শাবিপ্রবির পিএমই বিভাগ
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ ও সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এসব উপেক্ষা করে গত বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ওই শিক্ষককে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছরের ১১ জুন ‘কম যোগ্য প্রার্থীকেও ডাকা হলো শাবির ভাইভায়’ এবং ২২ আগস্ট ‘আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সেই প্রার্থী এখন শাবির শিক্ষক’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে পাঁচজন আবেদন করেন। ভাইভা দেন চারজন। তাঁদের মধ্যে মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ-৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ-১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ-৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই পিএমই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. তাজবিউল ইসলামকে।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৫তম সিন্ডিকেট সভায় বলা হয়, পিএমই বিভাগে প্রভাষক পদে তাজবিউল ইসলামকে নিয়োগের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে কেন তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি লিখিত জবাব প্রাপ্তির পর সে বিষয়ে আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে গত বুধবার কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তাজবিউলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থাৎ ২৭-১১-২০২৪ তারিখ থেকে কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিত রয়েছেন মর্মে বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন। কর্মস্থলে আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আপনাকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় আপনার অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএমই বিভাগসংশ্লিষ্টরা জানান, রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে এমন চিঠি ইস্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন পিএমই বিভাগের শিক্ষকেরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার লিখিত দেওয়ার পরও কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটা জানতে চান তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শাবিপ্রবির উপাচার্যের (ভিসি) অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পিএমই বিভাগের ১১ শিক্ষক, ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ছাড়াও একজন সাবেক ভিসি এবং আরেকটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও সব শিক্ষক সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এখন এটা আসতে যদি ঢিলেমি হয়, এর সাথে জড়িত বিশেষ দুষ্টচক্রের বিচার চাই আমরা। আমরা সিন্ডিকেটের রেজল্যুশন পাওয়ার আগেই বা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখতেছে। এই জিনিসগুলো খুব সন্দেহজনক এবং এটাকে আমরা আশ্চর্যজনক মনে করছি। কারণ হলো, এখানে কেন মন্ত্রণালয় বা অন্যদের এত আগ্রহ। এটা নিয়ে আমরা আসলে খুব শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। এটা নিয়ে আসলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ, এখনো ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান এর বিরুদ্ধে।’
বৈঠকে ভিসি কী বললেন জানতে চাইলে পিএমইর প্রধান বলেন, ‘তিনি আমাদের বললেন বিষয়টি একটু আস্তে (ধীরে) চাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা তাঁকে বলে এসেছি, যদি তাঁকে মিনিস্ট্রির চাপে রাখতে হয়, তাহলে রাখেন। বাট তাকে নিয়ে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষা কার্যক্রম চালাইতে পারব না। তাকে আমি ডিপার্টমেন্টে জয়েন করিয়ে ক্লাসে দিলে, আমি একেবারেই নিশ্চিত, একটা ঝামেলার সৃষ্টি হবে। এই ঝামেলায় আমি যেতে চাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে তাজবিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি। একইভাবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারও কল রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও তো জয়েন অবস্থায় আছে আওয়ামী লীগের সময়কাল থেকে। এটা নতুন করে জয়েন করার কিছু নাই। আমরা নিয়মের মধ্যেই আছি। সে তো বেতন নিচ্ছে, আমরাও বেতন বন্ধ করি নাই। কেন সে আসতেছে না, ক্লাস নিতেছে না। ও তো দীর্ঘদিন ধরে কোনো না কোনো কারণে অনুপস্থিত। বেতন নিলে থাকবে না? তো তুমি কেন থাকবে না, এটা জানাইতে বলছে। যেসব ত্রুটি আছে, কমিটি দেখতেছে। আমরা জয়েন করার কথা বলছি না। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিছে, তার ব্যাপারটা মন্ত্রণালয়কে জানাইতে বলছে। তো আমরাও জানাইছি আরকি।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ ও সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এসব উপেক্ষা করে গত বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ওই শিক্ষককে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছরের ১১ জুন ‘কম যোগ্য প্রার্থীকেও ডাকা হলো শাবির ভাইভায়’ এবং ২২ আগস্ট ‘আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সেই প্রার্থী এখন শাবির শিক্ষক’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে পাঁচজন আবেদন করেন। ভাইভা দেন চারজন। তাঁদের মধ্যে মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ-৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ-১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ-৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই পিএমই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. তাজবিউল ইসলামকে।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৫তম সিন্ডিকেট সভায় বলা হয়, পিএমই বিভাগে প্রভাষক পদে তাজবিউল ইসলামকে নিয়োগের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে কেন তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি লিখিত জবাব প্রাপ্তির পর সে বিষয়ে আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে গত বুধবার কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তাজবিউলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থাৎ ২৭-১১-২০২৪ তারিখ থেকে কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিত রয়েছেন মর্মে বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন। কর্মস্থলে আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আপনাকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় আপনার অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএমই বিভাগসংশ্লিষ্টরা জানান, রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে এমন চিঠি ইস্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন পিএমই বিভাগের শিক্ষকেরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার লিখিত দেওয়ার পরও কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটা জানতে চান তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শাবিপ্রবির উপাচার্যের (ভিসি) অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পিএমই বিভাগের ১১ শিক্ষক, ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ছাড়াও একজন সাবেক ভিসি এবং আরেকটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও সব শিক্ষক সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এখন এটা আসতে যদি ঢিলেমি হয়, এর সাথে জড়িত বিশেষ দুষ্টচক্রের বিচার চাই আমরা। আমরা সিন্ডিকেটের রেজল্যুশন পাওয়ার আগেই বা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখতেছে। এই জিনিসগুলো খুব সন্দেহজনক এবং এটাকে আমরা আশ্চর্যজনক মনে করছি। কারণ হলো, এখানে কেন মন্ত্রণালয় বা অন্যদের এত আগ্রহ। এটা নিয়ে আমরা আসলে খুব শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। এটা নিয়ে আসলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ, এখনো ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান এর বিরুদ্ধে।’
বৈঠকে ভিসি কী বললেন জানতে চাইলে পিএমইর প্রধান বলেন, ‘তিনি আমাদের বললেন বিষয়টি একটু আস্তে (ধীরে) চাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা তাঁকে বলে এসেছি, যদি তাঁকে মিনিস্ট্রির চাপে রাখতে হয়, তাহলে রাখেন। বাট তাকে নিয়ে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষা কার্যক্রম চালাইতে পারব না। তাকে আমি ডিপার্টমেন্টে জয়েন করিয়ে ক্লাসে দিলে, আমি একেবারেই নিশ্চিত, একটা ঝামেলার সৃষ্টি হবে। এই ঝামেলায় আমি যেতে চাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে তাজবিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি। একইভাবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারও কল রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও তো জয়েন অবস্থায় আছে আওয়ামী লীগের সময়কাল থেকে। এটা নতুন করে জয়েন করার কিছু নাই। আমরা নিয়মের মধ্যেই আছি। সে তো বেতন নিচ্ছে, আমরাও বেতন বন্ধ করি নাই। কেন সে আসতেছে না, ক্লাস নিতেছে না। ও তো দীর্ঘদিন ধরে কোনো না কোনো কারণে অনুপস্থিত। বেতন নিলে থাকবে না? তো তুমি কেন থাকবে না, এটা জানাইতে বলছে। যেসব ত্রুটি আছে, কমিটি দেখতেছে। আমরা জয়েন করার কথা বলছি না। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিছে, তার ব্যাপারটা মন্ত্রণালয়কে জানাইতে বলছে। তো আমরাও জানাইছি আরকি।’
শাবিপ্রবির পিএমই বিভাগ
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ ও সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এসব উপেক্ষা করে গত বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ওই শিক্ষককে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছরের ১১ জুন ‘কম যোগ্য প্রার্থীকেও ডাকা হলো শাবির ভাইভায়’ এবং ২২ আগস্ট ‘আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সেই প্রার্থী এখন শাবির শিক্ষক’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে পাঁচজন আবেদন করেন। ভাইভা দেন চারজন। তাঁদের মধ্যে মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ-৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ-১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ-৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই পিএমই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. তাজবিউল ইসলামকে।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৫তম সিন্ডিকেট সভায় বলা হয়, পিএমই বিভাগে প্রভাষক পদে তাজবিউল ইসলামকে নিয়োগের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে কেন তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি লিখিত জবাব প্রাপ্তির পর সে বিষয়ে আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে গত বুধবার কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তাজবিউলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থাৎ ২৭-১১-২০২৪ তারিখ থেকে কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিত রয়েছেন মর্মে বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন। কর্মস্থলে আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আপনাকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় আপনার অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএমই বিভাগসংশ্লিষ্টরা জানান, রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে এমন চিঠি ইস্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন পিএমই বিভাগের শিক্ষকেরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার লিখিত দেওয়ার পরও কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটা জানতে চান তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শাবিপ্রবির উপাচার্যের (ভিসি) অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পিএমই বিভাগের ১১ শিক্ষক, ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ছাড়াও একজন সাবেক ভিসি এবং আরেকটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও সব শিক্ষক সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এখন এটা আসতে যদি ঢিলেমি হয়, এর সাথে জড়িত বিশেষ দুষ্টচক্রের বিচার চাই আমরা। আমরা সিন্ডিকেটের রেজল্যুশন পাওয়ার আগেই বা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখতেছে। এই জিনিসগুলো খুব সন্দেহজনক এবং এটাকে আমরা আশ্চর্যজনক মনে করছি। কারণ হলো, এখানে কেন মন্ত্রণালয় বা অন্যদের এত আগ্রহ। এটা নিয়ে আমরা আসলে খুব শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। এটা নিয়ে আসলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ, এখনো ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান এর বিরুদ্ধে।’
বৈঠকে ভিসি কী বললেন জানতে চাইলে পিএমইর প্রধান বলেন, ‘তিনি আমাদের বললেন বিষয়টি একটু আস্তে (ধীরে) চাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা তাঁকে বলে এসেছি, যদি তাঁকে মিনিস্ট্রির চাপে রাখতে হয়, তাহলে রাখেন। বাট তাকে নিয়ে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষা কার্যক্রম চালাইতে পারব না। তাকে আমি ডিপার্টমেন্টে জয়েন করিয়ে ক্লাসে দিলে, আমি একেবারেই নিশ্চিত, একটা ঝামেলার সৃষ্টি হবে। এই ঝামেলায় আমি যেতে চাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে তাজবিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি। একইভাবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারও কল রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও তো জয়েন অবস্থায় আছে আওয়ামী লীগের সময়কাল থেকে। এটা নতুন করে জয়েন করার কিছু নাই। আমরা নিয়মের মধ্যেই আছি। সে তো বেতন নিচ্ছে, আমরাও বেতন বন্ধ করি নাই। কেন সে আসতেছে না, ক্লাস নিতেছে না। ও তো দীর্ঘদিন ধরে কোনো না কোনো কারণে অনুপস্থিত। বেতন নিলে থাকবে না? তো তুমি কেন থাকবে না, এটা জানাইতে বলছে। যেসব ত্রুটি আছে, কমিটি দেখতেছে। আমরা জয়েন করার কথা বলছি না। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিছে, তার ব্যাপারটা মন্ত্রণালয়কে জানাইতে বলছে। তো আমরাও জানাইছি আরকি।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ ও সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এসব উপেক্ষা করে গত বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ওই শিক্ষককে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছরের ১১ জুন ‘কম যোগ্য প্রার্থীকেও ডাকা হলো শাবির ভাইভায়’ এবং ২২ আগস্ট ‘আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সেই প্রার্থী এখন শাবির শিক্ষক’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে পাঁচজন আবেদন করেন। ভাইভা দেন চারজন। তাঁদের মধ্যে মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ-৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ-১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ-৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই পিএমই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. তাজবিউল ইসলামকে।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৫তম সিন্ডিকেট সভায় বলা হয়, পিএমই বিভাগে প্রভাষক পদে তাজবিউল ইসলামকে নিয়োগের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে কেন তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি লিখিত জবাব প্রাপ্তির পর সে বিষয়ে আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে গত বুধবার কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তাজবিউলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থাৎ ২৭-১১-২০২৪ তারিখ থেকে কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিত রয়েছেন মর্মে বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন। কর্মস্থলে আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আপনাকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় আপনার অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএমই বিভাগসংশ্লিষ্টরা জানান, রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে এমন চিঠি ইস্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন পিএমই বিভাগের শিক্ষকেরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার লিখিত দেওয়ার পরও কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটা জানতে চান তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শাবিপ্রবির উপাচার্যের (ভিসি) অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পিএমই বিভাগের ১১ শিক্ষক, ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ছাড়াও একজন সাবেক ভিসি এবং আরেকটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও সব শিক্ষক সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এখন এটা আসতে যদি ঢিলেমি হয়, এর সাথে জড়িত বিশেষ দুষ্টচক্রের বিচার চাই আমরা। আমরা সিন্ডিকেটের রেজল্যুশন পাওয়ার আগেই বা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখতেছে। এই জিনিসগুলো খুব সন্দেহজনক এবং এটাকে আমরা আশ্চর্যজনক মনে করছি। কারণ হলো, এখানে কেন মন্ত্রণালয় বা অন্যদের এত আগ্রহ। এটা নিয়ে আমরা আসলে খুব শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। এটা নিয়ে আসলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ, এখনো ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান এর বিরুদ্ধে।’
বৈঠকে ভিসি কী বললেন জানতে চাইলে পিএমইর প্রধান বলেন, ‘তিনি আমাদের বললেন বিষয়টি একটু আস্তে (ধীরে) চাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা তাঁকে বলে এসেছি, যদি তাঁকে মিনিস্ট্রির চাপে রাখতে হয়, তাহলে রাখেন। বাট তাকে নিয়ে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষা কার্যক্রম চালাইতে পারব না। তাকে আমি ডিপার্টমেন্টে জয়েন করিয়ে ক্লাসে দিলে, আমি একেবারেই নিশ্চিত, একটা ঝামেলার সৃষ্টি হবে। এই ঝামেলায় আমি যেতে চাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে তাজবিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি। একইভাবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারও কল রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও তো জয়েন অবস্থায় আছে আওয়ামী লীগের সময়কাল থেকে। এটা নতুন করে জয়েন করার কিছু নাই। আমরা নিয়মের মধ্যেই আছি। সে তো বেতন নিচ্ছে, আমরাও বেতন বন্ধ করি নাই। কেন সে আসতেছে না, ক্লাস নিতেছে না। ও তো দীর্ঘদিন ধরে কোনো না কোনো কারণে অনুপস্থিত। বেতন নিলে থাকবে না? তো তুমি কেন থাকবে না, এটা জানাইতে বলছে। যেসব ত্রুটি আছে, কমিটি দেখতেছে। আমরা জয়েন করার কথা বলছি না। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিছে, তার ব্যাপারটা মন্ত্রণালয়কে জানাইতে বলছে। তো আমরাও জানাইছি আরকি।’

স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
২ ঘণ্টা আগেমহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা-সদরের চার ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল রাজনীতি ও ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচন থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাজী সালিমুল হক কামাল জানান, দীর্ঘ সাত বছর কারাবাস, রাজনৈতিক অবহেলা এবং পরিবারের চরম ভোগান্তির কারণে তিনি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। জীবনের বাকি সময় পরিবার নিয়ে শান্তিতে কাটাতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কাজী সালিমুল হক কামাল তাঁর স্ট্যাটাসে স্মৃতিচারণা করেন, ২০০৮ সালের পর তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৭ সালে একটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ কারাবাস শেষে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অসুস্থ শরীরে তিনি ২২ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির দিন নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও আবেগ তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
সালিমুল হক কামাল জানান, মুক্তির পর গত ১৬ মাসে মাত্র চারবার মাগুরায় আসেন এবং প্রতিবারই নেতা-কর্মীদের চোখে ভালোবাসার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কষ্ট ও বেদনা দেখেছেন। ১৬ বছর ধরে মাগুরার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মামলা, হামলা, জেল ও নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপির পতাকা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
সালিমুল হক কামাল দাবি করেন, মাগুরা-২ আসনের ৫১৩ জন দায়িত্বশীল নেতার মধ্যে ৫০১ জন, ১৯টি ইউনিয়নের ১৮ জন সাবেক চেয়ারম্যান এবং দুজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তৃণমূলের সেই মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
কাজী সালিমুল হক কামাল আরও বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের পুনর্বাসনের চেষ্টা দলকে আদর্শিকভাবে দুর্বল করছে। এতে ভবিষ্যতে দলের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে পড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আড়পাড়ার এক প্রতিবাদ সভার প্রসঙ্গ টেনে কাজী সালিমুল হক কামাল বলেন, তিনি কখনো নিজের জন্য মনোনয়ন চাননি। তৃণমূলের পছন্দ অনুযায়ী অন্য কোনো যোগ্য প্রার্থী দিলেও নেতা-কর্মীরা মেনে নিতেন। তবে দলের বর্তমান অনড় অবস্থান দেখে তিনি উপলব্ধি করেছেন, এখানে তৃণমূলের যুক্তি বা আবেগের কোনো মূল্য নেই।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষোভ থাকলেও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যাতে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তরুণদের সামনে রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি টেনে সালিমুল হক কামাল লেখেন, তারুণ্যের জয় হোক। তবে মনে রাখবেন, কর্মীদের চোখের পানি কখনো দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
উল্লেখ্য, কাজী সালিমুল হক কামাল ১৯৯৪ সালের বহুল আলোচিত উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে পরাজিত করে নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেন। ওয়ান-ইলেভেন সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তিনি ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাভোগ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
সালিমুল হক কামালের অবসর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাগুরা-২ আসনে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা-সদরের চার ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল রাজনীতি ও ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচন থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাজী সালিমুল হক কামাল জানান, দীর্ঘ সাত বছর কারাবাস, রাজনৈতিক অবহেলা এবং পরিবারের চরম ভোগান্তির কারণে তিনি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। জীবনের বাকি সময় পরিবার নিয়ে শান্তিতে কাটাতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কাজী সালিমুল হক কামাল তাঁর স্ট্যাটাসে স্মৃতিচারণা করেন, ২০০৮ সালের পর তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৭ সালে একটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ কারাবাস শেষে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অসুস্থ শরীরে তিনি ২২ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির দিন নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও আবেগ তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
সালিমুল হক কামাল জানান, মুক্তির পর গত ১৬ মাসে মাত্র চারবার মাগুরায় আসেন এবং প্রতিবারই নেতা-কর্মীদের চোখে ভালোবাসার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কষ্ট ও বেদনা দেখেছেন। ১৬ বছর ধরে মাগুরার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মামলা, হামলা, জেল ও নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপির পতাকা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
সালিমুল হক কামাল দাবি করেন, মাগুরা-২ আসনের ৫১৩ জন দায়িত্বশীল নেতার মধ্যে ৫০১ জন, ১৯টি ইউনিয়নের ১৮ জন সাবেক চেয়ারম্যান এবং দুজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তৃণমূলের সেই মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
কাজী সালিমুল হক কামাল আরও বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের পুনর্বাসনের চেষ্টা দলকে আদর্শিকভাবে দুর্বল করছে। এতে ভবিষ্যতে দলের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে পড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আড়পাড়ার এক প্রতিবাদ সভার প্রসঙ্গ টেনে কাজী সালিমুল হক কামাল বলেন, তিনি কখনো নিজের জন্য মনোনয়ন চাননি। তৃণমূলের পছন্দ অনুযায়ী অন্য কোনো যোগ্য প্রার্থী দিলেও নেতা-কর্মীরা মেনে নিতেন। তবে দলের বর্তমান অনড় অবস্থান দেখে তিনি উপলব্ধি করেছেন, এখানে তৃণমূলের যুক্তি বা আবেগের কোনো মূল্য নেই।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষোভ থাকলেও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যাতে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তরুণদের সামনে রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি টেনে সালিমুল হক কামাল লেখেন, তারুণ্যের জয় হোক। তবে মনে রাখবেন, কর্মীদের চোখের পানি কখনো দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
উল্লেখ্য, কাজী সালিমুল হক কামাল ১৯৯৪ সালের বহুল আলোচিত উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে পরাজিত করে নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেন। ওয়ান-ইলেভেন সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তিনি ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাভোগ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
সালিমুল হক কামালের অবসর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাগুরা-২ আসনে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে
১৭ মে ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান সিজু (২২)। বাবার নাম রবিউল ইসলাম। শিবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর বাহাদুর মোড়লের টোলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। আবু সুফিয়ানের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে ২৪ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার উমরপুর ঘাট এলাকায়। সেদিন আবু সুফিয়ানকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। এরপর দুই হাত ও এক পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সুফিয়ানের বাঁ হাতের রগ কেটে গেছে। এই হাত কেটে ফেলতে হবে। ডান হাতটি রক্ষার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। মাথা ও দুই পায়েও গুরুতর জখম আছে। চোখের ওপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। কালশিরা পড়ে চোখ এখনো ফুলে আছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন শাহ আলম ও তাঁর ভাই আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার শ্যামপুর খোঁচপাড়া গ্রামে। তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। উমরপুর ঘাটে তাঁর ওষুধের দোকান আছে। সেই দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ভর্তির পর রাতেই আবু সুফিয়ানকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত আবু সুফিয়ানের মা সুফিয়া খাতুন জানান, সুফিয়ানের এক নাবালিকা ভাতিজিকে কিছুদিন আগে এক যুবক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে মামলা করলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ছেলেটিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে আসার পর থেকে ছেলেটি আবার মেয়েটিকে বিরক্ত করছিল।
এ জন্য ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে আবু সুফিয়ান উমরপুর ঘাটে ওই ছেলেটিকে ডেকে তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত না করার জন্য শাসাচ্ছিলেন। তখন বদিউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শাহ আলমসহ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ওই ছেলেটির পক্ষ নেন এবং আবু সুফিয়ানকে মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে যোগ দেন শিবিরের কর্মী আনোয়ার হোসেন ও নুর আলী। তাঁরা রাজ্জাকের দোকানের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে সুফিয়ানকে বেঁধে ফেলেন। এরপর লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর দুই হাত ও পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেন। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সুফিয়া খাতুন বলেন, তাঁর ছেলেকে জামায়াতের মিছিলে ডাকা হয়েছিল। সুফিয়ান তাদের মিছিলে না গিয়ে বিএনপির মিছিলে যেত। এই রাগে তার হাত-পা এভাবে কেটে দেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার পর তার ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকলেও জামায়াত-শিবিরের ভয়ে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাননি। এমনকি কোনো গাড়িও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল না। পরে তারা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সুফিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত আবু সুফিয়ান বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, ওই ছেলেটি তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত করছে। কিন্তু কোনো কথা না শুনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকেই বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন।
জামায়াতের কর্মী শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আর অভিযুক্ত শিবিরের কর্মী নূর আলীর মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় দুজন কর্মী গ্রেপ্তার হলেও জামায়াত-শিবির এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে না বলে দাবি করেছেন উপজেলা জামায়াতের আমির সাদিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক আমাদের কর্মী। তবে জামায়াত-শিবির হাত-পা কাটার রাজনীতি করে না। এই ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলেও আমরা মনে করি না। তাই সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পর রাতেই তিনজনের নামে মামলা করেন আবু সুফিয়ানের বাবা। এরপর আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান সিজু (২২)। বাবার নাম রবিউল ইসলাম। শিবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর বাহাদুর মোড়লের টোলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। আবু সুফিয়ানের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে ২৪ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার উমরপুর ঘাট এলাকায়। সেদিন আবু সুফিয়ানকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। এরপর দুই হাত ও এক পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সুফিয়ানের বাঁ হাতের রগ কেটে গেছে। এই হাত কেটে ফেলতে হবে। ডান হাতটি রক্ষার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। মাথা ও দুই পায়েও গুরুতর জখম আছে। চোখের ওপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। কালশিরা পড়ে চোখ এখনো ফুলে আছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন শাহ আলম ও তাঁর ভাই আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার শ্যামপুর খোঁচপাড়া গ্রামে। তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। উমরপুর ঘাটে তাঁর ওষুধের দোকান আছে। সেই দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ভর্তির পর রাতেই আবু সুফিয়ানকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত আবু সুফিয়ানের মা সুফিয়া খাতুন জানান, সুফিয়ানের এক নাবালিকা ভাতিজিকে কিছুদিন আগে এক যুবক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে মামলা করলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ছেলেটিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে আসার পর থেকে ছেলেটি আবার মেয়েটিকে বিরক্ত করছিল।
এ জন্য ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে আবু সুফিয়ান উমরপুর ঘাটে ওই ছেলেটিকে ডেকে তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত না করার জন্য শাসাচ্ছিলেন। তখন বদিউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শাহ আলমসহ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ওই ছেলেটির পক্ষ নেন এবং আবু সুফিয়ানকে মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে যোগ দেন শিবিরের কর্মী আনোয়ার হোসেন ও নুর আলী। তাঁরা রাজ্জাকের দোকানের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে সুফিয়ানকে বেঁধে ফেলেন। এরপর লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর দুই হাত ও পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেন। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সুফিয়া খাতুন বলেন, তাঁর ছেলেকে জামায়াতের মিছিলে ডাকা হয়েছিল। সুফিয়ান তাদের মিছিলে না গিয়ে বিএনপির মিছিলে যেত। এই রাগে তার হাত-পা এভাবে কেটে দেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার পর তার ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকলেও জামায়াত-শিবিরের ভয়ে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাননি। এমনকি কোনো গাড়িও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল না। পরে তারা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সুফিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত আবু সুফিয়ান বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, ওই ছেলেটি তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত করছে। কিন্তু কোনো কথা না শুনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকেই বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন।
জামায়াতের কর্মী শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আর অভিযুক্ত শিবিরের কর্মী নূর আলীর মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় দুজন কর্মী গ্রেপ্তার হলেও জামায়াত-শিবির এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে না বলে দাবি করেছেন উপজেলা জামায়াতের আমির সাদিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক আমাদের কর্মী। তবে জামায়াত-শিবির হাত-পা কাটার রাজনীতি করে না। এই ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলেও আমরা মনে করি না। তাই সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পর রাতেই তিনজনের নামে মামলা করেন আবু সুফিয়ানের বাবা। এরপর আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে
১৭ মে ২০২৫
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
২ ঘণ্টা আগেহোসেনপুর সংবাদদাতা

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।/
নিহত আনোয়ার জেলার হোসেনপুর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের আলমাস খানের বড় ছেলে। নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী প্রবাসী শফিক জানান, দুই মাস পর আনোয়ারের দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. চান মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নিহত আনোয়ার ১০-১২ বছর আগে সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে ফ্রি ভিসায় কাজ করতেন তিনি। গতকাল রাতে তাঁর পরিবার মৃত্যুর খবর পায়।

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।/
নিহত আনোয়ার জেলার হোসেনপুর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের আলমাস খানের বড় ছেলে। নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী প্রবাসী শফিক জানান, দুই মাস পর আনোয়ারের দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. চান মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নিহত আনোয়ার ১০-১২ বছর আগে সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে ফ্রি ভিসায় কাজ করতেন তিনি। গতকাল রাতে তাঁর পরিবার মৃত্যুর খবর পায়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে
১৭ মে ২০২৫
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
২ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে
১৭ মে ২০২৫
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে