Ajker Patrika

কক্সবাজার ও হাতিয়া

এক মাসেও জেলেরা চাল পাননি

  • কক্সবাজারে সরকারের সাহায্য না পেয়ে অনেকেযাচ্ছেন সমুদ্রে মাছ ধরতে।
  • হাতিয়ায় নিবন্ধিত জেলেদের সবাই পান না সরকারের বরাদ্দ করা চাল।
কক্সবাজার ও হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ০৭: ২৭
সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই সময়ে সরকারি সাহায্য পাওয়ার কথা জেলেদের। সেই সাহায্য না পেয়ে অনেক জেলে যাচ্ছেন মাছ ধরতে। এতে আটকও হচ্ছেন অনেকে। সম্প্রতি কক্সবাজারের মহেশখালীতে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই সময়ে সরকারি সাহায্য পাওয়ার কথা জেলেদের। সেই সাহায্য না পেয়ে অনেক জেলে যাচ্ছেন মাছ ধরতে। এতে আটকও হচ্ছেন অনেকে। সম্প্রতি কক্সবাজারের মহেশখালীতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে বঙ্গোপসাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরায় ৫৮ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক মাস পার হলেও কর্মহীন হয়ে পড়া জেলেরা সরকারি বরাদ্দের চাল হাতে পাননি। এতে অধিকাংশ জেলে পরিবারে চলছে অভাব-অনটন। এমন চিত্র দেখা গেছে কক্সবাজার ও নোয়াখালীর হাতিয়ায়।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞায় (১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত) জেলায় সমুদ্রগামী ক্ষতিগ্রস্ত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৯৩ জন। এবার সরকারিভাবে জেলেদের জনপ্রতি ৫৬ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিষেধাজ্ঞায় কর্মহীন হয়ে পড়া সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য জেলার ৯ উপজেলায় ৩ হাজার ৫৩৮ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত বুধবার উপজেলা পর্যায়ে এসব বরাদ্দের ছাড়পত্র পাঠানো হয়েছে।

মৎস্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, অন্যান্য বছর ২০ মে থেকে শুরু হয়ে এ নিষেধাজ্ঞা ৬৫ দিন থাকত। চলতি বছর ভারতের সঙ্গে মিল রেখে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক মাস পাঁচ দিন আগে শুরু হয়েছে। এর ফলে সরকারি চাল বরাদ্দে কিছুটা দেরি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণে দেরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে থাকা সুজয় পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দু-এক দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে বরাদ্দের ছাড়পত্র পৌঁছেছে। ২১ মের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে চাল বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে।’

অভাবের তাড়নায় সাগরে

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর সায়রার ডেইলের জেলে আবদুস সালাম (৫৫)। স্ত্রী-সন্তানসহ ১১ জনের সংসার। মাছ শিকারে যেতে পারলেই ঘরের চুলা জ্বলে। না হয় অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে হয়। তিনি বলেন, একসময় সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পাশের খাল-বিলে মাছ ধরা যেত। কিন্তু মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার পর কোহেলিয়া নদীসহ আশপাশের খাল ভরাট হয়ে গেছে। এতে সেখানেও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ধারকর্জ করে কোনোমতে সংসার চালাতে হচ্ছে।

শুধু সালাম নন, অধিকাংশ জেলে পরিবারে চলছে এই দুরবস্থা। মহেশখালীতে ১৪ হাজার ৪৪২ জন সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশের পেশা শুধু সাগরে মাছ ধরা। মহেশখালী ছাড়াও জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি টেকনাফ ও কুতুবদিয়ায়।

৯ মে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়ায় মহেশখালীর ১২০ জেলেকে আটক করে নৌবাহিনী। এ সময় ১১টি নৌকাও আটক করা হয়। এসব নৌকা তল্লাশি করে ৪ লাখ ৫০ হাজার মিটার জাল এবং ২ হাজার কেজি মাছ জব্দ করা হয়। এর তিন দিন পর কুতুবদিয়ার উপকূল থেকে ১২টি মাছ ধরার নৌকা আটক করে নৌবাহিনী। এ সময় মাছসহ ৬১ জেলেকেও আটক করা হয়। এভাবে গত এক মাসে জেলা মৎস্য বিভাগ ১৬২টি অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে প্রায় ১৬ টন মাছ, ১৬ লাখ মিটার জাল, ২৩টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ এবং ১৪ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময়ে ২৯টি মামলা এবং ১২ লাখ টাকারও বেশি জরিমানা করা হয়েছে। জেলেরা জানান, পেটের দায়ে তাঁরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন।

হাতিয়ায় নিবন্ধিতরাও সাহায্য পান না

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য অফিস এবং স্থানীয় জেলেরা জানান, এই দ্বীপ উপজেলায় লক্ষাধিক জেলে থাকলেও সরকারি সহযোগিতায় প্রাপ্তির জন্য নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৬ হাজার।

গত মৌসুমে ৪ হাজার ৮৭৩ জেলেকে নিষেধাজ্ঞার সময় প্রথম ধাপে ৫৬ কেজি চাল এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এবার সেই সাহায্যও পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের জঙ্গলিয়ার ঘাটে তিন শতাধিক বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। ঘাটে দেখা হয় পূর্ব বিরবিরি গ্রামের বেলাল মাঝির (৫৫) সঙ্গে। বেলাল জানান, তাঁর অধীনে দুটি মাছধরা ট্রলার রয়েছে। তাতে ৪০ জন মাঝিমাল্লা কাজ করেন। গত এক মাস সবাই বেকার। তাঁদের এখন সংসার চলে না। সরকারিভাবে এখনো কোনো সহযোগিতা তাঁরা পাননি।

বেলাল মাঝির ট্রলারের জেলে ইমাম উদ্দিন জানান, গত ২০ বছর জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত, অথচ কখনো এক কেজি চাল তিনি পাননি।

হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, ১ লাখ জেলের মধ্যে মাত্র ২৬ হাজার নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। বাকি জেলেরা কেন সহযোগিতার বাইরে থাকবে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণের একটি চিঠি পেয়েছেন। তাতে ৪ হাজার ৮০০ পরিবারকে চালের সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু চিঠি এসেছে, বরাদ্দও কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। বরাদ্দ ফেলে তা জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালকে পালাতে সাহায্যকারী দুজন ফের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুই ব্যক্তি হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

আজ বিকেলে সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুজনকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ।

১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে। সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।

১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, বৃদ্ধ নিহত

শেরপুর প্রতিনিধি 
সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু বক্কর রাংটিয়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন তিনি। আহত ব্যক্তিরা হচ্ছে সিফাত (২০), কবিতা খাতুন (১৫) ও সিনহা খাতুন (১০)। তারা মোটরসাইকেল দুটির আরোহী ছিল। আহত ব্যক্তিদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে দুই দিক থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্করকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। দুর্ঘটনার পরপরই অন্য মোটরসাইকেলের চালক সিজন (২১) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে নদীর তীরে মিলল যুবকের মরদেহ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বাঁকখালী নদীর তীর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম মিনহাজ উদ্দিন তুষার (৩৫)। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা ছৈয়দ নুরের ছেলে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজন নদীর তীরের সবজিখেতে কাজ করতে এলে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ নিহতের পকেটে থাকা মোবাইল সিমের সূত্র ধরে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। থানা-পুলিশ ও পিবিআইয়ের একটির টিম ইতিমধ্যে রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আগুন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খান্দারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাব্বির খানের বাড়িতে আগুন লেগেছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে নাকি শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, কে বা কারা সাব্বির খানের বাড়িতে আগুন দেয়। এতে ঘরের আসবাবসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। স্থানীয়রা আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

খান্দারপাড় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (প্যানেল চেয়ারম্যান) মো. ইমারত শেখ বলেন, তিনি সাব্বির খানের বাড়িতে আগুন লাগার খবর শুনেছেন। তবে আগুন লাগার সময় ও কারণ সম্পর্কে এলাকাবাসীর বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কী তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, খবর পেয়ে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গিয়ে দেখা যায়, দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষে আগুন জ্বলছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে এর আগেই সোফা, খাট, এসিসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শর্টসার্কিট নাকি অগ্নিসংযোগ—এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাব্বির খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এলাকায় নেই। মোবাইল ফোনে সাব্বির খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত