Ajker Patrika

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের দুই মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঘটনাস্থলের বাড়ির ব্যবস্থাপক আব্দুল গাফফার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মো. বাচ্চু। রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন বাচ্চু মিয়া হাওলাদার।

উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম দুটি মামলার রায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মা-বাবা কর্মস্থলে যান। বেলা ৩টার দিকে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাশেম রোডের বাসায় ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাঁরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

পরে একই বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুল গাফফার তাকে ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলেন। তখন ভুক্তভোগী তাঁর সঙ্গে না গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের সময় আসামি বাচ্চুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। অপর আসামি গাফফার পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

অপর দিকে শিশু ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে একটি গ্যারেজে রান্না করতেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার শিশুকে দোকান থেকে ঠান্ডা পানি এনে দিতে বলেন। শিশুটি তাঁর কাছে গেলে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়ের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা তাকে খুঁজতে যান। সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে পান তিনি। পরে মেয়েটি মাকে সব খুলে বলে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ওই দিনই রামপুরা থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক এস এম মুকুল মিয়া। ১৬ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

আসামি বাচ্চু মিয়া হাওলাদারকে রায়ের সময় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ