মাদারীপুরের শিবচর
ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)
বর্ষায় আড়িয়াল খাঁ নদে বাড়ছে পানি ও স্রোতের তীব্রতা। স্রোতের চাপে সেতুর খুব কাছেই ভাঙছে নদের পাড়। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদের ‘লিটন চৌধুরী’ সেতুর পাড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীশাসন বাঁধ না থাকা এবং সেতুর খুব কাছেই নদের পাড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গা ভেঙে নদে চলে গেছে। সেতুর একটি পিলার থেকে ১০০ ফুটেরও কম দূরত্বে এই ভাঙন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে শিবচর সদরের সঙ্গে দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়নের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদের এই স্থানটিতে পানির চাপও অনেক। পাড় ঘেঁষে ঘূর্ণিস্রোত। এ কারণেই পাড় ভাঙছে। সেতুটির খুব কাছে এভাবে নদের ভাঙন আতঙ্কের বিষয়। সেতুর পাড়ে নদীশাসন বাঁধ থাকে। অথচ এখানে নদীশাসন বাঁধ দেওয়া হয়নি। নদে পানি বাড়লে ভাঙন আরও বাড়তে পাড়ে। ফলে সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে।
শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা ৯টি।
সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
গিয়াস উদ্দিন মীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘সেতুর দুই পাড়ে নদীশাসন বাঁধ সেতু নির্মাণের আগেই দেওয়া উচিত ছিল। সেতু চালু হয়েছে প্রায় দেড় বছর। অথচ নদীশাসন বাঁধ দেওয়া হয়নি। এখন নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর কাছেই পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগের। পানি বাড়লে ভাঙন বাড়তে পারে, যা সেতুর জন্য হুমকিস্বরূপ!
আরেক ব্যক্তি এনায়েত হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই নদের পাড় ধসে গেছে। কিছুদিন আগেও নদের পাড়ে ঘুরতে আসা লোকজন গাছটির নিচে বসে থাকত। নদের পাড়ের বেশ কিছু অংশ নদে চলে গেছে। এখানে স্রোতও অনেক। নদের পাড় ঘেঁষেই স্রোত। এভাবে ভাঙলে সেতুটি হুমকির মুখে পড়বে। এখানে নদীশাসন বাঁধ জরুরি।
এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম। জানতে চাইলে মাদারীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া বলেন, ‘আমরা ওই স্থানে লোক পাঠাব। বিষয়টা দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানাব, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের খান বলেন, ‘আমরা শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের বিভিন্ন স্থানে ইতিপূর্বে ভাঙনরোধে নদীশাসন বাঁধ করেছি। সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে। তারা আমাদের জানালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নেবে। তবে এটা সময়সাপেক্ষ। এখানে ব্লক নির্মাণ করে ফেলতে হবে।’
বর্ষায় আড়িয়াল খাঁ নদে বাড়ছে পানি ও স্রোতের তীব্রতা। স্রোতের চাপে সেতুর খুব কাছেই ভাঙছে নদের পাড়। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদের ‘লিটন চৌধুরী’ সেতুর পাড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীশাসন বাঁধ না থাকা এবং সেতুর খুব কাছেই নদের পাড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গা ভেঙে নদে চলে গেছে। সেতুর একটি পিলার থেকে ১০০ ফুটেরও কম দূরত্বে এই ভাঙন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে শিবচর সদরের সঙ্গে দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়নের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদের এই স্থানটিতে পানির চাপও অনেক। পাড় ঘেঁষে ঘূর্ণিস্রোত। এ কারণেই পাড় ভাঙছে। সেতুটির খুব কাছে এভাবে নদের ভাঙন আতঙ্কের বিষয়। সেতুর পাড়ে নদীশাসন বাঁধ থাকে। অথচ এখানে নদীশাসন বাঁধ দেওয়া হয়নি। নদে পানি বাড়লে ভাঙন আরও বাড়তে পাড়ে। ফলে সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে।
শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা ৯টি।
সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
গিয়াস উদ্দিন মীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘সেতুর দুই পাড়ে নদীশাসন বাঁধ সেতু নির্মাণের আগেই দেওয়া উচিত ছিল। সেতু চালু হয়েছে প্রায় দেড় বছর। অথচ নদীশাসন বাঁধ দেওয়া হয়নি। এখন নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর কাছেই পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগের। পানি বাড়লে ভাঙন বাড়তে পারে, যা সেতুর জন্য হুমকিস্বরূপ!
আরেক ব্যক্তি এনায়েত হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই নদের পাড় ধসে গেছে। কিছুদিন আগেও নদের পাড়ে ঘুরতে আসা লোকজন গাছটির নিচে বসে থাকত। নদের পাড়ের বেশ কিছু অংশ নদে চলে গেছে। এখানে স্রোতও অনেক। নদের পাড় ঘেঁষেই স্রোত। এভাবে ভাঙলে সেতুটি হুমকির মুখে পড়বে। এখানে নদীশাসন বাঁধ জরুরি।
এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম। জানতে চাইলে মাদারীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া বলেন, ‘আমরা ওই স্থানে লোক পাঠাব। বিষয়টা দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানাব, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের খান বলেন, ‘আমরা শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের বিভিন্ন স্থানে ইতিপূর্বে ভাঙনরোধে নদীশাসন বাঁধ করেছি। সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে। তারা আমাদের জানালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নেবে। তবে এটা সময়সাপেক্ষ। এখানে ব্লক নির্মাণ করে ফেলতে হবে।’
‘সমঝোতা, নাকি মরতে চান’—মোটাদাগে এই প্রস্তাবের আশঙ্কায় এখন দিন গোনেন রাজধানীর পল্লবীর আবাসন ব্যবসায়ীরা। ফোনে বা সরাসরি লোক পাঠিয়ে তাঁদের এই প্রস্তাব দিচ্ছে একদল সন্ত্রাসী। কেউ ভয় পেয়ে সমঝোতা করছেন, কেউ সাড়া না দিয়ে চুপ থাকছেন। তাঁদের বেশির ভাগ থানায় যাচ্ছেন না কিংবা মামলা করছেন না। গত পাঁচ মাসে বৃহত
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় প্রতিদিন বাড়ছে জনসংখ্যা ও নগরায়ণের চাপ। বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণও। অথচ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ডাস্টবিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক বাসিন্দা ও দোকানি ময়লা ফেলছে সড়কের পাশে, ড্রেনে বা খোলা জায়গায়। এতে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে
২ ঘণ্টা আগেখুলনা সার্কিট হাউস মাঠের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে চলছে ২১ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা। ৭ জুলাই মেলার উদ্বোধন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৯টি গাছের চারা বিক্রি হয়েছে মেলায়। এর মূল্য ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬১৫ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেসার্ভার সমস্যার কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূমি অফিসগুলো। জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর অফিসে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে খাজনা পরিশোধ ও মিউটেশন কার্যক্রম। এতে একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
২ ঘণ্টা আগে