Ajker Patrika

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও দুশ্চিন্তায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল

বাবুগঞ্জ (বরিশাল), প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ০০
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও দুশ্চিন্তায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল

করোনার সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনার প্রকোপ কমে আসায় দীর্ঘ দেড় বছর পর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও এখনো দুশ্চিন্তা কাটেনি কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর।

বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান চললেও প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ খালি পড়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ, অক্ষর ও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে সাজানো এসব কক্ষ। কিন্তু সেখানে নেই কোনো শিক্ষার্থী। ফলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের কক্ষ।

এই সময়ে বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে সবচেয়ে বেশি বিপাকে। এমনকি করোনাকালে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধও হয়ে গেছে। 

বাবুগঞ্জের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকেরা বলেন, 'সরকারি নিয়ম মোতাবেক এখন দুই ঘণ্টা শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ। মূলত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এই তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে চলে। স্কুল বন্ধ, তাই শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারে ভিড় করছে। এর ফলে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।' 

এ ছাড়া সরকারি, বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা বৈশাখী বোনাস, ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেলেও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকেরা কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এ বিষয়ে কিন্ডারগার্টেন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি অনুদান ছাড়া শুধু অভিভাবকদের দেওয়া বেতনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো পরিচালিত হয়। দেড় বছরের অধিক সময় ধরে বন্ধ থাকায় টিউশন ফি (শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন) পাচ্ছে না এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বকেয়া হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানের বাড়িভাড়া। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শিক্ষকসহ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কর্মচারী ও তাঁদের পরিবার। এতে মানসিক পীড়ন ও অর্থনৈতিক চাপে পথে বসেছেন অনেক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ। 

কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকেরা বলেন, `কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে মাসিক বেতন সামান্য হলেও টিউশন ও কোচিং পড়িয়ে কোনো রকম সংসার চালান তাঁরা। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় টিউশন ও কোচিং বন্ধ রয়েছে। ফলে আমাদের বাড়তি রোজগারের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন।' 

এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুল সংগঠনের নেতারা বলেন, গত বছরের মার্চ মাস থেকে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান চালাতে অনেক খরচ হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের বেতন ও ভবনের ভাড়া দিতে পারছেন না। তাই এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

বরিশাল কিন্ডারগার্টেন ফোরামের নির্বাহী সদস্য ও ইসলামি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের (কিন্ডারগার্টেন) চেয়ারম্যান শেখ নজরুল ইসলাম মাহাবুব বলেন, 'বাবুগঞ্জ উপজেলায় ২৫টির অধিক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আবার দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠান খুললেও প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুল বন্ধ।'

শেখ নজরুল ইসলাম মাহাবুব আরও বলেন, 'সরকারি ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা প্রণোদনা ও সহযোগিতা পেলেও আমাদের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সংশ্লিষ্টরা কিছু পায় না। অভিভাবকেরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেতন দিচ্ছেন না। প্রায় পাঁচটির মতো কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে সরকারি সহায়তা প্রত্যাশা করছি।' 

উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের বন্ধ হয়ে যাওয়া ফুলকুড়ি আদর্শ  কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক মো. আরিফ হোসেন লিমন বলেন, 'করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় অভিভাবকেরা বেতন দিচ্ছেন না। ফলে শিক্ষকদেরও বেতন দিতে পারছি না। তাই অনেক শিক্ষক অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন।' 

কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো. ফয়সাল মাহমুদ বলেন, 'দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে জীবিকার টানে শহরমুখী হয়েছি। এখন শহরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি।' 

বাবুগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক বলেন, 'ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে এলে আমাদের ভালো লাগে। তাদের মূলত খেলাধুলার মধ্য দিয়ে অক্ষরগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা আসছে না। আমরা আশাবাদী, শিগগিরই তারা স্কুলে ফিরবে।'  

এ বিষয়ে কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, 'বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহী। করোনার এই সময়ে এই ছোট বাচ্চারা স্কুলে না গেলেও তারা ঠিকই আমাদের সঙ্গে বাইরে বের হচ্ছে। তাই শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত