Ajker Patrika

শিশুশ্রমের মূল কারণ দরিদ্রতা নয়, অসচেতনতা: সংলাপে বক্তারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
‘শিশুশ্রম নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা: বর্তমান বাস্তবতা ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘শিশুশ্রম নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা: বর্তমান বাস্তবতা ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশে আইনগতভাবে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ হলেও অসংখ্য শিশু শ্রমদানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। নির্যাতন বা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হতাহত হওয়ার পাশাপাশি অনেক শিশু দীর্ঘসময় ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে করে তুলনামূলকভাবে অনেক অল্প বয়সেই কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে তারা।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংলাপে বক্তাদের আলোচনায় দেশের অবহেলিত শিশুশ্রমিকদের এই বিপন্নতার কথা উঠে আসে। একশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত এ সংলাপের শিরোনাম ছিল ‘শিশুশ্রম নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা: বর্তমান বাস্তবতা ও আমাদের প্রত্যাশা’।

সংলাপে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন এএসডির প্রকল্প সমন্বয়ক সৈয়দ শাহিনুর রহমান। তিনি এতে বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুসারে বাংলাদেশে ৫-১৭ বৎসর বয়সী কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ৬৮ হাজার।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সরকার এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশে শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও নিরসনের লক্ষ্যে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। তা সত্বেও শিশুশ্রমের বিষয়টি এখনো সমস্যা হিসেবে বিরাজমান।

সৈয়দ শাহিনুর রহমান বলেন, শিশুশ্রমের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের (পিতা-মাতা, নিয়োগকারী ইত্যাদি) সচেতনতার অভাব, পারিবারিক দারিদ্র্য, কর্মসংস্থানের অভাব ইত্যাদি ছাড়াও বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও নিরসনের লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হচ্ছে।

সংলাপের মূল নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার শিশুশ্রম বিষয়ে আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) এর দুটি কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করেছে। এগুলো হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম সম্পর্কিত ১৮২ নম্বর কনভেনশন (২০০১ সাল) এবং শিশুদের কাজে প্রবেশের নূন্যতম বয়স বিষয়ক ১৩৮ নম্বর কনভেনশন (২০২২)। এর মাধ্যমে এদেশের সরকার বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও এর অবসান ঘটাতে জরুরিভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশের শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী ১৪ বছর বয়সের কম বয়সী কোনো শিশুকে কোনো ধরনের কাজেই নিয়োগ করা যাবে না এবং ১৮ বৎসর বয়সের নিচের কোনো শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। ২০১২ সালের মার্চ মাসে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০ গৃহীত হয়েছে। এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ বাংলাদেশের বাস্তবতার আলোকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের একটি তালিকা ঘোষণা করা হয়। এতে ৩৮টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তালিকাতে আরও ৫টি কাজ যুক্ত করে মোট ৪৩টি কাজকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সংলাপে আলোচকেরা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম কার্যকরভাবে প্রতিরোধ ও নিরসনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে গণসচেতনতা সৃষ্টি। আমাদের অভিভাবকদের দায়িত্ব শিশুকে কাজে না পাঠিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠানো। সরকার প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। শিশুদের জন্য বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকও বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও অনেক অভিভাবক সন্তানদের বিদ্যালয়ে না পাঠিয়ে যে কাজে পাঠাচ্ছেন তার পেছনে দরিদ্রতা থাকলেও তা প্রধান কারণ নয়। মূল কারণ অসচেতনতা। এই বাবা–মায়েরা শিক্ষার পেছনে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ সুফল সম্পর্কে জানেন না আস্থা রাখতে পারেন না।

আলোচকেরা অভিমত দেন শুধু আইন করে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। মানুষ যদি সচেতন হয় তাহলেই সম্ভব শিশুশ্রম থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্ত করা। এ জন্য দেশের গণমাধ্যমে শিশু অধিকার ও শিশুশ্রম নিরসনের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন। শুধু দিবস ভিত্তিক বা গুটিকয়েক সাড়া জাগানো ঘটনার সংবাদ প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিয়মিত শিশু অধিকার এবং শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক অনুষ্ঠান, সংবাদ ও সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা দরকার।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন এর আয়োজক এএসডির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারপার্সন শামসুন্নাহার জলী এবং আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প কর্মকর্তা হালিমা বেগম, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ পলি, এএসডির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল শিশুসহ চারজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৬
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত