Ajker Patrika

অবহেলিত ঐতিহ্যে হাতুড়ি

শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
পুরান ঢাকার শতবর্ষী শঙ্খনিধি হাউসটি সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ছবি: হাসান রাজা
পুরান ঢাকার শতবর্ষী শঙ্খনিধি হাউসটি সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ছবি: হাসান রাজা

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ধ্বংস ঠেকানো যাচ্ছে না। ঈদের ছুটিতে বেশ কয়েকটি ভবন ভাঙা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে কিছু স্থাপনা ভাঙার কাজ স্থগিত হয়েছে। সাধারণত ছুটির সময়গুলোতে ভবন ভাঙার কাজ করা হয়ে থাকে। কারণ এ সময় অফিস বন্ধ থাকে, তদারকিও কম থাকে।

পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার শরৎগুপ্ত রোডে অবস্থিত মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন স্মৃতিভবন। ভবনটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে থাকতেন মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন। তিনি বিখ্যাত ‘সওগাত’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। তাঁর মেয়ে নূরজাহান বেগমেরও স্মৃতি রয়েছে এই ভবনে। বেগম পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। নূরজাহান বেগমের স্বামী শিশুসংগঠক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়েরও স্মৃতি আছে এখানে।

এই ঐতিহ্যবাহী ভবনটি কয়েকদিন আগে ভাঙার কাজ শুরু হয়। ভবনটি এত দিন শুটিং হাউস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা আরবান স্টাডি গ্রুপ (ইউএসজি) জানিয়েছে, ভাঙার ঘটনা শুনে তাঁরা সেখানে ছুটে যান। স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করে আপাতত ভাঙার কাজ স্থগিত করা হয়।

ইউএসজির প্রধান নির্বাহী তাইমুর ইসলাম বলেন, ‘এ বাড়িটি কেবল ইট-পাথরের একটি ভবন নয়, এর চেয়েও বেশি কিছু। এটি ছিল বিভিন্ন প্রজন্মের অগ্রগতির এক আলোকবর্তিকা। লেখক, সাংবাদিক এবং স্বপ্নবানদের একত্র হওয়ার জায়গা। আজ যখন এটি হাতুড়ির কবলে পড়ে, তখন আমরা কেবল একটি ভবনই হারাচ্ছি না; বরং সাহস, সৃজনশীলতা এবং পরিবর্তনের একটি জীবন্ত স্মৃতিও হারাচ্ছি।’

সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িটির ফটক তালাবদ্ধ। ভেতরে দরজা-জানালা ভাঙা। বাইরে পড়ে রয়েছে ইট-সুরকির ভাঙা স্তূপ। বাড়ির দেয়ালের সামনে ময়লা-আবর্জনা রাখা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাড়িটি ভাঙার একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। তাতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িটির ছাদ ভাঙছেন।

এর আগেও বাড়িটি ভাঙার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় এটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে এর কোনো জবাব না আসায় হাইকোর্টে রোকনুজ্জামান দাদাভাইয়ের মেয়ে ফ্লোরা নাসরিন খান রিট করেন। রিটে বলা হয়েছিল, ১৮৯০ দশকের দিকে কিশোরগঞ্জের কোনো এক হিন্দু জমিদার এটি তৈরি করেছিলেন। তাই ১২৭ বছরের এ বাড়িটিকে হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নূরজাহান বেগমের পরিবারের এক সদস্য বাড়ি ভেঙে বহুতল ভবন তৈরির চেষ্টা করেন। তখন বাড়িটি সংরক্ষণে ফ্লোরা নাসরিন খান ২০১৭ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করেছিলেন। যদিও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সর্বশেষ তালিকায় বাড়িটিকে দেখা যায়নি। বাড়িটি নূরজাহান বেগম তাঁর ছোট মেয়েকে দিয়ে গেছেন। তিনি এটি ডেভেলপারকে দিয়ে নতুন বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে রিট আবেদনও তুলে নেওয়া হয়।

শুধু নাসিরউদ্দীন স্মৃতিভবনই নয়, ঢাকার আরও কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ভবন ভাঙার অভিযোগ জানিয়েছে ইউএসজি। তারা জানিয়েছে, ওয়াসার নারিন্দা স্যুয়েজ পাম্পিং স্টেশনের ঐতিহ্যবাহী ভবন ভাঙা হয়েছে, সেখানে ওয়াসা নতুন ভবন তৈরি করবে।

ইউএসজির ভাষ্য, নারিন্দার স্যুয়েজ পাম্পিং স্টেশন সম্ভবত ১৯২৩ সালে নির্মিত। নগর প্রকৌশলের একসময়কার উদাহরণ, যেখানে ব্যবহারিকতার সঙ্গে স্থাপত্যের সৌন্দর্য মিলেমিশে ছিল। এই ভবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল এর গারগয়েল। গারগয়েল ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কাজ করত। আর ভেতরে ছিল প্রাচীন স্যুয়েজ ও ড্রেনেজ সিস্টেম, যা ঢাকার একসময়ের পরিকল্পিত নগরব্যবস্থার প্রমাণ দিত।

এ প্রসঙ্গে ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম সহিদ উদ্দিন বলেন, তিনি পুরো বিষয়টি জানেন না। পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখার পক্ষে তাঁরা। এই ভবনটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। নতুন ভবনে যেন পুরোনো ঐতিহ্যের ছাপ থাকে, সে নির্দেশনা তাঁদের রয়েছে।

ঢাকার ফরাশগঞ্জের মঙ্গলালয় ভবনটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঈদুল আজহার ছুটিতে দেখা যায়, এর কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে আলংকারিক অংশগুলো ভাঙা হয় কৌশল হিসেবে, যাতে ঐতিহ্য হিসেবে এর আবেদন না থেকে। এটিও ঈদের ছুটিতে ইউএসজি সাধারণ ডায়রি করে স্থগিত করে।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শঙ্খনিধি হাউসের রাধাকৃষ্ণ মন্দির অংশটি অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংস হচ্ছে। কয়েক দশক ধরে জবরদখল, অবৈধ পরিবর্তন, পরিবর্তন ও ধ্বংসের শিকার ভবনটি। সম্প্রতি ভবনটির একটি ঝুলবারান্দা ধসে পড়েছে। এটি দেখভাল করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির আঞ্চলিক পরিচালক (ঢাকা) আফরোজা খান মিতা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। কিন্তু এটি আমাদের দখলে নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত