সম্পাদকীয়
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৭ মার্চ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। তিনি মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর পরের বছরই ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি মিলিটারি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, রিসালপুর থেকে অফিসার বেসিক কোর্স-২৯ এবং ইনফেন্ট্রি স্কুল অব ট্যাকটিস থেকে অফিসার উইপন কোর্স সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ ১৯৬৯ সালে আগস্ট মাসের শেষের দিকে এক মাসের ছুটিতে দেশে আসেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কারাকোরামে কর্মরত ছিলেন। গণহত্যার সংবাদ পেয়ে ৩ জুলাই আরও তিন বাঙালি অফিসারের সঙ্গে শিয়ালকোটের নিকটবর্তী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেহেদীপুর সাব-সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন। এ সাব-সেক্টর এলাকায় পাকিস্তানিদের কাছে তিনি মূর্তিমান এক আতঙ্ক ছিলেন।
এখানে তিনি অসামান্য বীরত্বের সঙ্গে আরগরারহাট, কানসাট, শাহপুর এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মুক্তাঞ্চল গঠন করেন। এই ত্যাগী যোদ্ধা বেতন থেকে ২০ টাকা নিজের জন্য রেখে বাকি টাকা শরণার্থীদের সাহায্যে দান করতেন। যুদ্ধকালীন তিনি গুরুতর আহত হন এবং পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই পুনরায় যুদ্ধে অংশ নেন। ১২ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী তাঁর নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ করে। যুদ্ধে অপরিসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানি বাহিনীর স্নাইপার বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন। তবে তিনি শহীদ হওয়ার আগে সহযোদ্ধাদের নিয়ে অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের পরাস্ত করতে সক্ষম হন। এ যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ১১ জন নিহত ও ৫ জন বন্দী হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৭ মার্চ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। তিনি মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর পরের বছরই ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি মিলিটারি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, রিসালপুর থেকে অফিসার বেসিক কোর্স-২৯ এবং ইনফেন্ট্রি স্কুল অব ট্যাকটিস থেকে অফিসার উইপন কোর্স সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ ১৯৬৯ সালে আগস্ট মাসের শেষের দিকে এক মাসের ছুটিতে দেশে আসেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কারাকোরামে কর্মরত ছিলেন। গণহত্যার সংবাদ পেয়ে ৩ জুলাই আরও তিন বাঙালি অফিসারের সঙ্গে শিয়ালকোটের নিকটবর্তী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেহেদীপুর সাব-সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন। এ সাব-সেক্টর এলাকায় পাকিস্তানিদের কাছে তিনি মূর্তিমান এক আতঙ্ক ছিলেন।
এখানে তিনি অসামান্য বীরত্বের সঙ্গে আরগরারহাট, কানসাট, শাহপুর এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মুক্তাঞ্চল গঠন করেন। এই ত্যাগী যোদ্ধা বেতন থেকে ২০ টাকা নিজের জন্য রেখে বাকি টাকা শরণার্থীদের সাহায্যে দান করতেন। যুদ্ধকালীন তিনি গুরুতর আহত হন এবং পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই পুনরায় যুদ্ধে অংশ নেন। ১২ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী তাঁর নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ করে। যুদ্ধে অপরিসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানি বাহিনীর স্নাইপার বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন। তবে তিনি শহীদ হওয়ার আগে সহযোদ্ধাদের নিয়ে অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের পরাস্ত করতে সক্ষম হন। এ যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ১১ জন নিহত ও ৫ জন বন্দী হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
২ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
৩ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
৪ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৬ দিন আগে