নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বায়ুমান ও জ্বালানি উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে পরিবেশ উদ্যোগ, আইপিডি, বিএনসিএ ও সিএলপিএর সহ-আয়োজনে ‘বায়ুমান উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের’ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য উঠে আসে।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার বায়ুতে গড় বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৮৩ দশমিক ৩ মাইক্রোগ্রাম। অন্যদিকে শনিবার ওই দিনের গড় বস্তুকণা ২৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।
মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। গত ৭ বছরের গড়ে সর্বোচ্চ দূষণ পরিলক্ষিত হয় ডিসেম্বর মাসে—১৮৪ মাইক্রোগ্রাম।
বায়ুদূষণে ঢাকায় প্রথম ১০টি স্থানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শাহবাগ। এর পরেই আছে মতিঝিল, আগারগাঁও, আব্দুল্লাহপুর, ধানমন্ডি-৩২, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, গুলশান-২, আহসান মঞ্জিল ও তেজগাঁও।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১-এর এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের বায়ুমানের উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ১০টি স্থানের মধ্যে শাহবাগ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ছিল, সেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণার উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, অর্থাৎ আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি ছিল।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ ছিল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়, কিন্তু সেখানেও বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৫৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি ছিল। এ ছাড়া, অন্যান্য এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে বায়ুতে বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল মতিঝিলে ৭৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আগারগাঁওয় ৭৪ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আবদুল্লাহপুরে ৭৪ মাইক্রোগ্রাম, ধানমন্ডি-৩২-এ ৭৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম, মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ৭২ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম, গুলশান-২-এ ৭১ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম, আহসান মঞ্জিলে ৭০ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম এবং তেজগাঁওয়ে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম। সামগ্রিকভাবে ১০টি স্থানের গড় ছিল ৭৩ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৫ গুণ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ ঢাকার গত ৮ বছরের বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে (ক্যাপস)। গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষণ লক্ষ করা যায়, যার ধারাবাহিকতা ২০২৩ সালেও পরিলক্ষিত হয়। ২০২১ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৫৯ দশমিক ০৮ ও ২০২২ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৬২ দশমিক ৮৪ এবং ২০২৩ সালের মাত্র সাত মাসের গড় বায়ুমান সূচক ১৭৮ দশমিক ৬৫। আবার সবচেয়ে কম গড় বায়ুমান সূচক পাওয়া যায় ২০১৭ ও ২০২০ সালে, যা যথাক্রমে ১৪৬ দশমিক ০৯ এবং ১৪৩ দশমিক ৩৭। এযাবৎকালের গত ৮৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে (২৮১) এবং সর্বনিম্ন গড় বায়ুমান সূচক ছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে (৭৬)।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইড) নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াহাবসহ অন্যরা।

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বায়ুমান ও জ্বালানি উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে পরিবেশ উদ্যোগ, আইপিডি, বিএনসিএ ও সিএলপিএর সহ-আয়োজনে ‘বায়ুমান উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের’ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য উঠে আসে।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার বায়ুতে গড় বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৮৩ দশমিক ৩ মাইক্রোগ্রাম। অন্যদিকে শনিবার ওই দিনের গড় বস্তুকণা ২৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।
মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। গত ৭ বছরের গড়ে সর্বোচ্চ দূষণ পরিলক্ষিত হয় ডিসেম্বর মাসে—১৮৪ মাইক্রোগ্রাম।
বায়ুদূষণে ঢাকায় প্রথম ১০টি স্থানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শাহবাগ। এর পরেই আছে মতিঝিল, আগারগাঁও, আব্দুল্লাহপুর, ধানমন্ডি-৩২, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, গুলশান-২, আহসান মঞ্জিল ও তেজগাঁও।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১-এর এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের বায়ুমানের উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ১০টি স্থানের মধ্যে শাহবাগ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ছিল, সেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণার উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, অর্থাৎ আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি ছিল।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ ছিল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়, কিন্তু সেখানেও বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৫৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি ছিল। এ ছাড়া, অন্যান্য এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে বায়ুতে বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল মতিঝিলে ৭৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আগারগাঁওয় ৭৪ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আবদুল্লাহপুরে ৭৪ মাইক্রোগ্রাম, ধানমন্ডি-৩২-এ ৭৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম, মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ৭২ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম, গুলশান-২-এ ৭১ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম, আহসান মঞ্জিলে ৭০ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম এবং তেজগাঁওয়ে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম। সামগ্রিকভাবে ১০টি স্থানের গড় ছিল ৭৩ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৫ গুণ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ ঢাকার গত ৮ বছরের বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে (ক্যাপস)। গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষণ লক্ষ করা যায়, যার ধারাবাহিকতা ২০২৩ সালেও পরিলক্ষিত হয়। ২০২১ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৫৯ দশমিক ০৮ ও ২০২২ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৬২ দশমিক ৮৪ এবং ২০২৩ সালের মাত্র সাত মাসের গড় বায়ুমান সূচক ১৭৮ দশমিক ৬৫। আবার সবচেয়ে কম গড় বায়ুমান সূচক পাওয়া যায় ২০১৭ ও ২০২০ সালে, যা যথাক্রমে ১৪৬ দশমিক ০৯ এবং ১৪৩ দশমিক ৩৭। এযাবৎকালের গত ৮৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে (২৮১) এবং সর্বনিম্ন গড় বায়ুমান সূচক ছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে (৭৬)।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইড) নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াহাবসহ অন্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বায়ুমান ও জ্বালানি উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে পরিবেশ উদ্যোগ, আইপিডি, বিএনসিএ ও সিএলপিএর সহ-আয়োজনে ‘বায়ুমান উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের’ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য উঠে আসে।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার বায়ুতে গড় বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৮৩ দশমিক ৩ মাইক্রোগ্রাম। অন্যদিকে শনিবার ওই দিনের গড় বস্তুকণা ২৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।
মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। গত ৭ বছরের গড়ে সর্বোচ্চ দূষণ পরিলক্ষিত হয় ডিসেম্বর মাসে—১৮৪ মাইক্রোগ্রাম।
বায়ুদূষণে ঢাকায় প্রথম ১০টি স্থানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শাহবাগ। এর পরেই আছে মতিঝিল, আগারগাঁও, আব্দুল্লাহপুর, ধানমন্ডি-৩২, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, গুলশান-২, আহসান মঞ্জিল ও তেজগাঁও।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১-এর এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের বায়ুমানের উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ১০টি স্থানের মধ্যে শাহবাগ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ছিল, সেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণার উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, অর্থাৎ আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি ছিল।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ ছিল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়, কিন্তু সেখানেও বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৫৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি ছিল। এ ছাড়া, অন্যান্য এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে বায়ুতে বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল মতিঝিলে ৭৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আগারগাঁওয় ৭৪ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আবদুল্লাহপুরে ৭৪ মাইক্রোগ্রাম, ধানমন্ডি-৩২-এ ৭৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম, মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ৭২ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম, গুলশান-২-এ ৭১ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম, আহসান মঞ্জিলে ৭০ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম এবং তেজগাঁওয়ে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম। সামগ্রিকভাবে ১০টি স্থানের গড় ছিল ৭৩ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৫ গুণ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ ঢাকার গত ৮ বছরের বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে (ক্যাপস)। গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষণ লক্ষ করা যায়, যার ধারাবাহিকতা ২০২৩ সালেও পরিলক্ষিত হয়। ২০২১ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৫৯ দশমিক ০৮ ও ২০২২ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৬২ দশমিক ৮৪ এবং ২০২৩ সালের মাত্র সাত মাসের গড় বায়ুমান সূচক ১৭৮ দশমিক ৬৫। আবার সবচেয়ে কম গড় বায়ুমান সূচক পাওয়া যায় ২০১৭ ও ২০২০ সালে, যা যথাক্রমে ১৪৬ দশমিক ০৯ এবং ১৪৩ দশমিক ৩৭। এযাবৎকালের গত ৮৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে (২৮১) এবং সর্বনিম্ন গড় বায়ুমান সূচক ছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে (৭৬)।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইড) নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াহাবসহ অন্যরা।

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বায়ুমান ও জ্বালানি উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে পরিবেশ উদ্যোগ, আইপিডি, বিএনসিএ ও সিএলপিএর সহ-আয়োজনে ‘বায়ুমান উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের’ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য উঠে আসে।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার বায়ুতে গড় বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৮৩ দশমিক ৩ মাইক্রোগ্রাম। অন্যদিকে শনিবার ওই দিনের গড় বস্তুকণা ২৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।
মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। গত ৭ বছরের গড়ে সর্বোচ্চ দূষণ পরিলক্ষিত হয় ডিসেম্বর মাসে—১৮৪ মাইক্রোগ্রাম।
বায়ুদূষণে ঢাকায় প্রথম ১০টি স্থানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শাহবাগ। এর পরেই আছে মতিঝিল, আগারগাঁও, আব্দুল্লাহপুর, ধানমন্ডি-৩২, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, গুলশান-২, আহসান মঞ্জিল ও তেজগাঁও।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১-এর এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের বায়ুমানের উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ১০টি স্থানের মধ্যে শাহবাগ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ছিল, সেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণার উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, অর্থাৎ আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি ছিল।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ ছিল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়, কিন্তু সেখানেও বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৫৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি ছিল। এ ছাড়া, অন্যান্য এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে বায়ুতে বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল মতিঝিলে ৭৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আগারগাঁওয় ৭৪ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আবদুল্লাহপুরে ৭৪ মাইক্রোগ্রাম, ধানমন্ডি-৩২-এ ৭৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম, মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ৭২ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম, গুলশান-২-এ ৭১ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম, আহসান মঞ্জিলে ৭০ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম এবং তেজগাঁওয়ে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম। সামগ্রিকভাবে ১০টি স্থানের গড় ছিল ৭৩ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৫ গুণ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ ঢাকার গত ৮ বছরের বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে (ক্যাপস)। গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষণ লক্ষ করা যায়, যার ধারাবাহিকতা ২০২৩ সালেও পরিলক্ষিত হয়। ২০২১ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৫৯ দশমিক ০৮ ও ২০২২ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৬২ দশমিক ৮৪ এবং ২০২৩ সালের মাত্র সাত মাসের গড় বায়ুমান সূচক ১৭৮ দশমিক ৬৫। আবার সবচেয়ে কম গড় বায়ুমান সূচক পাওয়া যায় ২০১৭ ও ২০২০ সালে, যা যথাক্রমে ১৪৬ দশমিক ০৯ এবং ১৪৩ দশমিক ৩৭। এযাবৎকালের গত ৮৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে (২৮১) এবং সর্বনিম্ন গড় বায়ুমান সূচক ছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে (৭৬)।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইড) নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াহাবসহ অন্যরা।

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
১ সেকেন্ড আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১ সেকেন্ড আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।
মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।
র্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।
ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।
মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।
র্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।
ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
০৫ আগস্ট ২০২৩
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১ সেকেন্ড আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
০৫ আগস্ট ২০২৩
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
১ সেকেন্ড আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
০৫ আগস্ট ২০২৩
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
১ সেকেন্ড আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১ সেকেন্ড আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
০৫ আগস্ট ২০২৩
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
১ সেকেন্ড আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১ সেকেন্ড আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে