Ajker Patrika

শিক্ষাঙ্গন একদিন সন্ত্রাসমুক্ত হবে: সনির বাবা

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১৩: ০১
শিক্ষাঙ্গন একদিন সন্ত্রাসমুক্ত হবে: সনির বাবা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রী সাবেকুন্নাহার সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমার সনিকে হারিয়েছি, কোনো বাবা যেন আর কোনো সনিকে না হারায়। আমি এক সনিকে হারিয়ে আমার চোখে হাজারো সনিকে দেখেছি। আর একজন সনিও যেন না হারায়। শিক্ষাঙ্গন একদিন সন্ত্রাসমুক্ত হবে। তার জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে, এটা জানি। তবে আমি হতাশ নই। একদিন দেশে সুদিন আসবে। হাজারো বেঁচে থাকা সনির জন্য সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করতে হবে।’ 

বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ছাত্রী সাবেকুন্নাহার সনির ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে আজ বুধবার সকাল ৯টায় সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত বুয়েট চত্বরের ‘সনি স্মৃতিফলক’-এর সামনে এক মানববন্ধনে হাবিবুর রহমান এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

মানববন্ধনে নাগরিক সমাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা খবির উদ্দীন খান, সনির বড় ভাই মো. মামুন মোল্লা, সনির চাচি মালতী ফারুক, খালা রোকোয়া খানম, সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ নিয়ামুল করিম, স্থপতি বিজয় তালুকদার, স্থপতি সুব্রত সরকার প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। 

খবির উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের যদি হিংসা-বিদ্বেষ ও পরশ্রীকাতরতার ঊর্ধ্বে রেখে মানবিক গুণাবলিতে গুণান্বিত করতে পারি, তাহলে দেশের সব শিক্ষাঙ্গন পুরোপুরি সন্ত্রাসমুক্ত হবে। দেশের মঙ্গলের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। 

সনির বড় ভাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মামুন মোল্লা বলেন, ‘আমি তখন বুয়েটের গণিতের লেকচারার ছিলাম। সেদিন আমার এক কলিগ এসে আমাকে বলে আপনার বোনের গায়ে গুলি লেগেছে। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। দৌড়ে ঢামেকে যাই। দেখি সনি আর নেই। যা হোক, আমার বোনের মৃত্যু হলেও আমাদের চাওয়া-পাওয়া ছিল শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস থাকবে না। কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখিনি। ছাত্ররাজনীতির সব জায়গায় সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে প্রতিনিয়ত সিট নিয়ে মারামারি হচ্ছে। এসবের আমরা অবসান চাই।’ 

মানববন্ধনে বক্তারা শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ৮ জুনকে ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। 

মানববন্ধনে সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। দাবিগুলো হলো 

 ১. শিক্ষাঙ্গনে দলীয় লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করা হোক; 

 ২. রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অপব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করা হোক; 

 ৩. অঙ্গসংগঠনের পরিচয়ে ছাত্রসংগঠনের ছত্রছায়ায় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি বখাটেপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক; 

 ৪. শিক্ষার্থীদের সুস্থ সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলার চর্চার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক; 

 ৫. শিক্ষাঙ্গনে মেয়েদের নির্বিঘ্নে চলাফেরা নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের দাবি; 

 ৬. স্বাধীনতা-পরবর্তী শিক্ষাঙ্গনে সংগঠিত সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। 

মানববন্ধনের পূর্বে সনির স্মৃতিফলকে সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, নাগরিক সমাজ ফাউন্ডেশন, অভিভাবক পরিষদ, বুয়েট সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সুরা ফাতিহা পাঠ এবং এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে মানববন্ধন শুরু হয়। 

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের এই দিনে বুয়েট চত্বরে টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে তৎকালীন সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।

আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কার্যালয়ের সামনে ‘প্রথম আলোর ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ’ লেখা ব্যানার হাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে অংশ নেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রথম আলোর ওপর হামলার নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘গত ২৭ বছরে এই প্রথম আজকে আমাদের পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। পত্রিকার অনলাইন ভার্সনও বন্ধ রয়েছে। প্রথম আলোর ওপরে হামলাকে আমরা বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমতের প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরে কঠিন আক্রমন হিসেবেই দেখছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে নস্যাৎ, ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য, আগামী নির্বাচনকে পথভ্রষ্ট করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে খুঁজে বের করা হোক।’

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাজ্জাদ শরিফ বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করে। তারা প্রথম আলোর উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করে।

এ পরিস্থিতিতে কর্মসূচি দ্রুত শেষ করে প্রথম আলোর কর্মীরা বিক্ষোভস্থল থেকে চলে যান। এরপর পুলিশ হট্টগোলকারীদের কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের দিকে সরিয়ে দেয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উপকূলীয় স্বাস্থ্যসেবায় ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চালু হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চালু হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

দেশের উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি আধুনিক ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স চালু করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের উদ্যোগে মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়।

আজ শুক্রবার সকালে ভোলার মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ লঞ্চঘাটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ নামে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স’। ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির মাধ্যমে নদী ও সাগরবেষ্টিত দুর্গম এলাকায় রোগী পরিবহন, জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তরের সময় শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উপদেষ্টা জানান, ওসমান হাদির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ কঠোর শাস্তি প্রদানে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে একজন আপসহীন ও সাহসী কণ্ঠস্বর। তাঁর আত্মত্যাগ ও আদর্শ মানবিক সমাজ গঠনে আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। উপকূলীয় মানুষের জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের মতো মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে তাঁর নাম যুক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত।

তিনি আরও বলেন, সরকার উপকূলীয় ও দুর্গম অঞ্চলের জনগণের মৌলিক অধিকার, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী ও সাগরনির্ভর জনপদের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের মতো উদ্যোগ মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে আবারও বিক্ষোভ-মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী।

আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে ঝালকাঠি ঈদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড়ে এসে রাস্তা অবরোধ করে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তবে অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, ওষুধ বহনকারী যানসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

এ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

মহাসড়ক অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তাঁরা।

একই ইস্যুতে জেলার নলছিটি উপজেলায়ও জুমার নামাজের পরে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, ওসমান হাদির বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে চোর ধরতে গিয়ে পরিত্যক্ত ঘরে মিলল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
লাশ উদ্ধারের পর নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাশ উদ্ধারের পর নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজের আড়াই মাস পর একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘর থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের পারুলী নদীর ওপর নির্মিত পরিত্যক্ত বেইলি ব্রিজের নিচে থাকা ওই ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম মো. আসাদুজ্জামান সরকার ওরফে আসাদ (৫০)। তিনি রাজাবাড়ি ইউনিয়নের মিটালু গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং রাজাবাড়ি বাজারে একটি ফার্নিচারের দোকান পরিচালনা করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরের দিকে রাজাবাড়ি বাজারে চোর প্রবেশ করেছে—এমন খবরে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন চোরকে ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে ব্রিজের নিচে পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে চোর খুঁজতে গিয়ে একটি মরদেহ দেখতে পান তাঁরা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিহতের ছেলে জনি সরকার জানান, চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাঁর বাবা বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করা হলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জনি সরকার বলেন, ‘আজ দুপুরে জানতে পারি বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে মরদেহ পড়ে আছে। এসে বাবার পরনের গেঞ্জি, লুঙ্গি ও দাঁড়ি দেখে মরদেহ শনাক্ত করি। কীভাবে বাবার মৃত্যু হয়েছে বা কে জড়িত—কিছুই বুঝতে পারছি না।’

রাজাবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাজারে চোর ঢুকেছে বলে নিরাপত্তা প্রহরীরা চিৎকার দেন। তখন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে পরিত্যক্ত ঘরে ঢুকে মরদেহ দেখতে পান।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় সাহা বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত