণের ওপর নির্ভর করে। এখানে প্রত্যেক রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তারপর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এতে উপকৃত হয়ে যখন পুনরায় এসে আনন্দের হাসি হাসে, তখন আমি আপ্লুত হই। এই আনন্দ হয়তো সারা জীবন আমাকে আটকে রাখবে।’
কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পিজন নংমিন বলেন, ‘আমরা হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে চারজন মেডিকেল অফিসারসহ ৮০ জন সেবায় নিয়োজিত। আমাদের এখানে সবই প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে আসা রোগীদের শতভাগই দরিদ্র। তাদের অনেকটা বিনা মূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে সেবা দেওয়া হয়। গেল বছর এই সেবাকেন্দ্র থেকে ৫৫ হাজার ৩৩৬ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা। তবেই আমাদের সেবার মান, ব্যবস্থাপনার মান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা যুক্ত করাসহ সবই আরও উন্নততর করা সম্ভব হবে।’
কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা। মানবিকতায় পূর্ণ চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীদের সেবা আর মনোরম পরিবেশই অর্ধেক সুস্থ করে তোলে তাদের।
মনোমুগ্ধকর পরিপাটি এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের নাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের বর্তমান নাম ডক্টর বেকার’স অর্গানাইজেশন ফর ওয়েল-বিং। মানবতাপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দারিদ্র্যপীড়িত হিন্দু, মুসলিম, গারো-অধ্যুষিত এলাকায় স্থাপন করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা ডা. এড্রিক বেকার। যিনি ডা. বেকার ভাই নামে দেশজুড়ে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয়ভাবে পরিচিত গরিবের ডাক্তার হিসেবে। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রতিষ্ঠানের নামের পরিবর্তন করেন তাঁর ভক্তরা।
জানা যায়, ১৯৪১ সালে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে জন্ম নেওয়া ডাক্তার এড্রিক বেকার ১৯৬৫ সালে অটাগো ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাস করেন। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করে চলে যান যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামে। পরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে আসেন বাংলাদেশে। প্রথমে জলছত্র মিশনে থেকে তিনি বাংলা ভাষা চর্চা করেন। ১৯৮৩ সালে গড়ে তোলেন কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। মাটির দেয়ালে নির্মিত ঘরে মাটির বিছানায় শুইয়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে শুরু করেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেবা দিয়েছেন। এরপরে তাঁর রেখে যাওয়া কর্মীরাই হাসপাতালটির হাল ধরেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যুক্ত হন মানবদরদি আমেরিকান এক চিকিৎসক দম্পতি। বর্তমানে ৮০ জন কর্মী বাহিনী প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলছেন নিতান্ত দরিদ্র মানুষগুলোকে।
শনিবার কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে দেখা যায়, অত্যন্ত পরিপাটি পরিচ্ছন্ন অঙ্গনে রোগীদের ভিড়। কেউ টিকিট নিচ্ছেন, কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন, কেউ ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাচ্ছেন আবার কেউ এসেছেন চোখের চিকিৎসা নিতে। যক্ষ্মা রোগীদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। অনেক জটিল ও কঠিন রোগের প্রাথমিক পরামর্শ দিয়ে রেফার করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে অন্য মাটির ঘরে। আবাসিক-অনাবাসিক মিলিয়ে ত্রিশের অধিক ঘরে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। পুরো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কোথাও নেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নেই ওষুধের গন্ধও।
ওয়েটিং রুমে অপেক্ষমাণদের স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক পরামর্শ দিচ্ছিলেন হেলথ এডুকেটর সালেহা বেগম। ফার্মেসি থেকে ওষুধ বিতরণ করছেন দুই কর্মী। প্রশাসন বিভাগের কর্মীরা দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত। প্রায় ৫০০ গজ দূরে রাস্তার বিপরীতে আবাসিক ব্যবস্থাপনা। সেখানেও মাটির দেয়াল দিয়ে নির্মিত ঘরেই চলে সব কার্যক্রম।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মুন্নি বেগম বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে এখানে এসে চিকিৎসাসেবা নিয়েছি। চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হয়েছি। তাই আমার সন্তানকেও নিয়ে এসেছি এই হাসপাতালে।’
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে এসেছেন আব্দুল মজিদ দুদু। তিনি এই হাসপাতালের সুনাম শুনেই চিকিৎসা নিতে এসেছেন। মোশারফ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছি। আজ আমার বাবাকেও নিয়ে এসেছি। এই হাসপাতালের পরিবেশ ও সেবার মান—সবই ভালো।
শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত বা ইনফেকশন হয়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের রোগী কাকরাইদের খোকন মিয়া বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আপনজনের মতো দুই বেলা আমার খোঁজখবর নেন। ওষুধ দেন। খাবার দাবারের খোঁজখবর নেন। দুই মাসে আমি এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছি। হাঁটতে পারি।’
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মায়িশা মমতাজ বলেন, ‘আমি ইন্টার্ন করতে এসেছিলাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের সেবাপদ্ধতি তখনই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। পরে ২০২১ সালে যখন আমার এই হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাক পড়ল, লোভ সামলাতে পারিনি। এখানে রোগীকে সেবা দেওয়া হয় রোগীর ইতিহাস ও রোগের লক্ষণের ওপর নির্ভর করে। এখানে প্রত্যেক রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তারপর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এতে উপকৃত হয়ে যখন পুনরায় এসে আনন্দের হাসি হাসে, তখন আমি আপ্লুত হই। এই আনন্দ হয়তো সারা জীবন আমাকে আটকে রাখবে।’
কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পিজন নংমিন বলেন, ‘আমরা হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে চারজন মেডিকেল অফিসারসহ ৮০ জন সেবায় নিয়োজিত। আমাদের এখানে সবই প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে আসা রোগীদের শতভাগই দরিদ্র। তাদের অনেকটা বিনা মূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে সেবা দেওয়া হয়। গেল বছর এই সেবাকেন্দ্র থেকে ৫৫ হাজার ৩৩৬ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা। তবেই আমাদের সেবার মান, ব্যবস্থাপনার মান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা যুক্ত করাসহ সবই আরও উন্নততর করা সম্ভব হবে।’

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা। মানবিকতায় পূর্ণ চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীদের সেবা আর মনোরম পরিবেশই অর্ধেক সুস্থ করে তোলে তাদের।
মনোমুগ্ধকর পরিপাটি এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের নাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের বর্তমান নাম ডক্টর বেকার’স অর্গানাইজেশন ফর ওয়েল-বিং। মানবতাপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দারিদ্র্যপীড়িত হিন্দু, মুসলিম, গারো-অধ্যুষিত এলাকায় স্থাপন করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা ডা. এড্রিক বেকার। যিনি ডা. বেকার ভাই নামে দেশজুড়ে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয়ভাবে পরিচিত গরিবের ডাক্তার হিসেবে। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রতিষ্ঠানের নামের পরিবর্তন করেন তাঁর ভক্তরা।
জানা যায়, ১৯৪১ সালে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে জন্ম নেওয়া ডাক্তার এড্রিক বেকার ১৯৬৫ সালে অটাগো ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাস করেন। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করে চলে যান যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামে। পরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে আসেন বাংলাদেশে। প্রথমে জলছত্র মিশনে থেকে তিনি বাংলা ভাষা চর্চা করেন। ১৯৮৩ সালে গড়ে তোলেন কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। মাটির দেয়ালে নির্মিত ঘরে মাটির বিছানায় শুইয়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে শুরু করেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেবা দিয়েছেন। এরপরে তাঁর রেখে যাওয়া কর্মীরাই হাসপাতালটির হাল ধরেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যুক্ত হন মানবদরদি আমেরিকান এক চিকিৎসক দম্পতি। বর্তমানে ৮০ জন কর্মী বাহিনী প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলছেন নিতান্ত দরিদ্র মানুষগুলোকে।
শনিবার কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে দেখা যায়, অত্যন্ত পরিপাটি পরিচ্ছন্ন অঙ্গনে রোগীদের ভিড়। কেউ টিকিট নিচ্ছেন, কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন, কেউ ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাচ্ছেন আবার কেউ এসেছেন চোখের চিকিৎসা নিতে। যক্ষ্মা রোগীদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। অনেক জটিল ও কঠিন রোগের প্রাথমিক পরামর্শ দিয়ে রেফার করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে অন্য মাটির ঘরে। আবাসিক-অনাবাসিক মিলিয়ে ত্রিশের অধিক ঘরে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। পুরো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কোথাও নেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নেই ওষুধের গন্ধও।
ওয়েটিং রুমে অপেক্ষমাণদের স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক পরামর্শ দিচ্ছিলেন হেলথ এডুকেটর সালেহা বেগম। ফার্মেসি থেকে ওষুধ বিতরণ করছেন দুই কর্মী। প্রশাসন বিভাগের কর্মীরা দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত। প্রায় ৫০০ গজ দূরে রাস্তার বিপরীতে আবাসিক ব্যবস্থাপনা। সেখানেও মাটির দেয়াল দিয়ে নির্মিত ঘরেই চলে সব কার্যক্রম।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মুন্নি বেগম বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে এখানে এসে চিকিৎসাসেবা নিয়েছি। চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হয়েছি। তাই আমার সন্তানকেও নিয়ে এসেছি এই হাসপাতালে।’
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে এসেছেন আব্দুল মজিদ দুদু। তিনি এই হাসপাতালের সুনাম শুনেই চিকিৎসা নিতে এসেছেন। মোশারফ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছি। আজ আমার বাবাকেও নিয়ে এসেছি। এই হাসপাতালের পরিবেশ ও সেবার মান—সবই ভালো।
শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত বা ইনফেকশন হয়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের রোগী কাকরাইদের খোকন মিয়া বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আপনজনের মতো দুই বেলা আমার খোঁজখবর নেন। ওষুধ দেন। খাবার দাবারের খোঁজখবর নেন। দুই মাসে আমি এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছি। হাঁটতে পারি।’
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মায়িশা মমতাজ বলেন, ‘আমি ইন্টার্ন করতে এসেছিলাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের সেবাপদ্ধতি তখনই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। পরে ২০২১ সালে যখন আমার এই হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাক পড়ল, লোভ সামলাতে পারিনি। এখানে রোগীকে সেবা দেওয়া হয় রোগীর ইতিহাস ও রোগের লক্ষণের ওপর নির্ভর করে। এখানে প্রত্যেক রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তারপর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এতে উপকৃত হয়ে যখন পুনরায় এসে আনন্দের হাসি হাসে, তখন আমি আপ্লুত হই। এই আনন্দ হয়তো সারা জীবন আমাকে আটকে রাখবে।’
কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পিজন নংমিন বলেন, ‘আমরা হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে চারজন মেডিকেল অফিসারসহ ৮০ জন সেবায় নিয়োজিত। আমাদের এখানে সবই প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে আসা রোগীদের শতভাগই দরিদ্র। তাদের অনেকটা বিনা মূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে সেবা দেওয়া হয়। গেল বছর এই সেবাকেন্দ্র থেকে ৫৫ হাজার ৩৩৬ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা। তবেই আমাদের সেবার মান, ব্যবস্থাপনার মান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা যুক্ত করাসহ সবই আরও উন্নততর করা সম্ভব হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৭ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
১০ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
৩০ মিনিট আগে
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
৩০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রুকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে পালাতে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আমিনুল ইসলাম রাজু। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবিদুল ইসলাম রাজুকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমিনুল ইসলাম রাজু স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক বিধায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।
২৪ ডিসেম্বর আমিনুল ইসলাম রাজুকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে আমিনুল ইসলাম রাজুকে রাজধানীর মিরপুর-১১ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে প্রত্যেককে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সালকে সীমান্তে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রুকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে পালাতে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আমিনুল ইসলাম রাজু। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবিদুল ইসলাম রাজুকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমিনুল ইসলাম রাজু স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক বিধায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।
২৪ ডিসেম্বর আমিনুল ইসলাম রাজুকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে আমিনুল ইসলাম রাজুকে রাজধানীর মিরপুর-১১ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে প্রত্যেককে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সালকে সীমান্তে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা।
১১ মে ২০২৫
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
১০ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
৩০ মিনিট আগে
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
৩০ মিনিট আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পেরে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অঝোরে কাঁদেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ বাদশা বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ীর ইউএনও রেজওয়ানা আফরীনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার অনুরোধ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হওয়ায় ইউএনও তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণের অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর কক্ষেই তিনি কাঁদতে থাকেন।

একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে অনুনয় করে বলেন, ‘আমি ৫টার মধ্যেই (ইউএনওর কার্যালয়) আসছিলাম। রাস্তায় গাড়ির একটু সমস্যা হয়েছিল, তাই বারবার ফোনও দিয়েছি। আমাকে একটু দয়া করুন।’
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘প্রার্থীর চোখের পানি আমি বুঝতে পারছি। তবে জাতীয় নির্বাচনে আইনগতভাবে আমার কিছু দায়িত্ব আছে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো এখতিয়ার আমার নেই। বিকেল ৫টার পর কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের সুযোগ নেই।’

নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পেরে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অঝোরে কাঁদেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ বাদশা বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ীর ইউএনও রেজওয়ানা আফরীনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার অনুরোধ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হওয়ায় ইউএনও তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণের অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর কক্ষেই তিনি কাঁদতে থাকেন।

একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে অনুনয় করে বলেন, ‘আমি ৫টার মধ্যেই (ইউএনওর কার্যালয়) আসছিলাম। রাস্তায় গাড়ির একটু সমস্যা হয়েছিল, তাই বারবার ফোনও দিয়েছি। আমাকে একটু দয়া করুন।’
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘প্রার্থীর চোখের পানি আমি বুঝতে পারছি। তবে জাতীয় নির্বাচনে আইনগতভাবে আমার কিছু দায়িত্ব আছে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো এখতিয়ার আমার নেই। বিকেল ৫টার পর কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের সুযোগ নেই।’

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা।
১১ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৭ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
৩০ মিনিট আগে
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
৩০ মিনিট আগেসুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’
আজ সোমবার গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা করছি। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছেন। তাঁদের সেই আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা বিবেচনা করেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তিনজন প্রার্থী এখনো রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে আছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁদের জামিনের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমেই দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সুদৃঢ় হবে।’
এ সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আনছার আলী সরদার, মাওলানা আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান মণ্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম এনামুল হক মন্টু, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি মো. রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মোসলেম আলী, মহাসচিবের বিশেষ সহকারী নুর মোহাম্মদ রাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’
আজ সোমবার গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা করছি। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছেন। তাঁদের সেই আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা বিবেচনা করেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তিনজন প্রার্থী এখনো রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে আছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁদের জামিনের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমেই দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সুদৃঢ় হবে।’
এ সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আনছার আলী সরদার, মাওলানা আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান মণ্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম এনামুল হক মন্টু, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি মো. রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মোসলেম আলী, মহাসচিবের বিশেষ সহকারী নুর মোহাম্মদ রাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা।
১১ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৭ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
১০ মিনিট আগে
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
৩০ মিনিট আগেবিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। একই সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণব।
সিলেট-২ আসনে আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন লুনা, অর্ণবসহ সাত প্রার্থী। অন্যরা হলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ‘দেওয়াল ঘড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের প্রার্থী ও সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, জাতীয় পার্টি মনোনীত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ‘হাতপাখা’ প্রতীকের প্রার্থী ও বিশ্বনাথ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আমির উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যারিস্টার আব্দুস শহিদ।

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। একই সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণব।
সিলেট-২ আসনে আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন লুনা, অর্ণবসহ সাত প্রার্থী। অন্যরা হলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ‘দেওয়াল ঘড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের প্রার্থী ও সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, জাতীয় পার্টি মনোনীত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ‘হাতপাখা’ প্রতীকের প্রার্থী ও বিশ্বনাথ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আমির উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যারিস্টার আব্দুস শহিদ।

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা।
১১ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
৭ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
১০ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
৩০ মিনিট আগে