Ajker Patrika

২৭ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি চট্টগ্রামে নালায় হারিয়ে যাওয়া সালেহ আহমেদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
২৭ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি চট্টগ্রামে নালায় হারিয়ে যাওয়া সালেহ আহমেদের

প্রবল বৃষ্টিতে গতকাল চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সড়ক ও পাশের নালা একাকার হয়ে যায়। এ সময় মুরাদপুর মোড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে নালায় হারিয়ে যান ৫০ বছর বয়সী পথচারী সালেহ আহমেদ। ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পেড়িয়ে গেলেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। তাঁর সন্ধান পেতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। 

আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, সালেহ আহমদ মুরাদপুর মোরে হারিয়ে গেলে এর আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ২৭ ঘণ্টা পেড়িয়ে গেলেও তাঁরা সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযানের ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় এখন ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে কটিবের হাটের চানমিয়া রোড এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। 

জানা যায়, গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় নগরীর মুরাদপুর মোড়ের সড়ক পাড় হচ্ছিলেন সালেহ আহমদ। অতিবৃষ্টির কারণে সড়কে পানি জমে থাকায় সব জায়গা একই রকম মনে হচ্ছিল। এতে তিনি পাশের একটি অরক্ষিত নালায় পরে স্রোতের সঙ্গে হারিয়ে যান। এ ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলসহ স্থানীয়রা চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও তাঁকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। 

নিখোঁজ সালেহর ভাতিজা রুবায়েত হাসান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল সকালে ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি নিয়মিত সেখানে যেতেন বলেও উল্লেখ করেন রুবায়েত।

রুবায়েত বলেন, তিনি ৪-৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরীতে বাস করছেন। চকবাজারে থাকতেন। অবশ্য ওনার পরিবারের সদস্যরা পটিয়ার গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। ওনার দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। চকবাজার এলাকায় তিনি সবজি বিক্রি করতেন। 

বাবার নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে ওনার ছেলে সাদেকুল্লাহ মাহিন শহরে ছুটে আসেন। পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য এখানে রয়েছেন। 

জানা যায়, নিখোঁজ ওই ব্যক্তি নালায় ডুবে যাওয়ার ঘটনা স্থানীয় একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। পরে এটা ফেসবুকে পোস্ট করেন একজন। মুহূর্তেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। ফেসবুক দেখে ডুবে যাওয়ার লোকটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। 

ফুটেজে দেখা যায়, নালাটিতে কোনো স্ল্যাব ছিল না। নালায় উপচে পড়া পানি থাকায় ভালোভাবে পথও চেনা যাচ্ছিল না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ব্যবসায়ী নিহত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকামুখী কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মো. জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া (৬৮) নামের এক ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

নিহত জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখিল এলাকার বাসিন্দা এবং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলাল হাটের ভূঁইয়া মেটালের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে শুকলাল হাটের রাস্তা পারাপারের সময় তিনি কাভার্ড ভ্যানের নিচে চাপা পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাকির রাব্বানী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহত ব্যক্তির মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুর

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
গতকাল রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে ভাঙচুর করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে ভাঙচুর করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কুষ্টিয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও সাধারণ জনতা মিছিল করে। মিছিলকারীরা পরে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি শেষ হয় এবং রাত ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে প্রথম আলো অফিসসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘এ ধরনের কিছু খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অরাজকতা রোধে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুকায় পিটিয়ে হত্যার পর যুবকের মরদেহে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৪
বিক্ষুব্ধ জনতা নিহত ব্যক্তির মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিক্ষুব্ধ জনতা নিহত ব্যক্তির মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দিপু চন্দ্র দাসকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ক্ষমা না চাওয়ায় ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানার ভেতরে ও বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে তোপের মুখে কর্তৃপক্ষ দিপু চন্দ্রকে বের করে দিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া হয়।

পুলিশ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে রাত আড়াইটার দিকে দিপু চন্দ্র দাসের মরদেহ মর্গে পাঠায়।

ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তেজিত জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। শুনেছি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজন তাকে ডেকে নিলে শত শত লোক তাকে আক্রমণ করে। এখন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আসলে মামলা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো কার্যালয়ে পুলিশের ব্যারিকেড, সিআইডির নমুনা সংগ্রহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী কারওয়ান বাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ভবনের সামনে চারপাশে হিসেবে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।

আজ শুক্রবার সকালে জমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করার জন্য প্রথম আলো ভবনে এসেছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ সময় সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত