Ajker Patrika

রংচটা বাস রং করাতে অনীহা মালিকদের

সৌগত বসু, ঢাকা
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪, ১০: ৪৭
রংচটা বাস রং করাতে অনীহা মালিকদের

ঢাকা মহানগরীর সড়কে আগামী ১ জুন থেকে রংচটা বাস চলাচল করতে দেবে না বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্ত গায়ে মাখছেন না পরিবহনের মালিকেরা। রংচটা বাসগুলো সড়ক থেকে তুলে নিতে বিআরটিএ আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও বাস রং করানোয় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মালিকেরা।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য ও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়ক থেকে রংচটা বাস উঠিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় খুব বেশি সাড়া নেই পরিবহনের মালিকদের। তাঁরা বলছেন, রংচটা হয়ে পড়া বাস নতুন করে রং করা হলেও তার স্থায়িত্ব বড়জোর ২ মাস। এ কারণে বাস রং করাতে আগ্রহ নেই মালিকদের।

যাত্রাবাড়ী-টঙ্গী রুটে চলাচল করা তুরাগ পরিবহনের একজন বাসচালক বলেন, রংচটা বাসগুলোতে হালকা রং করতেও খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা, যার স্থায়িত্ব বড়জোর এক মাস। দু-তিন মাস স্থায়ী হবে এমন রং করতে গেলে খরচ পড়ে ২০-২৫ হাজার টাকা। মালিকেরা সেই টাকা ব্যয় করতে রাজি নন।

গত ২ এপ্রিল বিআরটিএ ভবনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন বিআরটিএ কর্মকর্তারা। ওই সভায় মালিক সমিতির নেতারা মে মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন। সভায় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার তাঁদের সেই দাবি মেনে নেন। সড়কে রংচটা বাসগুলো তুলে নিতে তিনি ৩০ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, গাড়ির যন্ত্রাংশ, জ্বালানির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে পরিবহন খাতের খরচ ক্রমশ বাড়ছে। অনেক বাসমালিক বাসে দীর্ঘস্থায়ী রং করার মতো আর্থিক সামর্থ্য রাখছেন না। মেট্রোরেল চালু হওয়ার পরে বাসে যাত্রীর সংকট তো আছেই।

এদিকে বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীবাহী বাসগুলোর গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ যেমন ব্রেক, হেডলাইট ইত্যাদি বিকল থাকে। সেসব বিকল যন্ত্রাংশ মেরামত বা প্রতিস্থাপন না করেই দ্রুততম সময়ে গাড়ি ফিট করিয়ে নিতে চান মালিকেরা।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, বিআরটিএ কিন্তু সময় বেঁধে দেয়নি বাসমালিকদের। তাঁরাই সময় নিয়েছেন। এখন তাঁরা যদি গড়িমসি করেন, তবে আর সময় বাড়াব না। বিআরটিএ ১ জুন থেকেই সড়কে নামবে।

তবে ঢাকার সড়কে পরিবহনব্যবস্থা সমন্বয় না করে বিদ্যমান গণপরিবহনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গেলে নগরে পরিবহনসংকট আরও তীব্রতর হবে বলে মনে করেন যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, ঢাকা শহরে এক করিডরে একাধিক বাস অপারেটর রেখে দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর যে উদ্যোগ নিচ্ছে বিআরটিএ, তাতে জনদুর্ভোগ বাড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুরোধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

আজ দুপুরে এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে মেট্রোরেল অপারেশনের অবশিষ্ট সময় (রাত ১০টা ১০ মিনিট) পর্যন্ত ট্রেন এই স্টেশনে থামবে না।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় খাবার ভেবে বিষ খেল তিন বছরের শিশু, অবস্থা আশঙ্কাজনক

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে খাবার ভেবে ফসলি জমিতে ব্যবহৃত বিষ খেয়ে মিম নামের তিন বছরের এক শিশু অসুস্থ হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার চণ্ডিগড় মউ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহত শিশু মিম ওই গ্রামের শাফিউল্লাহর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে শিশুটির বাবা-মা ঢাকায় বসবাস করেন। গ্রামে নানির কাছে থাকত শিশু মিম। আজ দুপুরের দিকে বাড়িতে রাখা ফসলি জমিতে ব্যবহৃত বিষ খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে সে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বমি শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা দীপা সরকার বলেন, শিশুটি খাবার ভেবে জমিতে ব্যবহৃত বিষ খেয়ে ফেলে। হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত মমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় টানা ৫ দিন পর দেখা মিলল সূর্যের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা পাঁচ দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে গাইবান্ধায় সূর্যের আলো দেখা গেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রোদের উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষ বিশেষত কৃষক ও শ্রমজীবীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।

গত পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়ে গাইবান্ধার জনজীবন। বিশেষ করে, সকালে কাজে বেরিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কষ্টে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় খেটে খাওয়া এসব মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে। এ ছাড়া ঠান্ডা ও কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন কৃষকেরা। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারপাড়া এলাকার কৃষক সাদেক মিয়া বলেন, ‘টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় অনেকটা চিন্তায় ছিলাম। বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছি।’ বোয়ালী ইউনিয়নের কৃষক হাকিম আলী বলেন, ‘সূর্য না ওঠায় গরু-ছাগলসহ ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তায় পড়ে ছিলাম। আবহাওয়া আজ ভালো হওয়ার কারণে খুশি লাগছে।’ আরেক কৃষক কেরামত বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।

গাইবান্ধা শহরের রিকশাচালক হুমায়ন বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন একটা বের হয়নি। আজ সূর্য ওঠায় রাস্তাঘাটে লোকজন বের হয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তবে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের বেলায় তা কমবে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরোর বীজতলা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে।’ আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এবং মহাখালী এলাকায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

সাতরাস্তায় ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং মেয়ে তানজিলার (১২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ছেলে নুর ইসলাম (১৪)। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ ভোর ৫টার দিকে চারজনকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে বাবা-মেয়ে ও অজ্ঞাত যুবককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত নুর ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মৃত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রাকিব বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জটিয়াবো গ্রামে। বর্তমানে তাঁরা মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় থাকতেন। আহত নুর ইসলাম ও নিহত তানজিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। তাঁদের বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম ওই এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

আব্দুর রাকিব আরও জানান, রাতে তাঁর চাচা রফিকুল ইসলাম দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মগবাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। জানতে পারি, সাতরাস্তা এলাকায় আসলে একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশা থেকে ছিটকে পরে তিনজন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জানান, বুধবার ভোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় বাবা-মেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবক মারা গেছে।

এসআই আরও জানান, সাতরাস্তা এলাকায় বাবা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। তখন একটি ট্রাক রিকশাটিকে চাপা দেয়। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাবা ও মেয়ে মারা যায়। আহত ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ট্রাকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এসআই আব্দুল হামিদ আরও জানান, মহাখালী এলাকায় মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। যানবাহন শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত