Ajker Patrika

আয়েশাদের বাড়ির আঙিনায় মিয়ানমারের গুলি

আমানুর রহমান রনি, উখিয়া, কক্সবাজার থেকে
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯: ২৪
আয়েশাদের বাড়ির আঙিনায় মিয়ানমারের গুলি

আয়েশা বেগম। সত্তরোর্ধ্ব এই নারী ভালো করে দাঁড়াতে পারেন না। কথা বলতে গেলে শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বলেন। তাও তাঁর স্বর যেন বের হতে চায় না, কথা বলার সময় শরীর কাঁপে। কেঁপে কেঁপে যা বললেন, তা যেন সব সীমান্তবাসীর কথা।

এই নারীর বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া থানার রহমতের বিল নামক মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায়। গত মঙ্গলবার (‍৬ ফেব্রুয়ারি) রাখাইনে আরকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ বলতে গেলে তাঁর বাড়ির সামনেই ঘটে।

আয়েশা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী কাদের বসু মারা গেছেন বছর দশেক আগে। বড় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই তাঁর বাস। মেয়েকে বিয়ে দিলেও নিজের কাছেই রেখেছেন। বড় ছেলেও থাকেন তাঁর সঙ্গে। মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির মতো গুলির শব্দ পান। কোনো রকমে সেদিন রাত পার করেন। সকালে বাংলাদেশ সীমান্ত সড়কের ওপর দিয়ে বুলেট তাঁর ঘরে এসে পড়ে।

আয়েশা বেগম বাড়িতে এসে পড়া গুলি হাতে নিয়ে দেখিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্ন করেন, ‘এই গুলির দানা যদি কারও মাথায় বা গায়ে লাগে, তাহলে সে কি আর বাঁচবে?’ সেদিনই বাড়ি ছেড়ে বালুখালী চলে যান তিনি। পরদিন গোলাগুলি থামার পর বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি।

রহমতের বিলের উত্তরপাড়ার আরেক বাসিন্দা পারভিন আক্তার কাপড় গুছিয়ে বস্তায় ভরে রেখেছেন। দুই দিন বালুখালীতে ভাইয়ের বাড়িতে ছিলেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত যেন ভাইয়ের বাড়িতে যেতে পারেন, সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি।

পারভিন আক্তার বলেন, ‘দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে এখানে কোনোভাবেই থাকা সম্ভব নয়। গুলির শব্দে মাটিতে শুয়ে ছিলাম এক দিন। এরপর আমার ভাই খবর দিলে ভাইয়ের বাসায় চলে যাই।’

কখন এলাকা ছাড়তে হয় তাই বস্তায় কাপড় ভরে প্রস্তুত হয়ে আছেন পারভিন আক্তার। ছবি: আজকের পত্রিকারাখাইনে চলমান যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে এ রকমের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তবর্তী অন্তত ৫ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র বা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, তমব্রু, ঘুমধুম এলাকার লোকজন কেউ কেউ গত বুধবার থেকে বাড়ি ফেরা শুরু করেছে।

বর্তমানে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকার মিয়ানমার অংশে যুদ্ধ চলছে। আরকান আর্মিরা বান্দরবান এলাকার সীমান্তবর্তী থেকে রাখাইন রাজ্যে বিজিপি ঘাঁটি ও বিওপি দখল করতে করতে মংডুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই দুই তিন-দিন টেকনাফ সীমান্ত অঞ্চলে বড় ধরনের গোলাগুলির আশঙ্কা রয়েছে।

সীমান্তে এই গোলাগুলির কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন কৃষকেরা। মাঠভর্তি ফসল, কিন্তু জমির কাছে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। এরই মধ্যে সীমান্তের ওপার থেকে ছুটে আসায় গুলিতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েকজন।

রহমতের বিল এলাকার রহমতের বিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কামাল উদ্দিন মিয়াজী বলেন, ‘আমাদের জমিজমা সব সীমান্তবর্তী এলাকায়, কৃষকেরা কাজ করতে পারছেন না, সন্তানেরা বাইরে নামতে পারছে না, স্কুলে যেতে পারছে না, স্কুল বন্ধ। মানুষ নিজের ঘরেও নিরাপদ নয়।’

কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তের হাজার হাজার মানুষ আতঙ্ক নিয়ে ঘরে থাকছে। কত দিন কোথায় গিয়ে থাকবে মানুষ! এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। সরকারের উচিত মিয়ানমারকে জানিয়ে দেওয়া যে, গোলাগুলি যেন বাংলাদেশে না আসে।’

গোলাগুলির কারণে লাখ লাখ টাকার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেক কৃষক। বীজতলায় কেউ কেউ পানি দিতে পারছেন না। বিজিবি কৃষকদের সীমান্তবর্তী আবাদি জমিতে যেতে নিরুৎসাহিত করছে। তমব্রুর মধ্যমপাড়ার কৃষক মো. তৈয়ব আলী বলেন, ‘১২ থেকে ১৩ বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। বাদাম, বেগুন এবং মরিচ চাষ করেছি। বাদাম তোলার সময় হয়েছে কিন্তু তুলতে পারছি না। সময়মতো বাদাম তুলতে না পারলে সব বাদামে গাছ জন্মাবে অথবা ইঁদুরে কেটে ফেলবে। বেগুন লাগানোর পর আর তুলতে পারিনি। কবে খেতে যেতে পারব তাও জানি না।’

বাড়িতে এসে পড়া বন্দুকের গুলি দেখাচ্ছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে পরিস্থিতির উন্নতির কোনো আশা দেখছে না প্রশাসনও। তবে বাংলাদেশ অংশে যেন গোলাবারুদ বা গোলার অংশ না আসে, সে জন্য বিজিবি কাজ করছে। বুধবার দুপুরে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী সদস্যদের (বিজিপি) ফেরত দেওয়ার জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পত্রালাপ চলছে। মানবিক কারণে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, যত দ্রুত সম্ভব ফেরত দেওয়া হবে।

বিজিবি-প্রধানের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত ২৬৪ বিজিপি সদস্যকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ৩২৭ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাঁদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ সাপেক্ষে নিরাপদ আশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবির ৬ ডিনের পদত্যাগ দাবি: ভিসি, প্রো-ভিসির দপ্তরে তালার পর সভা, সিদ্ধান্ত রাতে

প্রতিনিধি রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তালাবদ্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ এ সভায় বসেন।

তবে রাতে আরও একটি সভা হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি, তারা তাদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে সকলের সম্মতিতে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে ৭টার দিকে আরেকটা সভা ডাকা হয়েছে।’

সূত্রে জানা গেছে, সময়সীমা অনুযায়ী ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ ও উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীবের সিদ্ধান্তে তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে তাঁদের পদত্যাগের দাবি তোলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার।

সকাল ১০টার দিকে এই দাবিতে ডিনস কমপ্লেক্সে যায় শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত ওই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। যদিও এ দিন ডিনদের কেউ বিভাগের ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না।

বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন।

একপর্যায়ে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান এবং তালা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘এটা কি নতুন বাংলাদেশ! আমরা কি আন্দোলন করিনি, শুধু তোমরাই করেছ? কী পেয়েছ?’

প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ থাকার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খুলে দেওয়া হয়। পরে উপাচার্য কনফারেন্স কক্ষে এক সভায় বসেন তাঁরা।

সভায় রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আপনারা আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। আমরা প্রতিদিন তালা দিতে আসতে পারব না। আপনারা যেটাকে মব বলেন, অবশ্যই এটা আমাদের কাছে আন্দোলন। ‎ডিনদের তো অপসারণ করতেই হবে। এই ১৭ তারিখের পর দায়িত্বে বহাল থাকার সাহস তারা প্রশাসন থেকেই পেয়েছে।’

‎উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন (শিক্ষা) বলেন, ‘তাদের এখনো দায়িত্বে রাখা হয়েছে, কারণ, সমাবর্তনের কারণে আমরা নির্বাচন করতে পারি নাই। আবার একই সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিষয়টা এত দূর না নিয়ে আসলেও পারত। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আগেই ডেকেছি, সুতরাং, সিদ্ধান্ত হয়েই আছে তাদের বিষয়ে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‎উপ-উপাচার্য বলেন, ‘তোমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সুতরাং, দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। তোমাদের শব্দ চয়ন ও কার্যক্রমও তেমন হওয়া উচিত।’

উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দিন (প্রশাসন) বলেন, ‘বিপ্লবীদের ঐক্য জাতির জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে, একইভাবে বিপ্লবীদের বিভাজন জাতিকে অনিরাপদ করে তুলবে। আমাদের ক্যাম্পাসের বিপ্লবীরাও নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও আমরা দেখেছি, নির্বাচন না হওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা সময় শেষের পরেও দায়িত্বে পূর্ণ বহাল ছিল। এটা অনেক আগে থেকেই ঘটে আসছে। আমাদেরও ব্যর্থতা আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উদীচীতে হামলা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে একদল বিক্ষুব্ধ মানুষ। বিক্ষোভের মধ্যে ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। পরদিন শুক্রবার রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালকে পালাতে সাহায্যকারী দুজন ফের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুই ব্যক্তি হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

আজ বিকেলে সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুজনকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ।

১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে। সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।

১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, বৃদ্ধ নিহত

শেরপুর প্রতিনিধি 
সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু বক্কর রাংটিয়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন তিনি। আহত ব্যক্তিরা হচ্ছে সিফাত (২০), কবিতা খাতুন (১৫) ও সিনহা খাতুন (১০)। তারা মোটরসাইকেল দুটির আরোহী ছিল। আহত ব্যক্তিদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে দুই দিক থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্করকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। দুর্ঘটনার পরপরই অন্য মোটরসাইকেলের চালক সিজন (২১) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত