Ajker Patrika

পঙ্গু হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মারামারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) আউটসোর্সিং কর্মীদের সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে আসা সেবাপ্রত্যাশীরা।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তাদের প্রচেষ্টায় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আজ সোমবার বেলা ১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ মারামারি চলে। এ সময় রড, লাঠি নিয়ে প্রশাসনিক ভবন ও আউটডোরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। মারামারির ঘটনায় কয়েকজন হালকা আহত হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এ রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

ইবনে মিজান আরও বলেন, ‘ঝামেলা শুরু হয়েছে রোববার (গতকাল) রাত থেকে। রাতে ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সকালেও কর্মীদের ওপরে ‘‘হামলা’’ করে ছাত্ররা। এই ছাত্ররা সবাই জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে এখানে চিকিৎসাধীন। এ সময় রড, লাঠি নিয়ে প্রশাসনিক ভবন ও আউটডোরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’

হাসপাতালটির কর্মীদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে এই হাসপাতালে ভর্তি আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর মধ্যে গতকাল রাতে ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে হাসপাতালের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা। এর মধ্যে তাঁদের ওপর হামলা হয় বলে দাবি করেন সাইফুল নামের এক কর্মী।

তবে অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের একজন মামুন বলেন, ‘৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে আহত হই। এখানেই ভর্তি ছিলাম। হাসপাতালে দালাল ছাড়া কোনো সেবা মেলে না। পুরো হাসপাতাল চালায় দালাল সিন্ডিকেট। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় সকাল ১০টার দিকে ফিজিওথেরাপি নিতে যাওয়া আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের একদল কর্মচারী ও দালাল।’

এদিকে হাসপাতালের কর্মীদের মারধর করায় তাঁরা সেবা বন্ধ করে দেন। সব কাউন্টার থেকে তাঁরা উঠে যান। এতে বিকেল পর্যন্ত সেবা বন্ধ থাকে। পরে পরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে বসে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও কর্মচারীদের প্রতিনিধি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত