Ajker Patrika

উত্তরের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ হবে: সড়ক বিভাগের সচিব

গাজীপুর প্রতিনিধি
উত্তরের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ হবে: সড়ক বিভাগের সচিব

ঈদুল ফিতরে দেশের বৃহত্তম ময়মনসিংহ ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি জেলার ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। 

আজ শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে জেলার বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে বিকেল ৩টায় সভা শুরু হয়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল হোসেন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, সড়ক জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক মো. সাইফ উদ্দিন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আহমার উজ্জামান, গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাজীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার শরিফুল আলম, গাজীপুরের পোড়াবাড়ী র‍্যাব কমান্ডার মেজর জুন্নুরাইন বিন আলম, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানগণ। সাংবাদিকদের মধ্যে মুজিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান টিটু ও এম. আসাদুজ্জামান সাদ বক্তব্য রাখেন। 

এছাড়াও সভায় বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মনিরুজ্জামান, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, পরিবহন ও মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় উত্তরাঞ্চলের ৩২টি জেলার মানুষের ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা তুলে ধরা হয়। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই সভায় তাঁদের প্রস্তুতির বিশদ বিবরণ তুলে ধরে এবারের যাত্রা নিরাপদ করার জন্য সব সার্বক্ষণিক কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। 

সভায় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি বলেন, এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে মানুষের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন, বডি ওন ক্যামেরা ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ঈদযাত্রাকে সামনে নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জেলার কালিয়াকৈররে চন্দ্রা, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর মাওনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট নিরসন ও নিরাপদ যাত্রার জন্য সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অবৈধ দখল উচ্ছেদ, ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে, অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে এবং এসব করতে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে। 

জিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিআরটি প্রকল্পের সাতটি উড়াল সেতু চালু হওয়ার ফলে এবং মহাসড়কের সংস্কার ও মেরামত কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রা অনেক স্বস্তিদায়ক হবে। অর্ধ সহস্র পুলিশ সদস্য, রেকারসহ পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। 

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঈদযাত্রাকে সামনে নিয়ে ৫ এপ্রিল থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মোট আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আইন অমান্য করলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হবে। আমরা সকল বিভাগের সঙ্গে কাজের সমন্বয় সাধন করছি। আমরা এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করব।’ 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করার ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। তিনি এসব বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সচেতন, সেখানে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই ছুটির দিনেও সরেজমিনে খোঁজখবর নিতে এসেছি।’ 

এ সময় তিনি ঈদযাত্রার বিভিন্ন প্রস্তুতির বিভিন্ন বিষয়ে শুনে বলেন, ঈদের সময় রেকার, অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। মহাসড়কের অবৈধ যান চলাচল বন্ধ, ফুটপাত দখল এবং বাজার যেকোনো মূল্যে উচ্ছেদ করতে হবে। ঢাকা এবং গাজীপুরের লাখ লাখ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে আপনজনদের কাছে যেতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গেল কয়েক বছর আমাদের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল। অন্য যেকোনো বাড়ির তুলনায় এবার আমাদের প্রস্তুতি অনেক ভালো। মহাসড়ক এবং সড়কের অবস্থাও অনেক উন্নত হয়েছে। ব্যবস্থাপনায় অনেক আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এসব কারণে এবারের ঈদযাত্রা যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় এসে মারা যাওয়া নিরব জনকণ্ঠের সাবেক কর্মী

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
মো. নিরব হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
মো. নিরব হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। মৃতের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাহাদুর হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে নিরব হোসেন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। জানাজার সময় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, কর্মজীবনে মো. নিরব হোসেন ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিরব হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আমি সই না করলে ইউএনও সই করবে না’—এলজিইডি প্রকৌশলীর ভিডিও ভাইরাল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ২৫
প্রকৌশলী আব্দুল খালেক । ছবি: সংগৃহীত
প্রকৌশলী আব্দুল খালেক । ছবি: সংগৃহীত

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।

৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।

জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি মঙ্গলবারে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।

ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

নগরকান্দা এলজিইডি প্রকৌশলী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
নগরকান্দা এলজিইডি প্রকৌশলী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’

পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’

ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার দুই শিশুর পরিচয় মিলেছে, বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আনোয়ারায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আনোয়ারায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।

এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।

পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’

ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থী মাসুদের বাড়ি নেই, পেশা ব্যবসা ও পরামর্শক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।

নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।

এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।

হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।

হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত