শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন। কিন্তু ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন পরিস্থিতিতে প্রকাশনাশিল্পে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রয় ও প্রকাশক সমিতিতে (বাপুস) চলমান অস্থিরতা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গত ২৫ আগস্ট এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কারণ হিসেবে ৫ আগস্টের পর ‘কতিপয় সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের’ সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর আরেকটি পক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি নামে প্রকাশকদের নতুন একটি সমিতি গঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রকাশনাশিল্পের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি সাধারণ প্রকাশকদের প্রতি ‘লুণ্ঠনকারী প্রকাশকদের’ দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও দুর্বৃত্তায়ন রোধ এর লক্ষ্য।
সমিতিসহ পুস্তক প্রকাশকদের মধ্যে অস্থিরতায় সাধারণ প্রকাশকেরা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। মেলায় ঠিকমত স্টল বরাদ্দ পাওয়া ও প্রকাশিত নির্দিষ্ট কিছু বই নিয়ে সমস্যার আশঙ্কা এবং দ্বন্দ্ব কবলিত সমিতির কোন কোন সদস্যের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ এই অনিশ্চয়তাকে ঘনীভূত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, অনেক প্রকাশকই এখন কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অথচ ফেব্রুয়ারির বইমেলাই তাঁদের মূল ব্যবসা।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির (২০২৩-২৫) সহসভাপতি ও পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর কর্ণধার শ্যামল পাল বলেন, ‘প্রকাশনাশিল্পের সমিতিকে একটা দলের তকমা লাগিয়ে দখলের অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশাসক নিয়োগ দিতে বলেছি। ব্যবসায়িক খাতে দলীয় তকমা লাগিয়ে ঢালাওভাবে সবাইকে দোষী করা ঠিক নয়।’
বাপুসের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং অনেকটা হঠাৎ করে প্রকাশকদের নতুন নতুন সংগঠন তৈরি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে প্রকাশনা শিল্পে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে আগামী একুশে বইমেলায় প্রভাব পড়বে কি না, এ প্রশ্নে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা প্রকাশকদের দিক থেকে এগুলো মীমাংসা করে আসার কথা বলব।’
এদিকে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের খবরে বলা হয়েছে, এবার বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ থাকছে না। কলকাতার ‘আজতক বাংলা’ বলছে, ‘এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, অক্টোবরজুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। ... এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনা সংস্থার তরফে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনপত্র আসেনি।’
কলকাতায় বাংলাদেশি প্রকাশনাগুলো নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ বইমেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। আজতক বাংলা বলছে, ‘২০১১ সাল থেকে কলকাতার বুকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ বইমেলার তাল কাটল এ বছর। এবার হচ্ছে না বাংলাদেশ বইমেলা।’ এ প্রসঙ্গে আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘এই মেলার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারিভাবে চেষ্টা হচ্ছে শুনেছি।’
বাপুস নেতা শ্যামল পাল মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক প্রকাশক আবেদনই করেননি।
স্থানীয় প্রকাশকেরা বলেন, ভারতে বাংলাদেশের বই সাধারণভাবে আমদানি করা হয় না। কলকাতার পাঠকেরা মূলত দুটি মেলা থেকে বাংলাদেশের বই সংগ্রহ করেন। তাম্রলিপি প্রকাশনীর কর্ণধার তারিকুল ইসলাম রনি বললেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম মনে করেন, কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করা উচিত। শুধু ব্যবসার জন্য নয়, এটা দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ বলেও।

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন। কিন্তু ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন পরিস্থিতিতে প্রকাশনাশিল্পে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রয় ও প্রকাশক সমিতিতে (বাপুস) চলমান অস্থিরতা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গত ২৫ আগস্ট এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কারণ হিসেবে ৫ আগস্টের পর ‘কতিপয় সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের’ সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর আরেকটি পক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি নামে প্রকাশকদের নতুন একটি সমিতি গঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রকাশনাশিল্পের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি সাধারণ প্রকাশকদের প্রতি ‘লুণ্ঠনকারী প্রকাশকদের’ দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও দুর্বৃত্তায়ন রোধ এর লক্ষ্য।
সমিতিসহ পুস্তক প্রকাশকদের মধ্যে অস্থিরতায় সাধারণ প্রকাশকেরা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। মেলায় ঠিকমত স্টল বরাদ্দ পাওয়া ও প্রকাশিত নির্দিষ্ট কিছু বই নিয়ে সমস্যার আশঙ্কা এবং দ্বন্দ্ব কবলিত সমিতির কোন কোন সদস্যের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ এই অনিশ্চয়তাকে ঘনীভূত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, অনেক প্রকাশকই এখন কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অথচ ফেব্রুয়ারির বইমেলাই তাঁদের মূল ব্যবসা।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির (২০২৩-২৫) সহসভাপতি ও পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর কর্ণধার শ্যামল পাল বলেন, ‘প্রকাশনাশিল্পের সমিতিকে একটা দলের তকমা লাগিয়ে দখলের অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশাসক নিয়োগ দিতে বলেছি। ব্যবসায়িক খাতে দলীয় তকমা লাগিয়ে ঢালাওভাবে সবাইকে দোষী করা ঠিক নয়।’
বাপুসের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং অনেকটা হঠাৎ করে প্রকাশকদের নতুন নতুন সংগঠন তৈরি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে প্রকাশনা শিল্পে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে আগামী একুশে বইমেলায় প্রভাব পড়বে কি না, এ প্রশ্নে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা প্রকাশকদের দিক থেকে এগুলো মীমাংসা করে আসার কথা বলব।’
এদিকে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের খবরে বলা হয়েছে, এবার বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ থাকছে না। কলকাতার ‘আজতক বাংলা’ বলছে, ‘এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, অক্টোবরজুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। ... এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনা সংস্থার তরফে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনপত্র আসেনি।’
কলকাতায় বাংলাদেশি প্রকাশনাগুলো নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ বইমেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। আজতক বাংলা বলছে, ‘২০১১ সাল থেকে কলকাতার বুকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ বইমেলার তাল কাটল এ বছর। এবার হচ্ছে না বাংলাদেশ বইমেলা।’ এ প্রসঙ্গে আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘এই মেলার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারিভাবে চেষ্টা হচ্ছে শুনেছি।’
বাপুস নেতা শ্যামল পাল মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক প্রকাশক আবেদনই করেননি।
স্থানীয় প্রকাশকেরা বলেন, ভারতে বাংলাদেশের বই সাধারণভাবে আমদানি করা হয় না। কলকাতার পাঠকেরা মূলত দুটি মেলা থেকে বাংলাদেশের বই সংগ্রহ করেন। তাম্রলিপি প্রকাশনীর কর্ণধার তারিকুল ইসলাম রনি বললেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম মনে করেন, কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করা উচিত। শুধু ব্যবসার জন্য নয়, এটা দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ বলেও।
শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন। কিন্তু ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন পরিস্থিতিতে প্রকাশনাশিল্পে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রয় ও প্রকাশক সমিতিতে (বাপুস) চলমান অস্থিরতা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গত ২৫ আগস্ট এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কারণ হিসেবে ৫ আগস্টের পর ‘কতিপয় সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের’ সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর আরেকটি পক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি নামে প্রকাশকদের নতুন একটি সমিতি গঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রকাশনাশিল্পের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি সাধারণ প্রকাশকদের প্রতি ‘লুণ্ঠনকারী প্রকাশকদের’ দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও দুর্বৃত্তায়ন রোধ এর লক্ষ্য।
সমিতিসহ পুস্তক প্রকাশকদের মধ্যে অস্থিরতায় সাধারণ প্রকাশকেরা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। মেলায় ঠিকমত স্টল বরাদ্দ পাওয়া ও প্রকাশিত নির্দিষ্ট কিছু বই নিয়ে সমস্যার আশঙ্কা এবং দ্বন্দ্ব কবলিত সমিতির কোন কোন সদস্যের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ এই অনিশ্চয়তাকে ঘনীভূত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, অনেক প্রকাশকই এখন কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অথচ ফেব্রুয়ারির বইমেলাই তাঁদের মূল ব্যবসা।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির (২০২৩-২৫) সহসভাপতি ও পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর কর্ণধার শ্যামল পাল বলেন, ‘প্রকাশনাশিল্পের সমিতিকে একটা দলের তকমা লাগিয়ে দখলের অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশাসক নিয়োগ দিতে বলেছি। ব্যবসায়িক খাতে দলীয় তকমা লাগিয়ে ঢালাওভাবে সবাইকে দোষী করা ঠিক নয়।’
বাপুসের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং অনেকটা হঠাৎ করে প্রকাশকদের নতুন নতুন সংগঠন তৈরি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে প্রকাশনা শিল্পে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে আগামী একুশে বইমেলায় প্রভাব পড়বে কি না, এ প্রশ্নে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা প্রকাশকদের দিক থেকে এগুলো মীমাংসা করে আসার কথা বলব।’
এদিকে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের খবরে বলা হয়েছে, এবার বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ থাকছে না। কলকাতার ‘আজতক বাংলা’ বলছে, ‘এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, অক্টোবরজুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। ... এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনা সংস্থার তরফে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনপত্র আসেনি।’
কলকাতায় বাংলাদেশি প্রকাশনাগুলো নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ বইমেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। আজতক বাংলা বলছে, ‘২০১১ সাল থেকে কলকাতার বুকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ বইমেলার তাল কাটল এ বছর। এবার হচ্ছে না বাংলাদেশ বইমেলা।’ এ প্রসঙ্গে আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘এই মেলার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারিভাবে চেষ্টা হচ্ছে শুনেছি।’
বাপুস নেতা শ্যামল পাল মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক প্রকাশক আবেদনই করেননি।
স্থানীয় প্রকাশকেরা বলেন, ভারতে বাংলাদেশের বই সাধারণভাবে আমদানি করা হয় না। কলকাতার পাঠকেরা মূলত দুটি মেলা থেকে বাংলাদেশের বই সংগ্রহ করেন। তাম্রলিপি প্রকাশনীর কর্ণধার তারিকুল ইসলাম রনি বললেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম মনে করেন, কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করা উচিত। শুধু ব্যবসার জন্য নয়, এটা দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ বলেও।

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন। কিন্তু ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন পরিস্থিতিতে প্রকাশনাশিল্পে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রয় ও প্রকাশক সমিতিতে (বাপুস) চলমান অস্থিরতা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গত ২৫ আগস্ট এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কারণ হিসেবে ৫ আগস্টের পর ‘কতিপয় সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের’ সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর আরেকটি পক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি নামে প্রকাশকদের নতুন একটি সমিতি গঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রকাশনাশিল্পের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি সাধারণ প্রকাশকদের প্রতি ‘লুণ্ঠনকারী প্রকাশকদের’ দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও দুর্বৃত্তায়ন রোধ এর লক্ষ্য।
সমিতিসহ পুস্তক প্রকাশকদের মধ্যে অস্থিরতায় সাধারণ প্রকাশকেরা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। মেলায় ঠিকমত স্টল বরাদ্দ পাওয়া ও প্রকাশিত নির্দিষ্ট কিছু বই নিয়ে সমস্যার আশঙ্কা এবং দ্বন্দ্ব কবলিত সমিতির কোন কোন সদস্যের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ এই অনিশ্চয়তাকে ঘনীভূত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, অনেক প্রকাশকই এখন কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অথচ ফেব্রুয়ারির বইমেলাই তাঁদের মূল ব্যবসা।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির (২০২৩-২৫) সহসভাপতি ও পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর কর্ণধার শ্যামল পাল বলেন, ‘প্রকাশনাশিল্পের সমিতিকে একটা দলের তকমা লাগিয়ে দখলের অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশাসক নিয়োগ দিতে বলেছি। ব্যবসায়িক খাতে দলীয় তকমা লাগিয়ে ঢালাওভাবে সবাইকে দোষী করা ঠিক নয়।’
বাপুসের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং অনেকটা হঠাৎ করে প্রকাশকদের নতুন নতুন সংগঠন তৈরি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে প্রকাশনা শিল্পে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে আগামী একুশে বইমেলায় প্রভাব পড়বে কি না, এ প্রশ্নে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা প্রকাশকদের দিক থেকে এগুলো মীমাংসা করে আসার কথা বলব।’
এদিকে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের খবরে বলা হয়েছে, এবার বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ থাকছে না। কলকাতার ‘আজতক বাংলা’ বলছে, ‘এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, অক্টোবরজুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। ... এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনা সংস্থার তরফে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনপত্র আসেনি।’
কলকাতায় বাংলাদেশি প্রকাশনাগুলো নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ বইমেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। আজতক বাংলা বলছে, ‘২০১১ সাল থেকে কলকাতার বুকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ বইমেলার তাল কাটল এ বছর। এবার হচ্ছে না বাংলাদেশ বইমেলা।’ এ প্রসঙ্গে আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘এই মেলার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারিভাবে চেষ্টা হচ্ছে শুনেছি।’
বাপুস নেতা শ্যামল পাল মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক প্রকাশক আবেদনই করেননি।
স্থানীয় প্রকাশকেরা বলেন, ভারতে বাংলাদেশের বই সাধারণভাবে আমদানি করা হয় না। কলকাতার পাঠকেরা মূলত দুটি মেলা থেকে বাংলাদেশের বই সংগ্রহ করেন। তাম্রলিপি প্রকাশনীর কর্ণধার তারিকুল ইসলাম রনি বললেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম মনে করেন, কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করা উচিত। শুধু ব্যবসার জন্য নয়, এটা দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ বলেও।

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
১৭ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২১ মিনিট আগে
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
২৬ মিনিট আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
১৭ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২১ মিনিট আগে
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
২৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
৬ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২১ মিনিট আগে
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
২৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে ভুক্তভোগী নারী নাসরিন আক্তার মামলার আরজি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুন নূর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আশরাফুল করিম এবং ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডমিন-আইসিইউ) মো. আবু সাইদ চৌধুরী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য জানান, মামলার আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভর্তির পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে রেখে দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলেও আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ সময় লেবার রুমে ফেলে রাখার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় এবং অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মায়ের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
বাদীপক্ষের দাবি, সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলে গর্ভস্থ শিশুটিকে বাঁচানো যেত। ঘটনার পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রাখা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানলাম। তবে ওই রোগীর কাগজপত্র না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে ভুক্তভোগী নারী নাসরিন আক্তার মামলার আরজি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুন নূর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আশরাফুল করিম এবং ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডমিন-আইসিইউ) মো. আবু সাইদ চৌধুরী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য জানান, মামলার আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভর্তির পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে রেখে দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলেও আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ সময় লেবার রুমে ফেলে রাখার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় এবং অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মায়ের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
বাদীপক্ষের দাবি, সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলে গর্ভস্থ শিশুটিকে বাঁচানো যেত। ঘটনার পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রাখা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানলাম। তবে ওই রোগীর কাগজপত্র না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
১৭ মিনিট আগে
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
২৬ মিনিট আগেচবি প্রতিনিধি

পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য দপ্তরে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’
এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আজ পর্যন্ত জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। যদি জহির রায়হানকে খুঁজে পাওয়া যেত, সত্যিকার ইতিহাস আমরা পেতাম।’
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান আরও বলেন, ‘গতকাল টিভিতে দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান (সদ্য জামায়াতে যোগ দেওয়া সাবেক এমপি মেজর অব. আখতারুজ্জামান) বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হলো যে আপনি তো বলতেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ লোক শাহাদাত বরণ করেছে। এখন আপনি এর বিপরীত রাজনীতিতে যুক্ত হলেন, এটি কেন?
মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে রেটরিক (আলংকারিক) বক্তব্য। এগুলো তো সত্য নয়। রেটরিক বক্তব্য আমরা জাতির সামনে শুনতে চাই না। আমরা রিয়েলিটি চাই। আমরা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, সেই ঘটনায় কারা কারা শহীদ হয়েছে, সেই তথ্য আমরা জানতে চাই। কারা কারা হত্যা করেছে, সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের জানা হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও চবি জাদুঘরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ দিকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপ-উপাচার্যের (একাডেমিক) মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য দপ্তরে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’
এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আজ পর্যন্ত জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। যদি জহির রায়হানকে খুঁজে পাওয়া যেত, সত্যিকার ইতিহাস আমরা পেতাম।’
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান আরও বলেন, ‘গতকাল টিভিতে দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান (সদ্য জামায়াতে যোগ দেওয়া সাবেক এমপি মেজর অব. আখতারুজ্জামান) বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হলো যে আপনি তো বলতেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ লোক শাহাদাত বরণ করেছে। এখন আপনি এর বিপরীত রাজনীতিতে যুক্ত হলেন, এটি কেন?
মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে রেটরিক (আলংকারিক) বক্তব্য। এগুলো তো সত্য নয়। রেটরিক বক্তব্য আমরা জাতির সামনে শুনতে চাই না। আমরা রিয়েলিটি চাই। আমরা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, সেই ঘটনায় কারা কারা শহীদ হয়েছে, সেই তথ্য আমরা জানতে চাই। কারা কারা হত্যা করেছে, সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের জানা হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও চবি জাদুঘরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ দিকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপ-উপাচার্যের (একাডেমিক) মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
১৭ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২১ মিনিট আগে