Ajker Patrika

ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধের ক্ষোভেই বোমা হামলার পরিকল্পনা করেন হাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১৫: ২৫
ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধের ক্ষোভেই বোমা হামলার পরিকল্পনা করেন হাই

উখিয়ায় ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষোভ থেকেই সারা দেশে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা আব্দুল হাই (৫৭)। সম্প্রতি কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও রমনার বটমূলে বোমা হামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এই জঙ্গি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-২)।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা আব্দুল হাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আশির দশকে ভারত-পাকিস্তানের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা আব্দুল হাই আফগানিস্তানে মুজাহিদ হিসেবে যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে প্রতিষ্ঠা করেন হুজি-বি এবং ১৯৯২ সালে কক্সবাজারের উখিয়ায় ট্রেনিং ক্যাম্প চালু করেন, যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের এক জঙ্গি নেতা তাঁকে অস্ত্র সরবরাহ করতেন। প্রায় চার বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে এই কার্যক্রম চালিয়ে আসার পর ১৯৯৬ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় সেই ক্যাম্প।

র‍্যাব আরও জানিয়েছে, উখিয়ার ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আব্দুল হাই। এরপর একে একে ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় জড়িত ছিলেন তিনি।

র‍্যাবের ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পলাতক জঙ্গি নেতাদের বিষয়ে নজরদারির ধারাবাহিকতায় অবশেষে গত ২৫ মে রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টি মামলায় সাতটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, যার মধ্যে দুটি মৃত্যুদণ্ড ও দুটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন বলেন, ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটালীপাড়ায় জনসভার অদূরে জঙ্গি মুফতি আব্দুল হাইসহ তাঁর সঙ্গী জঙ্গি সদস্যরা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখেন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট মুফতি আব্দুল হাইসহ ১০ জন মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

 ২০০১ সালে ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং আরও অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আব্দুল হাইসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং তিন শতাধিক গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আব্দুল হাইসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। গ্রেপ্তার মুফতি আব্দুল হাই ওই গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

এ ছাড়া ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজনকে হত্যা করে এবং শতাধিক লোককে আহত করে। এ ঘটনায় মামলায় আব্দুল হাই চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি এবং তার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ঘটনার সঙ্গে হুজি-বির জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ২০০৬ সালের পর মুফতি আব্দুল হাই আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর পরিবার তখনো নারায়ণগঞ্জেই বসবাস করতেন, কিন্তু তিনি কুমিল্লার গৌরীপুরে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় আত্মগোপন করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় এই যানজটের চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে মদনপুর পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে রূপগঞ্জের তারাব পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন থেমে থেমে চলাচল করলেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অনেক যানবাহন একই স্থানে দীর্ঘ সময় আটকে রয়েছে। এতে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে, নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

যানজটে আটকে পড়া রহমান রিপন বলেন, ‘মৌচাক থেকে মদনপুর যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। মাত্র ১০ মিনিটের পথ ৩০ মিনিটেও পাড়ি দিতে পারিনি।’

বিএনপির সমর্থক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমার নেতাকে একঝলক দেখার এবং তাঁর বক্তব্য শোনার আশায় কাজ রেখে পূর্বাচলের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু যানজটে আটকে আছি।’

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, মূলত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন ধীরে চলাচল করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গজারিয়ায় পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত দুই

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
আজ ভোরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পুলিশের গাড়ি উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পুলিশের গাড়ি উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হাইওয়ে পুলিশ ও থানা-পুলিশের টহলরত দুটি গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় হাইওয়ে পুলিশের এক সার্জেন্টসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বালুয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আহসান হাবিব ও কনস্টেবল নয়ন। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ ভোরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পুলিশের গাড়ি উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পুলিশের গাড়ি উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহাসড়কে দায়িত্ব পালনকালে হাইওয়ে পুলিশ ও থানা-পুলিশের দুটি টহল গাড়ি বালুয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার পাশে অবস্থান করছিল। এ সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টহলরত গাড়ি দুটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পুলিশের দুটি গাড়ি উল্টে যায় এবং দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পরে কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়।

আজ ভোরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পুলিশের গাড়ি উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পুলিশের গাড়ি উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুবেল সিকদার বলেন, টহলরত দুটি গাড়ি মহাসড়কের পাশে অবস্থান করছিল। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান সজোরে ধাক্কা দিলে গাড়ি দুটি উল্টে যায়। এতে হাইওয়ে পুলিশের এক সার্জেন্ট ও এক কনস্টেবল আহত হন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, দুর্ঘটনার পর যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যশোর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তন, ধানের শীষের প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি 
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন। ছবি: সংগৃহীত
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন। ছবি: সংগৃহীত

সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আসনে ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন।

এর আগে এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নুরুজ্জামান লিটনের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর। একই সঙ্গে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নুরুজ্জামান লিটন নিজেও।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর বলেন, ‘দল থেকে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি নুরুজ্জামান লিটনকে দেওয়া হয়েছে।’

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে নুরুজ্জামান লিটনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এক মাস ধরে শার্শা উপজেলায় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন ও দলের প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধুর সমর্থকেরা একযোগে আন্দোলনে অংশ নেন। তাঁদের দাবি ছিল, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল রাজনীতিতে সক্রিয় ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে তাঁরা মফিকুল হাসান তৃপ্তির মনোনয়নের বিরোধিতা করেন।

শেষ পর্যন্ত স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে দল নুরুজ্জামান লিটনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়।

মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় নুরুজ্জামান লিটন বলেন, ‘শার্শার গণমানুষের চাওয়ার কারণেই আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। আমাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ায় দলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ একই সঙ্গে তিনি শার্শাবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নুরুজ্জামান লিটন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করা এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় তাঁর রয়েছে। মনোনয়নের খবর পাওয়ার পর তিনি মফিকুল হাসান তৃপ্তির বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করে দোয়া নিয়েছেন বলেও জানান।

বর্তমানে নুরুজ্জামান লিটন ঢাকায় অবস্থান করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় অংশ নিতে। নির্বাচনী এলাকায় ফিরে তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন বলে জানান।

এদিকে মনোনয়ন পরিবর্তনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মফিকুল হাসান তৃপ্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে সম্রাট বাহিনীর প্রধান নিহত

রাজবাড়ী প্রতি‌নি‌ধি
সম্রাট বাহিনীর প্রধান অমৃত মন্ডল ওর‌ফে সম্রাট। ছবি: সংগৃহীত
সম্রাট বাহিনীর প্রধান অমৃত মন্ডল ওর‌ফে সম্রাট। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশায় চাঁদাবা‌জি করার সময় জনগ‌ণের পিটুনিতে সম্রাট বাহিনীর প্রধান অমৃত মন্ডল ওর‌ফে সম্রাট নিহত হ‌য়েছেন। এ সময় দু‌টি অস্ত্রসহ তাঁর সহ‌যো‌গী সে‌লিম শেখ‌কে আটক ক‌রে পু‌লি‌শে দি‌য়েছে জনতা। বুধবার দিবাগত রাত পৌ‌নে ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার ক‌লিমহর ইউনিয়‌নের হো‌সেনডাঙ্গা গ্রা‌মে এই ঘটনা ঘ‌টে। নিহত সম্রাট উপ‌জেলার ক‌লিমহর ইউনিয়‌নের হো‌সেনডাঙ্গার অক্ষয় মন্ড‌লের ছে‌লে। আটক সে‌লিম একই ইউনিয়‌নের বসাকু‌ষ্টিয়া গ্রা‌মের ইসলাম শে‌খের ছে‌লে।

সম্রা‌টের সহ‌যো‌গী‌ সেলিমের কাছ থে‌কে এক‌টি পিস্তল ও এক‌টি ওয়ান শুটারগান জব্দ করে‌ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সম্রা‌টের সহ‌যো‌গী‌ সেলিমের কাছ থে‌কে এক‌টি পিস্তল ও এক‌টি ওয়ান শুটারগান জব্দ করে‌ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরা‌ত দিয়ে পাংশা ম‌ডেল থানার ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, সম্রাট নিজের না‌মেই এক‌টি বা‌হিনী গড়ে তু‌লে মানুষ‌কে ভয়ভী‌তি দে‌খি‌য়ে চাঁদাবা‌জি কর‌তেন। দীর্ঘদিন ভার‌তে পা‌লি‌য়ে থাকার পর সম্প্রতি এলাকায়‌ ফি‌রে এসে এক‌টি বাড়িতে চাঁদা দা‌বি ক‌রেন। কিন্তু তারা চাঁদার টাকা দি‌তে অস্বীকৃতি জানা‌য়। গত রা‌তে সম্রাট তাঁর বা‌হিনীর সদস‌্যদের নি‌য়ে ওই বাড়িতে চাঁদার টাকা আন‌তে যান। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন ডাকাত ডাকাত ব‌লে চিৎকার দি‌লে আশপা‌শের লোকজন এসে ধ‌রে তাঁকে গণ‌পিটু‌নি দেয়। এতে ঘটনাস্থ‌লেই তাঁর মৃত‌্যু হয়। এ সময় তাঁর অন‌্য সহ‌যো‌গীরা পালি‌য়ে গে‌লেও অস্ত্রসহ ধরা প‌ড়েন সে‌লিম না‌মের একজন।

ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম আরও জানান, সম্রা‌টের সহ‌যো‌গী‌ সে‌লিম‌ের কাছ থে‌কে এক‌টি পিস্তল ও এক‌টি ওয়ান শুটারগান জব্দ করা হয়ে‌ছে। নিহত সম্রা‌টের না‌মে হত‌্যা, চাঁদাবা‌জিসহ একা‌ধিক মামলা র‌য়ে‌ছে। সম্রা‌টের মর‌দেহ ময়ন‌াতদন্তের জন‌্য ম‌র্গে পাঠা‌নোর প্রস্তু‌তি চল‌ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত