কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা। এখন এসব জমিতে ফসল চাষ করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার ছাগাইয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের পূর্ব পাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পের অধীনে বেড়িবাঁধ সড়ক নির্মাণ করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে ওই কাজ মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেলেও মূলত স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হক কনস্ট্রাকশন সড়কের কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধ সড়কের সাইডওয়াল নির্মাণ, ব্লক স্থাপন ও মাটি ভরাটসহ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৩ টাকা। গত এপ্রিলে কাজের উদ্বোধনের পর প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কে আংশিক সাইডওয়াল নির্মাণ, জিও টেক্সটাইল ও ব্লক বসানো হয়। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নির্মাণকাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এ সময় পর্যন্ত সাইডওয়াল ও মাটি ভরাটের কাজের প্রায় ৬০ শতাংশ অগ্রগতি দেখিয়ে কোটি টাকার বেশি বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, সড়ক নির্মাণের জন্য পাশের ফসলি জমি থেকে গভীরভাবে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। মাটি কাটার আগে জমিতে থাকা কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। মাটি কাটতে জমির মালিকেরা বাধা দিলে, পরে তাঁদের জমি ভরাট করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ঠিকাদার। কিন্তু ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং রাস্তার পাশ থেকে গভীরভাবে মাটি কাটার ফলে নতুন নির্মিত সড়কটিও ঝুঁকিতে পড়ছে।
কৃষক মিষ্টু মিয়া বলেন, ঠিকাদার বলছিল মাটি কেটে সড়ক উঁচু করবে, তারপর অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে জমি সমান করে দেবে। ৮ মাস পার হয়ে গেলেও তারা জমির মাটি ভরাট করে দেয়নি। জমিতে ফসলও ফলাতে পারছি না।
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ঠিকাদারের অংশীদারদের একজন মতিউর রহমান বলেন, রাস্তায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ঘনফুট মাটি ফেলা হয়েছে এবং চলতি বছরই অন্য স্থান থেকে মাটি এনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমি ভরাট করে দেওয়া হবে। এ কাজে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হলেও ঠিকাদার সেলিম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন বলেও তিনি দাবি করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হক কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মমিনুল হক সেলিম বলেন, ‘কাজটি হলো চট্টগ্রামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি হয়েছে। বর্তমানে এ কাজের তদারকি করছে অন্যরা। এখন আমি এ কাজের সঙ্গে জড়িত নই।’
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটির কাজের মেয়াদ আগামী জুন মাস পর্যন্ত। এর মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বর্তমানে সরকারি ফান্ড না থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি ঠিকাদারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকাবাসীর বাধার কারণেও কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে মাটি তারা কোথা থেকে আনবে, বিষয়টি মূলত ঠিকাদারের। আমরা রাস্তার কাজে কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেব।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা। এখন এসব জমিতে ফসল চাষ করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার ছাগাইয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের পূর্ব পাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পের অধীনে বেড়িবাঁধ সড়ক নির্মাণ করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে ওই কাজ মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেলেও মূলত স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হক কনস্ট্রাকশন সড়কের কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধ সড়কের সাইডওয়াল নির্মাণ, ব্লক স্থাপন ও মাটি ভরাটসহ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৩ টাকা। গত এপ্রিলে কাজের উদ্বোধনের পর প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কে আংশিক সাইডওয়াল নির্মাণ, জিও টেক্সটাইল ও ব্লক বসানো হয়। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নির্মাণকাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এ সময় পর্যন্ত সাইডওয়াল ও মাটি ভরাটের কাজের প্রায় ৬০ শতাংশ অগ্রগতি দেখিয়ে কোটি টাকার বেশি বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, সড়ক নির্মাণের জন্য পাশের ফসলি জমি থেকে গভীরভাবে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। মাটি কাটার আগে জমিতে থাকা কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। মাটি কাটতে জমির মালিকেরা বাধা দিলে, পরে তাঁদের জমি ভরাট করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ঠিকাদার। কিন্তু ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং রাস্তার পাশ থেকে গভীরভাবে মাটি কাটার ফলে নতুন নির্মিত সড়কটিও ঝুঁকিতে পড়ছে।
কৃষক মিষ্টু মিয়া বলেন, ঠিকাদার বলছিল মাটি কেটে সড়ক উঁচু করবে, তারপর অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে জমি সমান করে দেবে। ৮ মাস পার হয়ে গেলেও তারা জমির মাটি ভরাট করে দেয়নি। জমিতে ফসলও ফলাতে পারছি না।
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ঠিকাদারের অংশীদারদের একজন মতিউর রহমান বলেন, রাস্তায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ঘনফুট মাটি ফেলা হয়েছে এবং চলতি বছরই অন্য স্থান থেকে মাটি এনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমি ভরাট করে দেওয়া হবে। এ কাজে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হলেও ঠিকাদার সেলিম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন বলেও তিনি দাবি করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হক কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মমিনুল হক সেলিম বলেন, ‘কাজটি হলো চট্টগ্রামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি হয়েছে। বর্তমানে এ কাজের তদারকি করছে অন্যরা। এখন আমি এ কাজের সঙ্গে জড়িত নই।’
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটির কাজের মেয়াদ আগামী জুন মাস পর্যন্ত। এর মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বর্তমানে সরকারি ফান্ড না থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি ঠিকাদারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকাবাসীর বাধার কারণেও কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে মাটি তারা কোথা থেকে আনবে, বিষয়টি মূলত ঠিকাদারের। আমরা রাস্তার কাজে কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেব।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে