Ajker Patrika

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের সভায় যেতে বারণ করে উপাচার্যের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
উপাচার্য ড. শুচিতা শরমীন (বায়ে), সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী। ছবি: সংগৃহীত
উপাচার্য ড. শুচিতা শরমীন (বায়ে), সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একাডেমিকবিষয়ক সভা ডেকেছেন আগামীকাল রোববার। দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পর নোটিশ দিয়ে এ ধরনের সভা ডাকলেন তিনি। কিন্তু ওই সভায় চেয়ারম্যানদের যেতে বারণ করেছেন উপাচার্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পাল্টা এক নোটিশে এ ধরনের সভা বিধিবহির্ভূত দাবি করে সহ-উপাচার্যের নোটিশ আমলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগের চেয়ারম্যানকে।

অবশ্য সহ-উপাচার্য রব্বানীর মতে, আইন অনুযায়ী একাডেমিকবিষয়ক সভা ডাকা তাঁর দায়িত্ব। কিন্তু উপাচার্য দীর্ঘ তিন মাসেও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি।

৫ ফেব্রুয়ারি সহ-উপাচার্য গোলাম রব্বানীর জারি করা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রোববার, ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সহ-উপাচার্যের অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

অন্যদিকে উপাচার্যের নির্দেশক্রমে পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পাল্টা নোটিশে বলা হয়, ‘আপনারা অবগত আছেন যে, আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন উপাচার্য। তাঁর নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো পত্র কোনো দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করতে পারেন না। যদি কেউ এ রকম পত্র প্রেরণ করেন, তা বিধিবহির্ভূত। সংগত কারণে সহ-উপাচার্যের নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটি নিয়মবহির্ভূত। ওই পত্রটি কোনোভাবেই আমলে না নেওয়ার জন্য উপাচার্যের নির্দেশে অনুরোধ করা হলো।’

এ বিষয়ে ববির মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহ-উপাচার্য শিক্ষকদের নিয়ে এমন একটি সভা করতেই পারেন। এ জন্য পাল্টা চিঠি রেজিস্ট্রার কেন দিলেন? দুই দপ্তর থেকে দুটি চিঠি দেওয়া শিক্ষকদের জন্য বিব্রতকর।’

কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক হাফিজ আশরাফুল হক বলেন,  উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিঠি দিয়ে সহ-উপাচার্যের একাডেমিক সভায় না যেতে শিক্ষকদের চাপ দিয়েছেন। সহ-উপাচার্যের কাজই তো শিক্ষকদের নিয়ে একাডেমিক সেক্টর গতিশীল করা। কেউ না গেলেও তিনি ওই সভায় যাবেন বলে জানান।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক দায়িত্ব পালন করবেন সহ-উপাচার্য। কিন্তু উপাচার্য একাডেমিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দেখভাল ও দায়িত্ব পালনে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সভার আহ্বান করেছি। কিন্তু এই চিঠির বিপরীতে রেজিস্ট্রার প্রেরিত চিঠি বিধিসম্মত হয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য ড. শুচিতা শরমীনকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। পাল্টা নোটিশের বিষয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপাচার্য যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমি নোটিশ দিয়েছি। কেননা আমি উপাচার্যের সচিব। উপাচার্যের আদেশ-নির্দেশ শোনাই আমার কাজ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএমএমইউতে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে যা বললেন প্রাণ গোপালের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা

বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব: গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী

স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ কেন হচ্ছে না, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

কত টাকা বেতন পান নাসার মহাকাশচারীরা

জামিনে বেরিয়েই ছদ্মনামে হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ডিবি হেফাজতে’ মৃত এজাজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত