Ajker Patrika

জবির মূল ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে বাধা, ভিসিকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ২১
জবির মূল ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে বাধা, ভিসিকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

‎‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে পদদলিত করতে বাধা দেওয়ায় উপাচার্যকে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রদল। ‎

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তাঁরা রাতভর উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখেন।

‎এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‎

‎প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আনুমানিক রাত ১টার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে পাকিস্তানের পতাকা অঙ্কন শুরু করেন শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকারের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা রাতভর প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা উপাচার্যের গাড়িও অবরোধ করে রাখেন। পরে ভোর ৫টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধ তুলে নিলে উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

‎এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘চব্বিশের জুলাইয়ের পর আমরা মনে করেছিলাম, ভিন্নমতকে প্রকাশ করতে পারব। কিন্তু আজকের ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা এখনো স্বাধীন হতে পারিনি। জবিতে কোনো স্বৈরাচার কিংবা মবতন্ত্রের আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না। ছাত্রদল বাংলাদেশের জন্য ঘুমায় না। সবার আগে বাংলাদেশ।’ ‎

‎শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘বিজয়ের মাসে প্রতীকী প্রতিবাদে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে প্রক্টরিয়াল বডির দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়। ১৯৭১-এর গণহত্যায় কিছু পাকিস্তানি সমর্থক সমর্থন জুগিয়েছিল। তাদের প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে রয়েছে। পাকিস্তানকে হেয় করলে তাদের অন্তরে জ্বালা করে। সেই জায়গা থেকে পাকিস্তানি পতাকা এঁকে প্রতীকী প্রতিবাদে তারা বাধা দিয়েছে।’ ‎

জবি-পাকিস্তান-২

‎এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে ভিন্ন দেশের কোনো পতাকা অঙ্কন করতে হলে প্রশাসনের পূর্বানুমতি প্রয়োজন। কিন্তু কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই মেইন গেটে পাকিস্তানের পতাকা অঙ্কন শুরু করা হলে প্রক্টরিয়াল টিম বাধা প্রদান করে। এরপরও তারা আমাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পতাকা অঙ্কন সম্পন্ন করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গরুতে ধান খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৫

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর বাউফলে গরুতে খেতের ধান খাওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে ওই এলাকার জাকির হোসেনের একটি গরু বারেক ঢালীর জমির ধান খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বারেক ঢালী গরুটিকে ধরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বারেক ঢালী (৬০), তাঁর ছেলে সায়েম ঢালী (১৮), নাতি সোহাগ গাজী (১৪), স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) এবং অপর পক্ষের মো. সোহাগ (৩৫ আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাকির হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি বারেক ঢালীর বাড়িতে হামলা চালায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সায়েম ঢালী ও সোহাগ গাজীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

ভোলা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোলার দৌলতখানে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে বিতণ্ডায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আমির জাং গজনবী স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

মারামারিতে আহতদের মধ্যে গুরুতর সৈয়দপুর ইউনিয়ন জামায়াত আমির মাওলানা শহিদুল ইসলাম (৬০), জামায়াত কর্মী হাসনাইন (২৮), আবু তালহা (৪০), মো. সরোয়ার আলম (৫০), শাহরুপ (২৮), আমজাদ হোসেনকে (২৪) দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে দৌলতখান উপজেলার আমির জাং গজনবী স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় উদ্‌যাপন অনুষ্ঠান চলছিল। সকাল ৯টার দিকে অনুষ্ঠানে চেয়ার না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীরা জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের উদ্দেশে ‘রাজাকার’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে বিতণ্ডার একপর্যায়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারি হয়।

দৌলতখান উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হাসান তারেক অভিযোগ করে বলেন, ‘বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমরাও ইনভাইটেড (দাওয়াতি) ছিলাম। আমাদের বসার জন্য নির্ধারিত চেয়ারও ছিল। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর লোকজনও ছিল। সকাল ৯টার দিকে দৌলতখান পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি গ্রুপ সেখানে ঢুকেছে। এ সময় বাবুলের আসন কোথায় জানতে চান। তখন আমাদের দলের সেক্রেটারির নির্ধারিত আসনে লেখা স্টিকার ছিঁড়ে ফেলে সেই চেয়ারে বসে পড়েন ওই বিএনপির ওই নেতা।’

হাসান তারেক বলেন, ‘তখন আমি তাঁকে বললাম এটা আপনি ঠিক করেননি। এ কথা বলার সাথে সাথেই ভবানীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি স্বপন কেরানি ও বিএনপি নেতা জহিরের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আমাদের রাজাকার বলে গালি দিয়ে আমাদের লোকজনদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’

অভিযোগ অস্বীকার করে দৌলতখান পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল বলেন, ‘আমাদের সাথে কোনো কিছুই হয়নি। আমাদের তো চেয়ার ছিল। সেখানে সব দলের লোকজন ছিল।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে রাজাকার নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে জামায়াতে ইসলামীর লোকজনের হট্টগোল হয়েছে।’ জামায়াতে ইসলামী তাঁদের বন্ধু দাবি করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘জামায়াতের সাথে যেহেতু আমাদের জোট ভাঙে নাই। সেহেতু তারা এখনো আমাদের বন্ধু।’

দৌলতখান থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সিকদার জানান, স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করলেন জবি শিক্ষার্থীরা

জবি প্রতিনিধি 
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা অঙ্কন ও তা পদদলিত করতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে প্রতীকী ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ‎

‎আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। ‎

আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ হোসেন বলেন, ‘যুদ্ধে পাকিস্তান আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষকে শহীদ করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমাদের ভাইয়েরা পদদলিত করার জন্য পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেই প্রতিবাদেই আমরা আজ রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করছি।’ ‎

আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে কি প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া লাগবে? অথচ তারা রাতে আমাদের ভাইদের পতাকা একে পদদলিত করতে বাধা দিল। এর তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’

এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ‎

‎এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে পদদলিত করতে প্রশাসন বাধা দিলে উপাচার্যকে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শাখা ছাত্রদল। এ সময় তারা রাতভর উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখে। পরবর্তীকালে ভোর ৫টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধ তুলে নিলে উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই রেবেলসের দুজনকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফসহ গ্রেপ্তার ৩

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ, সাইফুল ইসলাম ও আমির হোসেন ফিরোজ। ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে
শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ, সাইফুল ইসলাম ও আমির হোসেন ফিরোজ। ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেবেলসের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফসহ (৪৬) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। অন্যরা হলেন সাইফুল ইসলাম (৩৭) ও আমির হোসেন ফিরোজ (৪৭)।

গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ ট্রান্সমিটার আজমেরী গার্মেন্টস এলাকার নায়েব আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার গুহিলপুর গ্রামের মৃত আ. জব্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও ভোলার দৌলতখান উপজেলার বড়দলি গ্রামের আবুর হোসেন ওরফে আ. হাশেমের ছেলে আমির হোসেন ফিরোজ। তাঁদের মধ্যে সাইফুল কুমিল্লার সদরে এবং আলতাফ ও আমির দক্ষিণখানের ফায়দাব ও গোয়ালটেক এলাকায় বসবাস করেন।

এর আগে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজসংলগ্ন জুলাই রেবেলস অফিসে গত শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর জুলাই রেবেলসের প্রস্তাবিত সহসংগঠক ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও সদস্য মো. ইয়াসিনকে কুপিয়ে আহতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গত শনিবার রাতেই ইউসুফ আলী রেদওয়ান বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পরপরই দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকা থেকে মো. মাসুদ ও ফাহিম খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফসহ তিনজন গ্রেপ্তারের বিষয়ে র‍্যাব-১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে জুলাই রেবেলসের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ, সাইফুল ইসলাম ও আমির হোসেন ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, হত্যাচেষ্টাসহ ১৬টি মামলা রয়েছে; যার মধ্যে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় ৯টি, উত্তরা পূর্ব থানায় চারটি, বিমানবন্দর থানায় দুটি ও উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিব হাসান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত