Ajker Patrika

বরগুনার আমতলী

হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ ঢালাই

  • তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ব্যয় ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
  • ঢালাইয়ে পর্যাপ্ত বিটুমিন ব্যবহার না করার অভিযোগ।
  • ঠিকাদার বলছেন, কাজে ভুলত্রুটি হতে পারে, এ জন্য তাঁর ফাঁসি হবে না।
মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা) 
সংস্কার করা সড়কে হাত দিয়ে টান দিতেই পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। সম্প্রতি বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংস্কার করা সড়কে হাত দিয়ে টান দিতেই পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। সম্প্রতি বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার আমতলী উপজেলায় সম্প্রতি তিন কিলোমিটারের একটি সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজে সরকার ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকল্পটির ঠিকাদার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। পিচ ঢালাইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। হাত দিয়ে সামান্য একটু টান দিলেই পিচ ঢালাইয়ের আস্তরণ উঠে যাচ্ছে। তাঁদের শঙ্কা, নিম্নমানের কাজ করায় সড়কটি বেশি দিন টেকসই হবে না।

যদিও প্রকল্পটির ঠিকাদার বলছেন, তিনি সড়কের কাজ ঠিকমতোই করেছেন। তবে কাজ করলে ভুলত্রুটি হতে পারে। এতে তাঁর ফাঁসি হবে না।

জানা গেছে, আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের লোদা সেতু থেকে ৩ হাজার ১৬০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর। ওই কাজে ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৯ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল কাজের দরপত্র হয়। মেসার্স রহমান ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটির দায়িত্ব পায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাহীন তালুকদার। ওই বছরের ১ মে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার এক মাস পরে কাজ শুরু করেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, কাজ শুরু করেই ঠিকাদার শাহীন তালুকদার এলজিইডি বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান ও উপজেলা প্রকৌশলী ইদ্রিস আলীর যোগসাজশে দুই কিস্তির টাকা তুলে নেন। এরপর গত দেড় বছর ঠিকাদার কোনো কাজ করেননি। চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে ওই সড়কের কাজ পুনরায় শুরু করেন ঠিকাদার। ২২ মার্চ পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন। দরপত্রে ৫ ইঞ্চি সাব বেজ করার কথা উল্লেখ থাকলেও ঠিকাদার শাহীন মাত্র ৩ ইঞ্চি বেজ করেছেন। এ ছাড়া খোয়ার ওপর বিটুমিন না ছিটিয়েই পুরো তিন কিলোমিটার সড়ক ঢালাই দিয়েছেন। দরপত্রে ১ ইঞ্চি ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার দিয়েছেন মাত্র আধা ইঞ্চি।

গত মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে ঢালাই উঠে গেছে। স্থানীয় কয়েকজন হাত দিয়ে টান দিয়ে পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ার বিষয়টি দেখান।

কাউনিয়া গ্রামের বশির উদ্দিন বলেন, ‘পায়ের ঘষাতেই সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। এমন রাস্তা নির্মাণ জীবনে দেখিনি।’

একই গ্রামের শাহজাহান হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর মিয়ার অভিযোগ, ঠিকাদার সড়কে বিটুমিন না দিয়ে ঢালাই দিয়েছেন। এতে হাত দিয়ে টান দিলেই সড়কের ঢালাই উঠে যাচ্ছে। তাঁরা বিটুমিন ছাড়া কাজ করতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন তা শোনেননি। উল্টো হুমকি-ধমকি দিয়েছেন।

সংস্কার করা সড়কে হাত দিয়ে টান দিতেই পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। সম্প্রতি বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংস্কার করা সড়কে হাত দিয়ে টান দিতেই পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। সম্প্রতি বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নে। ছবি: আজকের পত্রিকা

অটোরিকশাচালক বাহাদুর ও আল আমিন বলেন, সড়কের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার তিন দিনের মাথায় অটোরিকশার চাকায় পিচ উঠে যাচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার শাহীন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কের কাজ ঠিকমতোই করেছি। তবে কাজ করলে ভুলত্রুটি হতে পারে। এতে আমার ফাঁসি হবে না। পিচ উঠে গেলে আবার বিটুমিন দিয়ে ঢালাই দেওয়া হবে।’

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সড়ক সংস্কারে বিটুমিন না ছিটিয়ে ঢালাই দেওয়া এবং ঢালাই উঠে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। সড়কটি সরেজমিন দেখতে সহকারী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিনকে পাঠিয়েছিলাম। ঠিকাদারের সঙ্গে কাজে অনিয়মে আমার কোনো যোগসাজশ ছিল না।’

এলজিইডি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে স্থানীয়দের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই তাঁরা এমন অপবাদ দিচ্ছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে টাকা আত্মসাতে সহায়তার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘সড়কের কাজের অনিয়মের অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এলজিইডির বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহা. নুরুল ইসলাম বলেন, সড়ক সংস্কারে অনিয়ম এবং ঠিকাদারের সঙ্গে প্রকৌশলীদের কোনো ধরনের সখ্য এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত