ফজলুল কবির, ঢাকা

‘গণগ্রন্থাগার চত্বর যেমন/ হাঁটতে নিলেই বকুল পিষে যায় পায়ের তলায়/ এ এক নৃশংস পদচারণ।’ আসলেই কি তাই? পায়ের দিকে একবার তাকাই। তার তলাটি তো দেখা যায় না। তবে চারদিকে ছড়ানো আহত ও শুষ্ক বকুল ফুল বলে দিচ্ছে নিজের পায়ের তলায়ও এমন আহতের দল পড়ে আছে। তলানিতে বলে কেউ ভ্রুক্ষেপ করছে না; আক্ষেপ তো দূরের কথা। তলায় বা প্রান্তে থাকার নিয়তিই এমন। যাক, সে অন্য কথা। বকুলের সঙ্গে হয়ে যাওয়া এই নিত্যকার নৃশংসতা নিয়ে মনকে আর বাড়তে দেওয়া যায় না। কারণ, চোখের সামনে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নৃশংসতা, তার সমস্তটা নিয়ে। না, আক্ষরিক অর্থে নয়। তবে গণগ্রন্থাগারের ভেঙে পড়া দেখে এই একটি শব্দই ঘুরেফিরে মাথায় আসছে বারবার।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর ও চারুকলা অনুষদকে দুই বাহুতে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গণগ্রন্থাগারের বর্তমান কাঠামো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গণগ্রন্থাগারটির পোশাকি নাম সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার। কিন্তু সবার কাছে পাবলিক লাইব্রেরি নামেই পরিচিত। কতটা পরিচিত? ব্যক্তিগত খাতা খুললে তার তল পাওয়া কঠিন।
তার আগে বলে নিই, পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে এই স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পাঠকদের জন্য আপাতত ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে হবে বহুতল ভবন। বিপুল ব্যয়ে সে ভবন নির্মাণ করা হবে, যা শেষ হবে ২০২৪ সালে। পাঠকক্ষগুলোর সংখ্যা ও পরিসরে বড় হবে। ডিজিটাইজেশনের গতি বাড়বে। প্রতিবন্ধীদের কথা মাথায় রেখে আলাদা ব্যবস্থা হবে। গবেষকদের পাঠ উপকরণ ও গবেষণার দিকে আলাদা মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। বই, পত্রিকা, সাময়িকী, ডিজিটাল আর্কাইভ ইত্যাদির সংখ্যা বাড়বে। সেবার পরিসর বৃদ্ধির এই প্রতিটি বিষয়ই আনন্দের। কিন্তু কোথায় যেন ব্যথা বাজে। শঙ্কা জাগে, যে সুপ্রশস্ত পরিসর দিয়ে এই গণগ্রন্থাগার মানুষের কাছে সহজ প্রাঙ্গণের পরিচয় নিয়ে হাজির হয়েছিল, তা কি আর আগের মতো থাকবে?
কত না স্মৃতিগদ্য আছে এই স্থাপনা নিয়ে। কত শতজনের কথায়, ছোট ছোট উক্তিতে, বাক্যে এর কথা উঠে এসেছে। এমন স্মৃতি জন্ম দেওয়া, আশ্রয় দেওয়া প্রাঙ্গণ ঢাকায় খুব কম। এর নকশাটাই মানুষকে আপন করে নেয় বলা যায়। আচ্ছা কে এর স্থপতি? খুঁজতে গিয়েই মাথা ঘুরে গেল। কোথাও নেই সে নাম। পুরোনো গণগ্রন্থাগার, অর্থাৎ বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি নন্দিত স্থপতি মাজহারুল ইসলামের নকশায় করা। কিন্তু যে ভবনে পরে স্থানান্তর করা হলো, তার স্থপতি কে? কোথাও নেই। সরকারি ওয়েবসাইটগুলো খুঁজে হয়রান হতে হলো। নেই অন্য কোনো ওয়েবসাইটেও। অনেক খুঁটিনাটি তথ্য সেগুলোতে থাকলেও এই জরুরি তথ্যটি নেই। মনটা দমে গেল। এত স্মৃতির রঙিন সিঁড়িগুলো তবে কে বানালেন!
এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন! গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। নব্বইয়ের দশকের বিটিভি নাটকে থানা বলতে যেমন শুধু রমনা থানা ছিল, ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নায়ক-নায়িকার আউটডোর (সে সময়ের নাটকে আউটডোর বিষয়টা বেশ কম ছিল) প্রথম সাক্ষাৎ বলতে যে গুটি কয়েক স্থান ছিল, তার অন্যতম এই জাতীয় গণগ্রন্থাগার।
বাস্তবেও কি তা-ই নয়? এর সেই আইকনিক সিঁড়ি কত শত স্মৃতির আকর! কত তরুণ-তরুণী যে এই সিঁড়িতে বসেই প্রণয়কাল কাটিয়ে দিল, কতজন সদ্য পাওয়া কষ্ট ভুলতে এই সিঁড়িতে চুপ হয়ে বসে থাকল, কতজন কিছুই নয়, শুধু সময় কাটাতে সিঁড়িটুকু আঁকড়ে বসে থাকল! মোবাইল ফোন, বিশেষত স্মার্টফোন আসার আগে এই সিঁড়িতে বসে নানা বয়সী মানুষকে বই পড়তে দেখা যেত। বিকেলের দিকে এই সিঁড়ি ঘিরেই জমত আড্ডা। কবি, শিল্পী থেকে শুরু করে ভবঘুরে আড্ডার উন্মুক্ত স্থান ছিল এটি। তবে হুজ্জতও ছিল; নিরাপত্তাকর্মী বা পাঠাগার তত্ত্বাবধায়কেরা মাঝেমধ্যেই এসে আড্ডা দিতে নিষেধ করতেন। তখন কিছুক্ষণের বিরতি। তারপর আবার হয়তো নতুন কোনো আড্ডাবাজ দলবল নিয়ে বসে যেত।
সিঁড়িতে না টিকলেও ক্ষতি নেই তেমন। বকুলঝরা পথ দিয়ে সোজা চলে গেলেই হলো। একেবারে মাথায় ক্যানটিন, যার বাইরে বসবার জায়গা আছে। সেই ক্যানটিনের স্বভাবও প্রায় গণগ্রন্থাগারের মতোই। এর বাইরে বা ভেতরে বসে দীর্ঘ আড্ডায় সাধারণত কোনো বাধা আসত না। শেষ দিকে এর কিছুটা ব্যত্যয় দেখা দিয়েছিল। বাণিজ্যিক দুনিয়ায় পুঁজির চাপে এর অন্যথাও তো হওয়ার কথা নয়। বরং এত দীর্ঘ সময় যে এটি এমনভাবে উদার থাকল, তাই-বা কম কী।
এই ক্যানটিন থেকে বাম দিকে শওকত ওসমান মিলনায়তনের মধ্যকার সবুজ প্রাঙ্গণটি অন্যরকম এক ভালো লাগা তৈরি করে। কত দীর্ঘ দুপুর ও বিকেল যে এখানে কেটেছে! বিকেল থেকেই শুরু হতো মিলনায়তন ঘিরে নানা তৎপরতা। হয়তো কোনো গানের অনুষ্ঠান আছে, অথবা আছে কোনো নাটকের শো, কিংবা স্বল্পদৈর্ঘ্য বা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। আলোচনা সভাও হতো নিয়মিত। বিকেল থেকেই গমগম করত গোটা প্রাঙ্গণ।
শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর ছিল যে প্রাঙ্গণ, তা এখন ভাঙা ইট-পাথর ও ধুলার রাজত্ব। এখনো মুখর সেই প্রাঙ্গণ, তবে তা হাতুড়ির শব্দে। প্রায় প্রতিদিনই বাইরে থেকে এই ধ্বংসযজ্ঞের শব্দ কানে আসে। ধুলার অত্যাচারে শ্বাস জানান দেয় কিছু একটা ভেঙে পড়ছে। সেদিন ভেতরে ঢুকে পুরো বিষয়টা দেখার ইচ্ছা হলো। দেখা গেল শওকত ওসমান মিলনায়তনের এক পাশ ভেঙে ফেলা হয়েছে এরই মধ্যে। জমে থাকা বর্জ্য সরাতে কাজ করা হচ্ছে। ক্যানটিন ও মিলনায়তনের মাঝখানের প্রাঙ্গণটায়, যেখানে আগে বিশেষত তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল, সেখানে দেখা গেল এক তরুণী বসে আছেন পা দুলিয়ে। বিষণ্ন তাঁর চোখ। নিজের ভেতরে চলতে থাকা নানা ভাবনার ছাপ যেন তাঁর চোখেও দেখা গেল। তাঁর পায়ের তলায়ও যেন বকুল পিষে গেছে অজ্ঞাতে; তাই কী মন খারাপ?
ফিরে এসে আবার সেই সিঁড়ির সামনে দাাঁড়নো গেল। কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা শুধু। গোটা কয় ছবি তোলা হলো। মনের ভেতর একটা মোচড় দিয়ে উঠল। বামে তাকাতেই দেখা গেল স্মৃতিময় শিশু-কিশোর পাঠকক্ষটি ভেঙে ফেলা হয়েছে, যেখানে কেটেছে শৈশব-কৈশোরের আশ্চর্য সুন্দর কিছু সময়। স্কুল পালিয়ে কত কী করে মানুষ! আমারা দুই-তিনজন ছিলাম, যাঁরা পালিয়ে আসতাম এই পাঠাগারে। পাশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চারুকলায় যাওয়া শুরুও সে সময়েই। কিংবা চলে যেতাম বাংলাবাজার, নীলক্ষেত, পল্টন, গুলিস্তানের বইয়ের দোকানগুলোয়। বইয়ের পোকা ছিল মাথায়। সিনেমা দেখা বা রমনা উদ্যানে ঘুরে বেড়ানো—সে-ও ছিল।
সে যাক। সিঁড়িটি বাদ রেখে মূল ভবনের পেছনের দিকটা ভাঙা হচ্ছে। যাঁরা ভাঙছেন, তাঁদেরও কি মন টানছে না তবে? তাঁদেরও কি কিছু জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে? নাকি এ নিছক কল্পনা?
ছবি তুলতে দেখে আশপাশে ভাঙার কাজে মত্ত পরিশ্রান্ত শ্রমিকেরা আমাকে দেখার ছলেই একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন দেখা গেল। এগিয়ে যেতেই হেসে তাকালেন বয়স্ক একজন। নাম আলতাফ হোসেন। জানালেন, বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। জানতে চাইলাম, কত দিন লাগবে ভাঙতে? হাসলেন। বললেন, ‘তা এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়া যাইব।’ মন কেমন করল! কিছুক্ষণ চুপ থেকে আলতাফ হোসেন বললেন, ‘সিঁড়িটা সুন্দর।’ হয়তো আমাকে দূর থেকে সিঁড়ির আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখেই এমনটা বললেন, হয়তো না। দেখা গেল, পরিশ্রান্ত শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন ততক্ষণে সেই সিঁড়িতে গিয়ে বসেছেন। লাল-সাদা সেই আইকনিক সিঁড়ি; ভেঙে যাওয়ার আগেও যে পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষদের আশ্রয় দিতে ভুলছে না।
কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গেলাম। কে জানে, এটাই হয়তো শেষবারের মতো এই সিঁড়ি ভাঙা। মাথার ভেতরে তখন সঞ্জীব চৌধুরী গাইছেন—‘তুমি সিঁড়ি ভাঙো/ কত সিঁড়ি ভাঙো/ ভেঙে ফেলেছ কি স্বপ্নের সিঁড়ি?’ সঞ্জীব সম্পূর্ণ অন্য ভাবনা থেকে গেয়েছেন হয়তো, কিন্তু কেমন মিলে গেল। এ সিঁড়ি তো স্বপ্নেরও। যেকোনো গ্রন্থাগারের সিঁড়িই তা-ই। সে হিসেবে বেশ খাপ খেয়ে যায় সঞ্জীবের গানটি। এ সিঁড়ি আক্ষরিক অর্থেই ভাঙা হবে। এই তো আর কয়েকটি দিন।

‘গণগ্রন্থাগার চত্বর যেমন/ হাঁটতে নিলেই বকুল পিষে যায় পায়ের তলায়/ এ এক নৃশংস পদচারণ।’ আসলেই কি তাই? পায়ের দিকে একবার তাকাই। তার তলাটি তো দেখা যায় না। তবে চারদিকে ছড়ানো আহত ও শুষ্ক বকুল ফুল বলে দিচ্ছে নিজের পায়ের তলায়ও এমন আহতের দল পড়ে আছে। তলানিতে বলে কেউ ভ্রুক্ষেপ করছে না; আক্ষেপ তো দূরের কথা। তলায় বা প্রান্তে থাকার নিয়তিই এমন। যাক, সে অন্য কথা। বকুলের সঙ্গে হয়ে যাওয়া এই নিত্যকার নৃশংসতা নিয়ে মনকে আর বাড়তে দেওয়া যায় না। কারণ, চোখের সামনে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নৃশংসতা, তার সমস্তটা নিয়ে। না, আক্ষরিক অর্থে নয়। তবে গণগ্রন্থাগারের ভেঙে পড়া দেখে এই একটি শব্দই ঘুরেফিরে মাথায় আসছে বারবার।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর ও চারুকলা অনুষদকে দুই বাহুতে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গণগ্রন্থাগারের বর্তমান কাঠামো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গণগ্রন্থাগারটির পোশাকি নাম সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার। কিন্তু সবার কাছে পাবলিক লাইব্রেরি নামেই পরিচিত। কতটা পরিচিত? ব্যক্তিগত খাতা খুললে তার তল পাওয়া কঠিন।
তার আগে বলে নিই, পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে এই স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পাঠকদের জন্য আপাতত ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে হবে বহুতল ভবন। বিপুল ব্যয়ে সে ভবন নির্মাণ করা হবে, যা শেষ হবে ২০২৪ সালে। পাঠকক্ষগুলোর সংখ্যা ও পরিসরে বড় হবে। ডিজিটাইজেশনের গতি বাড়বে। প্রতিবন্ধীদের কথা মাথায় রেখে আলাদা ব্যবস্থা হবে। গবেষকদের পাঠ উপকরণ ও গবেষণার দিকে আলাদা মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। বই, পত্রিকা, সাময়িকী, ডিজিটাল আর্কাইভ ইত্যাদির সংখ্যা বাড়বে। সেবার পরিসর বৃদ্ধির এই প্রতিটি বিষয়ই আনন্দের। কিন্তু কোথায় যেন ব্যথা বাজে। শঙ্কা জাগে, যে সুপ্রশস্ত পরিসর দিয়ে এই গণগ্রন্থাগার মানুষের কাছে সহজ প্রাঙ্গণের পরিচয় নিয়ে হাজির হয়েছিল, তা কি আর আগের মতো থাকবে?
কত না স্মৃতিগদ্য আছে এই স্থাপনা নিয়ে। কত শতজনের কথায়, ছোট ছোট উক্তিতে, বাক্যে এর কথা উঠে এসেছে। এমন স্মৃতি জন্ম দেওয়া, আশ্রয় দেওয়া প্রাঙ্গণ ঢাকায় খুব কম। এর নকশাটাই মানুষকে আপন করে নেয় বলা যায়। আচ্ছা কে এর স্থপতি? খুঁজতে গিয়েই মাথা ঘুরে গেল। কোথাও নেই সে নাম। পুরোনো গণগ্রন্থাগার, অর্থাৎ বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি নন্দিত স্থপতি মাজহারুল ইসলামের নকশায় করা। কিন্তু যে ভবনে পরে স্থানান্তর করা হলো, তার স্থপতি কে? কোথাও নেই। সরকারি ওয়েবসাইটগুলো খুঁজে হয়রান হতে হলো। নেই অন্য কোনো ওয়েবসাইটেও। অনেক খুঁটিনাটি তথ্য সেগুলোতে থাকলেও এই জরুরি তথ্যটি নেই। মনটা দমে গেল। এত স্মৃতির রঙিন সিঁড়িগুলো তবে কে বানালেন!
এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন! গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। নব্বইয়ের দশকের বিটিভি নাটকে থানা বলতে যেমন শুধু রমনা থানা ছিল, ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নায়ক-নায়িকার আউটডোর (সে সময়ের নাটকে আউটডোর বিষয়টা বেশ কম ছিল) প্রথম সাক্ষাৎ বলতে যে গুটি কয়েক স্থান ছিল, তার অন্যতম এই জাতীয় গণগ্রন্থাগার।
বাস্তবেও কি তা-ই নয়? এর সেই আইকনিক সিঁড়ি কত শত স্মৃতির আকর! কত তরুণ-তরুণী যে এই সিঁড়িতে বসেই প্রণয়কাল কাটিয়ে দিল, কতজন সদ্য পাওয়া কষ্ট ভুলতে এই সিঁড়িতে চুপ হয়ে বসে থাকল, কতজন কিছুই নয়, শুধু সময় কাটাতে সিঁড়িটুকু আঁকড়ে বসে থাকল! মোবাইল ফোন, বিশেষত স্মার্টফোন আসার আগে এই সিঁড়িতে বসে নানা বয়সী মানুষকে বই পড়তে দেখা যেত। বিকেলের দিকে এই সিঁড়ি ঘিরেই জমত আড্ডা। কবি, শিল্পী থেকে শুরু করে ভবঘুরে আড্ডার উন্মুক্ত স্থান ছিল এটি। তবে হুজ্জতও ছিল; নিরাপত্তাকর্মী বা পাঠাগার তত্ত্বাবধায়কেরা মাঝেমধ্যেই এসে আড্ডা দিতে নিষেধ করতেন। তখন কিছুক্ষণের বিরতি। তারপর আবার হয়তো নতুন কোনো আড্ডাবাজ দলবল নিয়ে বসে যেত।
সিঁড়িতে না টিকলেও ক্ষতি নেই তেমন। বকুলঝরা পথ দিয়ে সোজা চলে গেলেই হলো। একেবারে মাথায় ক্যানটিন, যার বাইরে বসবার জায়গা আছে। সেই ক্যানটিনের স্বভাবও প্রায় গণগ্রন্থাগারের মতোই। এর বাইরে বা ভেতরে বসে দীর্ঘ আড্ডায় সাধারণত কোনো বাধা আসত না। শেষ দিকে এর কিছুটা ব্যত্যয় দেখা দিয়েছিল। বাণিজ্যিক দুনিয়ায় পুঁজির চাপে এর অন্যথাও তো হওয়ার কথা নয়। বরং এত দীর্ঘ সময় যে এটি এমনভাবে উদার থাকল, তাই-বা কম কী।
এই ক্যানটিন থেকে বাম দিকে শওকত ওসমান মিলনায়তনের মধ্যকার সবুজ প্রাঙ্গণটি অন্যরকম এক ভালো লাগা তৈরি করে। কত দীর্ঘ দুপুর ও বিকেল যে এখানে কেটেছে! বিকেল থেকেই শুরু হতো মিলনায়তন ঘিরে নানা তৎপরতা। হয়তো কোনো গানের অনুষ্ঠান আছে, অথবা আছে কোনো নাটকের শো, কিংবা স্বল্পদৈর্ঘ্য বা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। আলোচনা সভাও হতো নিয়মিত। বিকেল থেকেই গমগম করত গোটা প্রাঙ্গণ।
শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর ছিল যে প্রাঙ্গণ, তা এখন ভাঙা ইট-পাথর ও ধুলার রাজত্ব। এখনো মুখর সেই প্রাঙ্গণ, তবে তা হাতুড়ির শব্দে। প্রায় প্রতিদিনই বাইরে থেকে এই ধ্বংসযজ্ঞের শব্দ কানে আসে। ধুলার অত্যাচারে শ্বাস জানান দেয় কিছু একটা ভেঙে পড়ছে। সেদিন ভেতরে ঢুকে পুরো বিষয়টা দেখার ইচ্ছা হলো। দেখা গেল শওকত ওসমান মিলনায়তনের এক পাশ ভেঙে ফেলা হয়েছে এরই মধ্যে। জমে থাকা বর্জ্য সরাতে কাজ করা হচ্ছে। ক্যানটিন ও মিলনায়তনের মাঝখানের প্রাঙ্গণটায়, যেখানে আগে বিশেষত তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল, সেখানে দেখা গেল এক তরুণী বসে আছেন পা দুলিয়ে। বিষণ্ন তাঁর চোখ। নিজের ভেতরে চলতে থাকা নানা ভাবনার ছাপ যেন তাঁর চোখেও দেখা গেল। তাঁর পায়ের তলায়ও যেন বকুল পিষে গেছে অজ্ঞাতে; তাই কী মন খারাপ?
ফিরে এসে আবার সেই সিঁড়ির সামনে দাাঁড়নো গেল। কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা শুধু। গোটা কয় ছবি তোলা হলো। মনের ভেতর একটা মোচড় দিয়ে উঠল। বামে তাকাতেই দেখা গেল স্মৃতিময় শিশু-কিশোর পাঠকক্ষটি ভেঙে ফেলা হয়েছে, যেখানে কেটেছে শৈশব-কৈশোরের আশ্চর্য সুন্দর কিছু সময়। স্কুল পালিয়ে কত কী করে মানুষ! আমারা দুই-তিনজন ছিলাম, যাঁরা পালিয়ে আসতাম এই পাঠাগারে। পাশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চারুকলায় যাওয়া শুরুও সে সময়েই। কিংবা চলে যেতাম বাংলাবাজার, নীলক্ষেত, পল্টন, গুলিস্তানের বইয়ের দোকানগুলোয়। বইয়ের পোকা ছিল মাথায়। সিনেমা দেখা বা রমনা উদ্যানে ঘুরে বেড়ানো—সে-ও ছিল।
সে যাক। সিঁড়িটি বাদ রেখে মূল ভবনের পেছনের দিকটা ভাঙা হচ্ছে। যাঁরা ভাঙছেন, তাঁদেরও কি মন টানছে না তবে? তাঁদেরও কি কিছু জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে? নাকি এ নিছক কল্পনা?
ছবি তুলতে দেখে আশপাশে ভাঙার কাজে মত্ত পরিশ্রান্ত শ্রমিকেরা আমাকে দেখার ছলেই একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন দেখা গেল। এগিয়ে যেতেই হেসে তাকালেন বয়স্ক একজন। নাম আলতাফ হোসেন। জানালেন, বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। জানতে চাইলাম, কত দিন লাগবে ভাঙতে? হাসলেন। বললেন, ‘তা এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়া যাইব।’ মন কেমন করল! কিছুক্ষণ চুপ থেকে আলতাফ হোসেন বললেন, ‘সিঁড়িটা সুন্দর।’ হয়তো আমাকে দূর থেকে সিঁড়ির আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখেই এমনটা বললেন, হয়তো না। দেখা গেল, পরিশ্রান্ত শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন ততক্ষণে সেই সিঁড়িতে গিয়ে বসেছেন। লাল-সাদা সেই আইকনিক সিঁড়ি; ভেঙে যাওয়ার আগেও যে পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষদের আশ্রয় দিতে ভুলছে না।
কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গেলাম। কে জানে, এটাই হয়তো শেষবারের মতো এই সিঁড়ি ভাঙা। মাথার ভেতরে তখন সঞ্জীব চৌধুরী গাইছেন—‘তুমি সিঁড়ি ভাঙো/ কত সিঁড়ি ভাঙো/ ভেঙে ফেলেছ কি স্বপ্নের সিঁড়ি?’ সঞ্জীব সম্পূর্ণ অন্য ভাবনা থেকে গেয়েছেন হয়তো, কিন্তু কেমন মিলে গেল। এ সিঁড়ি তো স্বপ্নেরও। যেকোনো গ্রন্থাগারের সিঁড়িই তা-ই। সে হিসেবে বেশ খাপ খেয়ে যায় সঞ্জীবের গানটি। এ সিঁড়ি আক্ষরিক অর্থেই ভাঙা হবে। এই তো আর কয়েকটি দিন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
৫ মিনিট আগে
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
১৫ মিনিট আগে
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

টানা চার দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। ভোর থেকেই জেলার সড়ক ও জনপথ ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে। কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোতে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। ভোরে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
নাইট কোচের চালকেরা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় কিছুই দেখা যায় না। রফিকুল আলী নামের এক চালক বলেন, ‘এত কুয়াশায় সাবধানে গাড়ি চালিয়ে আসতে হয়েছে। শীত এলেই আমাদের এই সমস্যায় পড়তে হয়। কুয়াশায় সামনে কিছুই বোঝা যায় না।’
আরেকজন চালক জানান, কুয়াশার কারণে গতি কমিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। একটু অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
শীতের প্রভাবে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর ভিড়। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পরবর্তী দিনগুলোতে তা আবার কমে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী সাইমুজ্জামান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। প্রাপ্ত শীতবস্ত্রগুলো প্রতিটি উপজেলায় সমানভাবে ভাগ করে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

টানা চার দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। ভোর থেকেই জেলার সড়ক ও জনপথ ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে। কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোতে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। ভোরে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
নাইট কোচের চালকেরা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় কিছুই দেখা যায় না। রফিকুল আলী নামের এক চালক বলেন, ‘এত কুয়াশায় সাবধানে গাড়ি চালিয়ে আসতে হয়েছে। শীত এলেই আমাদের এই সমস্যায় পড়তে হয়। কুয়াশায় সামনে কিছুই বোঝা যায় না।’
আরেকজন চালক জানান, কুয়াশার কারণে গতি কমিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। একটু অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
শীতের প্রভাবে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর ভিড়। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পরবর্তী দিনগুলোতে তা আবার কমে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী সাইমুজ্জামান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। প্রাপ্ত শীতবস্ত্রগুলো প্রতিটি উপজেলায় সমানভাবে ভাগ করে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
২৩ মে ২০২২
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
১৫ মিনিট আগে
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন। মোবাইলে আলাপকালে মাহমুদ হোসেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে এই আসনে বিএনপির একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বলয় গড়ে উঠেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন আহমদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই মাহমুদ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেও ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চেতনাকে ধারণ করে সব সময় দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’
মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের সাধারণ মানুষ আমাকে এই আসনে নেতৃত্বে দেখতে চান। জনগণের সেই প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিএনপি একটি গণমানুষের দল। সেই গণমানুষের চাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগোতে চাই।’
মাহমুদ হোসেন জানান, শিগগির তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন।

পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন। মোবাইলে আলাপকালে মাহমুদ হোসেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে এই আসনে বিএনপির একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বলয় গড়ে উঠেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন আহমদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই মাহমুদ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেও ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চেতনাকে ধারণ করে সব সময় দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’
মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের সাধারণ মানুষ আমাকে এই আসনে নেতৃত্বে দেখতে চান। জনগণের সেই প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিএনপি একটি গণমানুষের দল। সেই গণমানুষের চাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগোতে চাই।’
মাহমুদ হোসেন জানান, শিগগির তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন।

এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
২৩ মে ২০২২
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
৫ মিনিট আগে
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে একটি পরিবার। পরিবারটির ছয় সদস্যই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী গ্রামের আজিম বাড়ির বাসিন্দা প্রয়াত আবু মনুহর ও ফুল বানু দম্পতির সাত সন্তানের মধ্যে শুধু একজন সুস্থ। বাকি ছয় সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ভুগছেন।
পরিবারে পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। একমাত্র সুস্থ সন্তান মিসু আক্তার প্রিয়া (৩৩) গৃহস্থালির কাজ করেন। অন্য ছয় সন্তানের কেউই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক জীবন কিংবা দাম্পত্য জীবনে পা রাখতে পারেননি। অর্থাভাবে নিয়মিত চিকিৎসাও হচ্ছে না। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থাও নেই। ফলে পুরো পরিবারের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তানেরা হলেন নুরুল ইসলাম (৪১), তাজুল ইসলাম (৩৯), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৪), মো. আবদুর রব (৩২) ও রেহানা বেগম (২৩)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সবাই স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিলেও ছয় থেকে সাত বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন।
জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
প্রতিবন্ধী আবদুর রব বলেন, ‘শরীরে শক্তি নেই, হাঁটতেও পারি না। তাই ভিক্ষাও করতে পারি না। ঘরে বসে শিশুখাদ্য বিক্রি করি। দিনে ৭০ থেকে ১০০ টাকা আয় হয়। আটজনের সংসারে অনেক সময় না খেয়েই থাকতে হয়।’
নুরুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। সরকারি বা বেসরকারি আর কোনো সহযোগিতা পাই না। বেঁচে থাকার জন্য সহযোগিতা চাই।’
প্রতিবন্ধী সন্তানদের মা ফুল বানু বলেন, ‘একটি স্বাভাবিক সন্তান বড় করতেই এখন অনেক কষ্ট। সেখানে পরপর ছয়টি প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করছি, তা ভাষায় বোঝানো যাবে না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। আমি এখনো বিধবা ভাতার কার্ড পাইনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমদ, বিল্লাল হোসেন মানিক ও রাজনীতিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় পরিবারটি চরম দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া আর কোনো সহায়তা তারা পাচ্ছে না। তাঁরা পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় এসেছেন। কেউ বাদ পড়লে যাচাই-বাছাই করে সুবিধার আওতায় আনা হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। হাসপাতালে এলে বিশেষভাবে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটু কুমার জানান, বিষয়টি দুঃখজনক, খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে একটি পরিবার। পরিবারটির ছয় সদস্যই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী গ্রামের আজিম বাড়ির বাসিন্দা প্রয়াত আবু মনুহর ও ফুল বানু দম্পতির সাত সন্তানের মধ্যে শুধু একজন সুস্থ। বাকি ছয় সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ভুগছেন।
পরিবারে পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। একমাত্র সুস্থ সন্তান মিসু আক্তার প্রিয়া (৩৩) গৃহস্থালির কাজ করেন। অন্য ছয় সন্তানের কেউই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক জীবন কিংবা দাম্পত্য জীবনে পা রাখতে পারেননি। অর্থাভাবে নিয়মিত চিকিৎসাও হচ্ছে না। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থাও নেই। ফলে পুরো পরিবারের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তানেরা হলেন নুরুল ইসলাম (৪১), তাজুল ইসলাম (৩৯), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৪), মো. আবদুর রব (৩২) ও রেহানা বেগম (২৩)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সবাই স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিলেও ছয় থেকে সাত বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন।
জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
প্রতিবন্ধী আবদুর রব বলেন, ‘শরীরে শক্তি নেই, হাঁটতেও পারি না। তাই ভিক্ষাও করতে পারি না। ঘরে বসে শিশুখাদ্য বিক্রি করি। দিনে ৭০ থেকে ১০০ টাকা আয় হয়। আটজনের সংসারে অনেক সময় না খেয়েই থাকতে হয়।’
নুরুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। সরকারি বা বেসরকারি আর কোনো সহযোগিতা পাই না। বেঁচে থাকার জন্য সহযোগিতা চাই।’
প্রতিবন্ধী সন্তানদের মা ফুল বানু বলেন, ‘একটি স্বাভাবিক সন্তান বড় করতেই এখন অনেক কষ্ট। সেখানে পরপর ছয়টি প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করছি, তা ভাষায় বোঝানো যাবে না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। আমি এখনো বিধবা ভাতার কার্ড পাইনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমদ, বিল্লাল হোসেন মানিক ও রাজনীতিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় পরিবারটি চরম দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া আর কোনো সহায়তা তারা পাচ্ছে না। তাঁরা পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় এসেছেন। কেউ বাদ পড়লে যাচাই-বাছাই করে সুবিধার আওতায় আনা হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। হাসপাতালে এলে বিশেষভাবে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটু কুমার জানান, বিষয়টি দুঃখজনক, খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
২৩ মে ২০২২
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
৫ মিনিট আগে
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
১৫ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল দুজনে।
গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতির মৃত্যু হয়। বেলাল হোসেন নিজেও অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হন। রাত ১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর রাতে ভবানীগঞ্জের চরমনসা গ্রামের সুতারগোপ্তা এলাকায় দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে বেলাল হোসেনের বসতঘরে আগুন দেয়। এতে ঘর ও আসবাব পুড়ে যায় এবং আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় বেলাল হোসেন, তাঁর বড় মেয়ে স্মৃতি এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেজো মেয়ে সায়মা আক্তার বিথি (১৪) দগ্ধ হয়। বেলাল হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। স্মৃতি ও বিথিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের তথ্যমতে, স্মৃতির শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ এবং বিথির প্রায় ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে বিথিকে পরদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে স্মৃতি পাঁচ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যায়।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বেলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তালা উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে দুটি বন্ধ এবং একটি খোলা অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে পোড়া বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, ঘটনার দিন আগুনে পুড়ে আয়েশার মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতিও মারা গেছে। নিহত সন্তানদের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল দুজনে।
গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতির মৃত্যু হয়। বেলাল হোসেন নিজেও অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হন। রাত ১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর রাতে ভবানীগঞ্জের চরমনসা গ্রামের সুতারগোপ্তা এলাকায় দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে বেলাল হোসেনের বসতঘরে আগুন দেয়। এতে ঘর ও আসবাব পুড়ে যায় এবং আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় বেলাল হোসেন, তাঁর বড় মেয়ে স্মৃতি এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেজো মেয়ে সায়মা আক্তার বিথি (১৪) দগ্ধ হয়। বেলাল হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। স্মৃতি ও বিথিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের তথ্যমতে, স্মৃতির শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ এবং বিথির প্রায় ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে বিথিকে পরদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে স্মৃতি পাঁচ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যায়।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বেলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তালা উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে দুটি বন্ধ এবং একটি খোলা অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে পোড়া বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, ঘটনার দিন আগুনে পুড়ে আয়েশার মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতিও মারা গেছে। নিহত সন্তানদের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
২৩ মে ২০২২
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
৫ মিনিট আগে
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
১৫ মিনিট আগে
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে