Ajker Patrika

বরিশালের প্ল্যানেট ওয়ার্ল্ড

ফি বাড়লেও বাড়েনি সুবিধা

  • প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের হাত ধরে শিশুপার্কের যাত্রা। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী ও সাবেক এমপি জেবুন্নেসা পার্কটির দায়িত্ব নেন
  • বাড়েনি পার্কের রাইড কিংবা সেবা। বাড়ানো হয়েছে প্রবেশ ও রাইডের ফি
  • কর্মচারীদের দেওয়া হয়নি নিয়োগপত্র। কথায় কথায় ছাঁটাইয়ের অভিযোগ কর্মচারীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল মহানগরের বান্দ রোডে প্ল্যানেট ওয়ার্ল্ড শিশুপার্কের নাগরদোলায় উঠেছেন কিছু দর্শনার্থী। গতকাল তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা
বরিশাল মহানগরের বান্দ রোডে প্ল্যানেট ওয়ার্ল্ড শিশুপার্কের নাগরদোলায় উঠেছেন কিছু দর্শনার্থী। গতকাল তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের গড়ে তোলা প্ল্যানেট ওয়ার্ল্ড শিশুপার্কটি চরম অব্যবস্থাপনায় চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রবেশসহ সব রাইডের ফি বাড়লেও বাড়েনি রাইড ও সেবা। এ নিয়ে আছে দর্শনার্থীদের অভিযোগ। এখন পার্কের কর্মচারীরাও নিয়োগপত্র না পাওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন।

নগরের বান্দ রোডে বরিশাল সিটি করপোরেশনের জমি লিজ নিয়ে শওকত হোসেন হিরন ২০০১ সালে গড়ে তোলেন প্ল্যানেট ওয়ার্ল্ড শিশুপার্ক। শুরুতে এটি দর্শনার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। হিরনের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ও সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ পার্কটির দায়িত্ব নেন। আফরোজের নেতৃত্বে তিনজন পরিচালক পার্ক পরিচালনা করছিলেন।

জেবুন্নেসা ১৬ মে গ্রেপ্তার হন। অবশ্য তার আগেই গত বছরের ৫ আগস্টে পটপরিবর্তনের পর পার্কটির লিজ নেওয়া হয় পরিচালক সালাউদ্দিন কবির ও মহসীনা শহীদ নীলার নামে। এরপর পার্কে প্রবেশ ফি ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা এবং প্রতিটি রাইডের ফি ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দর্শনার্থীরা।

গতকাল শুক্রবার পার্কে ঘুরতে যাওয়া আসমা আক্তার নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘রাইডগুলোর ফি বাড়ানো হলেও সেবা বাড়েনি। বরং সেবার মান আরও কমে গেছে। ঘরে থাকতে থাকতে বাচ্চারা হাঁপিয়ে ওঠে, তাই নিয়ে আসি।’

দর্শনার্থী প্রবেশ এবং রাইডে চড়ার টিকিটের দাম বাড়লেও সুবিধা না বাড়ানো প্রসঙ্গে পার্কের পরিচালক মহসীনা শহীদ নীলা বলেন, আমরা রাইডের সংখ্যা বাড়িয়েছি।’

এদিকে, জেবুন্নেসা গ্রেপ্তারের পর কর্মচারীদের অসন্তোষ অনেকটা প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। পার্কের ৩৬ কর্মচারী বেতন, নিয়োগপত্র, ওভারটাইম, সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে নানা জটিলতায় ভুগছেন। এসব নিয়ে কথা বললেই পরিচালক সালাউদ্দিন কবির ও ম্যানেজর সোহরাব আলী তাঁদের ছাঁটাইয়ের হুমকি দেন।

কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ২১ মে ম্যানেজার সোহরাব আলীর কাছে বেতন বৃদ্ধি এবং নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। কিন্তু সোহরাব সাফ জানিয়ে দেন, এখন কোনো কিছুই সম্ভব নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী অভিযোগ করেন, এই পার্কে দীর্ঘদিন যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের বেতন বাড়ে না। এখানে সর্বনিম্ন বেতন ৬ হাজার টাকা। তাঁদের ৩৬ স্টাফের কোনো নিয়োগপত্র নেই। অথচ ২ নারীকে সম্প্রতি নিয়োগপত্র দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বেতনও বেশি। ওভারটাইম ঘণ্টায় মাত্র ৫০ টাকা। আমাদের মে দিবসেও ছুটি নেই। তার ওপর ম্যানেজার সোহরাব ও ফোরম্যান জলিল ঠুনকো কারণে হয়রানি করে, ছাঁটাই করে। ইতিমধ্যে সোহাগ, হুমায়ুন কবির ও ইব্রাহিম নামের তিনজনকে ছাঁটাই করা হয়।

পরিচালক কবিরের পিস্তলের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না বলে জানান অপর এক কর্মচারী।

জানতে চাইলে পার্কের পরিচালক মহসীনা শহীদ নীলা বলেন, কর্মচারীরা নিয়োগপত্র কিংবা বেতন বৃদ্ধির কথা লিখিত কিংবা মৌখিকও জানাননি। কর্মচারীদের হয়রানি ও হুমকিধমকির কথাও শোনেননি বলে জানান নীলা।

প্ল্যানেট ওয়ার্ল্ডের ম্যানেজার সোহরাব আলী জানান, তাঁরা যেমন দর্শনার্থী প্রবেশ ও রাইড টিকিট বাড়িয়েছেন, তেমনি সরকারও সব বাড়িয়ে দিয়েছে। সিটি করপোরেশনের শর্ত অনুযায়ী তাঁরা প্রবেশ ফি নিচ্ছেন। কিন্তু রাইডের ফি তাঁরা নির্ধারণ করেন।

কর্মচারীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মচারীদের নিয়োগপত্র ও বেতন বৃদ্ধির জন্য কথাবার্তা চলছে। মালিকপক্ষকে জানিয়েছি। কর্মচারীরা নিয়োগপত্রের পাশাপাশি কেউ কেউ বেতন বাড়াতে বলছেন। কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ছাঁটাই করা হয়, অন্যথায় চাকরি কারও যায়নি। বেতন অনুযায়ী ওভারটাইম দেওয়া হয়।

বিসিসির হাটবাজার শাখার প্রধান নুরুল ইসলাম বলেন, পার্কের লিজের শর্ত অনুযায়ী প্রবেশ ফি তাঁরা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু রাইডের ফির ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো বিধিনিষেধ নেই।

এ প্রসঙ্গে পার্কের পরিচালক সালাউদ্দিন কবির বলেন, তাঁরা পার্টটাইম কাজ করেন, কিসের নিয়োগপত্র? বেতন আর বাড়ানো সম্ভব নয়। সবকিছুর চার্জ বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা রাইড ও গেটের টিকিট ফি বাড়িয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, পার্কে দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের অধিকার বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট দপ্তর দেখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আমনের বাম্পার ফলনেও মুখে হাসি নেই কৃষকের, বাজারে ধানের দাম কমায় হতাশা

মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
জমির ধান কাটছেন কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জমির ধান কাটছেন কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।

কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।

বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।

কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত