থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার গ্রামে গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ঘরে ঘরে জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথাসহ নানা উপসর্গের রোগী। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আগাম বৃষ্টির শুরু থেকেই ম্যালেরিয়ার রোগী বাড়ছে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওয়ায় উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেকে যেতে পারছে না। অধিকাংশই কাছাকাছি হাট-বাজারের ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্র্যাক দুই সপ্তাহ যাবৎ ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট ও ওষুধ দিলেও তা অপ্রতুল হওয়ায় প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দুর্গম গ্রামগুলোয় বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০-১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৭ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ নিলুফা ইয়াজমিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, গত ৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ১৭ জন ম্যালেরিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে সাতজন বাড়িতে চলে গেছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও কিশোর। নিলুফা বলেন, ‘পাহাড়ে এ সময় অর্থাৎ বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব বাড়ে। ঘরের আঙিনায় পানি, ময়লা-আবর্জনা জমা থাকলে মশার উপদ্রব বেশি হয়। সব সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ম্যালেরিয়ার রোগী প্রদীপ ত্রিপুরা (৫০)। রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা তিনি। বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ঘরে ঘরে জ্বর। জ্বর পরীক্ষা করার যন্ত্র নেই, স্বাস্থ্যকর্মীও নেই। আগে তো এনজিও কর্মী ছিল, এখন তা-ও নেই। অনেকে স্থানীয় হাটবাজার থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ হয়ে যায়। আমিও ওষুধ খেয়েছি, কিন্তু ভালো না হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে গতকাল হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসক-নার্সরা পরীক্ষা করে দেখে ম্যালেরিয়া জ্বর।’
প্রদীপ বলেন, ‘দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের ছোট মদক থেকে থানচি পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত বোটের ভাড়া অনেক। রোগী হলে রিজার্ভ নিতে হয়। বোটের ভাড়া গুনতে হয় ৩ হাজার টাকা। সেই সামর্থ্য সবার নেই।’
থানচি সদর ইউনিয়নের চাইঞানপাড়ার বাসিন্দা য়ইপুং ম্রো কারবারি (৫৬)। তিনিও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। বিছানায় শোয়া অবস্থায় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় প্রায় সব পরিবারের দু-একজন জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথায় আক্রান্ত। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জানতে পারি আমার ম্যালেরিয়া হয়েছে। এখন সামান্য সুস্থ বোধ করছি।’ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ত্যক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা চিংক্যনু মারমাও (২৭) বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জানতে চাইলে রেমাক্রী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার বিদ্রজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে, সঙ্গে ডায়রিয়া। গত বুধবার মেনতাংপাড়ার মেনতাং ম্রো কারবারি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমি এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইমা চন্দ্র ত্রিপুরাও একই তথ্য জানান।
চিকিৎসাসেবার বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার বিদ্রজয় বলেন, ‘ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন কেউ। স্বাস্থ্যকর্মী, ব্র্যাকের কর্মী থেকে কিছু সহযোগিতা পাচ্ছে। তবে বেশি মানুষ ও দুর্গম এলাকার কারণে এখানে স্বাস্থ্য ও পাড়াকর্মী অপ্রতুল।’
এ ব্যাপারে ব্র্যাকের মাঠ সংগঠক অর্পণ চাকমা বলেন, ‘ব্র্যাকের উপজেলা সদর ছাড়াও বলিপাড়া ইউনিয়নের একটি, রেমাক্রী ইউনিয়নের দুটি শাখা অফিস রয়েছে। সেখানে মোট আটজন কর্মী সার্বক্ষণিক ম্যালেরিয়ার ওষুধ, পরীক্ষার কিট ও মশারি সরবরাহ করছেন। উপজেলা সদরে মোট সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘উপজেলায় ছোট-বড় ২৪৫টি গ্রাম রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের তথ্যমতে, জনসংখ্যা ২৮ হাজার ৭৫০। দুর্গম হওয়ায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ হেঁটে যেতে হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তবু সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মশারি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছে। স্বল্পতা ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর গতকাল চাহিদা অনুযায়ী ওষুধপত্র এসে পৌঁছেছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, পাড়ায় পাড়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। গতকালও টিম পাঠিয়েছি। আরও শক্তিশালী টিম আগামীকাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, কিট, মশারি পাঠানো হবে।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে যথাযথ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের থানচি উপজেলার গ্রামে গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ঘরে ঘরে জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথাসহ নানা উপসর্গের রোগী। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আগাম বৃষ্টির শুরু থেকেই ম্যালেরিয়ার রোগী বাড়ছে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওয়ায় উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেকে যেতে পারছে না। অধিকাংশই কাছাকাছি হাট-বাজারের ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্র্যাক দুই সপ্তাহ যাবৎ ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট ও ওষুধ দিলেও তা অপ্রতুল হওয়ায় প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দুর্গম গ্রামগুলোয় বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০-১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৭ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ নিলুফা ইয়াজমিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, গত ৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ১৭ জন ম্যালেরিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে সাতজন বাড়িতে চলে গেছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও কিশোর। নিলুফা বলেন, ‘পাহাড়ে এ সময় অর্থাৎ বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব বাড়ে। ঘরের আঙিনায় পানি, ময়লা-আবর্জনা জমা থাকলে মশার উপদ্রব বেশি হয়। সব সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ম্যালেরিয়ার রোগী প্রদীপ ত্রিপুরা (৫০)। রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা তিনি। বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ঘরে ঘরে জ্বর। জ্বর পরীক্ষা করার যন্ত্র নেই, স্বাস্থ্যকর্মীও নেই। আগে তো এনজিও কর্মী ছিল, এখন তা-ও নেই। অনেকে স্থানীয় হাটবাজার থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ হয়ে যায়। আমিও ওষুধ খেয়েছি, কিন্তু ভালো না হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে গতকাল হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসক-নার্সরা পরীক্ষা করে দেখে ম্যালেরিয়া জ্বর।’
প্রদীপ বলেন, ‘দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের ছোট মদক থেকে থানচি পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত বোটের ভাড়া অনেক। রোগী হলে রিজার্ভ নিতে হয়। বোটের ভাড়া গুনতে হয় ৩ হাজার টাকা। সেই সামর্থ্য সবার নেই।’
থানচি সদর ইউনিয়নের চাইঞানপাড়ার বাসিন্দা য়ইপুং ম্রো কারবারি (৫৬)। তিনিও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। বিছানায় শোয়া অবস্থায় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় প্রায় সব পরিবারের দু-একজন জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথায় আক্রান্ত। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জানতে পারি আমার ম্যালেরিয়া হয়েছে। এখন সামান্য সুস্থ বোধ করছি।’ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ত্যক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা চিংক্যনু মারমাও (২৭) বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জানতে চাইলে রেমাক্রী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার বিদ্রজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে, সঙ্গে ডায়রিয়া। গত বুধবার মেনতাংপাড়ার মেনতাং ম্রো কারবারি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমি এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইমা চন্দ্র ত্রিপুরাও একই তথ্য জানান।
চিকিৎসাসেবার বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার বিদ্রজয় বলেন, ‘ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন কেউ। স্বাস্থ্যকর্মী, ব্র্যাকের কর্মী থেকে কিছু সহযোগিতা পাচ্ছে। তবে বেশি মানুষ ও দুর্গম এলাকার কারণে এখানে স্বাস্থ্য ও পাড়াকর্মী অপ্রতুল।’
এ ব্যাপারে ব্র্যাকের মাঠ সংগঠক অর্পণ চাকমা বলেন, ‘ব্র্যাকের উপজেলা সদর ছাড়াও বলিপাড়া ইউনিয়নের একটি, রেমাক্রী ইউনিয়নের দুটি শাখা অফিস রয়েছে। সেখানে মোট আটজন কর্মী সার্বক্ষণিক ম্যালেরিয়ার ওষুধ, পরীক্ষার কিট ও মশারি সরবরাহ করছেন। উপজেলা সদরে মোট সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘উপজেলায় ছোট-বড় ২৪৫টি গ্রাম রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের তথ্যমতে, জনসংখ্যা ২৮ হাজার ৭৫০। দুর্গম হওয়ায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ হেঁটে যেতে হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তবু সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মশারি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছে। স্বল্পতা ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর গতকাল চাহিদা অনুযায়ী ওষুধপত্র এসে পৌঁছেছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, পাড়ায় পাড়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। গতকালও টিম পাঠিয়েছি। আরও শক্তিশালী টিম আগামীকাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, কিট, মশারি পাঠানো হবে।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে যথাযথ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার গ্রামে গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ঘরে ঘরে জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথাসহ নানা উপসর্গের রোগী। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আগাম বৃষ্টির শুরু থেকেই ম্যালেরিয়ার রোগী বাড়ছে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওয়ায় উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেকে যেতে পারছে না। অধিকাংশই কাছাকাছি হাট-বাজারের ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্র্যাক দুই সপ্তাহ যাবৎ ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট ও ওষুধ দিলেও তা অপ্রতুল হওয়ায় প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দুর্গম গ্রামগুলোয় বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০-১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৭ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ নিলুফা ইয়াজমিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, গত ৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ১৭ জন ম্যালেরিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে সাতজন বাড়িতে চলে গেছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও কিশোর। নিলুফা বলেন, ‘পাহাড়ে এ সময় অর্থাৎ বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব বাড়ে। ঘরের আঙিনায় পানি, ময়লা-আবর্জনা জমা থাকলে মশার উপদ্রব বেশি হয়। সব সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ম্যালেরিয়ার রোগী প্রদীপ ত্রিপুরা (৫০)। রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা তিনি। বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ঘরে ঘরে জ্বর। জ্বর পরীক্ষা করার যন্ত্র নেই, স্বাস্থ্যকর্মীও নেই। আগে তো এনজিও কর্মী ছিল, এখন তা-ও নেই। অনেকে স্থানীয় হাটবাজার থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ হয়ে যায়। আমিও ওষুধ খেয়েছি, কিন্তু ভালো না হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে গতকাল হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসক-নার্সরা পরীক্ষা করে দেখে ম্যালেরিয়া জ্বর।’
প্রদীপ বলেন, ‘দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের ছোট মদক থেকে থানচি পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত বোটের ভাড়া অনেক। রোগী হলে রিজার্ভ নিতে হয়। বোটের ভাড়া গুনতে হয় ৩ হাজার টাকা। সেই সামর্থ্য সবার নেই।’
থানচি সদর ইউনিয়নের চাইঞানপাড়ার বাসিন্দা য়ইপুং ম্রো কারবারি (৫৬)। তিনিও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। বিছানায় শোয়া অবস্থায় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় প্রায় সব পরিবারের দু-একজন জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথায় আক্রান্ত। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জানতে পারি আমার ম্যালেরিয়া হয়েছে। এখন সামান্য সুস্থ বোধ করছি।’ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ত্যক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা চিংক্যনু মারমাও (২৭) বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জানতে চাইলে রেমাক্রী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার বিদ্রজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে, সঙ্গে ডায়রিয়া। গত বুধবার মেনতাংপাড়ার মেনতাং ম্রো কারবারি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমি এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইমা চন্দ্র ত্রিপুরাও একই তথ্য জানান।
চিকিৎসাসেবার বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার বিদ্রজয় বলেন, ‘ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন কেউ। স্বাস্থ্যকর্মী, ব্র্যাকের কর্মী থেকে কিছু সহযোগিতা পাচ্ছে। তবে বেশি মানুষ ও দুর্গম এলাকার কারণে এখানে স্বাস্থ্য ও পাড়াকর্মী অপ্রতুল।’
এ ব্যাপারে ব্র্যাকের মাঠ সংগঠক অর্পণ চাকমা বলেন, ‘ব্র্যাকের উপজেলা সদর ছাড়াও বলিপাড়া ইউনিয়নের একটি, রেমাক্রী ইউনিয়নের দুটি শাখা অফিস রয়েছে। সেখানে মোট আটজন কর্মী সার্বক্ষণিক ম্যালেরিয়ার ওষুধ, পরীক্ষার কিট ও মশারি সরবরাহ করছেন। উপজেলা সদরে মোট সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘উপজেলায় ছোট-বড় ২৪৫টি গ্রাম রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের তথ্যমতে, জনসংখ্যা ২৮ হাজার ৭৫০। দুর্গম হওয়ায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ হেঁটে যেতে হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তবু সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মশারি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছে। স্বল্পতা ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর গতকাল চাহিদা অনুযায়ী ওষুধপত্র এসে পৌঁছেছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, পাড়ায় পাড়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। গতকালও টিম পাঠিয়েছি। আরও শক্তিশালী টিম আগামীকাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, কিট, মশারি পাঠানো হবে।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে যথাযথ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের থানচি উপজেলার গ্রামে গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ঘরে ঘরে জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথাসহ নানা উপসর্গের রোগী। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আগাম বৃষ্টির শুরু থেকেই ম্যালেরিয়ার রোগী বাড়ছে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওয়ায় উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেকে যেতে পারছে না। অধিকাংশই কাছাকাছি হাট-বাজারের ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্র্যাক দুই সপ্তাহ যাবৎ ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট ও ওষুধ দিলেও তা অপ্রতুল হওয়ায় প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দুর্গম গ্রামগুলোয় বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০-১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৭ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ নিলুফা ইয়াজমিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, গত ৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ১৭ জন ম্যালেরিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে সাতজন বাড়িতে চলে গেছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও কিশোর। নিলুফা বলেন, ‘পাহাড়ে এ সময় অর্থাৎ বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব বাড়ে। ঘরের আঙিনায় পানি, ময়লা-আবর্জনা জমা থাকলে মশার উপদ্রব বেশি হয়। সব সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ম্যালেরিয়ার রোগী প্রদীপ ত্রিপুরা (৫০)। রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা তিনি। বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ঘরে ঘরে জ্বর। জ্বর পরীক্ষা করার যন্ত্র নেই, স্বাস্থ্যকর্মীও নেই। আগে তো এনজিও কর্মী ছিল, এখন তা-ও নেই। অনেকে স্থানীয় হাটবাজার থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ হয়ে যায়। আমিও ওষুধ খেয়েছি, কিন্তু ভালো না হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে গতকাল হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসক-নার্সরা পরীক্ষা করে দেখে ম্যালেরিয়া জ্বর।’
প্রদীপ বলেন, ‘দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের ছোট মদক থেকে থানচি পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত বোটের ভাড়া অনেক। রোগী হলে রিজার্ভ নিতে হয়। বোটের ভাড়া গুনতে হয় ৩ হাজার টাকা। সেই সামর্থ্য সবার নেই।’
থানচি সদর ইউনিয়নের চাইঞানপাড়ার বাসিন্দা য়ইপুং ম্রো কারবারি (৫৬)। তিনিও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। বিছানায় শোয়া অবস্থায় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় প্রায় সব পরিবারের দু-একজন জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথায় আক্রান্ত। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জানতে পারি আমার ম্যালেরিয়া হয়েছে। এখন সামান্য সুস্থ বোধ করছি।’ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ত্যক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা চিংক্যনু মারমাও (২৭) বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জানতে চাইলে রেমাক্রী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার বিদ্রজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে, সঙ্গে ডায়রিয়া। গত বুধবার মেনতাংপাড়ার মেনতাং ম্রো কারবারি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমি এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইমা চন্দ্র ত্রিপুরাও একই তথ্য জানান।
চিকিৎসাসেবার বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার বিদ্রজয় বলেন, ‘ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন কেউ। স্বাস্থ্যকর্মী, ব্র্যাকের কর্মী থেকে কিছু সহযোগিতা পাচ্ছে। তবে বেশি মানুষ ও দুর্গম এলাকার কারণে এখানে স্বাস্থ্য ও পাড়াকর্মী অপ্রতুল।’
এ ব্যাপারে ব্র্যাকের মাঠ সংগঠক অর্পণ চাকমা বলেন, ‘ব্র্যাকের উপজেলা সদর ছাড়াও বলিপাড়া ইউনিয়নের একটি, রেমাক্রী ইউনিয়নের দুটি শাখা অফিস রয়েছে। সেখানে মোট আটজন কর্মী সার্বক্ষণিক ম্যালেরিয়ার ওষুধ, পরীক্ষার কিট ও মশারি সরবরাহ করছেন। উপজেলা সদরে মোট সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘উপজেলায় ছোট-বড় ২৪৫টি গ্রাম রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের তথ্যমতে, জনসংখ্যা ২৮ হাজার ৭৫০। দুর্গম হওয়ায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ হেঁটে যেতে হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তবু সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মশারি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছে। স্বল্পতা ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর গতকাল চাহিদা অনুযায়ী ওষুধপত্র এসে পৌঁছেছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, পাড়ায় পাড়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। গতকালও টিম পাঠিয়েছি। আরও শক্তিশালী টিম আগামীকাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, কিট, মশারি পাঠানো হবে।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে যথাযথ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
৫ মিনিট আগে
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

ছাত্রদল আপনার মতো ‘ফুটেজখোর’ সালাহউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ।
শাকিলুর রহমান আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে স্বাগতমিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের উদ্দেশে ছাত্রদল নেতার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সালাহউদ্দিন আম্মার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন।
সমাবেশে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের পর ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রবেশ করবেন না, সবার সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এরপর যারা মব সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, বাংলার বাতাসে যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ ছিল, তা উপেক্ষা করে বাংলার গণমানুষের শক্তির ওপর ভর করে অনেক বছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। দেশের মানুষের মঙ্গল, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যেই তাঁর এই প্রত্যাবর্তন।
সুলতান আহমেদ আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা মানেই অপসংস্কৃতি ও মব কালচারের অবসান। এটি অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের স্বপ্নকারীদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় এবং দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সূচনা। এ ছাড়া ২৫ ডিসেম্বরের পর যারা মব সৃষ্টি করবে, তাদের ধরে হাত-পা বেঁধে প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ষড়যন্ত্রের আঘাতে পঙ্গুত্ববরণ করে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পরিকল্পিতভাবে তাঁকে দেশে ফিরতে দেয়নি। চাইলে তিনি নীরবে প্রবাসে জীবন কাটাতে পারতেন, কিন্তু একটি ছোট কেবিনে বসে নিরলসভাবে তিনি সারা দেশে জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটিয়েছেন। এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ৫ আগস্টের বিপ্লব সম্ভব হয়েছে।
এর আগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্রদলের নিজস্ব স্ট্যান্ডে এসে মিলিত হয়। এ সময় অন্যদের মাঝে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদল আপনার মতো ‘ফুটেজখোর’ সালাহউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ।
শাকিলুর রহমান আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে স্বাগতমিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের উদ্দেশে ছাত্রদল নেতার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সালাহউদ্দিন আম্মার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন।
সমাবেশে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের পর ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রবেশ করবেন না, সবার সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এরপর যারা মব সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, বাংলার বাতাসে যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ ছিল, তা উপেক্ষা করে বাংলার গণমানুষের শক্তির ওপর ভর করে অনেক বছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। দেশের মানুষের মঙ্গল, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যেই তাঁর এই প্রত্যাবর্তন।
সুলতান আহমেদ আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা মানেই অপসংস্কৃতি ও মব কালচারের অবসান। এটি অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের স্বপ্নকারীদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় এবং দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সূচনা। এ ছাড়া ২৫ ডিসেম্বরের পর যারা মব সৃষ্টি করবে, তাদের ধরে হাত-পা বেঁধে প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ষড়যন্ত্রের আঘাতে পঙ্গুত্ববরণ করে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পরিকল্পিতভাবে তাঁকে দেশে ফিরতে দেয়নি। চাইলে তিনি নীরবে প্রবাসে জীবন কাটাতে পারতেন, কিন্তু একটি ছোট কেবিনে বসে নিরলসভাবে তিনি সারা দেশে জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটিয়েছেন। এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ৫ আগস্টের বিপ্লব সম্ভব হয়েছে।
এর আগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্রদলের নিজস্ব স্ট্যান্ডে এসে মিলিত হয়। এ সময় অন্যদের মাঝে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

দুর্গম গ্রামগুলো বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০ / ১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৭ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছেন না।
১০ জুন ২০২২
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলার সদর ইউনিয়নের ইলাসপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌরাস্তা অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে দুই অটোচালকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। জিহাদুল বিষয়টি সমাধান করতে গেলে অটোচালক নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। স্থানীয় লোকজন বিবাদ থামিয়ে উভয় পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর অটোচালক নিজাম উদ্দিন দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁর লোকজন নিয়ে এসে জিহাদুলের ওপর হামলা করেন। এ সময় জিহাদুলের পক্ষের লোকজনও তাঁদের প্রতিহত করেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন শাবল দিয়ে জিহাদুলকে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জিহাদুলকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জিহাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়াকে কেন্দ্র করে অটোচালক নিজাম উদ্দিন ও জিহাদুলের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই জমি-সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। জিহাদুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলার সদর ইউনিয়নের ইলাসপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌরাস্তা অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে দুই অটোচালকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। জিহাদুল বিষয়টি সমাধান করতে গেলে অটোচালক নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। স্থানীয় লোকজন বিবাদ থামিয়ে উভয় পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর অটোচালক নিজাম উদ্দিন দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁর লোকজন নিয়ে এসে জিহাদুলের ওপর হামলা করেন। এ সময় জিহাদুলের পক্ষের লোকজনও তাঁদের প্রতিহত করেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন শাবল দিয়ে জিহাদুলকে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জিহাদুলকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জিহাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়াকে কেন্দ্র করে অটোচালক নিজাম উদ্দিন ও জিহাদুলের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই জমি-সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। জিহাদুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

দুর্গম গ্রামগুলো বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০ / ১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৭ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছেন না।
১০ জুন ২০২২
কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
৫ মিনিট আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার সরকার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
প্রদ্যুৎ কুমার সরকার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে।
গতকাল রোববার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রদ্যুৎ কুমারের বাবা পল্লিচিকিৎসক গোপাল চন্দ্র সরকার মারা যান। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ প্যারোলে মুক্তি পান প্রদ্যুৎ কুমার। বেলা প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি নিয়ে বেলা ৩টার দিকে তিনি নিজ গ্রামে আসেন। পরে পুলিশি প্রহরায় বাড়ির পাশে বাবার দাহকর্মে অংশ নেন তিনি।
প্রদ্যুৎ কুমারের ছোট ভাই সুকেশ কুমার জানান, বাবার মৃত্যুর পর প্যারোলে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত আবেদন করলে বেলা
১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি পান তাঁর ভাই।
জানা গেছে, এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর নগরীর ভাড়া বাসা থেকে প্রদ্যুৎ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা থানা থেকে অংশ নিয়েছিলাম। বিস্তারিত তথ্য জেলা পুলিশের হাতে ছিল। তারাই সব বলতে পারবে।’

রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার সরকার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
প্রদ্যুৎ কুমার সরকার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে।
গতকাল রোববার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রদ্যুৎ কুমারের বাবা পল্লিচিকিৎসক গোপাল চন্দ্র সরকার মারা যান। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ প্যারোলে মুক্তি পান প্রদ্যুৎ কুমার। বেলা প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি নিয়ে বেলা ৩টার দিকে তিনি নিজ গ্রামে আসেন। পরে পুলিশি প্রহরায় বাড়ির পাশে বাবার দাহকর্মে অংশ নেন তিনি।
প্রদ্যুৎ কুমারের ছোট ভাই সুকেশ কুমার জানান, বাবার মৃত্যুর পর প্যারোলে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত আবেদন করলে বেলা
১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি পান তাঁর ভাই।
জানা গেছে, এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর নগরীর ভাড়া বাসা থেকে প্রদ্যুৎ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা থানা থেকে অংশ নিয়েছিলাম। বিস্তারিত তথ্য জেলা পুলিশের হাতে ছিল। তারাই সব বলতে পারবে।’

দুর্গম গ্রামগুলো বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০ / ১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৭ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছেন না।
১০ জুন ২০২২
কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
৫ মিনিট আগে
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নারী হলেন শারমিন আক্তার। বাবার বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে। পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মানরা গ্রামের শহীদ হোসেনের সাবেক স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর শারমিন আক্তার ও শহীদ হোসেনের তালাক সম্পন্ন হয়। কাবিনের অর্থ ও এক সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ শারমিনকে ১৪ লাখ টাকা দেন শহীদ হোসেন। এর দুই দিন পর (১৯ নভেম্বর) তালাকের বিষয়টি গোপন করে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেন শারমিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি শহীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
গতকাল রোববার দুপুরে আসামি শহীদ ও বাদী শারমিন আদালতে হাজির হন। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে মামলাটি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা করার দায়ে শারমিনকে এক দিনের কারাদণ্ড দেন বিচারক মামুন হাসান খান।
খালাসপ্রাপ্ত শহীদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দাম্পত্যকলহের কারণে সংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে স্ত্রীর সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে তালাক হয়ে যায় এবং আর্থিক দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।
আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বাদী শারমিন আক্তার দাবি করেন, তিনি কাবিনের টাকা পেয়েছেন। তবে আগে চাকরি বাবদ শহীদ তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি মামলা করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আদালতের বিচারক ওই নারীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামি শারমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নারী হলেন শারমিন আক্তার। বাবার বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে। পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মানরা গ্রামের শহীদ হোসেনের সাবেক স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর শারমিন আক্তার ও শহীদ হোসেনের তালাক সম্পন্ন হয়। কাবিনের অর্থ ও এক সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ শারমিনকে ১৪ লাখ টাকা দেন শহীদ হোসেন। এর দুই দিন পর (১৯ নভেম্বর) তালাকের বিষয়টি গোপন করে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেন শারমিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি শহীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
গতকাল রোববার দুপুরে আসামি শহীদ ও বাদী শারমিন আদালতে হাজির হন। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে মামলাটি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা করার দায়ে শারমিনকে এক দিনের কারাদণ্ড দেন বিচারক মামুন হাসান খান।
খালাসপ্রাপ্ত শহীদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দাম্পত্যকলহের কারণে সংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে স্ত্রীর সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে তালাক হয়ে যায় এবং আর্থিক দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।
আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বাদী শারমিন আক্তার দাবি করেন, তিনি কাবিনের টাকা পেয়েছেন। তবে আগে চাকরি বাবদ শহীদ তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি মামলা করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আদালতের বিচারক ওই নারীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামি শারমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুর্গম গ্রামগুলো বৃষ্টি শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও দেখা দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ১০ / ১২ জন করে ম্যালেরিয়া ও জ্বরের রোগী রয়েছে। গত পাঁচ দিনে শিশুসহ ১৭ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বেশি দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষ হাসপাতালে আসতে পারছেন না।
১০ জুন ২০২২
কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
৫ মিনিট আগে
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগে